‘বাজ'-এর আঘাতে আমরা জর্জরিত৷ শৈশবে ‘রংবাজ' শব্দটি শুনে রংবাজ দেখার খুব সাধ হয়েছিল৷ তখন দেখা হয়নি৷ আজকাল অবশ্য কোনো ‘বাজ'-এরই অভাব নেই৷ রংবাজ, চাপাবাজ, ধান্দাবাজ, হামলাবাজ – অনেক রকমের ‘বাজ'-ই পথেঘাটে মেলে!
বিজ্ঞাপন
নায়করাজ রাজ্জাক অভিনীত ‘রংবাজ' মুক্তি পাওয়ার কয়েক বছর পর আমার সামনে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি দেখার সুযোগ এসেছিল৷ নতুন ছবি ঢাকা থেকে মফস্বলে আসতে আসতে পুরোনো হয়ে যেত৷ তবুও রংবাজ কী? সেটা মায়ের কাছ থেকে জেনে নিয়ে দাবি তুলেছিলাম, ‘‘রংবাজ দেখতে দিতে হবে৷'' তখন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো, ছায়াছবিতে দর্শক টানার নামে যৌনতা বিক্রিও একদম হতো না – তবু দাবিটা পূরণ হয়নি৷ আসল রংবাজ তো দূরের কথা, সিনেমা হলে গিয়ে নকল রংবাজও দেখা হয়নি তখন৷
সেই আফসোস বেশি দিন থাকেনি৷ পত্র-পত্রিকায়, টেলিভিশনের পর্দায় ‘রংবাজ' এবং ‘রংবাজি' অনেক দেখেছি৷
আজকাল ‘রংবাজ' শব্দের প্রচলন খুব একটা নেই৷ বখাটে, ইভ টিজার, মাস্তান, সন্ত্রাসী – দেশি-বিদেশি এমন নেতিবাচক শব্দ তো শুনি, কিন্তু বহুদিন হলো কাউকে ‘রংবাজ' বলতে শুনি না৷ তবে ‘বাজ' ফিরে ফিরে আসে নানা শব্দের লেজ হয়ে৷ যে খুব বানিয়ে বানিয়ে কথা বলে, সে ‘চাপাবাজ'৷ ধোঁকা দেয় যে, সে ধোঁকাবাজ৷ যে জোর করে টাকা বা চাঁদা নেয়, সে চাঁদাবাজ৷ হামলাকারী একসময় হয়ে যায় হামলাবাজ৷ ফেরেব্বাজও আছে অভিধানে৷ এত ‘বাজ' থাকলে কী হবে, সংবাদমাধ্যমে বেশি চোখে পড়ে চাঁদাবাজ আর হামলাবাজদের৷ গত কয়েকমাসে এক মামলাবাজও মিডিয়ায় বেশ ‘কদর' পাচ্ছেন৷
বাংলাদেশে আদালতের জন্মের পর থেকেই মামলাবাজি চলছে৷ কিন্তু এ বি সিদ্দিকী সম্ভবত সব পূর্বসূরিকেই ছাড়িয়ে গেছেন৷ ‘মামলাবাজ' হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও বহুবার ছাপা হয়েছে তাঁর নাম৷
আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কেউ অপ্রমাণিত এবং আপত্তিকর কথা বললেই এবি সিদ্দিকী-এর নাম আসে খবরে৷ দলবাজির উগ্র রাজনীতির ডামাডোলের মধ্যেও তিনি কারো শরীর বা সম্মানে আঘাত করেন না, শুধু ‘অসত্য ভাষণ' কিংবা ‘মানহানির' অভিযোগে মামলা করেন৷ বাংলাদেশের রাজনীতিতে জ্বালাও-পোড়াও, ধরো-মারো, নিন্দা-কুৎসাই চলে অবিরাম, সেখানে এবি সিদ্দিকীর দল এবং দলনেতার স্বার্থে আদালতের স্মরণাপন্ন হওয়া নিশ্চয়ই মন্দের ভালো৷ নেতা-নেত্রীরা তো কাথা বলার ক্ষেত্রে নৈতিকতা, শিষ্টাচার, মানবিকতা, দায়ীত্বশীলতা – এ সবের ধারই ধারেন না৷ যার-তার সম্পর্কে যা খুশি বলে হাততালি আর প্রচার পাওয়াটাই যেন শেষ কথা৷ এর বিরুদ্ধে যদি কেউ আইনের ভাষায় কথা বলতে চায়, মন্দ কী! কথা-বার্তা-আচরণে সবারই তো দায়িত্বশীল এবং অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া দরকার৷
এ বি সিদ্দিকী আবার কখনো সমাজের কোনো ‘চুনোপুটি'-র বিরুদ্ধে মামলা করেন না৷ রঘববোয়ালরাই তাঁর টার্গেট৷ সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াও তাঁর ‘মামলার হামলা' থেকে রেহাই পাননি৷
