‘বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ধরন এখন আর আগের মতো নেই৷ আগে মাদ্রাসায় পড়া বা অশিক্ষিত মানুষদের জঙ্গিদলের সদস্য হতে দেখা যেত৷ এখন দেখা যাচ্ছে, যুব সমাজের প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, শিক্ষিত একটি অংশ জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকছে৷ কিন্তু কেন?
বিজ্ঞাপন
[No title]
‘‘রাজনৈতিক শূন্যতা বা সামাজিক সমস্যার কারণেই যুব সমাজের একটি অংশ জঙ্গিবাদের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে৷ জোর করে বা চাপিয়ে দিয়ে জঙ্গিবাদ থেকে এদের নিবৃত্ত করা যাবে না৷ বরং খুঁজে বের করতে হবে এই শূন্যতা কোথায়? কেন শিক্ষিত যুবকদের একটি অংশ জঙ্গিবাদের দিকে চলে যাচ্ছে? অথচ সেদিকে মনোযোগ দেয়া হচ্ছে না৷'' ডয়চে ভেলের কাছে এভাবে জঙ্গিবাদের কারণ বিশ্লেষণ করলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন৷
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মিরপুরে জঙ্গিদের একটি বিশাল আস্তানার সন্ধান পাওয়া যায়৷ গোয়েন্দা পুলিশ টানা ১৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে সাতজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে৷ তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও হাতে তৈরি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ এই একই ধরনের গ্রেনেড পুরনো ঢাকার হোসেনী দালানে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালেও নিক্ষেপ করা হয়েছে৷ এর আগেও কামরাঙ্গীরচরে অভিযান চালিয়ে জেএমবির কাছ থেকে একই ধরনের গ্রেনেড ও বিস্ফোরক পাওয়া গেছে৷ তাদের কাছ থেকে ১৬টি গ্রেনেড ছাড়াও ট্রাংকভর্তি বিস্ফোরক ও প্রচুর জিহাদি বই পাওয়া যায়৷
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগারদের উপর বিভিন্ন হামলায় মাদ্রাসা এবং সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জড়িত থাকার কথা বলছে গোয়েন্দারা৷ এই নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন মহলে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
অভিযোগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে
২০১৩ সালে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি বা এনএসইউ-এর পাঁচ ছাত্র৷ তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়৷ এরা সকলেই ছিল আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid
ধনাঢ্য পরিবারের সন্তানদের মগজ ধোলাই
ধনাঢ্য পরিবারের সন্তানদের ভুলিয়েভালিয়ে দলে নিচ্ছে জঙ্গিরা, এমন ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে৷ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিতরা তাই জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের জন্য আগামীতে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করার কথাও ভাবছেন৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid
আছে বুয়েটের শিক্ষার্থীরাও
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েট-এর ছাত্র মোহাম্মদ নুরউদ্দনি এবং আবু বারাকাত মোহাম্মদ রফকিুল হাসান হাসানকে বুয়েট থেকে বহিষ্কার করে পুলিশে দেয়া হয় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid
হিযবুত তাহরীরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক
বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের প্রধান মহিউদ্দিন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববদ্যিালয়ের আইবিএ-র শিক্ষক ছিলেন৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও রয়েছে
কওমি মাদ্রাসাগুলোকে জঙ্গিবাদের কারখানা বলা হতে একসময়৷ সেই বাস্তবতা মুছে যায়নি৷ ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটক দু’জন নিজেদের মাদ্রাসার শিক্ষার্থী দাবি করেছেন৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid
সতর্ক পুলিশ
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এবং জঙ্গি বিষয়ক বিশেষ সেলের সদস্য সানোয়ার হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমাদের পর্যবেক্ষণ বলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের একাংশ এখন জঙ্গি তৎপরতার দিকে ঝুঁকছে৷ আর যারা অপারেশনে অংশ নিচ্ছে, তারাও বয়সে তরুণ এবং ছাত্র৷''
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
