রাজ্যপালের মুখে জয় বাংলা, ক্ষুব্ধ বিজেপি
২৭ জানুয়ারি ২০২৩রীতিমতো হাতেখড়ির অনুষ্ঠান করে বাংলা শিখতে শুরু করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার রাজভবনে হাতে খড়ির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ প্রচুর গুণীজন। কিন্তু ছিলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি নেতারা। সেই অনুষ্ঠানে হাতেখড়ির পর ভাষণ দিতে গিয়ে নেতাজির একনিষ্ঠ ভক্ত রাজ্যপাল আনন্দ বোস বলেন, 'জয় বাংলা' ও 'জয় হিন্দ'।
এতেই বেজায় চটেছেন বিজেপি নেতারা। যে সময় রাজ্যপালের হাতে খড়ি অনুষ্ঠান হচ্ছে। তখন শুভেন্দু ব্যস্ত ছিলেন বিদ্যার্থী পরিষদ আয়োজিত একটি সরস্বতী পুজোয়। সেখানেই শুভেন্দু বলেন, ''জয় বাংলা স্লোগান ভারতের নয়, বাইরের। রাজ্যপাল কেন সেই স্লোগান দেবেন? তার ভারত মাতার জয় বলা উচিত ছিল।''
শুভেন্দু অবশ্য জানিয়েছেন এর জন্য রাজ্যপালের দোষ নেই। তাকে যে ভাষণ লিখে দেওয়া হয়েছে তিনি সেটি পড়েছেন। রাজ্যপাল কে বোঝানো হয়েছে, 'জয় বাংলা' মানে বাংলার জয়, কিন্তু বাস্তবে তা নয়।
হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বলেন ''আমি বাংলাকে ভালবাসি, আমি বাংলা শিখতে চাই। আমি নেতাজির একনিষ্ঠ ভক্ত। জয় বাংলা, জয় হিন্দ।''
জয় বাংলা স্লোগানে কেন তার আপত্তি সেটাও জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন ''জয় বাংলার স্লোগান দিয়েছিলেন মুজিবুর রহমান। পরে তার মেয়ে শেখ হাসিনা এই স্লোগান দেন। আওয়ামী লীগ তাদের অনুষ্ঠানে এই স্লোগান দিয়ে থাকে। সরকারি অনুষ্ঠানেও তারা এই স্লোগান ব্যবহার করে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এই স্লোগান চলেনা।''
পশ্চিমবঙ্গে গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুটি স্লোগান দেন। একটি হলো 'খেলা হবে' এবং অন্যটি 'জয় বাংলা'। বিজেপির জয় শ্রীরামের পাল্টা হিসেবে মমতা এই জয়বাংলা স্লোগান ব্যবহার করেন। প্রতিটি জনসভা থেকে মমতা জয়বাংলা স্লোগান দেন এবং তৃণমূলের কর্মীরাও তখন থেকে এই স্লোগান দিচ্ছে।
হাতে খড়ি অনুষ্ঠান
রাজভবনে রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠান ছিল ছোট কিন্তু সুন্দর। একটি বাচ্চা মেয়ে স্লেটে রাজ্যপাল কে লিখে দেয় অ আর আ। দুটি উচ্চারণ তাকে শেখানো হয় মা ও ভূমি। তখন গান বাজছিল, ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা।
এরপর রাজ্যপাল তার সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন বাংলায় আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার ভাষণ শুরু করেন রাজ্যপালের মাতৃভাষা মালায়ালামে। মমতা তার ভাষণে মহাত্মা গান্ধীর বাংলা শেখার কথা বলেন।
হাতেখড়ির অনুষ্ঠানের পরেই অবশ্য দিল্লি চলে যান রাজ্যপাল আনন্দ বোস। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে তার বৈঠক হতে পারে।
জি এইচ/ এস জি (পিটিআই)