রানা প্লাজা ধসের চার বছর পরও শ্রমিকদের প্রায় অর্ধেক বেকার৷ পঙ্গুত্বের দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছেন৷ তাঁদের ক্ষতিপূরণ বা পূনর্বাসনের সমন্বিত কোনো উদ্যোগও নেই৷ ৩০ শতাংশ শ্রমিক এখনো ট্রমায় আক্রান্ত৷
বিজ্ঞাপন
রানা প্লাজা ধসের চার বছরের ওপর অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে৷ সেই গবেষণায় দেখা গেছে, ওই ঘটনায় আহত শ্রমিকদের মধ্যে ৪২.৪ শতাংশ এখনো বেকার৷ তার গত চার বছরে কোনো কাজ পায়নি৷ আর কাজ না থাকায় তারা এখন মানবেতর জীবন যাবন করছেন৷ সহায়তার নামে সরকার ও বিভিন্ন সংস্থা থেকে যে সামান্য তথ্য পেয়েছেন তাতে চিকিৎসা চালানোই কঠিন ছিল৷ অ্যাশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এরা সবাই নিঃস্ব হয়ে গেছেন৷ কেউ তাদের শেষ সম্বল দুই -তিন শতক জমি অথবা বসতবাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন৷ অনেকেই দিন মজুরে পরিণত হয়েছেন৷''
সাভারে ‘রানা প্লাজা’ ধসে বহু হতাহত
২৪ এপ্রিল সকাল ৯ টায় সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত নয় তলা ‘রানা প্লাজা’ ধসে পড়ে৷
ছবি: Reuters
আগেই ফাটল দেখা দিয়েছিল
২৪ এপ্রিল সকাল ৯ টায় সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত নয় তলা ‘রানা প্লাজা’ ধসে পড়ে৷ সাভার মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার সকালে ফাটল দেখা দেয়ার পরপরই ওই ভবনে থাকা চারটি গার্মেন্ট কারখানা ও ব্যাংক বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল৷ তবে ২৪ এপ্রিল সকালে কারখানায় আবার কাজ শুরু হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বহু হতাহত
১০ মে সকাল পর্যন্ত ধসে পড়া রানা প্লাজা থেকে ১০৩৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷ এসব লাশের অধিকাংশই পোশাক শ্রমিকদের৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘প্রয়োজনীয় যন্ত্র নেই’
ফায়ার সার্ভিসসহ উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা বলছেন, ব্যাপক ধ্বংসের ঘটনা ঘটেছে৷ এমন ধ্বংসস্তূপ সরানোর মতো প্রয়োজনীয় যন্ত্র নেই৷ এ কারণে উদ্ধারকাজ চালাতে সমস্যা হচ্ছে৷
ছবি: Reuters
এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন
সাভারে ধসে পড়া বহুতল ভবনে এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন বলে জানিয়েছেন উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা৷ সকালে ভবন ধসের পরপরই স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতায় এগিয়ে আসেন৷ এরপর ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন৷
ছবি: Reuters
রক্ত চাই
ধ্বংসস্তুপ থেকে থেকে উদ্ধার করা শত শত আহতের জন্য প্রচুর রক্ত প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা৷ এজন্য ব্লগ, ফেসবুকের মাধ্যমে সকলকে রক্ত দানে আহ্বান জানানো হয়েছে৷ বিভিন্ন সংগঠনও রক্ত সংগ্রহে নেমেছে৷
ছবি: Reuters
জোর করে ঢোকানোর অভিযোগ
আগের দিন ভবনে ফাটল দেখা দেয়ায় ঐ ভবনে থাকা পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজে যেতে না চাইলেও মালিকরা তাদেরকে জোর করে ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে৷
ছবি: Reuters
ইমারত বিধিমালা মানা হয়নি
‘রানা প্লাজা’ ইমারত বিধিমালা সঠিকভাবে অনুসরণ করে নির্মিত হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর৷ বুধবার দুপুরে তিনি ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন৷ বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘কিছু হরতাল সমর্থক ভবনটির ফাটল ধরা দেয়ালের বিভিন্ন স্তম্ভ এবং গেট ধরে নাড়াচাড়া করেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন৷ ভবনটি ধসে পড়ার পেছনে সেটাও একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে৷'' (ফাইল ফটো)
ছবি: Reuters
হরতাল প্রত্যাহার
উদ্ধার তৎপরতা নির্বিঘ্ন এবং আহতদের দ্রুত চিকিৎসার পথে বাঁধা দূর করতে হরতাল প্রত্যাহার করেছে বিএনপি৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এজন্য বিএনপিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷
ছবি: Harun Ur Rashid
সরকারের আশ্বাস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন৷ এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা, ত্রাণ ও পুনর্বাসনের জন্য যা যা করা দরকার তা করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার৷
