কলকাতার ফুটবল ময়দানেও এবার রাজনীতির ছায়া৷ ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা৷ অনেকের মত, এই দুই ক্লাবের পাশে দাঁড়িয়ে আদতে সমর্থকদের কাছাকাছি আসতে চাইছে গেরুয়া শিবির৷
বিজ্ঞাপন
কলকাতার ফুটবল ময়দানেও এবার রাজনীতির ছায়া৷ ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা৷ অনেকের মত, এই দুই ক্লাবের পাশে দাঁড়িয়ে আদতে সমর্থকদের কাছাকাছি আসতে চাইছে গেরুয়া শিবির৷
একদিকে শতবর্ষ প্রাচীন মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব, অন্যদিকে সদ্য শতবর্ষে পা দেওয়া ইস্টবেঙ্গল ক্লাব৷ ভারতীয় ফুটবলের কথা বললে এই দুটি ক্লাবের কথা সবার আগে উঠে আসে৷ কিন্তু ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন বা এআইএফএফ-এর সিদ্ধান্তে দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল প্রতিযোগিতায় হয়তো নামা হবে না কলকাতার দুই প্রধান দলের৷ এতদিন আই লিগ ছিল ভারতের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা৷ এর পাশাপাশি চলত ইন্ডিয়ান সুপার লিগ বা আইএসএল৷ ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই আইএসএল হতে চলেছে দেশের প্রধান ফুটবল প্রতিযোগিতা৷ অথচ ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে না৷ এর প্রতিবাদে আসরে নেমেছে বিজেপি৷
ভারতের জাতীয় দলের প্রাক্তন গোলরক্ষক কল্যাণ চৌবে এ নিয়ে উদ্যোগী হয়েছেন৷ তিনি বিজেপি নেতাও বটে৷ গত লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনির তাঁর উদ্যোগেই ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ক্লাবের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের সহসচিব শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত, কর্তা দেবব্রত সরকার, মোহনবাগানের সহসচিব সৃঞ্জয় বসু ও অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত৷
এই দুই ক্লাবসহ আই লিগে খেলা ছয়টি দলের জোট ইতিমধ্যে এআইএফএফ সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেলকে চিঠি দিয়েছে৷ সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও৷ সেই সব চিঠি দুই ক্লাবের কর্তারা বিজেপি নেতার হাতে তুলে দিয়েছে৷ কৈলাস আশ্বাস দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাঁরা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করবেন৷ যদিও ফেডারেশন একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, এর কাজে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না৷
কল্যাণ চৌবে
কলকাতার বড় দলে খেলা কল্যাণ চৌবে ইস্টবেঙ্গল- মোহনবাগানকে ঘিরে বাঙালির আবেগের কথা জানেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এই দুই ক্লাব ছাড়া ভারতীয় ফুটবলের কথা ভাবা যায় না৷ আমার মনে হয়েছে দেশের প্রধান প্রতিযোগিতা এই দুই ক্লাব ছাড়া হতে পারে না৷ তাই আমি এই প্রক্রিয়ায় সেতুর ভূমিকা নিয়েছি মাত্র৷''
শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত ও দেবাশিস দত্তের মত, তাঁদের ক্লাবকে বাদ দিয়ে কোনো প্রতিযোগিতা হলে তার আকর্ষণ কমে যাবে৷ ভারতের ফুটবল এই শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব ছাড়া ভাবা যায় না৷
কলকাতার বিভিন্ন ক্লাবে তৃণমূলের প্রভাব রয়েছে৷ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে বিপুল সাহায্যও পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান৷ টালিগঞ্জের সিনেমার জগতে বিজেপি যেমন সংগঠন গড়েছে, এটা কি ময়দান দখলের প্রয়াস? কল্যাণ চৌবে বলেন, কেউ এর পেছনে রাজনীতি দেখতেই দেখতেই পারেন৷ কারণ আমি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত৷ তবে এখানে রাজনীতি নয়, দুই ক্লাবের স্বার্থটাই সবচেয়ে বড়৷ এই উদ্যোগে যে কোনো দলের লক্ষ্য একই হওয়া উচিত৷ তৃণমূল অবশ্য এটাকে ভালো চোখে দেখছে না৷
পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘‘খেলাধুলায় আমরা রাজনীতি আনতে চাই না৷ আমরা ক্লাবগুলির পাশে আছি৷''
মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল মানেই কোটি কোটি মানুষের আবেগ ও সমর্থন৷ পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই আবেগকেই ছুঁতে চাইছে বিজেপি৷ যদিও ক্লাবের কট্টর সমর্থকরা রাজনীতি নিয়ে আগ্রহী নন৷ তাঁরা চান, দুই ক্লাবই সর্বোচ্চ আসরে অংশ নিক৷
কলকাতার সল্টলেকের ইস্টবেঙ্গল সমর্থক শ্যামল সেনগুপ্ত কিংবা নদিয়ার রানাঘাটের মোহনবাগান সমর্থক বিকাশ সরকার একসুরে বলেন, দল মাঠে নামতে পাচ্ছে কি না সেটাই বড় কথা৷ এ নিয়ে রাজনীতি কাম্য নয়৷ তবে রাজনৈতিক নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে যদি কাজ হয়, তাতে আপত্তি নেই৷
বিজেপিকে চিনে নিন
ভারতে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি৷ বর্তমানে জাতীয় ও রাজ্যস্তরে সর্বাধিক প্রতিনিধিত্ব রাখা দলটি সদস্য সংখ্যায় বিশ্বের বৃহত্তম৷ ঐতিহাসিকভাবে হিন্দু-জাতীয়তাবাদী অবস্থানের বিজেপির গল্প এই ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/R. K. Singh
আদর্শগত উৎস
বিজেপিকে চিনতে হলে ‘সংঘ পরিবার’-এর অন্তর্গত হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলির উৎস আরএসএস অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে জানা দরকার৷ বিশ্বের বৃহত্তম এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মারাঠি চিকিৎসক কেশব হেডগেওয়ার৷ ১৯২৫ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি৷ ভি ডি সাভারকরের ‘হিন্দুত্ব’ চিন্তাধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে হিন্দু রাষ্ট্র নির্মাণই আরএসএস-এর প্রধান উদ্দেশ্য৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে দূরত্ব
কংগ্রেসের নেতৃত্বে চলা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে দূরে ছিল আরএসএস৷ ১৯৪০-এর দশকে সংগঠনের নেতা হিসেবে এম এস গোলওয়ালকর হিন্দু রাষ্ট্র গড়তে ব্রিটিশ বিরোধিতার বদলে ধর্ম ও সংস্কৃতি রক্ষার ডাক দেন৷ উল্লেখ্য, পরবর্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়া অটলবিহারী বাজপেয়ী ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের সময় সত্যাগ্রহীদের সাথে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন৷ লিখিত মুচলেকা দিয়ে আন্দোলনে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে ছাড়া পান তিনি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M.Desfor
দেশভাগ ও আরএসএস
দেশভাগের সময় আরএসএস পশ্চিম পাঞ্জাব থেকে আসা হিন্দু উদ্বাস্তুদের সাহায্য করে৷ আরএসএস ও বর্তমানের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির কর্মীরা মনে করেন, দেশভাগ মুসলিমদের প্রতি নরম আচরণের ফল৷ এজন্য গান্ধী ও নেহরুকে বিশেষভাবে দায়ী মনে করেন তাঁরা৷ স্বাধীনতার পর কংগ্রেসকে ঠেকাতে ১৯৫১ সালে জনসংঘ প্রতিষ্ঠা করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়৷ সেই জনসংঘই আসলে বিজেপির উৎস৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
জরুরি অবস্থা ও জনতা পার্টির জন্ম
১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করেন৷ বিক্ষোভে অংশ নেয়ার কারণে জনসংঘের অসংখ্য সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থা শেষে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন৷ কংগ্রেসকে হারাতে অন্যান্য দলের সঙ্গে মিলে যায় জনসংঘ, জন্ম নেয় জনতা পার্টি৷ নির্বাচনে জিতেও যায় জনতা পার্টি৷ প্রধানমন্ত্রী হন মোরারজি দেশাই৷ স্বাধীন ভারতে সূচিত হয় হিন্দুত্ববাদীদের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ জয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিজেপির জন্ম
১৯৮০’র পর দল ও আরএসএসের দ্বৈত সদস্য হবার বিধান না থাকায় জন্ম নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি৷ নতুন দলে নতুন সদস্য যোগ দিলেও, গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিল পুরোনোদের দাপট৷ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন বাজপেয়ী৷ মূলত, ইন্দিরা হত্যার পর ভোটে খারাপ করার কারণেই নেতৃত্বে এই পরিবর্তন৷ তবে বিজেপির উত্থান শুরু ১৯৮৪ সালে৷ সে বছর দলের সভাপতি হন লালকৃষ্ণ আডবানি৷ রাম জন্মভূমির দাবিকে ঘিরে তাঁর নেতৃত্বেই শক্তিশালী হতে থাকে বিজেপি৷
