আকাশ থেকে তোলা ছবিতে দেখতে পাওয়া যায়, কোথায় বন্যা হয়েছে, কতটা বন্যা হয়েছে৷ কিন্তু যদি আকাশ মেঘে ঢাকা থাকে? তাহলে দরকার পড়বে জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস-এর রাডার স্যাটেলাইটের৷
বিজ্ঞাপন
সারা বিশ্বে বিজ্ঞানীরা এই তথ্য ব্যবহার করেন৷ যেমন বার্লিনের কাছে জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস-এর বিজ্ঞানীরা৷ একটি মানচিত্রে হয়তো দেখা যাচ্ছে, তেহরানের কাছে ভূগর্ভস্থ পানি বেশিমাত্রায় নিষ্কাশনের ফলে মাটি কতটা বসে গেছে৷
জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস-এর সার্ভেয়র ড. মাহদি মোতাঘ বলেন, ‘‘বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক অথবা মানব গতিবিধির ফলে যে সব বিপত্তির সৃষ্টি হয়, আমরা স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া রাডার তথ্য ব্যবহার করে তার ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও প্রভাব যাচাই করার চেষ্টা করি – যেমন দক্ষিণ অ্যামেরিকার চিলি অথবা মধ্য এশিয়ার কিরঘিজস্তান বা ইরানে৷''
রাডার সিগনাল দিয়ে যে শুধু শহর-নগর সার্ভে করা য়ায়, এমন নয়৷ ফ্রাইবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বনজঙ্গল সার্ভে করার জন্য এই ডাটা ব্যবহার করছেন৷
মহাকাশের বাড়ির কথা
মহাকাশে বসবাসের জন্য পৃথিবীর তিনজন বিজ্ঞানী ২০০০ সালের ২ নভেম্বর ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন’ বা আইএসএস-এ পৌঁছেছিলেন৷ ছবিঘরে থাকছে আইএসএস নিয়ে কিছু তথ্য৷
ছবি: Reuters/NASA
খালি চোখে দেখা যায়
চাঁদ যেমন, তেমনি আইএসএস-কেও পৃথিবী থেকে মাঝেমধ্যে খালি চোখে দেখা যায়৷ পৃথিবী থেকে এর উচ্চতা ৩৩০ থেকে ৪৩৫ কিলোমিটারের মধ্যে ওঠানামা করে৷ এটা সেকেন্ডে পাঁচ মাইল বেগে চলে৷ ফলে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে এর সময় লাগে দেড় ঘণ্টা৷ ছবিতে যে আটটি সোলার অ্যারে দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো দিয়েই সেখানকার বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো হয়৷ একসঙ্গে মোট ছয়জন নভচারী থাকতে পারেন সেখানে৷
ছবি: Reuters/NASA
প্রথম অধিবাসী
মাঝের জন মার্কিন উইলিয়াম শেফার্ড আর তাঁর দুপাশে দুই রাশিয়ান ইউরি গিডজেঙ্কো (বামে) ও সের্গেই ক্রিকালভ৷ এই তিনজনই আইএসএস এর প্রথম বাসিন্দা৷ ২০০০ সালের ২ নভেম্বের তাঁরা আইএসএস-এ পৌঁছান৷ ছিলেন ১৩৬ দিন৷
ছবি: NASA
সাড়ে পাঁচ মাস
নভচারীরা সাধারণত গড়ে সাড়ে পাঁচমাস করে থাকেন মহাকাশের এই বাড়িতে৷ তবে নাসার নভচারী স্কট কেলি (ছবিতে যাঁকে দেখছেন) ও রাশিয়ার মিখাইল করনিয়েনকো আইএসএস-এ থাকবেন প্রায় এক বছর৷
ছবি: Scott Kelly/NASA
মাল্টিন্যাশনাল
