ঘূর্ণিঝড় আমফানের আঘাতে বাংলাদেশে সাত জেলায় অন্তত ১২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে৷ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফান বুধবার দুপুরের পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানে৷ রাতে এ ঝড় প্রবেশ করে বাংলাদেশে৷
বিজ্ঞাপন
ঝড়ের মধ্যে প্রবল বাতাসে বহু গাছপালা ভেঙে পড়ে, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন উপকূলের ১০ লাখ মানুষ৷
এখন পর্যন্ত ঝড়ে ১২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷ এর মধ্যে তিনজন করে পিরোজপুর ও যশোরে, পটুয়াখালীতে দুজন এবং ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, ভোলা ও বরগুনায় একজন করে মারা গেছেন৷ তাদের বেশিরভাগই ঝড়ে গাছ বা ঘর চাপা পড়ে মারা পড়েছেন৷
সাগর উত্তপ্ত হওয়ার যে বিপদ
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে বিশ্বের মহাসাগরগুলি৷ ধেয়ে আসছে নানান রকমের বিপদ৷
ছবি: Fotolia/st__iv
দক্ষিণ মেরুর অবস্থা
অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে অ্যামেরিকার গ্রীষ্মপ্রধান শহর লস এঞ্জেলেসের কাছাকাছি হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসে৷ উত্তর অ্যান্টার্কটিকার আর্জেন্টিনিয়ান গবেষণা স্থল এসপেরেনজা বেসের তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ অ্যান্টার্কটিকায় গবেষকরা তাপমাত্রা মাপা শুরু করার পর থেকে আজ পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা৷ নাসা বলছে, তাপমাত্রা বাড়ার ফলে বরফ গলে পুকুর সৃষ্টি হয়েছে৷
ছবি: Earth Observatory/ NASA
বাড়বে ঘূর্ণিঝড়
মহাসাগরগুলি গরম হবার ফলে অতলান্ত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগর সংলগ্ন অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় বাড়বে বলে নাসা জানাচ্ছে৷
ছবি: AFP/Rammb/Noaa/Ho
সমুদ্রস্তরে যে বদল
উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুতে বরফ গলার কারণে বাড়ছে সমুদ্র স্তরের উচ্চতা৷ সমুদ্রতটবর্তী অঞ্চলে যেসব মানুষের বসবাস, বিপদগ্রস্ত হচ্ছে তাদের জীবন৷ শুধু তাই নয়, পৃথিবীর সার্বিক তাপমাত্রা বাড়ার ফলে এমন সব জায়গায় ঝড়ের প্রবণতা বাড়ছে, যা আগে হয়তো সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো না৷
চরম আবহাওয়ার ফলে শুধু সমুদ্রস্তরই বাড়ছে না, কিছু কিছু অঞ্চলে বাড়ছে শুষ্কতাও৷ নাসা জানাচ্ছে, খরা বাড়ার ফলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি সময় ধরে চলবে দাবানল৷
ছবি: Reuters/AAP Image/D.
ইকোসিস্টেমের ওপর চাপ
সাগর উষ্ণ হলে সেখানে বাস করা প্রাণীদের জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন আসে৷ মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণীর জলের তাপমাত্রা বাড়ার ফলে নিজেদের বাসস্থান বদলাতে বাধ্য হচ্ছে৷
ছবি: by-nc-sa/Joachim S. Müller
পানিতে অ্যাসিড
তাপমাত্রা বাড়ার ফলে জলে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়ে৷ এর ফলে, অ্যাসিডে ভরতে থাকে সাগর৷ এই বাড়ন্ত অ্যাসিডের জন্য মারা যাচ্ছে বেশ কিছু দুর্লভ প্রাণী, নানা প্রজাতির শ্যাওলা৷
কমছে অক্সিজেনের মাত্রা
জল গরম হলে সেখানকার অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকে৷ উষ্ণায়নের ফলে বাড়ন্ত তাপমাত্রা বিশ্বজুড়ে সাগর, নদী ও হ্রদকে করে তুলছে বিষাক্ত, অ্যাসিডযুক্ত৷ সাথে অক্সিজেনের মাত্রা কমায় প্রাণীরা নিঃশ্বাস নেবার জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Schmidt
বিষাক্ত শ্যাওলার ছড়াছড়ি
গরম, অক্সিজেনহীন জলে বিষাক্ত শ্যাওলা জন্ম নেয়৷ এর আগে চিলির উপকূলে লাল রঙের বিষাক্ত শ্যাওলা বাড়ার ফলে হাজার হাজার মাছ মারা যায়৷ এমন জিনিস ভবিষ্যতে অন্যান্য জায়গাতেও দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/F. Marquez
বদলাচ্ছে ঢেউয়ের গতি
জলের তাপমাত্রা বদলের ফলে বদলে যায় ঢেউয়ের চলন পথ৷ এর ফলে কিছু কিছু প্রাণী সাগর থেকে অন্যত্র গিয়ে পড়ছে৷ একদিকে কিছু কিছু অঞ্চল আগের থেকে বেশি ঠান্ডা হচ্ছে, আরেকদিকে অন্যান্য অঞ্চলে তাপমাত্রার পারদ ভাঙছে সমস্ত রেকর্ড৷ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে এমন ব্যাপক বদল পৃথিবীর প্রাণীবৈচিত্র্য বদলে দিচ্ছে৷ বিপদের সম্মুখীন অসংখ্য প্রাণীদের জীবন৷
