ব্রিটেনের রাজকীয় বিয়ের টিভি সম্প্রচারে বর্ণবিদ্বেষের ছায়া৷ জার্মানির সরকারি গণমাধ্যম জেডডিএফ-এর ধারাভাষ্যকারের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ সংবাদজগত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচিত হচ্ছে বিষয়টি৷
বিজ্ঞাপন
কয়েক দশক আগেও এমন মিশ্র বিয়ে রাজপরিবারে হয়তো ভাবা যেত না, কিন্তু এই শতকে এমন বিয়ে হচ্ছে৷ ব্রিটিশ রাজকুমার হ্যারির সঙ্গে যিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন, তিনি খাঁটি ইংরেজ নন৷ মেঘান মার্কল মেক্সিকান বংশোদ্ভূত পিতার মার্কিন সন্তান৷ মার্কলের জাতি পরিচয় বারবার উঠে এলো জার্মান চ্যানেলের সম্প্রচারে৷ ধারাভাষ্যকার মেঘান মার্কলের কালো চুল এবং ক্রমাগত তাঁকে এবং তাঁর অতিথিদের ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করায়, তা জাতিবিদ্বেষের পরিচয় বহন করেছে বলে অনেকেই সমালোচনা করেছেন৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং অন্যত্র সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে জেডডিএফ বিষয়টিকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে৷
রাজকীয় সব বিয়ের পোশাক
১৯ মে ব্রিটিশ যুবরাজ হ্যারির সাথে মেঘান মার্কলের বিয়ের অন্যতম আকর্ষণ হলো কনের পোশাক৷ কী ধরনের পোশাক পরবেন তিনি, তা নিয়ে হচ্ছে বিস্তর আলোচনা৷ এর সূত্র ধরেই দেখা যাক রাজপরিবারে বিভিন্ন সময়ে কনেরা কী ধরনের পোশাক পরেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রানি এলিজাবেথের গাউন
বর্তমান ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথ যখন ১৯৪৭ সালে প্রিন্স ফিলিপকে বিয়ে করেন, তখনও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বাজেট কৃচ্ছতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল ব্রিটেন৷ এলিজাবেথ তাঁর বিয়ের গাউনটির রেশমি কাপড় কিনতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নারীদের কাছ থেকে রেশনিং-এর কুপন উপহার পেয়েছিলেন৷ পুরো পোশাকটি স্ফটিক দিয়ে সাজানো ছিল৷ আর তাতে বসানো হয়েছিল ১০ হাজার মুক্তা৷ গাউনের পেছনের ঝুলন্ত অংশটুকু ছিল ১৩ ফুট লম্বা!
ছবি: picture-alliance/dpa
সিংহাসন ত্যাগ ও কনের বিয়ের পোশাক
১৯৩৬ সালে ব্রিটেনের রাজা হন এডওয়ার্ড৷ কিন্তু এর মাত্র কয়েকমাস পরেই প্রেমের টানে সিংহাসন ত্যাগ করে বিয়ে করেন অ্যামেরিকান সমাজকর্মী ওয়ালিস সিম্পসনকে৷ ওয়ালিসের আগে দু’বার বিবাহবিচ্ছেদ ছিল৷ ব্রিটিশ সাংবিধানিক সংকট এড়াতেই এডওয়ার্ড সিংহাসন ছাড়েন৷ ওয়ালিস তাঁর বিয়ের পোশাক হিসেবে বাছাই করেছিলেন মার্কিন ডিজাইনার মেইনবচারের ডিজাইন করা হালকা নীল রঙের পোশাক৷
ছবি: Getty Images
পুরনো ‘টুডর ফ্যাশন’
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কন্যা অ্যানি ১৯৭৩ সালে ক্যাপ্টেন মার্ক ফিলিপ্সকে বিয়ের সময় প্রথম এলিজাবেথের আমলের ফ্যাশন ‘টুডর-স্টাইল’ আবার ফিরিয়ে আনেন৷ পোশাকটি ডিজাইন করেছিল মওরিন বেকার৷ পরে এই পোশাকটি হাল ফ্যাশনে পরিণত হয়৷ ব্রিটিশ রাজকন্যাদের মধ্যে অ্যানিই প্রথম, যিনি সরাসরি বিয়ের পোশাক ডিজাইন ও তৈরির তদারকির সাথে জড়িত ছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/empics
বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত বিয়ের পোশাক
প্রিন্স চার্লসকে ১৯৮১ সালে বিয়ের সময় লেডি ডায়ানা যে পোশাকটি পরেছিলেন সেটা ইতিহাসে সবচেয়ে বিখ্যাত৷ ফোলানো হাতার জামা, ফুল স্কার্টটি আরও বহুদিন পৃথিবীর বিয়ের কনেদের পছন্দনীয় পোশাক হিসেবে টিকে থাকবে সম্ভবত৷ ডেভিড এবং ইমানুয়েল এলিজাবেথের ডিজাইন করা পোশাকটি তৈরি করতে ৯ হাজার পাউন্ড খরচ হয়েছিল৷ ২৫ ফুট লম্বা ছিল এর ঝুলন্ত অংশের পরিধি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সিংহাসনের উত্তরাধিকারী
২০১০ সালে সুইডেনের প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া ঐতিহ্য ভেঙে খুব সাধারণ পরিবারের একজন মানুষ, তাঁর ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক ড্যানিয়েল রেসলিংকে বিয়ে করেন৷ রাজপরিবারে ব্যবহৃত সিল্ক সাটিন কাপড় দিয়ে ছোট আকারের একটি বিয়ের গাউন তৈরি করান তিনি৷ যার ডিজাইনার ছিলেন আরেক সুইডিশ ডিজাইনার পার এনসেদেন৷ আর বিয়ের দিন গাউনের সাথে ভিক্টোরিয়ার মাথায় ছিল ক্যামিও টায়রা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Henriksson
তাসমানিয়া থেকে কোপেনহেগেন
অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়া প্রিন্সেস মেরি বিয়ে করেছেন ইউরোপের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ রাজপরিবারেরর একটিতে৷ ২০০৪ সালে তিনি বিয়ে করেন ডেনিশ যুবরাজ ফ্রেডরিককে৷ তাঁর বিয়ের পোশাক ডিজাইন করেছিলেন ডেনিশ ডিজাইনার উফে ফ্রাংক৷ সে পোশাকে ১০০ বছরের পুরনো আইরিশ লেস ব্যবহার করা হয়েছিল, যা দিয়েছিলেন ফ্রেডরিকের দাদির মা, এক সময়ের সুইডেনের রাজকন্যা মার্গারেট৷
ছবি: picture-alliance/dpa
যে বিয়েটি সবচেয়ে বেশি লোক দেখেছেন
কেট মিডলটন আর প্রিন্স উইলিয়ামের বিয়ে হয় ২০১১ সালে৷ যুক্তরাজ্যে এই বিয়ে দেখে ৩ কোটি ৬৭ লাখ লোক এবং সারা পৃথিবীব্যাপী এর দর্শক ছিল ৭ কোটি ২০ লাখ৷ মিডলটনের বিয়ের পোশাকটি ছিল ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মিশেলে ডিজাইন করা৷ যার ডিজাইনার ছিলেন সারাহ বার্টন৷ পোশাকের কাঁচুলি বা উর্দ্ধাঙ্গে ব্যবহারের অংশটি ১৯ শতকের নকশায় করা ছিল৷ আর নীচের ফুল স্কার্টটি ছিল একটা প্রস্ফুটিত ফুলের ডিজাইনের৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. van Katwijk
7 ছবি1 | 7
বিতর্কিত মন্তব্যের কয়েকটি
মেঘান মার্কল ও কৃষ্ণাঙ্গ অতিথিদের ‘ভিনদেশি’ বলা হয়েছে বলে সংবাদে প্রকাশ৷
ধারাভাষ্যকারের মন্তব্য, ‘‘মেঘান সবসময় একটি বার্বিডল পরিবার চেয়েছিলেন৷ কিন্তু, এখানে সাদা ও কালো বার্বি পরিবার রয়েছে৷’’ ইংরেজদের মতো মেঘানের কেশ সোনালি নয়, কালো৷ ধারাভাষ্যকার মেগানের চুলের প্রসঙ্গ টেনেও খোঁচা দিয়েছেন বলে অভিযোগ৷ নানা সংগীতে মুখরিত ছিল হ্যারি-মেঘানের বিবাহ বাসর৷ কয়্যারের শিল্পীদের একটা বড় অংশ ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ৷ জার্মান চ্যানেলে তাঁদেরও কটাক্ষ করা হয়েছে বলে সমালোচনা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷
বিতর্কে টেনে আনা হয়েছে ভিক্টোরিয়া বেকহ্যামকেও৷ বলা হয়েছে, ‘‘দেখে মনে হচ্ছে ভিক্টোরিয়া স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাতে এসেছেন৷’’
কী বলছেন অন্যরা
সংবাদমাধ্যমেও সমালোচনার মুখে পড়েছে জেডডিএফ৷ ডি ওয়েল্ট-এর নিকোলা এর্ডমান লিখেছেন, ‘‘মেঘানের জন্ম কোথায়, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে সময় ব্যয় করা হয়েছে৷ আপত্তিকর, একঘেঁয়ে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে৷ দর্শক ও অন্যান্য যাঁরা অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের সম্মান দেখানো হয়নি৷’’ ‘হাফিংটন পোস্ট জার্মানি’-তে লেখা হয়েছে, ‘‘চ্যানেলটি কখনও এটা বোঝাতে ক্লান্ত হয়ে পড়েনি যে মার্কল হলেন কালো, কালো, কালো, কালো৷’’
রাজপরিবারে সাধারণ মানুষদের বিয়ে
একদিন রাজপুত্র ঘোড়া ছুটিয়ে এসে রানি করে নিয়ে যাবে তাকে – এমন স্বপ্ন না দেখা মেয়ে কমই আছে পৃথিবীতে৷ আবার রাজকন্যার সঙ্গে আংটিবদলের স্বপ্ন দেখেনি খুব সাধারণ ঘরের এমন ছেলেও বিরল৷ অনেকেরই কিন্তু এই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে...
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Kneffel
মডেল থেকে রাজবধূ
সোফিয়া হেল্কভিস্ট ছিলেন মডেল৷ রিয়্যালিটি শো-তে প্রতিযোগিতাতেও নেমেছিলেন বড় কিছু হওয়ার বাসনা পূরণ করতে৷ ২০১৫ সালে সুইডেনের যুবরাজ কার্ল ফিলিপকে বিয়ে করে তিনি এখন রাজপরিবারের সদস্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa
গ্রিসের রাজপুত্রের ঘরে ভিন দেশের মেয়ে
টাটিয়ানা ব্লাটনিকের জন্ম ভেনিজুয়েলায়৷ বড় হয়েছেন সুইজারল্যান্ডে৷ ইভেন্ট প্ল্যানার তাতিয়ানার ২০১০ সালে বিয়ে হয় গ্রিসের ক্ষমতাচ্যুত রাজ কনস্টান্টিনের ছেলে প্রিন্স নিকোলাসের সঙ্গে৷
ছবি: picture-alliance/abaca/G. Mousse
টেনিস কোর্টে পরিচয়, তারপর...
মিচিকো শোডাও সাধারণ ঘরের মেয়ে৷ টেনিস খেলতে গিয়ে পরিচয় হয় জাপানের যুবরাজ আকিহিতোর সঙ্গে৷ ১৯৫৯ সালে বিয়ে করেন তাঁরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Pana
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠি থেকে চিরসঙ্গী
ব্রিটেনের উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে কেট মিডলটন ছিলেন সেন্ট অ্যান্ড্রুস বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী৷ ব্রিটেনের যুবরাজ উইলিয়ামসও পড়তেন সেখানে৷ সেখানেই তাঁদের পরিচয় এবং ২০১১ সালে সারা দুনিয়ায় সাড়া জাগিয়ে বিয়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Kneffel
ফিলিস্তিনি তরুণী এখন রাজপরিবারে