মামলা করতে এ বি সিদ্দিকীকে যে খুব কাঠখড় পোড়াতে হয় তা-ও নয়৷ পত্রিকায় খবরটা পড়ে পেপার-কাটিং সঙ্গে নিয়ে চলে যান আদালতে৷ সেখানেও তেমন কিছু করতে হয় না৷ উকিলের পেছনে ছুটতে হয় না, তাঁরাই ছুটে আসেন তাঁর কাছে৷ গরিব মানুষ টাকার অভাবে মামলা করতে পারেন না, আইনজীবী পান না৷ এ বি সিদ্দিকীর সেই সমস্যা নেই৷ অনেক আইনজীবী বিনা পয়সায় তাঁর হয়ে কাজ করতে রাজি৷ যেনতেন মামলা তো নয়! মিডিয়া এমন মামলার জন্য ওঁত পেতে থাকে৷ প্রচারের এমন সুযোগ কি সবসময় আসে? এ বি সিদ্দিকীর কাছে তাই কেউ টাকা চান না, তাঁর মাধ্যমে সবাই শুধু প্রচারটাই চান৷
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
বাংলাদেশে টানা অবরোধ ও হরতালের ফলে সাধারণ মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্দশা৷ ক্রেতার অভাবে বেচাকেনা প্রায় শূন্যের কোঠায় গিয়ে ঠেকেছে৷ শুধু অর্থনীতি নয়, চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় মুষড়ে পড়েছে পরিবহন ও শিক্ষা ব্যবস্থাও৷
ছবি: DW/M. Mamun
দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন
পুরনো ঢাকার বাবু বাজারে কাগজ বোঝাই একটি ট্রাকে জ্বলছে দুষ্কৃতিকারীদের দেয়া পেট্রোল বোমার আগুন৷ গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে চলছে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ৷ ডাকা হচ্ছে হরতালও৷ অবরোধ-হরতালে সবচেয়ে আলোচিত পেট্রোল বোমা৷ শুধু পেট্রোল বোমার আগুনেই পুড়ে মরেছে কমপক্ষে ৬৫ জন সাধারণ মানুষ৷
ছবি: DW/M. Mamun
পুলিশ প্রহরায় চলছে পরীক্ষা
ঢাকার মতিঝিল আইডিয়িাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে পুলিশ প্রহরা৷ চলমান এ অবরোধ-হরতালে যাঁরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, তার মধ্যে শিক্ষার্থীরা অন্যতম৷ বর্তমানে সারা দেশে চলা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন তাই অনেকটাই অনিশ্চয়তার মুখে৷ টানা অবরোধের মধ্যে ছুটির দিনগুলোতে চলছে পরীক্ষা৷ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরাও৷
ছবি: DW/M. Mamun
দূরপাল্লার বাস নেই বললেই চলে
বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলির ডাকা অবরোধে বাংলাদেশের প্রধান সড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিত্ত৷ দুপুর বেলায় তোলা এ ছবিতে মহাসড়কটি প্রায় যানবাহন শূন্য৷ কিন্তু সাধারণ সময়ে এ সড়কটি থাকে যানবাহনে ভরা৷ বাংলাদেশে চলমান অবরোধে দূর পাল্লার গাড়ি চলাচল কমে গেছে বহুলাংশে৷ একের পর এক পেট্রোল বোমার ঘটনায় ঝুঁকি নিয়ে বাস চালাচ্ছেন না অনেক মালিকই৷
ছবি: DW/M. Mamun
বিজিবি-র টহল পর্যাপ্ত নয়
অবরোধের মধ্যে বাংলাদেশের মহাসড়কগুলোয়, মানে ঢাকার বাইরে বিজিবি-র টহল থাকলেও, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য৷ এছাড়া সম্প্রতি রাত ন’টার পরে বাস চলাচলে সকলকে নিরুৎসাহ করার কারণে বাস মালিকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
ঢাকায় অস্বাভাবিক নয় যানজট
