প্রাণে বেঁচে গেলেও রানা প্লাজার ধসের ঘটনায় আহত অনেক শ্রমিকই আগের চেয়েও দুঃসহ জীবনযাপন করছেন৷ চিকিৎসার পেছনে পাওয়া ক্ষতিপূরণের সমস্ত টাকাই খরচ হয়ে গেছে৷ দুর্ঘটনার পর অনেকেই শারীরিক ও মানসিক কারণে কাজে ফিরে যেতে পারেননি৷
বিজ্ঞাপন
মেশিনের নীচে আটকা পরে মৃত্যুর অপেক্ষায় চারদিন শুয়েছিল রুবিনা বেগম৷ কিন্তু সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর ১ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হলেও বেঁচে ফিরেছিলেন তিনি৷ এখন অবশ্য প্রায় সকালেই ঐ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলেই ভালো হতো বলে মনে করেন তিনি৷
অথচ মেশিনের নীচে চাপা পরে চারদিন আটকে থেকে মৃত্যুর গন্ধ নিতে নিতেই তিনি আরেকবার বাঁচার আশা করছিলেন, মমতাময়ী মায়ের মুখটি অন্তত একবার দেখার জন্য৷
কিন্তু পাঁচ বছর পেরোনোর পর যখন সংসার টানতে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে তখন রুবিনার প্রায়ই মনে হয় কীভাবে আর কেনই বা তিনি শিল্পক্ষেত্রে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভয়াবহতম ঐ দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরলেন!
৩৫ বছর বয়সি রুবিনার কাছে গেলে তিনি জানালেন তাঁর করুণ কাহিনি৷ বললেন, ‘‘উপার্জন করে ন'বছর ধরে আমিই আমার পরিবারে সহযোগিতা করেছি৷ কিন্তু এখন আমার হাতে নিয়মিত কাজ নেই৷ রানা প্লাজার ঘটনার পর যা ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলাম তার প্রায় বেশিরভাগই আমার চিকিৎসার পেছনে ব্যয় হয়েছে৷ দুর্ঘটনার পর আগের মতো কাজ করতে পারি না৷ তাই আর আয় নেই বললেই চলে৷ মাঝে মাঝে মনে হয় কেন বেঁচে গেলাম!''
ফিরে দেখা: আগুন, ভবন ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক খাত
বাংলাদেশে তৈরি পোশাক ইউরোপ, অ্যামেরিকার প্রায় সব শপিং মলেই পাওয়া যায়৷ পোশাক খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি৷ আর এই খাত যেসব দুর্ঘটনায় ক্ষতির মুখে পড়েছে সেগুলো থাকছে এই ছবিঘরে৷
ছবি: Reuters
২৫.০২.২০১০: ‘গারিব এন্ড গারিবে’ আগুন
সুইডেনের একটি জনপ্রিয় ফ্যাশন চেইনের জন্য কাপড় তৈরি করার সময় আগুনে প্রাণ হারান গারিব এন্ড গারিব ফ্যাক্টরির কমপক্ষে ২১ শ্রমিক৷ নিহতদের মধ্যে ১৩ জন ছিলেন নারী আর কারখানাটি ছিল গাজীপুরে৷
ছবি: Imago/Xinhua
১৪.১২.২০১০: দ্যাটস ইট স্পোর্টসওয়ারে আগুন
সে আগুন প্রাণ হারান কমপক্ষে ২৯ ব্যক্তি, আহত অন্তত ২০০৷ হাম্মিম গ্রুপের কারখানাটি আধুনিক ভবনে অবস্থিত হলেও অভিযোগ রয়েছে অগ্নি নির্বাপকের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা তাতে ছিল না৷ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাক উৎপাদন হতো কারখানাটিতে৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: picture-alliance/AP
২৪.১১.২০১২: তাজরীন ফ্যাশনসে আগুন
ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশন ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত কমপক্ষে ১১২, আহত কয়েকশত৷ নয় তলা ভবনটিতে আগুন লাগার পর অনেক পোশাক কর্মী লাফিয়ে পড়তে গিয়েও প্রাণ হারান৷ কেউ কেউ হয়েছেন জীবন্ত দগ্ধ৷ ভবনটির জরুরী বাইরে যাওয়ার গেটগুলো হয় বন্ধ ছিল, অথবা ব্যবহার অনুপযোগী ছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
তাজরীনের মালিকের বিচার শুরু