ফিলিস্তিনি বাবা-মায়ের সন্তান রানিয়া আল-ইয়াসিনের জন্ম কুয়েতে৷ এক ডিনার পার্টিতে জর্ডানের ক্রাউন প্রিন্স আব্দুল্লাহর সঙ্গে পরিচয়৷ বিয়ে ১৯৯৩ সালে৷ ঠিক ছয় বছর পর সিংহাসনে বসেন আব্দুল্লাহ, সেই সুবাদে রানিয়া হয়ে যান সত্যিকারের রানি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. van Katwijk
এক অলিম্পিক সাঁতারুর গল্প
শার্লিন লিনেট উইটসটক ছিলেন সাঁতারু৷ দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অলিম্পিকেও অংশ নিয়েছেন৷ ২০১১ সালে মোনাকোর রাজপুত্র দ্বিতীয় অ্যালবার্টকে বিয়ে করেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Monaco Princely Palace
প্রশিক্ষক যখন স্বামী
রাজপরিবারের সন্তানদের নানা কিছু শিখতে হয়৷ তাই পার্সোনাল ট্রেনার থাকাটা জরুরি৷ ড্যানিয়েল ওয়েস্টলিং প্রশিক্ষকের দায়িত্ব নিয়েই সুইডেনের রাজপ্রাসাদে গিয়েছিলেন ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার কাছে৷ আর দূরে সরা হয়নি৷ ২০১০ সালে বেশ ধুমধাম করে বিয়ে হয় তাঁদের৷
ছবি: picture-alliance/IBL Schweden/J. Ekströmer
পেমার প্রেমে ভুটানের রাজা
ভুটানের পেমা জেতসুনও খুব সাধারণ ঘরের মেয়ে৷ ঘটনাক্রমে পরিচয় রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের সঙ্গে৷ তারপর ২০১১ সালে বিয়ে৷
ছবি: picture-alliance/PPE/Royal House/K. Nidup
সরকারের অনুমতি নিয়ে বিয়ে
সোনিয়া হ্যারাল্ডসেন জানতেন নরওয়ের ক্রাউন প্রিন্সের বউ হওয়া কঠিন৷ তবুও দীর্ঘদিন গোপনে প্রেম করেছেন ক্রাউন প্রিন্স হ্যারাল্ডের সঙ্গে৷ সোনিয়াকে পেয়ে হ্যারাল্ড তো প্রেমে দিওয়ানা৷ একসময় পরিবারকে জানিয়ে দিলেন, বিয়ে যদি করতে হয় সোনিয়াকেই করবেন৷ রাজা ওলাফ পড়ে গেলেন মহাবিপদে৷ এমন বিয়ের যে নিয়ম নেই! শেষ পর্যন্ত সরকারের অনুমতি নিলেন রাজা ওলাফ এবং ১৯৬৮ সালে বিয়ে হলো হ্যারাল্ড-সোনিয়ার৷
ছবি: Getty Images/AFP
সাংবাদিক যখন অন্দরমহলে
স্পেনের সাংবাদিক এবং সংবাদ পাঠিকা লেতিৎসিয়া ওরটিস রোচোসোলানোর সঙ্গে যুবরাজ ফিলিপের পরিচয় কীভাবে তা কি বেশি গুরুত্বপূর্ণ? আসল কথা হলো ফিলিপ সাংবাদিককেই বিয়ে করেন ২০০৪ সালে৷ ২০১৪ সাল থেকে তিনি স্পেনের রাজা আর সাবেক সাংবাদিক তাঁর রানি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Ballestos
রাজপুত্র পেলেন পাবে
২০০০ সাল৷ অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে তখন চলছে অলিম্পিক৷ তখনই মেরি এলিজাবেথ এক পাবে গিয়ে পেয়েছিলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্স ফ্রেডরিকের দেখা৷ প্রেমের শুরু তখনই৷ তবে পরিণয় পরের অলিম্পিকে, অর্থাৎ অর্থাৎ ২০০৪ সালে৷
ছবি: Getty Images/I. Waldie
11 ছবি1 | 11
গুরুত্বের সঙ্গে অভিযোগ যাচাই
রবিবার সমালোচনার জবাব দিয়েছে জেডডিএফ৷ তারা জানিয়েছে, সমালোচনার পাশাপাশি সম্প্রচারের প্রশংসাও তাদের কাছে পৌঁছেছে৷ ডয়চে ভেলেকে পাঠানো ই-মেলে জেডডিএফ-এর মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘দর্শকদের কাছ থেকে ফোন ও ই-মেলে সমালোচনা ও প্রশংসা দুই-ই এসেছে৷ সমালোচনাকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷’’ তবে জাতিবিদ্বেষী মন্তব্যের অভিযোগ উঠলেও ক্ষমা চায়নি জেডডিএফ৷
