রাজনীতিতে পুলিশ রিমান্ড
১৪ জুন ২০১৪বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দু'দিন আগে মালয়েশিয়ায় এক অনুষ্ঠানে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিাকে রিমান্ডে নেয়ার কথা বলেন৷ তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে রিমান্ডে নিয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেই জিয়া হত্যার ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যাবে৷ তিনি বিএনপি নেতাদের মতই প্রশ্ন করেন যে, ১৯৮১ মে মাসে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পরই কেন জিয়া নিহত হবেন?
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সপরিবারের বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশের বাইরে ছিলেন৷ তিনি দেশে ফেরেন ১৯৮১ সালের ১৭ই মে৷ আর জিয়া চট্টগ্রামে সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন ৩১শে মে৷
এর জবাবে শুক্রবার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘‘শেখ হাসিনা নয়, খালেদা জিয়াকেই রিমান্ডে নিলে জিয়াউর রহমানের হত্যাকারী কে তা জানা যাবে৷'' তারেক রহমানের উদ্দেশে হানিফ বলেন, ‘‘আমি তাঁর সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চাই না৷ শুধু জনগণের পক্ষ থেকে তাঁকে বলতে চাই, উনার (তারেক) বাবার হত্যা বা জিয়ার হত্যার ঘটনা যদি সত্যিকার অর্থে জানতেই হয়, তাহলে তাঁর মা খালেদা জিয়াকে জিজ্ঞাসা করলেই জানা যাবে তাঁর বাবার হত্যাকারী কে ছিল৷''
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘‘শুধু খালেদা জিয়া নয়, বি চৌধুরীকেও রিমান্ডে নিতে হবে৷ এই দুইজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই জিয়া হত্যাকারীদের ব্যাপারে জানা যাবে৷'' তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সব হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই৷ আশা করি, জিয়া হত্যারও বিচার হবে৷''
এদিকে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারকারী সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন৷ তিনি শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় এক আলোচনাসভায় বলেন, ‘‘তারেক রহমানের মিথ্যাচার আন্দোলনের নতুন কৌশল৷ তাঁর এই বক্তব্য ইউটিউব থেকে যে দুটি চ্যানেল প্রচার করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করছি৷'' তিনি আরও বলেন, ‘‘তারেককে বেয়াদব বললে বেয়াদবেরও অপমান হবে৷ নতুন প্রজন্মকে অতল গহ্বরে নিমজ্জিত করতেই সে বাকসন্ত্রাস চালাচ্ছে৷''
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালয়েশিয়ায় দেয়া তারেক রহমানের বক্তব্যের খবর সম্প্রচার করেছে৷ এর মধ্যে একটি চ্যানেলের মালিক বর্তমান আওয়ামী লীগ দলীয় এক সংসদ সদস্য৷