ছবি: Getty Images/AFP/Raveendran
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ও বাবরি মসজিদ
নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকেই বিজেপি সরাসরি ধর্মের রাজনীতিতে নামে৷ বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির গঠনের দাবিতে সারা দেশ থেকে অযোধ্যার পথে রওয়ানা দেয় হাজার হাজার ‘করসেবক’৷ পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ফলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে উত্তেজিত জনতা বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে৷ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহত হন দু’ হাজারেরও বেশি মানুষ৷
ছবি: Getty Images/AFP/D .E. Curran
সরকার গঠন ও জোটের রাজনীতি
সাম্প্রদায়িক আবেগকে হাতিয়ার করে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিজেপি ১৬১টি লোকসভা আসনে জয়ী হয়৷ প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন অটলবিহারী বাজপেয়ী৷ কিন্তু ১৩ দিন পর, লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকার গঠন করতে পারেনি বিজেপি৷ ১৯৯৬ সালে আঞ্চলিক দলগুলির একটি জোট সরকার গঠন করে৷ কিন্তু সেই সরকারের স্থায়িত্ব দীর্ঘ হয়নি৷ ১৯৯৮ সালে আবার নির্বাচন হয়৷
ছবি: UNI
প্রথম এনডিএ সরকার
নির্বাচনে জিতে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকার গড়ে৷ জোটে অংশগ্রহণ করে সমতা পার্টি, অকালী দল, শিব সেনা, নিখিল ভারত আন্না দ্রাবিড় মুন্নেত্র কড়গম (এআইএআইডিএমকে), বিজু জনতা দল ও শিব সেনা৷ ১৯৯৯ সালে তাঁরা সংসদে ৩০৩টি আসন জিতলে বাজপেয়ী তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন৷ পাঁচ বছরের পূর্ণমেয়াদী এই জোট সরকার প্রতিরক্ষা ও সন্ত্রাসের মোকাবিলার পাশাপাশি নব্য-উদার অর্থনীতির ওপর জোর দেয়৷
ছবি: Imago/photothek/T. Koehler
দুর্নীতি ও দাঙ্গায় কোণঠাসা বিজেপি
বিজেপির জয়রথে প্রথম ‘বাধা’ গোধরা দাঙ্গা৷ তীর্থযাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন লাগাকে ঘিরে প্রায় ২০০০ মানুষ মারা যান৷ তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিজেপি নেতার নাম এই দাঙ্গার সাথে জড়ায়৷ বিজেপি-প্রধান বঙ্গারু লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ৷ সব মিলিয়ে বিপন্ন বিজেপিকে হারিয়ে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ জোট ২০০৪ সালে নতুন সরকার গড়ে৷ প্রধানমন্ত্রী হন মনমোহন সিং৷
ছবি: AP
নেতৃত্বে কে? মোদী, না আডবাণী?
২০১৪’র লোকসভা নির্বাচনে জেতার পর নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে বিজেপি৷ অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, দলের নেতৃত্বের দায়ভার বর্ষীয়ান নেতা এল কে আডবানির ওপর বর্তানোর কথা উঠলেও, বাস্তবে তা হয়নি৷
ছবি: AP
মোদীর উত্থান
বিজেপির ইতিহাসে ব্যক্তিকেন্দ্রীক নির্বাচনী প্রচার মোদীর ক্ষেত্রেই প্রথম৷ পূর্ববর্তী সরকারের দুর্নীতির সুযোগ নিয়ে মোদীর ‘গুজরাট মডেল’-কে আদর্শ হিসেবে তুলে ধরা হয় প্রচারে৷ সুবক্তা মোদী শীঘ্রই হয়ে ওঠেন তরুণ প্রজন্ম থেকে সংবাদমাধ্যম, সকলের প্রিয়পাত্র৷ নির্বাচনের আগে বিজেপি হিন্দু জাতীয়তাবাদকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে গেলেও, মোদীর প্রাক-নির্বাচন বক্তব্যের বড় অংশ জুড়েই ছিল ‘হিন্দুত্ব’৷
ছবি: picture alliance/AA/M. Aktas
মোদী থেকে ‘মোদীজি’
২০১৪ সালে বিজেপি ২৮২টি আসন জিতে ক্ষমতায় আসে৷ ভোটারদের কংগ্রেসের প্রতি অনাস্থার পাশাপাশি বিজেপির সাফল্যের আরেকটি কারণ ছিল আরএসএসের নিঃশর্ত সমর্থন৷ নরেন্দ্র মোদীই হন প্রধানমন্ত্রী৷ পিউ গবেষণা কেন্দ্রের একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রথম বছরের তুলনায় বর্তমানে মোদীর জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে, যা ২০১৯-র নির্বাচনে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির জন্যও নিঃসন্দেহে ভাবনার বিষয়৷