1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজনৈতিক নেতাদের ঈদ রাজনীতি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩১ জুলাই ২০১৪

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবার তাদের নেতা-কর্মীদের ঈদে যার যার এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ করার পরামর্শ দিয়েছিল৷ কারণ বিএনপি চায় আন্দোলন করতে, আর শাসক দল আওয়ামী লীগ চায় প্রতিহত করতে৷

Kombobild Khaleda Zia und Sheikh Hasina
ছবি: Getty Images/AFP/FARJANA K. GODHULY

ঢাকার পাশেই সাভার৷ সেই সাভারে এবার ঈদে বিএনপি নেতাদের দেখা যায়নি৷ আর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও নেতারা ঈদ পার করেছেন অনেকটা গোপনে৷ কারণ তাঁরা জানেন, দল যেহেতু ক্ষমতায় তাই নেতা-কর্মীরা সংসদ সদস্যদের কাছে ঈদে কিছু আশা করেন৷ সাধারণ মানুষেরও আশা আছে৷

সাভারের সাংবাদিক নাজমুল হুদা ডয়চে ভেলেকে জানান, বিএনপি নেতারা মামলার অজুহাতে জনসংযোগে বের হননি৷ আর সরকারি দলের নেতারা টাকা খরচ হওয়ার ভয়ে৷ সবাই পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে৷ আগাম কোনো খরচ বা ঝামেলায় যেতে চান না তাঁরা৷

কুড়িগ্রামের সাংবাদিক সালেহীন বিপ্লব জানিয়েছেন, সেখানকার সংসদ সদস্যরা জাতীয় পার্টির৷ তাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে ঈদে মাঠে দেখা যায়নি৷ সদরের এমপি এবং হুইপ তাজুল ইসলাম ঈদে কুড়িগ্রাম গেলেও গণসংযোগে তাঁর আগ্রহ ছিল না৷ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বাসায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন৷

চট্টগ্রামে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে এই ঈদে বেশ সক্রিয় দেখা গেছে৷ আর খুলনায় কোনো দলের নেতাই তেমন সক্রিয় ছিলেন না৷

তবে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঈদের আগে রাস্তাঘাট নিয়ে যেমন দৌড়ঝাঁপ করেছেন৷ তেমনি ঈদে তাঁর নির্বাচনি এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ছিলেন সক্রিয়৷ সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি৷ ঈদের পরদিন বুধবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে দলীয় কর্মীদের নিয়ে সভাও করেন৷ সেখানে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অহিংস আন্দোলনের জবাব সরকার অহিংসভাবেই দেবে৷ কিন্তু আন্দোলন সহিংস হলে তার সমুচিত জবাব দিতে সরকার প্রস্তুত৷ মন্ত্রী দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সবাইকে টিমওয়ার্কের স্পিরিট নিয়ে কাজ করতে হবে৷

এদিকে পাশের জেলা লক্ষীপুরে সক্রিয় আছেন বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি৷ তিনি বুধবার দুপুরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলন করেন৷ সেই সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, তাদের নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করছে আওয়ামী লীগের লোকজন৷ উল্লেখ্য, লক্ষীপুর সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ইউসুফ আলী সেলিমকে হত্যার জের ধরে সেখানে এখন উত্তেজনা চলছে৷

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন ঢাকায় রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা৷ তাই তাঁদের প্রায় সবাই ঈদের দিন মঙ্গলবার ঢাকায় ছিলেন৷ বুধবার অনেকেই যার যার নির্বাচনি এলাকায় চলে গেছেন৷

একই কথা বলেন বিএনপি নেতারা৷ তাঁরা জানান ঈদের দিন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান কেউ মিস করতে চাননি৷ ঈদের পরদিন অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন৷ তবে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা এলাকায় গণসংযোগে বড় বাধা বলে জানান তাঁরা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