6 ছবি1 | 6
বুধবার বিকেল ৪টায় অভিযান সমাপ্ত ঘোষণার পর, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘প্রায় ১৪ ঘণ্টা চালানো অভিযান কার্যক্রম শেষ হয়েছে৷ এখন আলামতগুলোর একটা তালিকা তৈরি করা হচ্ছে৷ এগুলো সিআইডি ক্রাইম টিমকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে৷ রাত ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়৷ ঐ আস্তানায় যে পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে, তা দিয়ে আরও ২০০টি গ্রেনেড তৈরি করা যেত৷''
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘‘বাংলাদেশে আইএস বা আল-কায়েদা নেই এটা বলা যাবে না৷ তাদের মতাদর্শের মানুষ অবশ্যই এখানে আছে৷ এখানে তো আর সিরিয়া থেকে লোক আসবে না৷ তাদের আদর্শ নিয়েই এখানকার সন্ত্রাসীরা কার্যক্রম চালাবে৷ তবে বাংলাদেশে এখনও তাদের কার্যক্রম প্রাথমিক পর্যায়ে আছে৷ আগে কিন্তু এখানে কোনো ধর্মীয় বিভাজন ছিল না৷ অথচ এখন দেখা যাচ্ছে এ দেশেও শিয়া-সুন্নি বিরোধ তৈরি করা হচ্ছে৷ ফলে হতাশাগ্রস্ত যুবকদের পথে আনতে হবে৷ কী করলে তাদের পথে আনা যায়, সেটার চিন্তা করার এখনই সময়৷''
বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার শিকার যারা
চলতি বছর ইসলামপন্থিরা একের পর এক হামলা চালিয়ে বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছে৷ এতে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন৷ চলুন জানা যাক ২০১৫ সালের কবে, কারা হামলার শিকার হয়েছেন...৷
ছবি: Getty Images/AFP/Uz Zaman
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্লগার খুন
একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে খুন হন ব্লগার এবং লেখক অভিজিৎ রায়৷ কমপক্ষে দুই দুর্বৃত্ত তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে৷ এসময় তাঁর স্ত্রী বন্যা আহমেদও গুরুতর আহত হন৷ বাংলাদেশি মার্কিন এই দুই নাগরিককে হত্যার দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’৷ পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
বাড়ির সামনে খুন
ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবুকে হত্যা করা হয় ঢাকায়, গত ৩০ মার্চ৷ তিন দুর্বৃত্ত মাংস কাটার চাপাতি দিতে তাঁকে কোপায়৷ সেসেময় কয়েকজন হিজরে সন্দেহভাজন দুই খুনিকে ধরে ফেলে, তৃতীয়জন পালিয়ে যায়৷ আটকরা জানায়, তারা মাদ্রাসার ছাত্র ছিল এবং বাবুকে হত্যার নির্দেশ পেয়েছিল৷ কে বা কারা এই হত্যার নির্দেশ দিয়েছে জানা যায়নি৷ বাবু ফেসবুকে ধর্মীয় উগ্রপন্থিদের বিরুদ্ধে লিখতেন৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
সিলেটে আক্রান্ত মুক্তমনা ব্লগার
শুধু ঢাকায় নয়, ঢাকার বাইরে ব্লগার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে৷ গত ১২ মে সিলেটে নিজের বাসার কাছে খুন হন নাস্তিক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এবং ব্লগার অনন্ত বিজয় দাস৷ ভারত উপমহাদেশের আল-কায়েদা, যাদের সঙ্গে ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’-এর সম্পর্ক আছে ধারণা করা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে৷ দাস ডয়চে ভেলের দ্য বব্স জয়ী মুক্তমনা ব্লগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/EPA/Str
বাড়ির মধ্যে জবাই
ব্লগার নিলয় চট্টোপাধ্যায়কে, যিনি নিলয় নীল নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন, হত্যা করা হয় ঢাকায় তাঁর বাড়ির মধ্যে৷ একদল যুবক বাড়ি ভাড়ার আগ্রহ প্রকাশ করে ৮ আগস্ট তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে এবং তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে৷ নিজের উপর হামলা হতে পারে, এমন আশঙ্কায় পুলিশের সহায়তা চেয়েছিলেন নিলয়৷ কিন্তু পুলিশ তাঁকে সহায়তা করেনি৷ ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’ এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে, তবে তার সত্যতা যাচাই করা যায়নি৷
ছবি: Getty Images/AFP/Uz Zaman
জগিংয়ের সময় গুলিতে খুন বিদেশি
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে জগিং করার সময় ঢাকার কূটনৈতিক এলাকায় খুন হন ইটালীয় এনজিও কর্মী সিজার তাবেলা৷ তাঁকে পেছন থেকে পরপর তিনবার গুলি করে দুর্বৃত্তরা৷ জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছে জিহাদিদের অনলাইন কর্মকাণ্ডের দিকে নজর রাখা একটি সংস্থা৷ তবে বাংলাদেশে সরকার এই দাবি অস্বীকার করে বলেছে ‘এক বড় ভাইয়ের’ তাঁকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/ A.M. Ahad)