ক্যানাডার ক্রিস হ্যাডফিল্ড আইএসএস-এ গিটার বাজাচ্ছেন৷ গত ১৫ বছরে ২০০-র বেশি নভচারী এই বাড়ির বাসিন্দা হয়েছেন৷ এর মধ্যে ১৪১ জন মার্কিন নাগরিক, ৪৪ জন রাশিয়ার, জাপান ও ক্যানাডার সাতজন, ইটালির পাঁচজন, জাপান ও ফ্রান্সের তিন জন, আর ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, ডেনমার্ক, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, স্পেন, কাজাখস্থান ও মালয়েশিয়ার একজন করে নাগরিক রয়েছেন৷
ছবি: Reuters/NASA
শাটল বাস
মার্কিন স্পেস শাটল অ্যাটলান্টিসকে আইএসএস-এ ডক করতে দেখছেন৷ অবশ্য অ্যাটলান্টিস এখন আর নেই৷ তার জায়গায় আছে রাশিয়ার সুয়্যজ যান৷ এ ধরণের স্পেস শাটলে করেই নভচারীরা আইএসএস-এ পৌঁছান৷ অধিবাসীদের খাবার থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও যায় এসব যানে করে৷
ছবি: Getty Images/NASA
স্পেসওয়াক
শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নভচারীরা প্রায় ১৮০টি স্পেসওয়াক সম্পন্ন করেছেন৷
ছবি: Reuters/NASA
রোবটিক হাত
আইএসএস-এর কয়েকটি রোবটিক হাত রয়েছে৷ ছবিতে যেটা দেখছেন সেটার নাম ‘ক্যানাডার্ম২’৷ পুরো মেললে হাতটার দৈর্ঘ্য হয় ৫৭.৭ ফুট৷ এই হাত প্রায় ১০০ টন ওজন সমপরিমাণ জিনিসপত্র তুলতে পারে৷
ছবি: Reuters/NASA
টুইটার তারকা নভচারী
আইএসএস-এ জার্মানির তিন নভচারীর একজন আলেক্সান্ডার গেয়ার্স্ট৷ আইএসএস থেকে তিনি ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসেন৷ মহাকাশ থেকে একের পর এক টুইট করে রীতিমত সাড়া ফেলেছিলেন তিনি৷ ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে জার্মানির জয় থেকে শুরু করে মালালা ইউসুফজাইয়ের নোবেল জয় পর্যন্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নিয়ে মহাকাশ থেকে টুইট করেছিলেন গেয়ার্স্ট৷
ছবি: Getty Images/ESA/A. Gerst
8 ছবি1 | 8
তারা জানতে চান, জঙ্গলের একটি বিশেষ অংশে কি পরিমাণ গাছপালা, পাতা ইত্যাদি, অর্থাৎ বায়োমাস বা উদ্ভিদ পদার্থ আছে অথবা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গজিয়েছে৷
এ যাবৎ বিজ্ঞানীদের লেজার সার্ভেয়িং ইকুইপমেন্ট নিয়ে জঙ্গলে যেতে হতো৷ শীঘ্রই তার প্রয়োজন ফুরোতে পারে, কেননা মহাকাশ থেকে পাঠানো ডাটাও সঠিক তথ্য দিতে পারে৷ বিশ্বের বনজঙ্গল-বনানীর কতটা কার্বন ডাইঅক্সাইড ধরে রাখার ক্ষমতা আছে, জলবায়ু সংরক্ষণের জন্য তা জানা প্রয়োজন৷ জঙ্গলের মালিকরাও জানতে চান, গাছপালা কত তাড়াতাড়ি বাড়ছে৷ এ সব তথ্য পাওয়া যায় রাডার ডাটা থেকে৷
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রেও রাডার স্যাটেলাইট খুব কাজে লাগে৷ ডিএলআর সংস্থার যে নিজস্ব সংকট নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র আছে, সেখান থেকে খুব তাড়াতাড়ি একটি ভূমিকম্প বা বন্যাপীড়িত এলাকার রাডার ছবি একত্রিত করা যায়৷
ভূবিজ্ঞানী ড. টোবিয়াস শ্নাইডারহান বলেন, ‘‘বিশেষ করে বড় রকম বন্যা হলে, আকাশ মেঘে ঢাকা থাকলে, অপটিকাল ডাটা পাওয়া যায় না – কেননা ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা যায় না৷ তখন সত্যিই রাডার ডাটার প্রয়োজন পড়ে, কেননা রাডার তরঙ্গ মেঘ ভেদ করে যেতে পারে৷ কাজেই এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমাদের রাডার ডাটা ব্যবহার না করে উপায় নেই৷
