1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পর্যটন শিল্প

১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২

গত এক বছরে আরব বিশ্বে রচিত হয়েছে নতুন ইতিহাস৷ জনতার ক্ষোভে নড়ে গেছে শাসকের আসন৷ তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পর্যটকরা আগ্রহ হারিয়েছেন আরব বিশ্বের প্রতি৷ ফলে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা হারাচ্ছে আরব বিশ্বের দেশগুলো৷

Eine gut gelaunte Kegelrobbe (lat.: Halichoerus grypus) am Strand der Insel Helgoland scheint sich vor Vergnügen sozusagen auf die Schenkel zu klopfen. Aufnahme vom 13.05.2006. Foto: Hinrich Bäsemann +++(c) dpa - Report+++
এভাবেই ফাঁকা হয়ে রয়েছে সমুদ্র সৈকতছবি: picture-alliance/dpa

গাম্ভীর্যে ভরা স্বচ্ছ নীল নদ, বিস্ময়ে মোড়া পিরামিড আর পাথরে গড়া স্থির, অনড়, অবিচল ক্ষমতাবান ফারাও৷ এরা সবাই যেনো একটু নড়েচড়ে উঠেছে৷ কারণ গত একটি বছরে আমূল পাল্টে গেছে আরব বিশ্বের ইতিহাস৷ পৃথিবী অবাক চোখে দেখছে জনতার এই জেগে ওঠা৷

টিউনিসিয়ার তরুণ মোহামেদ বুয়াজিজি৷ বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করার পরও চাকরি মেলে নি তার৷ কারণ টিউনিসিয়ায় তখন ভীষণ বেকারত্ব চলছে৷ চাকরি না পেয়ে বুয়াজিজি অগত্যা বেছে নেয় ফেরিওয়ালার জীবন৷ কিন্তু সবজি বিক্রির সেই অধিকারটুকুও পুলিশ বারবার কেড়ে নেয় লাইসন্সে না থাকার অভিযোগে৷

সরকার তাকে চাকরি দেয় নি৷ পুলিশ কেড়ে নিয়েছে তার রুটি-রুজির উপায়৷ আর কোনো পথ না পেয়ে দেশের চলমান অব্যবস্থার বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য আগুনে আত্মাহুতি দেয় বুয়াজিজি৷ প্রতিবাদের সেই আগুন আজো নেভেনি৷ টিউনিসিয়া ছাড়িয়ে একে একে তা ছড়িয়ে গেছে মিশর, লিবিয়া, ইয়েমেন ও সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে৷

প্রতিবাদে উত্তাল আরব ভূখণ্ডে চলছে পরিবর্তন, বইছে বসন্তের সুবাতাস৷ এসময়ে একটু কি হিসেব করে দেখা যায়, যে, এই বসন্তের দাম কতো?

টিউনিশিয়ার একটি মনোরম পর্যটন কেন্দ্রছবি: picture alliance/dpa

কতো রক্ত, কতো প্রাণ ঝরে গেছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনো জানা নেই কারো৷ তবে সম্প্রতি প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদ্রোহের ফলে পুরো আরব বিশ্বে কমে গেছে পর্যটকের সংখ্যা৷

মিশরের জাতীয় আয়ের ১১ ভাগ এবং শ্রম বাজারের ১২ ভাগ আয় আসে পর্যটন শিল্প থেকে৷ কিন্তু গত এক বছরে এই খাতের অর্ধেক আয় কমে গেছে৷ জার্মানিতে মিশরের দূতাবাসে নিযুক্ত একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১০ সালে মিশরে পর্যটকের সংখ্যা ছিলো দেড় কোটি৷ কিন্তু ২০১১ সালে এ সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় নব্বই লাখে৷

জার্মানির একটি অন্যতম প্রধান ট্যুরিজম কোম্পানিও জানিয়েছে, পর্যটকেরা মিশর বা আরব বিশ্বে ভ্রমণে এখন কম আগ্রহী৷ তাই ২০১০ এর তুলনায় ২০১১ তে আরব বিশ্বের দেশগুলোতে তাদের পর্যটকের সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে৷

ইউরোপের মানুষ প্রচুর ভ্রমণ করে৷ বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে তারা ছুটে যায় বিভিন্ন দেশে৷ মিশর বা অন্যান্য আরব দেশেও সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসে ইউরোপ থেকেই৷ কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ইউরোপের পর্যটকেরা আরব দেশগুলোতে যাচ্ছে না৷

পর্যটন শিল্পে ধস নামায় অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছে আরব বিশ্ব৷ এ ক্ষতি পুশিয়ে নেবার জন্য পর্যটকদেরকে আগ্রহী করার চেষ্টা করছে মিশরসহ অন্যান্য দেশগুলো৷ নিরাপত্তা নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা নেই বলেও অভয় বাণী দিচ্ছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ৷

যদি এ অভয় কাজে লাগে তাহলে হয়তো আবারো পর্যটকের কলরবে ভরে উঠবে সূর্য-স্নানের জন্য বিখ্যাত টিউনিসিয়ার সেই বিচ, হয়তো আবারো মুখরিত হবে নীল নদের তীর৷

প্রতিবেদন: আফরোজা সোমা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