1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেলের নেতৃত্ব প্রশ্নের মুখে

৯ অক্টোবর ২০১৮

গতমাসে জার্মান সংসদে নিজের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহচর ফল্কার কাউডারকে হারিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ শনিবার তাঁর সিডিইউ দলের তরুণ কর্মীদের সংগঠন ‘ইয়ুঙ্গে উনিয়ন' বা জেইউ-র সম্মেলনেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে৷

Kiel Deutschlandtag der Jungen Union | Angela Merkel
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Rehder

তারপরও ডিসেম্বরে দলের সম্মেলনেম্যার্কেলের নেতৃত্ব কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে – এই কথা বিশ্বাস করার মতো রাজনৈতিক বিশ্লেষকের সংখ্যা কমই হবে৷

জেইউ-র সম্মেলনেও সেই ধারণা পরিষ্কার হয়েছে৷ বক্তারা ম্যার্কেলের সমালোচনা করলেও দলের জন্য এখনো যে নতুন নেতৃত্বের সময় আসেনি, তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছেন৷

জেইউ নেতা পাউল সিমিয়াক ম্যার্কেলের প্রতি দলকে আধুনিক করার আহ্বান জানিয়েছেন৷ তাঁর এই আহ্বানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন সম্মেলনে উপস্থিত কর্মীরা৷

জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যে ম্যার্কেলের ‘খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী দল' সিডিইউর সহযোগী দল হচ্ছে সিএসইউ৷ আগামী রবিবার ঐ রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ তবে সবশেষ জরিপে দেখা গেছে, সিএসইউ-র জনপ্রিয়তা এবার রেকর্ড পরিমাণ কমে গেছে৷

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সিএসইউ দল একাই বাভারিয়ার সরকার পরিচালনা করেছে৷ কারণ, দলটি প্রায় ৫০ শতাংশের মতো ভোট পেতো৷ কিন্তু সবশেষ জরিপ বলছে, সিএসইউ এবার ৩৩ শতাংশ ভোট পেতে পারে৷ রবিবারের নির্বাচনে যদি জরিপের ফলাফলের প্রতিফলন ঘটে, তাহলে এবার জোট সরকারের দিকে যেতে হতে পারে৷

বাভারিয়া রাজ্যে সিএসইউ দলের এই খারাপ পরিস্থিতির জন্য দলের অনেক কর্মী ম্যার্কেলকেই দায়ী করেন৷ তাই জেইউ-র সম্মেলনে ম্যার্কেল যখন বক্তব্য দিতে মঞ্চে উঠছিলেন তখন সিডিইউ-র তরুণ কর্মীরা দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানালেও সিএসইউ'র কর্মীরা বসেই থাকেন৷ শুধু তাই নয়, ম্যার্কেলের আধ ঘণ্টার বক্তব্যের সময় সিএসইউ'র কর্মীদের কেউ মোবাইলে চোখ রেখেছেন, আর কেউ সংবাদপত্র পড়েছেন৷

এমনকি মাটিয়াস ব্যুটগ্যার নামে সিএসইউ দলের এক কর্মী উঠে দাঁড়িয়ে ম্যার্কেলকে বলেন যে, তাঁর (ম্যার্কেল) নেতৃত্বে দল এগিয়ে যাবে বলে তিনি আর মনে করছেন না৷

সম্মেলন শেষে ব্যুটগ্যার ডয়চে ভেলেকে বলেন, সবশেষ সংসদ নির্বাচনে সিডিইউ-সিএসইউ জোটের খারাপ ফলাফলের পর গত এক বছর ধরে দলের অনেকেই বিষয়টি (ম্যার্কেলের নেতৃত্ব) নিয়ে খোলাখুলি মন্তব্য করছেন৷

সিএসইউ-র আরেক কর্মী টোমাস হাসলিঙ্গার ডয়চে ভেলেকে বলেন,ম্যার্কেলের প্রতি হতাশার কারণ তাঁর নেয়া শরণার্থী নীতি৷ ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁর নীতির কারণেই অস্ট্রিয়া থেকে অনেক শরণার্থী বাভারিয়ায় প্রবেশ করেছিল৷ ‘‘তাঁর সিদ্ধান্ত ঠিক, না ভুল ছিল, সে মূল্যায়ন আমি করব না৷ কিন্তু বাস্তব হচ্ছে, ঐ নীতির কারণে মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে,'' বলেন তিনি৷ শরণার্থীবিরোধী দল ‘জার্মানির প্রতি বিকল্প' বা এএফডি দলের আজকের উত্থানের জন্যও ম্যার্কেলকে দায়ী করেন হাসলিঙ্গার৷

সিএসইউ'র মতো সিডিইউ'র তরুণ কর্মীরাও ম্যার্কেলের সমালোচনা করেছেন৷ তবে তারপরও নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের সময় এখন নয় বলেও মনে করেন তাঁরা৷

বেন নাইট/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