‘রাজনীতিকদের ক্ষমতার অপব্যবহারই জঙ্গিবাদের জন্য দায়ী '
২২ জুলাই ২০১৬
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ দিনদিন বেড়ে চলেছে৷ এর আসল কারণ কী ? বর্তমানের সবচেয়ে আলোচিত এই বিষয়টি নিয়েই পাঠকরা লিখেছেন ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায়৷
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু আবির খানের মতে, ‘‘যতদিন মধ্যপ্রাচ্যে রক্ত ঝরা বন্ধ হবেনা, ততদিন তথাকথিত জঙ্গিদের দমন করাটাও সম্ভব নয়৷ অনেকটা এরকম যে, শিশু বড় হবে পশ্চিমাদের বোমার স্প্লিন্টারে নিহত বাবা, মা, ভাই, বোনদের লাশ দেখে, তাদেরকে আপনি যতই শান্তির বাণী শোনান তারা কিন্তু শান্তভাবে বড় হবেনা৷ ''
‘চুপ করে থাকলেই যেন সবকিছু থেমে যাবে' অনেকটা এরকম মনোভাব পাঠক আবুল খায়েরের৷ তাঁর মতে জঙ্গিবাদ নিয়ে মিডিয়ার মাথা ঘামানোর কারণেই নাকি জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছে৷
আর ফেসবুকবন্ধু শাহাবুদ্দিন ইলিয়াস এখনো মনে করেন যে, ‘‘বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নাই, যা দেখা যাচ্ছে তা নাকি বিদেশিদের ষড়যন্ত্র৷''
আর বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার কারণ সম্পর্কে মো. রিয়াজুল করিম রিজেলের ধারণা, ‘‘ অবৈধ হাসিনা সরকারের দুঃশাসনের কারণেই বাংলাদেশে জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়েছে৷''
বিমানযাত্রা কতটা নিরাপদ?
বিমানে সন্ত্রাসী হামলা, বিমান ছিনতাই থেকে শুরু করে বিমানবন্দরে হামলার একাধিক ঘটনার জের ধরে গোটা বিশ্বেই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ধারাবাহিকভাবে জোরদার করা হচ্ছে৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও অঘটন ঘটছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Klose
আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ
যাত্রীর পোশাকে ধাতু অথবা বিপজ্জনক বস্তু শনাক্ত করতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে চলেছে৷ তবে যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীরা সেই কাজ করছেন, তারাও মানুষ৷ ফলে কিছু ক্ষেত্রে তাদের নজর এড়িয়ে দুষ্কৃতি বিমানে প্রবেশ করতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Klose
গাফিলতির দৃষ্টান্ত
ইউরোপের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর ফ্রাংকফুর্ট৷ কিন্তু সেখানেও নিরাপত্তার কড়াকড়ি সত্ত্বেও বিমানবন্দর কর্মীদের নজর ফাঁকি দিয়ে বিপজ্জনক বস্তু পাচার করার ঘটনা বিরল নয়৷ চলতি দশকের শুরুতে ইইউ কমিশনের প্রতিনিধিরা গোপনে পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, যে অস্ত্র সহ বিপজ্জনক বস্তু নিয়ে সিকিউরিটি চেক পেরিয়ে যাওয়া মোটেই কঠিন নয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Anspach
বডি-স্ক্যানার
নিরাপত্তা কর্মীদের ভুল এড়াতে অনেক বড় বিমানবন্দরে চালু হয়েছে বডি-স্ক্যানার৷ ব্যয়বহুল এই প্রযুক্তি নিয়ে বিতর্ক কম নয়৷ কারণ এ ক্ষেত্রে মনিটারের পর্দায় যাত্রীদের শরীর অনেকটাই উন্মোচিত হয়৷ তাই অনেক বিমানবন্দরে যাত্রীদের স্বেচ্ছায় এই প্রক্রিয়া বেছে নেবার সুযোগ দেওয়া হয়৷
ছবি: picture alliance/dpa/Fotografia
মালপত্রের উপর নজরদারি
যে সব ছোট আকারের মালপত্র সঙ্গে নিয়ে যাত্রীরা বিমানে উঠতে পারেন, সেগুলিও বিপদের উৎস হতে পারে৷ তাই স্ক্যানারের মাধ্যমে সেগুলি পরীক্ষা করাও জরুরি৷ তবে শুধু বিমানবন্দর নয়, মালপত্রের স্ক্যানারের ব্যবহার অন্যান্য জায়গায়ও ছড়িয়ে পড়ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Spata
বিপজ্জনক বস্তুর সংজ্ঞা
প্রায় প্রত্যেক বড় মাপের হামলার জের ধরে বিপজ্জনক বস্তুর তালিকা দীর্ঘ হতে থাকে৷ জুতার মধ্যে বিস্ফোরক পাচারের প্রচেষ্টার পর যাত্রীদের জুতা খুলে স্ক্যানারে দিতে হয়৷ তরল বা মলম জাতীয় দ্রব্য দিয়ে বিমানেই বিস্ফোরক তৈরির ঝুঁকি এড়াতে এমন দ্রব্যের পরিমাণ বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷ ২০১৪ সাল থেকে অবশ্য ইউরোপে এই নিয়ম আবার কিছুটা শিথিল করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বেলজিয়ামে বিমানবন্দরে হামলা
সাম্প্রতিক কালে শুধু বিমান নয়, বিমানবন্দরও বার বার সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে৷ ২০১৬ সালের ২২শে মার্চ ব্রাসেলস বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলার ঘটনার পর সার্বিকভাবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে৷ উল্লেখ্য, ইউরোপে সাধারণত বিমানবন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনোরকম নিয়ন্ত্রণ থাকে না৷
ছবি: Reuters/Y. Herman
ইস্তানবুলে হামলা
২০১৬ সালের ১লা জুলাই তুরস্কের ইস্তানবুল শহরের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ৪৪ জন নিহত হয়৷ আত্মঘাতী হামলাকারীরা অনেক মানুষকে জিম্মি করারও ষড়যন্ত্র করেছিল বলে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম দাবি করে৷ এত বড় আকারে হামলার জের ধরে গোটা বিশ্বে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/O. Kose
7 ছবি1 | 7
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের জন্য দেশের রাজনীতিকদের ক্ষমতা অপব্যবহারের প্রবণতাকে দায়ী করেছেন পাঠক মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের মতো যে দেশে মন্ত্রীর গাড়িতে পাওয়া যায় নিষিদ্ধ জিনিস, এমপিরছেলে রাস্তায় জ্যাম দেখে এলোপাতারি গুলি করে মানুষ মারে, মন্ত্রীর ছেলের মাদকের ব্যবসা, নিরাপত্তার নামে তল্লাসি করার সময় পুলিশ যেখানে পকেটে গাঁজা/ইয়াবা ঢুয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে, সেখানে কতটুকু ভালো-খারাপ বুঝতে কষ্ট হবার কথা নয়৷''
অন্যদিকে পাঠক সৈকত সমুদ্র মনে করছেন জীবিকার প্রয়োজনে হয়তো কিছু মানুষ জঙ্গি হওয়ার মতো অপরাধমূলক কাজে জড়িত হয় ৷
তবে হ্যাঁ, জঙ্গি দমন করা খুবই জরুরি আর তা করতে হলে ‘অবৈধ সরকারকে' উচ্ছেদ করা নাকি অপরিহার্য- এমন কথা লিখেছেন পাঠক হাজি কাওসার মিঞা৷