ছবি: NGDC
9 ছবি1 | 9
ঝড়ে খুলনার কয়রা উপজেলায় প্রায় ১৪ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ কয়েকটি জায়গায় নদীর বাঁধ ভেঙ্গে নোনা পানিতে বাড়িঘর ও ফসলের জমি প্লাবিত হয়েছে৷ নোনাপানিতে গাছপালা ও জমির ফসল নষ্ট হয়ে যেতে পারে৷ কোথাও কোথাও সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে৷
বাংলাদেশে যে কয়েকটি জেলায় ঘূর্ণিঝড় আমফান সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালিয়েছে তার একটি উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা৷ বুধবার রাত নয়টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রটি ঘণ্টায় ১৫১ কিলোমিটারের বেশি বাতাসের গতিতে সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানে৷ এ সময় ঝড়ের সঙ্গে ১২ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস ছিল৷ জেলার অনেক জায়গায় পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তৃর্ণ অঞ্চল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে৷ ফলে এখনো ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না৷
বাংলাদেশে মূলত সাতক্ষীরা থেকে পটুয়াখালী উপকূলে ঝড়ের তাণ্ডব ছিল সবচেয়ে বেশি৷ পটুয়াখালীতে গাছ পড়ে এক শিশু মারা গেছে৷ এছাড়া নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) এক সদস্যের মরদেহ সকালে উদ্ধার করা হয়েছে৷
জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে জার্মানওয়াচ৷ ১৯৯৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ২০ বছরের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তৈরি করা হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স৷ বাংলাদেশ রয়েছে সাত নম্বরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Zumapress
ডমিনিকা
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের এই দ্বীপরাষ্ট্রটি রয়েছে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকার ১০ নম্বরে৷ সূচকে দেশটির স্কোর ৩২ দশমিক তিন তিন৷ দেশটিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতিবছর গড়ে তিন জনের বেশি মারা গেছেন৷ সম্পদের গড় বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ ১৩ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি৷ তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দুর্যোগের ঘটনা এই ২০ বছরে ঘটেছে কেবল আটটি৷
ছবি: Ocean College
নেপাল
নয় নম্বরে থাকা নেপালের সার্বিক সূচকে স্কোর ৩১ দশমিক পাঁচ৷ প্রতিবছর গড়ে মারা গেছেন ২২৮ জন৷ সম্পদের ক্ষতির বার্ষিক গড় ২২ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০ বছরে দুর্যোগের সংখ্যা ১৮০টি৷
ছবি: AP
থাইল্যান্ড
৩১ স্কোর নিয়ে আট নম্বরে অবস্থান এশিয়ার আরেক দেশ থাইল্যান্ডের৷ দেশটিতে ২০ বছরে গড়ে ১৪০ জন মারা গেছেন জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জটিলতায়৷ গড় বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে ৭৭৬ কোটি মার্কিন ডলার৷ এই সময়ে দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে ১৪৭টি৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Samad
বাংলাদেশ
৩০ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ রয়েছে তালিকার সপ্তম স্থানে৷ প্রতি বছর গড়ে ৫৭৭ জনের বেশি মারা গেছেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে৷ সম্পদের ক্ষতি হয়েছে গড়ে ১৬৮ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি৷ ২০ বছরে ১৯১টি দুর্যোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে ইনডেক্সে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
ভিয়েতনাম
ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা ভিয়েতনামের স্কোর ২৯ দশমিক আট তিন৷ ২০ বছরে গড়ে ২৮৫ জনের বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন৷ সম্পদের গড় ক্ষতির পরিমাণ ২০১ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি৷ দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে ২২৬টি৷
ছবি: DW/Benjamin Bathke
পাকিস্তান