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া
কৌতুকাভিনেতা ও টিভি উপস্থাপক অরেল মার্ৎজ টুইটে বলেছেন, ‘‘মেঘান অ্যাফ্রো-আমেরিকান স্পিরিট তুলে ধরেছেন, এই কথায় শ্বেতাঙ্গ-বিদ্বেষ সবচেয়ে বেশি প্রকাশিত হয়েছে৷’’
জেডডিএফকে উদ্দেশ্য করে একজন টুইট করেছেন, ‘‘মেঘানের অতীত রিপোর্টারের মূল বক্তব্য হয়ে উঠেছিল৷ এটা বিরক্তিকর৷ যদি মেঘান শ্বেতাঙ্গ হতেন, ওঁরা কী বলতেন? অনুগ্রহ করে ওঁদের একই দৃষ্টিতে দেখুন৷’’
আলিস্টার ওয়ালশ/পিএস
রাজকীয় বিয়ের লেগো সংস্করণ
২০১১ সালে প্রিন্স উইলিয়াম আর কেটের বিয়ের পর আবারও আরেকটি রাজকীয় বিয়ে নিয়ে ব্রিটেনসহ বিশ্বজুড়ে হৈচৈ চলছে৷ লেগো-ও এই উৎসবে তাদের মতো করে যোগ দিয়েছে৷
ছবি: Reuters/P. Nicholls
শুভক্ষণ
১৯ মে ব্রিটেনের প্রিন্স হ্যারি মার্কিন অভিনেত্রী মেঘান মার্কলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন৷ লন্ডনের পশ্চিমে অবস্থিত উইন্ডসর ক্যাসেলে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/PA Wire/ D. Lipinski
লেগোল্যান্ড
লন্ডনের উইন্ডসর শহরে উইন্ডসর প্রাসাদের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে ডেনিশ কোম্পানি লেগোল্যান্ডের একটি থিম পার্ক আছে৷ এত কাছে রাজকীয় বিয়ের উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে তাই কোম্পানিটি তাদের পার্কে বিয়ে কার্যক্রমের একটি মডেল স্থাপন করেছে৷
ছবি: Reuters/P. Nicholls
৬০ ইটের মার্কল!
লেগোর টুকরোগুলো ‘ব্রিক’ (ইট) নামে পরিচিত৷ ছবিতে যে মার্কলকে দেখতে পাচ্ছেন সেটি ৬০টি লেগো ব্রিক দিয়ে তৈরি করা হয়েছে৷ সঙ্গে প্রিন্স হ্যারিও আছেন৷ তবে তাঁকে তৈরি করতে কতটি ইট লেগেছে কে জানে!
ছবি: Reuters/A. Grant
বিয়ের দিনের দৃশ্য
১৯ মে বিয়ের দিন যা যা ঘটবে, তা মডেলটিতে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে৷ এই যেমন প্রিন্স হ্যারি আর মার্কল ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বিয়ে করতে যাবেন৷
ছবি: Reuters/P. Nicholls
দর্শকতো থাকবেনই
বিয়ের দিন পাত্র-পাত্রী যখন উইন্ডসর গ্রেট পার্কের লং ওয়াক ধরে ঘোড়ার গাড়িতে করে যাবেন তখন আশেপাশে প্রায় ৫০০ দর্শক থাকবেন৷ ছবিতে সেটিই দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters/P. Nicholls
রানি-রাজা ও অন্যান্য
এই ছবিতে পাত্র-পাত্রীর পেছনে ডানে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, তাঁর স্বামী ডিউক অফ এডিনবরা এবং বামে পাত্রী মার্কলের বাবা-মাকে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters/P. Nicholls
কত সময় লেগেছে?
১১ জন মডেল নির্মাতা প্রায় ৬০ হাজার ইট ব্যবহার করে ৫৯২ ঘণ্টা সময় লাগিয়ে পুরো মডেলটি তৈরি করেছেন৷
ছবি: Reuters/P. Nicholls
স্থায়ী প্রদর্শনী
লেগো জানিয়েছে, রাজকীয় এই বিয়ের দিনের দৃশ্য সম্বলিত মডেলটি উইন্ডসরে তাদের থিম পার্কে স্থায়ীভাবে প্রদর্শিত হবে৷