ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যদের জন্য যা বিরল, অপরাহ উইনফ্রে শো-তে তা-ই করেছেন প্রিন্স হ্যারি এবং ডাচেস অব সাসেক্স মেঘান৷ রাজপরিবারের বিষয়ে কথা বলেছেন সরাসরি৷ ভুল সংবাদ পরিবেশনের জন্য ব্রিটিশ মিডিয়ার সমালোচনাও করেছেন তারা৷
বিজ্ঞাপন
ডাচেস অব সাসেক্স মেঘানের প্রতি ব্রিটেনের ট্যাবলয়েড পত্রিকাগুলোর আচরণের সমালোচনা করে ২০২০ সালের ব্রিটিশ রাজপরিবার ছেড়ে স্বাধীন জীবন যাপন শুরু করেন তারা৷ তারপর থেকে নানা কারণে খবরে এলেও রাজপরিবার সম্পর্কে কখনো সরাসরি কথা বলেননি হ্যারি এবং মেঘান৷ রবিবার প্রচারিত অপরাহ উইনফ্রো শো-তে অবশেষে চমকে দেয়ার মতো অনেক কথাই বললেন তারা৷
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেসিটো অঞ্চলের বাসিন্দা হ্যারি-মেঘান দম্পতি৷ সেই সুবাদে অপরাহ উইনফ্রের প্রতিবেশীও তারা৷
প্রেমের কারণে যতবার বিব্রত ব্রিটিশ রাজপরিবার
প্রেম ও বিয়ের ঘটনায় একাধিকবার বিব্রত হতে হয়েছে ব্রিটিশ রাজপরিবারকে৷ এমনই কয়েকটি ঘটনা জানুন ছবিঘরে...
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Mary McCartney/Queen Elizabeth II
চার্লস ও ক্যামিলা
বিয়ের ১২ বছর পর ১৯৯২ সালে লেডি ডায়ানার সাথে বিচ্ছেদ হয় যুবরাজ চার্লসের৷ মনোমালিন্য ছাড়াও এই বিচ্ছেদের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল চার্লসের প্রাক্তন প্রেমিকা ক্যামিলা পার্কার বোলস৷ রাজপরিবারের অনিচ্ছা সত্ত্বেও ২০০৫ সালে ক্যামিলাকে বিয়ে করেন চার্লস৷ এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেননা চার্লসের মা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও তাঁর পিতা ফিলিপও৷
ছবি: AP
ডায়ানা ও দোদি
চার্লসের সাথে বিবাহিত থাকাকালীন এবং বিচ্ছেদের পরেও একাধিক পুরুষের সাথে জুড়তে থাকে ডায়ানার নাম৷ এরমধ্যে সবচেয়ে আলোচিত মিশরের চলচ্চিত্র প্রযোজক দোদি ফায়েদের সাথে তাঁর সম্পর্ক৷ ১৯৯৭ সালে প্যারিসের যে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ডায়ানা সেই গাড়িতে তাঁর সাথে ছিলেন ফায়েদও৷ ডায়ানার জীবনযাপন বিষয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবারের অসন্তোষ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রায়ই আলোচিত হয়েছে৷
ছবি: dapd
রাজকুমারী অ্যান
চার্লসের ছোট বোন রাজকুমারী অ্যানের সাথেও জড়িয়ে ছিল নানা পুরুষের নাম, যার মধ্যে অন্যতম ক্যামিলার সাবেক স্বামী অ্যান্ড্রু পার্কার বোলসও৷ এছাড়া, অ্যানের স্বামী মার্ক ফিলিপসের নামও জড়ায় নানা কেচ্ছার সাথে৷ শুধু তাই নয়, অ্যান-মার্ক বিচ্ছেদের ফলে সংবাদমাধ্যমে আলোচিত হয় ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিচ্ছেদ-বিরোধিতা কমার প্রবণতা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/PA Wire/G. Fuller
মার্গারেট ও পিটার টাউনসেন্ড