নিভে যাওয়া তারা
সৃষ্টির সব কিছু নশ্বর৷ আকাশের তারাও অনন্তকালের জন্য নয়৷ তারাদের যখন মরণ ঘটে, তখন তারা রেখে যায় মহাকাশে এক আশ্চর্য বর্ণালী৷
ছবি: NASA
আকাশ ভরা সূর্য তারা
সব মানুষই কখনো না কখনো ভেবেছেন, আকাশে কত তারা....জ্বলছে, দপ দপ করছে৷ কিন্তু অনন্তকালের জন্য নয়৷ তারাদেরও মরণ আছে, যদিও তা আসবে লক্ষ কোটি বৎসর পরে...৷
ছবি: Ye Aung Thu/AFP/Getty Images
তারারা বাঁচে হাইড্রোজেন থেকে
আমাদের সূর্যও একটি তারা৷ তারারা গ্যাস ও প্লাজমা – অর্থাৎ ঘনীভূত তরল পদার্থ – দিয়ে তৈরি৷ আলো বিকিরণ করে৷ তারার ভেতরে হাইড্রোজেন মেলে হিলিয়ামের সঙ্গে, ফলে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি শক্তি উৎপাদিত হয়৷ কিন্তু কালে হাইড্রোজেন ফুরিয়ে আসে৷ তখন তারার শেষ দশা৷
ছবি: AP/NASA
সাদা বামন
সব তারা একভাবে ‘বুড়ো’ হয় না! হালকা তারাগুলো – যাদের ‘মাস’ বা পদার্থ হয়ত আমাদের সূর্যের এক-তৃতীয়াংশ – সেগুলো হাইড্রোজেন ফুরোলেই নিভে যায়; শুকিয়ে, কুঁকড়ে গিয়ে হয়ে দাঁড়ায় ‘হোয়াইট ডোয়ার্ফ’ বা ‘সাদা বামন’৷ দুঃখের বিষয়, সাদা বামনদের কোনো ছবি নেই – কিন্তু তারার হিসেবে তারা অতি ছোট, অনেকটা আমাদের পৃথিবীর মতো – যদিও ঘনত্ব অনেক বেশি৷ এই সাদা বামনরা এখনও খানিক উত্তাপ ছড়ায়, যদিও তা-ও একদিন অন্তর্হিত হবে৷
ছবি: NASA and H. Richer (University of British Columbia)
লাল দৈত্য
বড়, ভারী তারাগুলোর মরণ ঘটে একটু অন্যভাবে৷ হাইড্রোজেন ফুরোলেই তাদের তাপ বাড়ে অস্বাভাবিকভাবে৷ তাপমাত্রা দশ কোটি ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে পৌঁছালে হিলিয়াম পুড়তে শুরু করে! হিলিয়াম পুড়ে সৃষ্টি হয় কার্বন ও অক্সিজেন৷ তারাটা তখন ফুলে উঠে ‘রেড জায়ান্ট’ বা লাল দৈত্যের আকার ধারণ করে৷ এই সব লাল দৈত্য আমাদের সূর্যের ৮০০ গুণ এবং সূর্যের চেয়ে লক্ষ লক্ষ গুণ উজ্জ্বল হতে পারে৷
ছবি: NASA
মুমূর্ষু তারার শেষ নিঃশ্বাস
লাল দৈত্যরা বহুকাল ধরে স্থিতিশীল থাকে৷ কিন্তু আয়তন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ত্বক টেনে লম্বা হয়ে যায় ও ঘনত্ব হারায়৷ অপরদিকে তারার ভিতরের অংশ আরো ঘন হয় এবং তার তাপমাত্রা বাড়ে৷ তারাটা আর শক্তপোক্ত থাকে না৷ এমনকি তার ত্বক পুরোপুরি খসে যেতে পারে৷ সেই ত্বক তখন গ্রহতারকার নেবুলা হয়ে মহাকাশে ভেসে বেড়ায়৷ ছবিতে যেমন আমাইজেন নেবুলা বা পিঁপড়ের নেবুলা৷ ছবিটা তোলা হয়েছে হাবল টেলিস্কোপ থেকে৷
ছবি: NASA/R. Sahai
মুমূর্ষু তারার ভুতুড়ে আলো
ইএসও ৩৭৮-১ নেবুলার এই ছবিটি তোলা হয়েছে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার উত্তর চিলিতে স্থাপিত ‘ভেরি লার্জ টেলিস্কোপ’ দিয়ে৷ নেবুলাটির ডাকনাম হল ‘দক্ষিণের প্যাঁচা’৷ প্যাঁচাটির ব্যাস প্রায় চার আলোকবর্ষ!
