1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজ্যসভাতেও পাস নাগরিকত্ব বিল

১১ ডিসেম্বর ২০১৯

লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও নাগরিকত্ব বিল পাস হল৷ বিলের পক্ষে পড়েছে ১২৫ ও বিপক্ষে পড়েছে ১০৫ ভোট৷ ফলে এই বিল পাস করতে রাজ্যসভাতেও কোনও অসুবিধা হয়নি নরেন্দ্র মোদী সরকারেরর।

ছবি: DW/A. Chatterjee

রাজ্যসভাতেও সহজেই নাগরিকত্ব বিল পাস হয়ে গেল। বিরোধী দলগুলি বিরুদ্ধে ভোট দিল ঠিকই, কিন্তু তা সরকারকে হারাবার জন্য যথেষ্ট ছিল না। এ বার রাষ্ট্রপতির সম্মতি ও সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরেই নাগরিকত্ব সংশোধন আইন চালু হয়ে যাবে। তখন বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, ক্রিশ্চানরা নাগরিকত্ব পাবেন। 

রাজ্যসভায় বুধবার ছ-ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বিল নিয়ে বিতর্ক হয়েছে৷ মাঝে মাঝেই তর্ক-বিতর্কে উত্তাল হয়েছে রাজ্যসভা৷  তার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জবাব দিতে গিয়ে বলেন, ''নাগরিকত্ব বিল নিয়ে কারও ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। এই বিল কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য আনা হচ্ছে না। বরং নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য আনা হয়েছে৷ মুসলিমদের নাগরিকত্ব নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই৷  কোনও ধর্মের লোকেদের সঙ্গে সরকার অন্যায় করবে না৷ ''

কংগ্রেস সাংসদ দিগ্বিজয় সিং তাঁর আশঙ্কার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ''দেশের মুসলিমরা এনআরসি ও নাগরিকত্ব বিল নিয়ে ভয়ে আছেন৷''  অমিত শাহর জবাব হল, ''কারও আশঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই৷ গত কয়েক বছরে তিন দেশের ৫৬৬ জন মুসলিমকে সরকার নাগরিকত্ব দিয়েছে।''  তার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এটাও জানিয়েছিলেন, ''রাজনীতি করতে গিয়ে কেউ যেন বিভেদ সৃষ্টি না করেন। তা হলে তার ফল ভয়ঙ্কর হবে।'' 

রাজ্যসভার বিরোধী নেতা ও কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদের সমালোচনা ছিল, ''স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, পুরো দেশ এই বিল মেনে নিয়েছে। তা হলে অসমের কিছু এলাকায় কেন সেনা টহল দিচ্ছে? গুয়াহাটি সহ কিছু জায়গায় কেন প্রবল বিক্ষোভ চলছে? কেন বাসে আগুন ধরানো হয়েছে? মণিপুর, মেঘালয়, ত্রিপুরা, অরুণাচল সর্বত্র বিক্ষোভ কেন হচ্ছে? এভাবেই নোটবন্দি,  তিন তালাক, জিএসটি, ৩৭০ পাস করিয়েছে সরকার। দেশের লোকের নজর যাতে কৃষক সমস্যা, কর্মসংস্থানের মতো বিষয় থেকে লোকের নজর অন্যদিকে ঘোরাতে অমিত শাহ এই কৌশল নিয়েছেন৷''

কংগ্রেস সাংসদ পি চিদম্বরম অবশ্য বলেছেন, ''আমি মনে করি এখানেই সবকিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে না। এরপর বিষয়টি আদালতে যাবে। আমি নিশ্চিত, বিচারপতিরা এই বিল খরিজ করে দেবেন৷ '' অমিত শাহর জবাব ছিল,  ''যে কেউ আদালতে যেতে পারেন। তাতে ভয় পাওয়ার কী আছে? আমি মনে করি, আদালত বলবে আইন একেবারে ঠিক আছে৷ '' প্রবল বিরোধিতা করেও হেরে যাওয়ার পর তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েনের মন্তব্য, ওদের দিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, বিরোধীদের দিকে নৈতিকতা আছে৷

জিএইচ/এসজি(রাজ্যসভা টিভি)

 

 

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