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছোট বোন রাজকুমারী মার্গারেট৷ মার্গারেট প্রথম শিরোনামে আসেন পিটার টাউনসেন্ডের সাথে তাঁর প্রেমের কারণে৷ সেই সময় বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে এমন কারো সাথে রাজপরিবারের সদস্যের বিয়ে হওয়া ছিল অসম্ভব৷ পরিবারের চাপে টাউনসেন্ডকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন মার্গারেট, কিন্তু পরবর্তীতে চিত্রগ্রাহক অ্যান্টনি আর্মস্ট্রং-জোনসের সাথে তাঁর বিয়েও সৃষ্টি করে বহু বিতর্ক৷
ছবি: AFP/Getty Images
অষ্টম এডোয়ার্ড ও ওয়ালিস সিম্পসন
মার্গারেটেরও আগে মার্কিন নাগরিক ও বিবাহ-বিচ্ছেদপ্রাপ্ত ওয়ালিস সিম্পসনকে বিয়ে করার জন্য রাজকর্তব্য থেকে সরে আসেন অষ্টম এডোয়ার্ড৷ সেই সময় রাজার আসনে বসতে চলা এডোয়ার্ডের এই পদক্ষেপ আলোড়ন তোলে৷ এর ফলে, তাঁর ছোট ভাই ষষ্ঠ জর্জ রাজা হন৷ এডোয়ার্ড-ওয়ালিসের বিবাহ এখনও রাজপরিবারের অন্যতম বিতর্কিত ঘটনা হিসাবে আলোচিত হয়৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot
অ্যান্ড্রু
চার্লসের ছোট ভাই অ্যান্ড্রুরও পিছু ছাড়েনি বেশ কয়েকটি বিতর্কিত ঘটনা৷ যেমন মার্কিন অভিনেত্রী কু স্টার্কের সাথে তার সম্পর্ক৷ শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে সারা ফার্গুসনকে বিয়ে করলেও কু স্টার্কের কন্যার ‘গডফাদার’ হন অ্যান্ড্রু, যা নতুন করে খবরের শিরোনামে নিয়ে আসে তাকে৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/S. Tan
হ্যারি ও মেগান
মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলের সাথে রাজপুত্র হ্যারির বিয়ের পর থেকেই চলছিল নানা রকমের জল্পনা৷ বুধবার একটি বিবৃতি দিয়ে তাঁরা জানান যে রাজকর্তব্য থেকে সরে আসতে চলেছেন তাঁরা৷ রাজপরিবারের সদস্য হিসাবে নিজেদের দায়িত্ব ছেড়ে ব্যক্তিগত জীবনে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে চান বলে জানান এই জুটি৷ ইতিমধ্যেই তাঁদের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাকিংহাম প্যালেস৷
ছবি: picture-alliance/AP/D. Lipinsky
7 ছবি1 | 7
মেঘানকে নিয়ে ব্রিটিশ মিডিয়ার লাগাতার খবর পরিবেশনের প্রসঙ্গে উঠে আসে বিয়ের অনুষ্ঠানে ডাচেস অব ক্যামব্রিজ কেট-কে বিয়ের অনুষ্ঠানে কাঁদানোর খবরের বিষয়টি৷ অভিযোগ অস্বীকার করে খবরের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মেঘান৷ এ সময় অপরাহ-ও এমন কিছু শিরোনাম পড়ে শোনান যাতে কেট এবং মেঘানের বিষয়ে মিডিয়ার ‘দ্বৈত নীতি’ স্পষ্ট৷
তবে সাক্ষাৎকারভিত্তিক টেলিভিশন অনুষ্ঠানটির এবারের পর্বে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে রাজপরিবার সম্পর্কে মেঘান আর হ্যারির বক্তব্য৷
রাজপরিবারেবাকস্বাধীনতা
এক প্রশ্নের জবাবে মেঘান বলেন, রাজ পরিবার আর প্রতিষ্ঠানটিকে (রাজতন্ত্র) যারা চালান, তারা সম্পূর্ণ আলাদা দুটি সত্তা৷ তিনি জানান, তার প্রতি রানির আচরণ সবসময়ই খুব চমৎকার৷ তবে অপরাহ যখন জানতে চান রাজপরিবারে নীরব থাকতেন, নাকি নীরব থাকতে বাধ্য করা হতো, সরাসরি জবাব না দিয়ে মেঘান শুধু বলেন, ‘‘দ্বিতীয়টি৷’’
হ্যারি-মেঘানকেরক্ষায়নিষ্ক্রিয়তা
মেঘান দাবি করেন, ‘‘আমাকে আর আমার স্বামীকে রক্ষা করার জন্য সত্যি কথা বলার ইচ্ছা তাদের (রাজপরিবারের অন্য সদস্যদের) ছিল না৷’’