ছবি: ESO
সুপারনোভা
খুব ভারী তারা থেকে সৃষ্ট লাল দৈত্যরা সব হিলিয়াম পুড়ে যাওয়ার পরও জ্বলতে থাকে৷ ফিউজন বা গলনের প্রক্রিয়া চলতে থাকে, তাপমাত্রা ক্রমেই আরো বাড়তে থাকে৷ শেষমেষ লাল দৈত্যটি একটি চমকপ্রদ সুপারনোভা বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যায়৷ ধ্বংসের আগে ঐ একটি তারা একটা গোটা নক্ষত্রপুঞ্জের মতো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে৷
ছবি: NASA
7 ছবি1 | 7
এই অ্যানিমেশনটায় জার্মানিতে বন্যার ফলশ্রুতি দেখা যাচ্ছে৷ বন্যাপীড়িত এলাকার উপর ডিএলআর-এর যে দু'টি স্যাটেলাইট স্থাপন করা ছিল, সেগুলোর পাঠানো রাডার ডাটার ওপর ভিত্তি করেই এই ছবি তৈরি করা হয়েছে, চলতি মানচিত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখে৷ ড. শ্নাইডারহান বললেন, ‘‘স্পষ্ট দেখা যায়, কোন শহরগুলো বন্যায় ভেসে গেছে৷ কোন বাড়িতে জল ঢুকেছে, কোনো গাড়ি জলে আটকা পড়েছে কিনা, কোন কোন রাস্তা এখনও ঠিক আছে আর কোনগুলোতে জলে ডুবেছে৷''
এই ডাটা থেকে পুলিশ, ত্রাণকর্মী, রেড ক্রস ইত্যাদিরা জানতে পারেন, কোথায় সাহায্য দরকার, কোথায় মানুষজন বিপদে পড়েছেন, কোথায় বন্যার প্রকোপ বেশি বা কম৷ ডিএলআর এভাবে জাতিসংঘের জন্যও ম্যাপ তৈরি করেছে৷
দু'টি নতুন স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷ এই দু'টি স্যাটেলাইট ভূমিকম্প, বৃক্ষশূন্যতা বা মরুকরণের পরিমাপ নিতে পারবে – বিপর্যয় ও সংকটের ক্ষেত্রে যে তথ্য বিশেষভাবে কাজে লাগবে৷
পরবর্তী কনকর্ড বিমানের খোঁজে নাসা
সুপারসনিক কনকর্ড বিমানের কথা নিশ্চয় মনে আছে! শব্দের গতির চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ গতিতে চলতে পারতো বিমানটি৷ এখন সেটি নেই৷ নাসা চাইছে এর বিকল্প তৈরি করতে৷
ছবি: NASA
কনকর্ডের কথা
১৯৭৬ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত আকাশে উড়েছে এই বিমান৷ সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টা প্রতি ১,৩৫৪ মাইল৷ অর্থাৎ শব্দের গতির (ঘণ্টায় ৭৬৮ মাইল) প্রায় দ্বিগুণ৷ কিন্তু এই বিমান উড়ত এবং আকাশে থাকত তখন এত বেশি শব্দ করত যে সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতি তার ছিল না৷ শুধু যেখানে যেতে সাগরের উপর দিয়ে উড়তে হত সেখানেই চলার অনুমতি ছিল কনকর্ডের৷
ছবি: Getty Images/AFP/C. De Souza
বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ
২০০০ সালে এয়ার ফ্রান্সের একটি কনকর্ড বিমান দুর্ঘটনায় পড়লে প্লেনে থাকা ১০০ জন যাত্রী ও ৯ জন কেবিন ক্রুর সবাই মারা যান৷ এরপর থেকে কনকর্ডে যাত্রীর পরিমাণ কমতে থাকে৷ ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার হামলার ঘটনায়ও সার্বিকভাবে বিমান যাত্রীর সংখ্যা কমতে থাকে৷ অন্যদিকে কনকর্ড রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বাড়তে থাকায় ২০০৩ সালে এর পরিচালনা বন্ধ করে দেয়া হয়৷