আশার কথা হচ্ছে, তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও তাঁর স্ত্রীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে৷ ঢাকার একটি আদালতে বিচার কাজ চলছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
১৪.০৪.২০১৩: রানা প্লাজা ধস
ঢাকার অদূরে সাভারে রানা প্লাজা ভবন ধসে প্রাণ হারান কমপক্ষে ১,১৩৮ ব্যক্তি, আহত কয়েক হাজার৷ ইতিহাসের অন্যতম বড় দুর্ঘটনা এটি৷ রানা প্লাজা ধসে ক্ষতিগ্রস্তরা এখনো ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পাননি৷ এই ঘটনায় দায়ীদের বিচার নিয়েও গড়িমসি চলছে৷
ছবি: Reuters
০৯.০৫.২০১৩: মিরপুর টেক্সটাইল ফ্যাক্টরিতে আগুন
মিরপুরে পোশাক কারখানায় আগুনে নিহত হয় কমপক্ষে আট ব্যক্তি৷ সেই ঘটনায় পোশাক কারখানাটির বাংলাদেশ অংশের প্রধান এবং একজন পুলিশ কর্মকর্তাও প্রাণ হারান বলে দাবি করেছে, পোশাক রপ্তানিকারকদের প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ৷ দ্রষ্টব্য: গ্যালারিটি তৈরিতে ক্লিন ক্লোদস ক্যাম্পেইন থেকে তথ্য নেয়া হয়েছে৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: Reuters
6 ছবি1 | 6
রানা প্লাজার সাত তলায় থাকা একটি গার্মেন্ট এর পকেট সেলাইয়ের কাজ করতেন রুবিনা৷ ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল যখন ভবনটি ধসে পরে তখন সেখান থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার পাওয়া প্রায় দু'হাজার শ্রমিকের মধ্যে তিনি একজন৷
রানা প্লাজার ওই ঘটনার পর থেকেই আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, সুশীল সমাজ এবং শ্রমিক ইউনিয়নগুলো একসাথে ৪০ লাখ শ্রমিকের কর্মস্থল, চার হাজারেরও বেশি কারখানার নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাপ তৈরি করে৷
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বাজার ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকার৷ অথচ এ শিল্পটির শ্রমিকরা বড় বড় দুর্ঘটনার শিকার হয়েও অরক্ষিতই রয়ে গেল৷
শ্রম-অধিকার কর্মীরা বলছেন, রানা প্লাজা ধসের পর সেখান থেকে উদ্ধার পাওয়া অনেক শ্রমিকই অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরেন৷ আবার অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরায় কাজে ফিরে যেতে পারেননি শেষ পর্যন্ত৷ এদের কেউ কেউ কাজের ব্যাপারে পুরোপুরি তৈরিও হতে পারেননি আজ পর্যন্ত৷
ন্যাশনাল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এর সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, ‘‘আহত শ্রমিকরা মানসিক ও শারিরীক সংকট নিয়েই বেঁচে আছে৷ বেশিরভাগই শারীরিক ক্ষত নিয়েই দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করছেন৷ কেননা তাঁদের জন্য পুরো সময় কাজ করা কঠিন৷ তাঁরা যে অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে পেয়েছিল, তা অতিদ্রুত শেষ হয়ে গেছে৷''
পোশাক শ্রমিকদের অনিশ্চিত ভবিষ্যত
বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকদের কর্ম পরিবেশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আমাদের ঢাকা প্রতিনিধি হারুন উর রশীদ স্বপন সম্প্রতি গিয়েছিলেন একটি পোশাক কারখানায়৷ তাঁর অভিজ্ঞতা ছবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই ছবিঘরে৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
অনিশ্চিত ভবিষ্যত