এ সময় হ্যারি জানান, রাজপরিবার ছেড়ে আসার পর তার বাবা প্রিন্স চার্লসকে ফোন করলেও তিনি ধরতেন না৷ এখন অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে আর তাই সন্তানের সঙ্গে বাবা ফোন করে আবার কথা বলেন বলেও জানিয়েছেন হ্যারি৷
এসব বিষয়ে হ্যারির অবশ্য কোনো অভিযোগ নেই৷ তিনি মনে করেন, তার বাবা এবং ভাই, অর্থাৎ প্রিন্স চার্লস এবং প্রিন্স উইলিয়াম আসলে ‘জালে আটকে গেছেন’৷
হ্যারি-মেগানের প্রেম উপাখ্যান
ব্রিটেনের প্রিন্স হ্যারি এবং ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেলের কোল আলো করে এসেছে ফুটফুটে এক ছেলে সন্তান৷ এই ছবিঘরে থাকছে এই দম্পতির প্রেম কাহিনী৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/F. Arrizabalaga
পরিচয়-প্রণয়-পরিণয়
বন্ধুদের মাধ্যমে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে পরিচয় হয় মার্কিন টিভি অভিনেত্রী মেগান মার্কেলের৷ ব্রিটিশ সিংহাসনের বর্তমান ষষ্ঠ দাবিদার প্রিন্স হ্যারি৷ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে মেগান জানান তাঁদের পরিচয়, প্রণয়ে রূপ নিয়েছে, ১০ মাস পর তা পরিণত হয় পরিণয়ে৷২০১৯ সালের ৬ মে৷ তবে নিজেদের প্রথম সন্তানের নাম এখনো ঠিক করেননি মেগান-হ্যারি৷
ছবি: Getty Images/E. Mulholland
কোটি কোটি ভক্তের আগ্রহের কেন্দ্রে
২০১৮ সালের ১৯ মে বিয়ে হওয়ার আগে থেকেই গণমাধ্যমের আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিলেন প্রিন্স হ্যারি আর মেগান মার্কেল৷ মেগানের পারিবারিক অতীতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ঐতিহ্যবাহী ব্রিটিশ রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো গসপেল কয়ারের মতো কিছু আফ্রিকান-অ্যামেরিকান সাংস্কৃতিক আচারও অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷ মেগানের বন্ধু হিসেবে বেশ কয়েকজন সেলিব্রিটিও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷
ছবি: Reuters
সদা হাস্যোজ্জ্বল যুগল
প্রিন্স হ্যারি ও মেগানের প্রথম যুগল ছবি প্রকাশ পায় ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে৷ ক্যানাডার টরেন্টোতে এক হুইলচেয়ার টেনিস প্রতিযোগিতায় হাত ধরে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল দুজনকে৷ যুদ্ধাহত সৈনিকদের জন্য আয়োজিত ইনভিকটাস গেম চালু করেছেন প্রিন্স হ্যারিই৷
ছবি: picture-alliance/empics/N. Denette
হ্যারির শৈশব
প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানার ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি অব ওয়েলস জন্মগ্রহণ করেন ১৯৮৪ সালে৷ শৈশবই তাঁকে প্রত্যক্ষ করতে হয় বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ ও মা প্রিন্সেস ডায়ানার দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু৷ ১৯৯৫ সালের এই ছবিতে পুরো পরিবারকে দেখা যাচ্ছে এক সঙ্গে৷ চার্লস-ডায়ানার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়াম৷
ছবি: Johny Eggitt/AFP/Getty Images
ডায়ানার মৃত্যুশোক