ছবি: AP/Toshihiko Sato
বিকল্পের সন্ধান
শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিতে বিমান চড়ার আগ্রহী যাত্রী আছেন অনেক৷ সেই চাহিদা মেটাতে নাসা এবার এমন বিমান তৈরি করতে চায় যেটা দ্রুতগতিতে যাওয়ার পাশাপাশি শব্দ করবে কনকর্ডের চেয়ে অনেক কম৷ বিমানটি দেখতে কেমন হবে শিল্পীর চোখ দিয়ে তার একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছে নাসা (উপরের ছবি)৷ তবে আসল বিমানের নকশা কে করবে তা ঠিক করতে নির্মাতাদের কাছ থেকে নকশা চাওয়া হয়েছিল৷ এর মধ্যে লকহিড মার্টিনকে বেছে নিয়েছে নাসা৷
ছবি: NASA/Lockheed Martin
নাসার আশা
কোয়াইট সুপারসনিক টেকনোলজি বা কিউএসএসটি বিমানের নকশা তৈরির জন্য আগামী ১৭ মাসে নাসার কাছ থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার পাবে লকহিড৷ নাসা আশা করছে, প্রয়োজনীয় অর্থ পেলে ২০২০ সালের মধ্যে এই বিমান পরীক্ষামূলকভাবে আকাশে উড়তে পারে৷
ছবি: NASA
লকহিডের নকশা
এই বিমানের নাম ‘সুপারসনিক গ্রিন মেশিন’৷ ওড়ার সময় যেন শব্দ (সনিক বুম) কম হয় সেজন্য প্লেনের পেছনের পাখায় ‘উলটো ভি’ এর মতো যে জিনিসটি দেখা যাচ্ছে সেখানে সুপারসনিক জেট ইঞ্জিন বসিয়েছে লকহিড৷ নাসার কমিটির সামনে ২০১০ সালে এই নকশা পেশ করেছিল লকহিড৷ সেসময় তারা জানিয়েছিল, ২০৩০-৩৫ সালের দিকে বিমানটি আকাশে উড়তে পারে৷
ছবি: NASA/Lockheed Martin Corporation
এন + ২
এটিও লকহিডের করা নকশা৷ তিনটি জেট ইঞ্জিন থাকবে এই বিমানে৷ একটি প্লেনের ওপর৷ অন্য দু’টি দুই ডানার নীচে৷ এয়ারক্রাফটটি হতে হবে বেশ লম্বা৷ ২০২৫ সালের মধ্যে এই প্রযুক্তি তৈরি সম্ভব বলে জানিয়েছে লকহিড৷ বিস্তারিত জানতে উপরে (+) চিহ্ন ক্লিক করুন৷
ছবি: NASA/Lockheed Martin
অ্যারিয়ন এএস২
এয়ারবাসের সঙ্গে মিলে অ্যারিয়ন কর্পোরেশন এই সুপারসনিক বিজনেস জেট এর নকশা করেছে৷ ২০ আসন বিশিষ্ট এই সুপারসনিক প্লেন কিনতে ইতিমধ্যে চুক্তি করেছে ফ্লেক্সজেট৷ তারা মোট ২০টি প্লেন কিনবে৷ প্রথম বিমান হাতে পাওয়ার কথা ২০২৩ সালে৷ ফ্লেক্সজেট এর প্রধান নির্বাহী বলেন, শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিতে চললেও আকাশে এই প্লেন চলার শব্দ ভূমি পর্যন্ত পৌঁছাবে না৷
ছবি: 2014 AERION CORPORATION
স্পাইক এস-৫১২
যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন ভিত্তিক স্পাইক এয়ারস্পেস এই সুপারসনিক বিজনেস জেট এর নকশা করেছে৷ এটি তৈরি হলে নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডন যেতে সময় লাগবে মাত্র ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা৷ ১২ থেকে ১৮ জন যাত্রী বহন করতে পারবে স্পাইক৷