২৮ দশমিক আট তিন স্কোর নিয়ে পাঁচে রয়েছে পাকিস্তান৷ গড়ে ৫০০ মানুষ মারা গেছেন প্রতি বছর৷ সম্পদের গড় ক্ষতি বছরে প্রায় ৩৮০ কোটি মার্কিন ডলার৷ দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে ১৫২টি৷
ছবি: AFP/Getty Images/A. Ali
ফিলিপাইন্স
১৭ দশমিক ছয় সাত স্কোর নিয়ে চারে অবস্থান ফিলিপাইন্সের৷ প্রতি বছর গড়ে মারা গেছেন ৮৭০ জনেরও বেশি৷ সম্পদের ক্ষতির পরিমাণ গড়ে প্রায় ৩১২ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি৷ ২০ বছরে দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে ৩১৭টি৷
ছবি: Reuters/R. Loaquinario
হাইতি
১৩ দশমিক আট তিন স্কোর নিয়ে তালিকার তিন নম্বরে রয়েছে হাইতি৷ ২০ বছরে গড় মৃত্যু ২৭৪ জন৷ গড় বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ ২৭ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি৷ দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে ৭৮টি৷ তালিকার অন্য সব দেশের তুলনায় ক্ষতি কম হলেও ছোট এ দেশের জন্য মাথাপিছু হিসেবে হাইতির এ পরিসংখ্যান বেশ ভয়াবহ৷ এ কারণেই অন্যদের পেছনে ফেলে এর স্থান হয়েছে তিন নম্বরে৷
ছবি: Imago/robertharding/C. Kober
মিয়ানমার
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার৷ দেশটির স্কোর ১০ দশমিক তিন তিন৷ ২০ বছরে গড়ে সাত হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন দেশটিতে৷ সম্পদের বার্ষিক ক্ষতি হয়েছে গড়ে ১৬৩ কোটি মার্কিন ডলার৷ দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে ৫৫টি৷
ছবি: DW/A. Islam
পুয়ের্তো রিকো
তালিকার শীর্ষে রয়েছে আরেক ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র পুয়ের্তো রিকো৷ দেশটির স্কোর মাত্র ছয় দশমিক ছয় সাত৷ পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে মনে হতে পারে অন্য সব দেশের তুলনায় পুয়ের্তো রিকোর ক্ষতি একেবারেই কম৷ মাত্র ৯১০৪ বর্গকিলোমিটার ক্ষেত্রফলের দেশটিতে বছরে গড়ে দেড়শ’ মানুষের মৃত্যু দেশটিকে গত ২০ বছরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশে পরিণত করেছে৷ সম্পদের গড় বার্ষিক ক্ষতি ৪৫৬ কোটি মার্কিন ডলার৷ দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে ২৫টি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Zumapress
10 ছবি1 | 10
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবার সকালে জানান, আমফান এখন স্থল নিম্নচাপের রূপ নিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থান করছে৷ দেশের সমুদ্র বন্ধরগুলোকে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে৷
বঙ্গোপসাগরে শতাব্দীর প্রথম ‘সুপার সাইক্লোন' এ পরিণত হওয়া আমফান উপকূলের দিকে ধেয়ে আসার সময় শক্তি কিছুটা ক্ষয় হয়ে আবার অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের পরিণত হয়েছিল৷ ঝড়টি উপকূলের কাছাকাছি চলে যাওয়ায় বুধবার সকালে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছিল বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস৷
বুধবার দুপুরের পর সেটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানে৷ কলকাতার উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাওয়ার সময় বাতাসের তীব্রতা ছিল ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটারের মত৷ বুধবার রাতে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূলে প্রবেশ করে৷ সন্ধ্যা ৭ টায় সাতক্ষীরায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫১ কিলোমিটার৷
যশোর-ঝিনাইদহ পেরিয়ে এটি এখন দেশের উত্তরাঞ্চেলে স্থল নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে৷ দিনভর এর প্রভাবে বৃষ্টি থাকবে৷ আরও বৃষ্টি ঝরিয়ে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে হতে এটি অস্তিত্ব হারাবে৷
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আমফানের প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ২০৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে৷ ঈশ্বরদীতে রেকর্ড করা হয়েছে ১৬০ মিলিমিটার, ঢাকায় ৭৪ মিলিমিটার৷
শুক্রবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক স্থানে ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি বর্ষণ (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে অধিদপ্তর৷