১৯৯৭ সালে প্যারিসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু হয়৷ প্রিন্স হ্যারির বয়স তখন মাত্র ১২ বছর, উইলিয়ামের ১৫৷ মা ডায়ানার মরদেহ বহনকারী কফিন ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবে থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় দুই ভাইকে দেখা যাচ্ছে মাথা নীচু করে থাকতে৷ মায়ের মৃত্যু ছিল প্রিন্স হ্যারির জীবনে বড় ধরনের আঘাত৷
ছবি: Adam Butler/AFP/Getty Images
হ্যারির সংগ্রাম
জীবনভর কী পরিমাণ সংগ্রাম করতে হয়েছে, তা জনসমক্ষেই বলেছেন প্রিন্স হ্যারি৷ মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে এক প্রচারণার সময় ডেইলি টেলিগ্রাফকে তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন সময় প্রায় ভেঙে পড়েছি৷’’ তিনি বলেন, ‘‘সব ধরনের আবেগ ২০ বছর ধরে নিজের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখায় শুধু আমার ব্যক্তিগত জীবনেই প্রভাব পড়েনি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমার কাজও৷’’
ছবি: Thomas Coex/AFP/Getty Images
‘প্লেবয়’ যুবরাজ
আবেগী এই যুবরাজ মায়ের মতোই যে-কোনো মানুষকে সহজে কাছে টানার গুণ পেয়েছেন৷ সাথে পেয়েছেন দুষ্টুমিও৷ বিভিন্ন সময়ে হ্যারিকে আকর্ষণীয় সব নারীর সঙ্গে দেখা যেতো৷ বিভিন্ন সময়ে তাঁকে ‘প্লেবয়’ আখ্যাও দিয়েছে অনেক সংবাদমাধ্যম৷ একবার নিউজউইককে তিনি বলেছিলেন, তিনি রাজপরিবার থেকে ‘বের হয়ে’ যেতে চান৷
ছবি: Chris Jackson/Getty Images
সেনাদলে যোগদান
২০০৫ সালে প্রিন্স হ্যারির একটি ছবি প্রকাশ হয়, সেখানে দেখা যায়, এক কস্টিউম পার্টিতে নাৎসিদের প্রতীক স্বস্তিকা পড়ে আছেন৷ এ নিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়৷ একই বছর রাজপরিবারের অন্য এনেক সদস্যের মতো ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন প্রিন্স হ্যারি৷ ১০ বছর সেনাবাহিনীতে ছিলেন হ্যারি৷ পরে অবশ্য তিনি বলেন, এর মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষের দৃষ্টিআগ্রহের কেন্দ্র থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখা৷
ছবি: John Stillwell/AFP/Getty Images
জনপ্রিয় যুবরাজ
সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থায় দু’বার আফগানিস্তানে ছিলেন হ্যারি৷ এরপর থেকে শুধু ব্রিটেনেই নয়, পুরো বিশ্বজুড়েই রাজপরিবারের সবচেয়ে জনপ্রিয় সদস্যে পরিণত হন হ্যারি৷ মায়ের মতোই নিজের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি৷ বড় ভাই উইলিয়াম ও তাঁর স্ত্রী কেটের সঙ্গে মিলে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ক্যাম্পেইন এরই অংশ৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/K. Wigglesworth
মেগান মার্কেল
২০১৭ সালের অক্টোবরে যখন বিঊিন্ন গণমাধ্যমে মেগানের নাম আসতে শুরু করে, তখন দেশের মানুষের তাঁর সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণাই ছিল না৷ ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে জন্ম নেয়া মেগান জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘স্যুটস’-এ এক আইনজীবীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন৷ বিভিন্ন গণমাধ্যমে মেগানকে নিয়ে প্রচারিত সংবাদে ‘প্রচ্ছন্ন জাতিবিদ্বেষ’ এবং ‘বর্ণবাদ’ উসকে দেয়া হয়েছে বলেও সেসময় প্রতিবাদ জানানো হয় হ্যারির কার্যালয় থেকে৷
