1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাখাইন সফরে গেছেন ‘বার্মিজ বিন লাদেন’

৪ মে ২০১৭

এক সময় নিজের এমনই নাম দিয়েছিলেন মিয়ানমারের বৌদ্ধ ভিক্ষু আশিন ভিরাডু৷ মুসলিমবিরোধী বক্তব্য দেয়ার জন্য পরিচিত তিনি৷ বুধবার তিনি দেশটির মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্য সফরে গেছেন৷

Buddhistische Mönche Birma Myanmar
২০১৩ সালে ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে ‘বৌদ্ধ সন্ত্রাসের মুখ’ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল ভিরাডুকে৷ছবি: Christophe Archambault/AFP/Getty Images

রাজ্যের এক পুলিশ কর্মকর্তা নিয়ান ভিন এ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷ ‘‘এখানে তিনি দুই-তিনদিন থাকবেন৷ অমুসলিমরা বাস করেন এমন গ্রামগুলো পরিদর্শনে যাবেন তিনি,’’ বলেন নিয়ান ভিন৷ ভিরাডুকে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

মিয়ানমারের সাবেক সামরিক শাসনামলে একবার ভিরাডুকে কারাবন্দি করা হয়েছিল৷ ২০১১ সালে দেশটিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর আলোচনায় আসেন তিনি৷ সেই সময় দীর্ঘদিন ধরে চাপা পড়ে থাকা ধর্মীয় উত্তেজনা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে৷ ২০১২ সালে রোহিঙ্গা ও রাখাইনের বৌদ্ধদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়৷ এতে এক লক্ষ ৪০ হাজারের বেশি মানুষ গৃহহীণ হয়ে পড়েছিলেন, যার বেশিরভাগই ছিলেন মুসলমান৷

রাখাইন ছাড়িয়ে মিয়ানমারের অন্যান্য অঞ্চল মুসলমানদের বিরুদ্ধে সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে ভিরাডু বৌদ্ধদের মুসলিম মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বয়কট করা ও মুসলমানদের বিয়ে না করার আহ্বান জানান৷

২০১৩ সালে ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে ‘বৌদ্ধ সন্ত্রাসের মুখ’ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল তাকে৷

মিয়ানমার সরকার মার্চ মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ভ্রমণে ভিরাডুর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে৷ এর প্রতিবাদে টেপ দিয়ে নিজের মুখ ঢাকা একটি ছবি অনলাইনে প্রকাশ করেন তিনি৷

এদিকে, রাখাইন রাজ্যে ভিরাডুর আগমন উপলক্ষ্যে সেখানকার মুসলমান সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷ সম্প্রদায়ের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে বলেন, ‘‘আমরা তাঁর সফর নিয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ, তিনি সবসময় মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে থাকেন৷’’

জাতিসংঘের তদন্ত প্রত্যাখ্যান করলেন সু চি

রাখাইন রাজ্যে মুসলমানদের উপর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে সেখানে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল৷ কিন্তু মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণা না করার কথা জানান শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি৷ ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন সু চি৷ ‘‘আমরা জাতিসংঘের এই রেজ্যুলেশনের সঙ্গে থাকছি না, কারণ, আমরা মনে করি এই রেজ্যুলেশন প্রকৃত অর্থে রাখাইনে যা ঘটছে তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়৷’’ তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যের জন্য আসলেই প্রয়োজনীয় এমন পরামর্শ তাঁর দেশ ‘খুশি মনে গ্রহণ করবে’৷ কিন্তু ‘‘এসব পরামর্শ রাখাইনে বাস করা দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে আরও বিভেদ তৈরি করবে৷ তাই আমরা এই রেজ্যুলেশন গ্রহণ করব না৷ কারণ, এটি সমস্যার সমাধানে সহায়তা করবে না,’’ বলেন নোবেলজয়ী সু চি৷

সংবাদ সম্মেলনে সু চি ও মোগেরিনিছবি: Reuters/E. Vidal

সংবাদ সম্মেলনে সু চির পাশে থাকা ইইউর পররাষ্ট্র বিষয়ক কর্মকর্তা ফেডেরিকা মোগেরিনি জাতিসংঘের তদন্ত মেনে নিতে সু চি’র প্রতি আহ্বান জানান৷

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে...

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