ঢাকার পূর্ব রামপুরার টিএম গার্মেন্টস-এর এই কর্মীরা জানেন না তাঁদের ভবিষ্যত৷ কারণ তাঁদের এখানে শ্রম আইন এবং মজুরি বোর্ড পুরোপুরি কার্যকর নেই৷ তাঁদের অগ্নিনিরাপত্তাও পর্যাপ্ত নয়৷ এমনকি ভবনটিও পুরনো৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
সংসার চালানো কষ্টকর
টিএম গার্মেন্টস-এর পোশাক কর্মী সুফিয়া বেগম যে বেতন পান তা দিয়ে সংসার চালান কষ্টকর৷ তবুও তার এরচেয়ে বেশি কিছু করার সুযোগ নেই৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
সর্বনিম্ন বেতনও পান না
সর্বনিম্ন বেতন ৩০০০ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও রাহেলা আক্তার তা পান না৷ তাঁকে বেতন দেয়া হয় ২৫০০ টাকা৷ সে নতুন বলেই তাঁকে নাকি কম বেতন দেয়া হয়৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
নতুন, তাই বেতন কম
সুমি বেগমেরও বেতন অনেক কম৷ কারণ তিনিও নতুন৷ খরচে পোষায় না বলে তাঁরা পাঁচজন মিলে একটি রুম ভাড়া নিয়ে থাকেন৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
গেটে তল্লাশি
এই পোশাক কর্মীদের গার্মেন্টস-এ প্রবেশ এবং বের হওয়ার আগে গেটে তল্লাশী চালানো হয়৷ আর ‘ফ্রেশ’ হতে গেলেও বলে যেতে হয়৷ আর ফিরতে যদি একটু দেরি হয়, তাহলে মেলে গালমন্দ৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ
ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেন এঁরা৷ তাপ ওপর মেশিনপত্রও পুরনো৷ কাজ করতে গিয়ে পুরনো মেশিনপত্রের কোনো ক্ষতি হলে কখনো কখনো জরিমানাও করা হয় তাঁদের৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
রঙিন স্বপ্ন
রঙিন পোশাক আর রঙিন স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় আসেন কুড়িগ্রামের মৌসুমী৷ পোশাক কারখানায় কাজ নেয়ার পর ধীরে ধীরে তাঁর স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছে৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
শ্রমিকরা অপুষ্টির শিকার
আছিয়া বেগমকে দেখেই বোঝা যায় তিনি অপুষ্টির শিকার৷ সকাল-সন্ধ্যা গার্মেন্টস-এ কাজ করেও তিনি জোটাতে পারেন তাঁর প্রয়োজনীয় খাবার৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
8 ছবি1 | 8
যেখানে রানা প্লাজা ধসেছিল সেই জায়গায় এখন ঘাস জন্মেছে৷ রয়েছে আবর্জনার স্তূপ৷ প্রতিবছর ২৪ এপ্রিল সেখানেই ফুল দিয়ে নিহতদের স্মরণ করা হয়৷
সেখানে থাকা ধুলায় ধুসরিত হয়ে যাওয়া এপিটাফে লেখা – ‘অশ্রুসিক্ত নয়নে আমরা তোমাদের স্মরণ করছি এবং আমরা কখনো ভুলবো না৷'
তিনি বলেন, ‘‘গত কয়েকবছর ধরে কেউ আমাদের খোঁজও নেননি৷ আমি যে ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলাম তা মেয়ের বিয়ে, দু'টি গরু কিনে এবং চিকিৎসার পেছনে অনেক আগেই খরচ হয়ে গেছে৷এখন আমি মিষ্টি বানাই আর বিক্রি করি৷''
৪০ বছর বয়সি লুৎফা বেগম রানা প্লাজার আট তলায় পায়জামা সেলানোর কাজ করতেন৷ তিনি স্পষ্ট মনে করতে পারেন দুর্ঘটনার সময়টি৷
তিনি বলেন, ‘‘আগের দিন ভবনে বড় ফাটল থাকায় আমাদের ভবনটি খালি করতে বলা হয়েছিল৷ ভবন ধসের দিন আমরা শক্তভাবে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম মাত্র৷ কারণ আমরা জানতাম আমাদের সামনে কোনো ভবিষ্যত নেই৷''
‘‘আমার স্বপ্ন ছিল আমি গ্রামে গিয়ে একটি দোকান খুলবো৷ শেষ কয়েক বছরে সেই বিশ্বাস ক্রমাগত ভেঙে গিয়েছে৷''
রানা প্লাজার আহতরা দুঃসহ সেই স্মৃতি নিয়েই জীবনযুদ্ধে ফের নেমেছেন৷ নতুন জীবন যেন তাদের পুরনো জীবনের চেয়ে আরও কঠিন, স্বপ্নহীন!