বাংলাদেশে চলমান এই অবরোধে ঢাকার ভেতরের সড়কের দৃশ্য অবশ্য আলাদা৷ যান চলাচল অন্যান্য সময়ের চেয়ে তুলনামূলক কম হলেও, অনেক জায়গাতেই যানজট দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসযাত্রীরা
ঢাকার ফার্মগেটে অফিস শেষে গাড়ির অপেক্ষায় বাড়িমুখী মানুষের ভিড়৷ টানা অবরোধে গণ পরিবহন ব্যবস্থা বেহাল হলেও, অর্থাৎ গাড়িঘোড়ার চলাচল কম থাকাতে দুর্ভোগ বেড়েছে অফিসমুখী ও অফিস ফেরত মানুষের৷ অফিসে যেতে বা অফিস থেকে বাড়ি ফিরতে সাধারণ মানুষ তাই পড়ছেন দুর্ভোগে৷
ছবি: DW/M. Mamun
অবরোধে নদীপথের ভিন্ন চিত্র
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নদীবন্দর ঢাকার সদরঘাটের চিত্র এটি৷ গত একমাসেরও বেশি সময়ের এই অবরোধে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া উল্লেখযোগ্য বড় কোনো সহিংসতা ঘটেনি নদীপথে৷ তাই নদীপথে যান চলাচল প্রায় স্বাভাবিকই আছে৷ ঢাকা থেকে প্রধানত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোয় নৌ-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি৷
ছবি: DW/M. Mamun
যাচ্ছে না দূরপাল্লার বাসগুলো
বিএনপি ও সমমনা দলের জোটসমূহের ডাকা হরতাল-অবরোধে ঢাকার অন্যতম প্রধান বাস স্টেশন গাবতলীর দৃশ্য এটি৷ বেশিরভাগ দূর পাল্লার রুটের বাসই এ স্টেশনে পার্ক করে রাখা৷ হরতাল-অবরোধে দূর পাল্লার বাস চলাচল অনেকাংশেই বন্ধ আছে বাংলাদেশে৷
ছবি: DW/M. Mamun
খদ্দেরহীন এক রেস্তোরাঁ
ঢাকার গাবতলী বাস স্টেশনের খদ্দেরশূন্য মোহাম্মাদীয়া রেস্তোরাঁ৷ অবরোধের কারণে এ রেস্তোরাঁর লোকবল ১৬ জন থেকে ৮ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে৷ বাকি যে আটজন আছেন তাঁদেরও নিয়মিত বেতন পরিশোধ করতে পারছেন না মালিক৷ গাবতলী স্টেশন থেকে দূর পাল্লার বাস চলাচল কম থাকায় এ রেস্তোরাঁটি দিনের বেশিরভাগ সময় খালি থাকছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
বাড়ি ফেরা নিয়ে উদ্বিগ্ন মানুষ
অবরোধ আর হরতালকারীদের প্রধান লক্ষ্য সড়কে চলাচলকারী বাস আর ট্রাক৷ বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যতগুলো হামলার ঘটনা ঘটেছে তার বেশিরভাগেই যাত্রীবাহী বাস কিংবা ট্রাকে৷ এতে কমপক্ষে ৬০ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটলেও, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে পোড়ায় ক্ষত শরীর নিয়ে কাতরাচ্ছেন আরো শতাধিক সাধারণ মানুষ৷
ছবি: DW/M. Mamun
কমলাপুর রেল স্টেশনে অপেক্ষায় যাত্রীরা
অবরোধে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে ট্রেন চলাচল করলেও, সময়সূচি ঠিক রাখতে পারছে না রেল কর্তৃপক্ষ৷ বিভিন্ন সময়ে অবরোধকারীদের রেল লাইনের ‘ফিশপ্লেট’ খুলে ফেলার কারণে কয়েকটি ট্রেনের লাইনচ্যুতির ঘটনায় ট্রেনের গতি কমিয়ে চালাতে হচ্ছে৷ তাই বেশিরভাগ ট্রেনই স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কমপক্ষে তিন-চার ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়ে যাচ্ছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন৷
ছবি: DW/M. Mamun
খেটে খাওয়া মানুষের দুর্দশা