ছবি: picture-alliance/empics/D. Lawson
দ্বিতীয় বিয়ে
মেগানের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ গণমাধ্যমের সমালোচনার অন্যতম ছিল তাঁর প্রথম বিয়ে৷ ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চলচ্চিত্র প্রযোজক ট্রেভর এনগেলসনের স্ত্রী ছিলেন মেগান৷ সেসময় নিজের একটি লাইফস্টাইল ব্লগও চালাতেন মেগান৷ তবে হ্যারির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক জানাজানি হওয়ার পর তিনি সেটি বন্ধ করে দেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Invision/J. Strauss
লোকহিতকর কাজ
প্রিন্স হ্যারির মতোই মেগানও বিভিন্ন সেবা কার্যক্রমে জড়িয়েছেন৷ উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিশুদের সহায়তায় ক্যানাডিয়ান চ্যারিটি সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ভিশন ক্যানাডা’র দূত হিসেবে কাজ করছেন তিনি৷ জাতিসংঘের সঙ্গে নারীর অধিকার নিয়েও কাজ করছেন মেগান৷
ছবি: picture-alliance/SOLO Syndication/M. Large
রানির আশীর্বাদ
হ্যারি-মেগানের বিয়ের ঘোষণার পর বাকিংহাম প্যালেস থেকে জানানো হয়, ‘‘রানি ও ডিউক অব এডিনবরা খুবই আনন্দিত এবং এই যুগলের সুখ ও শান্তি কামনা করেছেন৷’’ সিংহাসনের ভবিষ্যৎ দাবিদার রাজপরিবারের সব সদস্যের মতোই হ্যারি-মেগানের বিয়েতেই প্রয়োজন ছিল রানির অনুমোদনের৷ তবে এই বিয়েতে রানির আশীর্বাদ রাজপরিবারের চিন্তাভাবনায় বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়৷
ছবি: Imago/ZUMA Press
13 ছবি1 | 13
মাবেঁচেথাকলেখুশিহতেন
হ্যারি মনে করেন, তার আর মেঘানের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে তা দেখলে তার প্রয়াত মা, প্রিন্সেস অব ওয়েলস ডায়ানা ‘‘খুব রেগে যেতেন, ভীষণ দুঃখ পেতেন৷’’ হ্যারি আরো জানান, ২০২০ সালে রাজ পরিবারের সদস্য হিসেবে প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা কমিয়ে দেয়া হয়, তখন শুধু মায়ের উত্তরাধিকার হিসেবে প্রাপ্য টাকাটাই পেয়েছেন তিনি৷
রাজপরিবারেবর্ণবাদ
রাজ পরিবারে পরোক্ষ বর্ণবাদের বিষয়টিও উঠে আসে মেঘানের কথায়৷ ডাচেস অব সাসেক্স জানান, প্রথম সন্তান কতটা কালো হতে পারে এ নিয়ে পরিবারের কেউ কেউ বেশ চিন্তায় ছিলেন৷ তবে তারা কারা তা স্পষ্ট করে বলেননি তিনি৷ এ সময় অশ্বেতাঙ্গ পারিবারিক অতীতের কারণে ব্রিটিশ মিডিয়ায় তাকে নিয়ে যে ‘বর্ণবাদী প্রতিবেদন’ প্রকাশিত হয়েছে, সেসব বিষয়ে পরিবারের কেউ কিছু না বলায় হতাশাও ঝরেছে মেঘানের কণ্ঠে৷
আত্মহত্যারদোরগোড়াথেকেফেরা
রাজপরিবারে থাকার সময় ভয়ংকর চাপে মানসিকভাবে প্রায় ভেঙে পড়েছিলেন মেঘান৷ সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে জানান, এক সময় আত্মহত্যাই মনে হয়েছিল একমাত্র সমাধান, ‘‘আমি তখন আর বাঁচতে চাইছিলাম না৷’’ অপরাহ উইনফ্রে শো-তে মেঘান আরো জানান, তখন মানসিক স্বাস্থ্যের বিপর্যয়ের কথা জানিয়ে রাজপ্রাসাদের সহযোগিতাও চেয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু কেউ তার কথায় কান দেয়নি৷