এইচআই/ডিজি
পাঠক, প্রতিবেদনটি আপনাদের কেমন লাগল তা নীচের ঘরে জানান৷
বাংলাদেশি পোশাক শ্রমিকদের পাশে জার্মানি
রানা প্লাজা বিপর্যয়ের দেড় বছর পর জার্মানি যে ‘টেক্সটাইলস পার্টনারশিপ’ চালু করেছে, সে উপলক্ষ্যে ফেডারাল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রী গ্যার্ড ম্যুলার বাংলাদেশ যান৷ নিজের চোখে দেখেন সেখানকার মানুষ ও তাঁদের উন্নয়নকে৷
ছবি: DW/S. Burman
‘মেড ইন বাংলাদেশ’
রানা প্লাজা বিপর্যয় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গার্মেন্টস রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে৷ চালু হয়েছে ‘‘অ্যাকর্ড’’, ‘‘অ্যালায়েন্স’’ এবং ‘‘টেক্সটাইলস পার্টনারশিপ’’ মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, যার উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের গার্মেন্টস ওয়ার্কারদের কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা৷
ছবি: DW/S. Burman
একযোগে
জার্মান উদ্যোগের লক্ষ্য হলো, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এক করা৷ গাজিপুরের ডিবিএল গ্রুপ ‘‘টেক্সটাইলস পার্টনারশিপ’’-এ যোগ দিয়েছে ও ইতিমধ্যেই একাধিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করেছে৷ জার্মান উন্নয়নমন্ত্রী গ্যার্ড ম্যুলার তাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং এই আশা প্রকাশ করেন যে, অন্যান্য সংস্থাও এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করবে৷
ছবি: DW/S. Burman
মোটরসাইকেলে
প্রায় দেড়’শ নতুন লেবার ইনস্পেক্টরদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে, কারখানাগুলোর পরিস্থিতির উপর নজর রাখার জন্য৷ কোনো সংকট ঘটলে যানজট এড়িয়ে চটজলদি অকুস্থলে পৌঁছানোর জন্য তাদের মোটরসাইকেল দেওয়া হয়েছে৷
ছবি: DW/S. Burman
লুডো খেলাও সচেতনতা বাড়ায়
গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকরা প্রধানত মহিলা, নিজেদের আইনি দাবিদাওয়া সম্পর্কে তাঁদের বিশেষ ‘জানকারি’ নেই৷ কাজেই কারখানায় ‘‘মহিলাদের কাফে’’ সৃষ্টি করে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, সেই সঙ্গে বিনোদনের জন্য লুডো খেলা৷
ছবি: DW/S. Burman
কাজের জায়গায়
পরিস্থিতি কিছুটা অন্যরকম৷ দিনে দশ থেকে চোদ্দ ঘণ্টা কাজ৷ ‘‘টেক্সটাইলস পার্টনারশিপ’’ এই অনলস কর্মীদের কাজের পরিবেশের উন্নতি ঘটাতে চায়৷
ছবি: DW/S. Burman
রাজনীতিও শামিল
বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ গাজিপুরের ডিবিএল গ্রুপের ফ্যাক্ট্রিতে জার্মান উন্নয়নমন্ত্রী গ্যার্ড ম্যুলারের সঙ্গে যোগ দেন এবং সহযোগিতা সম্পর্কে আলোচনা করেন৷ গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতি ঘটানোর জন্য সরকারের উদ্যোগ বিশেষভাবে প্রয়োজন৷
ছবি: DW/S. Burman
মিনি ফায়ার ব্রিগেড
গ্যার্ড ম্যুলার গাজিপুরে ডিবিএল গ্রুপের কারখানার নতুন ‘খুদে দমকল বাহিনীর’ উদ্বোধন করেন৷ এই ফায়ার ব্রিগেড এক কিলোমিটার ব্যাসের এলাকার মধ্যে অগ্নি নির্বাপণে সক্ষম৷ ম্যুলারের সঙ্গে ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ৷
ছবি: DW/S. Burman
চাইল্ড কেয়ার
শ্রমিক কল্যাণ উদ্যোগের অংশ হিসেবে কারখানা প্রাঙ্গণে ডে-কেয়ার সেন্টার সৃষ্টি করে মহিলা শ্রমিকদের শিশুসন্তানদের দেখাশোনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷
ছবি: DW/S. Burman
সবে মিলে করি কাজ
জার্মান সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা, মালিকপক্ষ, বিদেশি ক্রেতা এবং অপরাপর সংশ্লিষ্টরা সকলে একত্রিত হয়ে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করছেন৷
ছবি: DW/S. Burman
লক্ষ্য
বাংলাদেশ বর্তমানে ২৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের গার্মেন্টস রপ্তানি করে থাকে৷ সরকার সেটাকে ২০২১ সাল – অর্থাৎ দেশের পঞ্চাশতম বার্ষিকীর মধ্যে ৫০ বিলিয়নে দাঁড় করাতে চান৷ জার্মান উন্নয়ন মন্ত্রী গ্যার্ড ম্যুলার গত ৭ই অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন৷