রংপুরে নিহত এক জাপানি
গত ৩ অক্টোবর রংপুরে খুন হন জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও৷ মুখোশধারী খুনিরা তাঁকে গুলি করার পর মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়৷ ইসলামিক স্টেট এই হত্যাকাণ্ডেরও দায় স্বীকার করেছে, তবে সরকার তা অস্বীকার করেছে৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন না যে তাঁর দেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীটির উপস্থিতি রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
হোসনি দালানে বিস্ফোরণ, নিহত ১
গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার ঐতিহ্যবাহী হোসনি দালানে শিয়া মুসলমানদের আশুরার প্রস্তুতির সময় বিস্ফোরণে এক কিশোর নিহত এবং শতাধিক ব্যক্তি আহত হন৷ বাংলাদেশে এর আগে কখনো শিয়াদের উপর এরকম হামলায় হয়নি৷ এই হামলারও দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট, তবে সরকার সে দাবি নাকোচ করে দিয়ে হামলাকারীরা সম্ভবত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গোষ্ঠী জেএমবি-র সদস্য৷ সন্দেহভাজনদের একজন ইতোমধ্যে ক্রসফায়ারে মারা গেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Zaman
ঢাকায় প্রকাশক খুন
গত ৩১ অক্টোবর ঢাকায় দু’টি স্থানে কাছাকাছি সময়ে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়৷ এতে খুন হন এক ‘সেক্যুলার’ প্রকাশক এবং গুরুতর আহত হন আরেক প্রকাশক ও দুই ব্লগার৷ নিহত প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের সঙ্গে ঢাকায় খুন হওয়া ব্লগার অভিজিৎ রায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল৷ জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আনসার-আল-ইসলাম’ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
প্রার্থনারত শিয়াদের গুলি, নিহত ১
গত ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশের বগুড়ায় অবস্থিত একটি শিয়া মসজিদের ভেতরে ঢুকে প্রার্থনারতদের উপর গুলি চালায় কমপক্ষে পাঁচ দুর্বৃত্ত৷ এতে মসজিদের মুয়াজ্জিন নিহত হন এবং অপর তিন ব্যক্তি আহত হন৷ তথকথিত ইসলামিক স্টেট-এর সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা দাবি করা স্থানীয় একটি গোষ্ঠী হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
9 ছবি1 | 9
এদিকে বড়দিনের ঠিক আগেই ঢাকা ও সিলেটে জঙ্গিদের নাম করে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতা, গির্জার বিশপ ও যাজকদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে৷ তাদের কছে ‘আইজিএমবি' নাম করে মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ পাঠিয়ে এ সব হুমকি দেয়া হয়৷ যাঁদের হুমকি দেয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন – বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্মল রোজারিও, রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের গ্লোরিয়া থিওলজিক্যাল সেমিনারের একাডেমিক ডিন ও যাজক জেমস জগদীশ, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের পত্রিকা মাসিক সমবার্তার নির্বাহী সম্পাদক এলড্রিক বিশ্বাস, রাজধানীর রামপুরায় অবস্থিত ব্রাদার সেমিনারির রেক্টর বিনয় গোমেজ, সিলেট অঞ্চলের প্রদেশপাল বিশপ বিজয় এনডি ক্রুশ ও শ্রীমঙ্গলের ক্যাথলিক মিশনের পালপুরোহিত সুব্রত বনিফাস টলেনটিনো৷
খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্মল রোজারিও জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে গণভবনে অবস্থান করছিলেন তিনি৷ সেই সময় তাঁর মোবাইল ফোনে একটি ম্যাসেজ আসে৷ তাতে ‘আইজেএমবি'-র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে জামান মজুমদার নামের এক ব্যক্তি লিখেছে, ‘তোমার শেষ স্বপ্ন পূরণ করো, কারণ তুমি এখন জীবনসায়াহ্নে৷ খুব শিগগিরই আমরা তোমাকে হত্যা করব৷' এ ঘটনার পর নির্মল রোজারিও তেজগাঁও থানায় বুধবার একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন৷
প্রিয় পাঠক, আপনার কী মনে হয়, কেন শিক্ষিত যুবকদের একটি অংশ জঙ্গিবাদের দিকে চলে যাচ্ছে? প্রতিক্রিয়া জানান নীচে মন্তব্যের ঘরে...