1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাখাইন পরিদর্শনে অং সান সু চি

২ নভেম্বর ২০১৭

সহিংসতার শিকার হয়ে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে যাওয়ার এতদিন পর প্রথমবারের মতো  রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনে গেলেন অং সান সু চি৷ শান্তিতে নোবেলজয়ী সেখানে গিয়ে সবার প্রতি শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের আহ্বান জানান৷ 

রাখাইন পরিদর্শনে প্রথমবারের মতো অং সাং সু চি
ছবি: Reuters

বৃহস্পতিবার সকালে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিটুয়ে থেকে সামরিক হেলিকপ্টারে চড়ে উত্তরের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা মংডুর উদ্দেশ্যে রওনা হন সু চি৷ এর আগে মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসিত করার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানানো  হয়৷ যদিও সরকারের এমন বক্তব্যের মধ্যেও রোহিঙ্গাদের প্রাণের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালানো বন্ধ হয়নি৷

২ টি সামরিক বিমানে ২০ জনের একটি দল নিয়ে স্টেট কাউন্সিলর সু চি রাখাইনে যান৷  মংডুতে উপস্থিত এক রোহিঙ্গা ইমামের বরাত দিয়ে আরাকান প্রজেক্ট মনিটরিং গ্রুপের ক্রিস লিওয়া রয়টার্সকে বলেন, মংডুতে গিয়ে সু চি রাস্তায় জড়ো হওয়া মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন৷ এ সময় তিনি শুধু তিনটি কথা বলেছেন – সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে হবে, সরকার তাদের সহায়তা করবে এবং নিজেদের মধ্যে বিবাদ করা উচিত নয়৷

রাখাইন পরিদর্শনে প্রথমবারের মতো অং সাং সু চিছবি: Getty Images/AFP

সু চির দল এনএলডি ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা ছিল, তিনি রাখাইনে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ নেবেন৷ কিন্তু রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে মেনে নেওয়া বা তাঁদের দুর্দশা নিজের চোখে দেখার জন্য রাখাইনে যাওয়ার কোনো আগ্রহ তিনি এর আগে দেখাননি৷ এ বছরের আগস্টে রোহিঙ্গাদের উপর সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে৷ একে জাতিসত্ত্বা নিধন উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছে৷ এমন পরিস্থিতিতেই কোনোরকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়া রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনে গেলেন সু চি৷ 

এখনো পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনা শুরুর বিষয়টিও নিষ্পত্তি হয়নি৷ এরই মধ্যে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা রাখাইনে বসবাসের প্রমাণ দেখাতে পারবে, কেবল তাদেরই ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে মন্তব্য এসেছে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে৷ তবে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা বেশিরভাগ রোহিঙ্গার কাছেই নেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র৷

সু চির এই সফর নিয়ে আপনার মতামত জানান আমাদের৷ লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷

আরএন/এসিবি ( রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