রাখাইনে আবারো নির্যাতনের আশঙ্কা জাতিসংঘের
২৬ জুন ২০১৯গত ২১ জুন থেকে দেশটির এ দুই অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ এই ফাঁকে এ দুই রাজ্যে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে জাতিসংঘ৷
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার সরকার৷
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় এ এলাকাগুলোতে গত কিছুদিনে কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করেছে মিয়ানমার৷
জাতিসংঘের বিশেষ মুখপাত্র ইয়াংহি লি বলেন, ‘‘সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আমরা শঙ্কিত৷ আমরা জানতে পেরেছি যে, এ এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীএকটি অভিযান পরিচালনা করছে যেখানে বড় মাত্রায় মানবাধিকার লংঘনের সম্ভাবনা রয়েছে৷''
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থায় জমা দেয়া প্রতিবেদনে লি বলেন, স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, গত ১৯ জুন মিয়ানমারসেনাবাহিনী রাখাইনের মিনব্যে (Minbya) শহরে হেলিকপ্টারযোগে হামলা চালিয়েছে৷ এর পর দিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা মিয়ানমারের একটি নৌযানে আগুন ধরিয়ে দিলে দুই নৌসেনা নিহত হয়৷
বিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ
দেশটিতে নিয়েজিত টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি টেলিনর গ্রুপ জানায়, মিয়ানমারের পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সাময়িকভাবে রাখাইন ও চীন অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে৷ মন্ত্রনালয় দাবি করেছে যে, ইন্টারনেট ব্যবহারের করে এ অঞ্চলে অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে৷ মন্ত্রণালয়ের সচিব সো থাইন জানান, মিয়ানমারের টেলিযোগাযোগ আইন মেনেই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷
মিয়ানমারের এ অঞ্চলটিতে প্রায় ১০ লাখ অধিবাসী রয়েছে৷ ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়ার ফলে বিশাল এ জনগোষ্ঠী যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে৷ দীর্ঘ দিন ধরেই রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে দেশটির এ অঞ্চলে৷ ‘আরাকান আর্মি' নামে বৌদ্ধদের বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি এ অঞ্চলের ‘স্বায়ত্বশাসনের' দাবিতে আন্দোলন করে আসছে৷
২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেরাবাহিনীর হামলায় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা দেশ ত্যাগ করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়৷ জাতিসংঘের মতে সেনাবাহিনীর এ আচরণ ছিল ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান'৷
আরআর/কেএম (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)