1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজনীতির ছায়া কলকাতার ফুটবলে

পায়েল সামন্ত কলকাতা
২৪ আগস্ট ২০১৯

কলকাতার ফুটবল ময়দানেও এবার রাজনীতির ছায়া৷ ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা৷ অনেকের মত, এই দুই ক্লাবের পাশে দাঁড়িয়ে আদতে সমর্থকদের কাছাকাছি আসতে চাইছে গেরুয়া শিবির৷

ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন-এর সিদ্ধান্তে দেশের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলছে না ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানছবি: DW/S. Payel

কলকাতার ফুটবল ময়দানেও এবার রাজনীতির ছায়া৷ ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা৷ অনেকের মত, এই দুই ক্লাবের পাশে দাঁড়িয়ে আদতে সমর্থকদের কাছাকাছি আসতে চাইছে গেরুয়া শিবির

একদিকে শতবর্ষ প্রাচীন মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব, অন্যদিকে সদ্য শতবর্ষে পা দেওয়া ইস্টবেঙ্গল ক্লাব৷ ভারতীয় ফুটবলের কথা বললে এই দুটি ক্লাবের কথা সবার আগে উঠে আসে৷ কিন্তু ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন বা এআইএফএফ-এর সিদ্ধান্তে দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল প্রতিযোগিতায় হয়তো নামা হবে না কলকাতার দুই প্রধান দলের৷  এতদিন আই লিগ ছিল ভারতের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা৷ এর পাশাপাশি চলত ইন্ডিয়ান সুপার লিগ বা আইএসএল৷  ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই আইএসএল হতে চলেছে দেশের প্রধান ফুটবল প্রতিযোগিতা৷ অথচ ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে না৷  এর প্রতিবাদে আসরে নেমেছে বিজেপি৷ 

ভারতের জাতীয় দলের প্রাক্তন গোলরক্ষক কল্যাণ চৌবে এ নিয়ে উদ্যোগী হয়েছেন৷  তিনি বিজেপি নেতাও বটে৷  গত লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনির তাঁর উদ্যোগেই ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ক্লাবের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷  সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের সহসচিব শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত, কর্তা দেবব্রত সরকার, মোহনবাগানের সহসচিব সৃঞ্জয় বসু ও অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত৷ 

এই দুই ক্লাবসহ আই লিগে খেলা ছয়টি দলের জোট ইতিমধ্যে এআইএফএফ সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেলকে চিঠি দিয়েছে৷  সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও৷ সেই সব চিঠি দুই ক্লাবের কর্তারা বিজেপি নেতার হাতে তুলে দিয়েছে৷  কৈলাস আশ্বাস দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাঁরা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করবেন৷  যদিও ফেডারেশন একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, এর কাজে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না৷  

কল্যাণ চৌবে

This browser does not support the audio element.

কলকাতার বড় দলে খেলা কল্যাণ চৌবে ইস্টবেঙ্গল- মোহনবাগানকে ঘিরে বাঙালির আবেগের কথা জানেন৷  তিনি বলেন, ‘‘এই দুই ক্লাব ছাড়া ভারতীয় ফুটবলের কথা ভাবা যায় না৷  আমার মনে হয়েছে দেশের প্রধান প্রতিযোগিতা এই দুই ক্লাব ছাড়া হতে পারে না৷  তাই আমি এই প্রক্রিয়ায় সেতুর ভূমিকা নিয়েছি মাত্র৷''

শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত ও দেবাশিস দত্তের মত, তাঁদের ক্লাবকে বাদ দিয়ে কোনো প্রতিযোগিতা হলে তার আকর্ষণ কমে যাবে৷ ভারতের ফুটবল এই শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব ছাড়া ভাবা যায় না৷ 

কলকাতার বিভিন্ন ক্লাবে তৃণমূলের প্রভাব রয়েছে৷  রাজ্য সরকারের কাছ থেকে বিপুল সাহায্যও পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান৷ টালিগঞ্জের সিনেমার জগতে বিজেপি যেমন সংগঠন গড়েছে, এটা কি ময়দান দখলের প্রয়াস? কল্যাণ চৌবে বলেন, কেউ এর পেছনে রাজনীতি দেখতেই দেখতেই পারেন৷  কারণ আমি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত৷  তবে এখানে রাজনীতি নয়, দুই ক্লাবের স্বার্থটাই সবচেয়ে বড়৷  এই উদ্যোগে যে কোনো দলের লক্ষ্য একই হওয়া উচিত৷  তৃণমূল অবশ্য এটাকে ভালো চোখে দেখছে না৷ 

পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘‘খেলাধুলায় আমরা রাজনীতি আনতে চাই না৷ আমরা ক্লাবগুলির পাশে আছি৷''

মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল মানেই কোটি কোটি মানুষের আবেগ ও সমর্থন৷  পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই আবেগকেই ছুঁতে চাইছে বিজেপি৷ যদিও ক্লাবের কট্টর সমর্থকরা রাজনীতি নিয়ে আগ্রহী নন৷ তাঁরা চান, দুই ক্লাবই সর্বোচ্চ আসরে অংশ নিক৷

কলকাতার সল্টলেকের ইস্টবেঙ্গল সমর্থক শ্যামল সেনগুপ্ত কিংবা নদিয়ার রানাঘাটের মোহনবাগান সমর্থক বিকাশ সরকার একসুরে বলেন, দল মাঠে নামতে পাচ্ছে কি না সেটাই বড় কথা৷ এ নিয়ে রাজনীতি কাম্য নয়৷ তবে রাজনৈতিক নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে যদি কাজ হয়, তাতে আপত্তি নেই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