টানা অবরোধ-হরতালে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন ফুটপাথের ভ্রাম্যমাণ দোকানদাররা৷ স্বল্প পুঁজির এ সব ব্যবসায়ীদের বিক্রি কমে যাওয়ায় পথে বসার উপক্রম হয়েছে অনেকেরই৷
ছবি: DW/M. Mamun
পুঁজি ভেঙে চলছে যাঁর সংসার
ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকার ফুটপাথে কম্বলের ব্যবসা করেন গাজীরুল ইসলাম৷ দুপুরবেলা পর্যন্ত এ দিন তাঁর বিক্রি হয়েছে মাত্র ১৭’শ টাকার একটি কম্বল৷ তাও তার কেনা দামের থেকে ৩০০ টাকা কম৷ লাভ তো দূরের কথা সংসার চালাতে এখন পুঁজি টুকুনিই ভরসা৷
ছবি: DW/M. Mamun
অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রই যখন ভরসা
ঢাকার নবাবপুর থেকে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র নিয়ে ফিরছেন এক গাড়ি চালক ও তাঁর সহকারী৷ টানা অবরোধ-হরতালে পেট্রোল বোমার ঘটনা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় সতর্কতা হিসেবে নিজেদের গাড়িতে এখন থেকে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখবেন তাঁরা৷
ছবি: DW/M. Mamun
14 ছবি1 | 14
রাজনীতিবিদরা প্রচারের আলোয় থাকতে, জনপ্রিয়তা বাড়াতে বা ধরে রাখতে কথার ফুলঝুড়ি ছোটান৷ এ বি সিদ্দিকী তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করে চলে আসেন লাইলমলাইটে৷ মামলা পরিচালনার সূত্রে দু-একজন আইনজীবীও চলে আসেন তাঁর সঙ্গে৷ এ এমন এক চক্র যেখানে প্রত্যেকেই তাঁরা অন্যের তরে৷
মামলাবাজ হয়ে পরিচিতি ছাড়া এখনো বেশি কিছু পাননি এ বি সিদ্দিকী৷ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ঘুস কত লোকের কপাল ফিরিয়ে দিল, এ বি সিদ্দিকীকে এখনো ভাড়া বাসাতেই থাকতে হয়৷ তবে ‘আসল পথ' খুঁজে পেয়েছেন তিনি৷ ‘অনেক কিছু' পাওয়া যায় সেই পথে৷ পাওায়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে৷ চিরকাল সাংবাদিকতা করেও প্রকৃত সাংবাদিকের যা ভাগ্যে জোটে না, এ বি সিদ্দিকী এক সময়ের ‘স্টাফ' থেকেই নাকি তিন তিনটি পত্রিকার সম্পাদক৷ দৈনিক ভোরের আলো, সাপ্তাহিক অবদান এবং চিত্রজগত্ – এই পত্রিকাগুলোর নাম শুনেছেন? শোনেননি? এ বি সিদ্দিকী দৈনিক ভোরের চেতনার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক৷ ‘ভোরের চেতনার'-ও নাম শোনেননি? আপনি-আমি এমন হাজারটা পত্রিকার নাম না শুনলে কী আসে যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়ত শুনেছেন, ‘সম্পাদক', ‘ব্যবস্থাপনা সম্পাদক' এবং ‘আওয়ামীপন্থি মামলাবাজ' এ বি সিদ্দিকীকে ডেকে নিয়ে মাথায় হাত রেখে এ বি সিদ্দিকীকে ধন্যও করেছেন তিনি৷ আর কী চাই!
শেখ হাসিনার স্নেহধন্য হবার পর এখন সংসদ সদস্য হতে চান এ বি সিদ্দিকী৷ সেই সুযোগ কী আওয়ামী লীগ তাঁকে দেবে? না দিলেও বেশি ক্ষতি নেই৷ বাংলাদেশে একবার ‘লাইন' পেয়ে গেলে কিনা হয়৷ এসএসসি ফেল লোকও শীর্ষে ওঠে৷ শূন্য ঝুলি থেকেও বেরিয়ে আসে কত শিল্পপ্রতিষ্ঠান, জাহাজ, ব্যাংক...! যুদ্ধাপরাধী, ধর্ষক, খুনি হয়ে যায় ধনী-মানী৷ এ বি সিদ্দিকী হয়ত বাংলাদেশের রাজনীতির ‘এ-বি-সি-ডি' মুখস্ত করেই মাঠে নেমেছেন৷ কে ঠেকাবে তাঁর ‘উন্নতি'!