ছবি: dapd
খালেদার শোক প্রকাশ
ভবন ধসে প্রাণহানির ঘটনায় বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া গভীর শোক প্রকাশ করেছেন৷ উদ্ধারকাজ যথাযথভাবে চালাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷ খালেদা জিয়া শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন৷
ছবি: Reuters
10 ছবি1 | 10
কেন তারা কাজ পাচ্ছেন না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আহতদের কেউ কেউ পুরোপুরি কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন, কেউ কেউ এখনো ট্রমায় আক্রান্ত৷ পোশাক কারখানায় কাজ করতে গেলে ভয় পান৷ আবার কেউ কাজ করতে সক্ষম হলেও কারখানাগুলো তাদের কাজ দিতে চায় না৷''
ফারাহ কবীর বলেন, ‘‘বিচ্ছিন্নভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান বা এনজিও তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করলেও সমন্বিত কোনো উদ্যোগ নেই৷ ফলে ওই বিচ্ছিন্ন উদ্যোগ তেমন কাজে আসছে না৷''
‘অবিস্মরণীয়, অমার্জনীয়: রানা প্লাজা' শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,‘‘রানা প্লাজা ধসে আহত শ্রমিকদের ১৩.১ শতাংশের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে৷ ৩০.৮ শতাংশের মানসিক স্বাস্থ্য স্বাভাবিক নয়৷ আবার গত এক বছর ধরে ৯০ শতাংশ আহত শ্রমিক শারীরিক ও মানসিক কেনো ধরণের চিকিৎসাই পাচ্ছে না৷''
Farah Kabir - MP3-Stereo
ফারাহ কবীর জানান, ‘‘অ্যাকশন এইড গত চার বছর ধরেই রানা প্লাজা ধসে নিহতদের পরিবার এবং আহতদের পর্যবেক্ষণ করছে৷ তাদের সর্বশেষ গবেষণা পরিচালিত হয় দুঘর্টনায় আহত ১ হাজার ৪০৩ জন শ্রমিক এবং নিহত শ্রমিকের পরিবারের ৬০৭ জনের ওপর৷ আর তাতে দেখা যায়, আহত শ্রমিকদের মধ্যে ৪২.২ শতাংশ এখনো বেকার৷ কাজে যুক্ত হয়েছেন ৫৭ শতাংশ শ্রমিক৷ এছাড়া ২৬ শতাংশ শ্রমিক পরিকল্পনার অভাবে কোনো কাজে যুক্ত হতে পারছেন না৷''
রানা প্লাজার অনেক শ্রমিকের এখানো খোঁজ মেলেনি৷ শ্রম মন্ত্রণালয়ের দেয়া তালিকায় নিখোঁজের সংখ্যা বলা হয়েছে, ৩৭৯ জন৷ তাদের মধ্য থেকে দুই দফা ডিএনএ টেস্টে ১৯৯ জনের পরিচয় মিলেছে৷ এখনো নিখোঁজ ১৬২ জন শ্রমিক৷
আর সেরকমই এক হতভাগ্যের বাবা আবুল কাসেম৷ রানা প্লাজা ধসে তার বড় ছেলে উজ্জ্বল আর ছেলের বউ খাদিজা নিহত হয়েছে৷ ছোট ছেলে আফজাল এখনো নিখোঁজ৷ ডিএনএ টেস্টের পরও ছেলের খোঁজ পাননি৷ তাই প্রতি বছর ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজার সামনে আসেন৷ চোখের জলে ভাসান বুক৷ সোমবার সকালে রানা প্লাজার সামনে থেকেই তিনি টেলিফোনে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘শুধু এপ্রিলের ২৪ তারিখ নয়, আমি প্রতি মাসের ২৪ তারিখই এখানে আসি৷ এখানে আমার সব শেষ হয়ে গেছে৷ সন্তানদের হারিয়েছি৷''
ABul Kashem - MP3-Stereo
সন্তান হারানোর ব্যথা নিয়ে তিনি জানান, ‘‘সরকারের দিক থেকে কোনো সহায়তা পাইনি৷ বায়ারদের কাছ খেকে কিছু পেয়েছি৷ আর নিখোঁজ সন্তানের জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি৷''
আবুল কাসেমের এখন দুই মেয়ে বেঁচে আছেন৷ কিন্তু দুই ছেলেকে হারিয়ে তিনি এখন অসহায়৷ শোক আর দারিদ্র্য তাঁকে পথে নামিয়েছে৷
এখনও ক্ষতিপূরণ নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সুরাহা হয়নি৷ হতাহতদের ক্ষতিপূরণের জন্য আন্তর্জাতিক বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে মিলে আইএলওর নেতৃত্বে ৩০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ সেখানে ২৪ মিলিয়ন ডলার জমা পড়েছে৷ ৫ হাজার আবেদনের মধ্য থেকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য বাছাই করা হয়েছে ২৯০৯ জনকে৷ তাদের আংশিক ক্ষতিপূরণ দেয়া হরেছে৷ প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে দেয়া ২২ কোটি টাকার অনুদানও এই তহবিলের আওতায় ধরা হয়েছে৷
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে সেখানে থাকা ৫টি তৈরি পোশাক কারখানার ১ হাজার ১৩৬ জন শ্রমিক নিহত হন৷ ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে গুরুতর আহত ও পঙ্গু হন কয়েক হাজার শ্রমিক৷
রানা প্লাজার বিভীষিকার কথা জার্মানরা ভোলেনি...
বন শহরে ছোট্ট একটা জমায়েত৷ উদ্দেশ্যটা কিন্তু বড় এবং মহৎ৷ আয়োজকরা চান, বাংলাদেশের আর কোনো পোশাক কারখানায় যেন মৃত্যুর বিভীষিকা নেমে না আসে৷ সেই লক্ষ্যে সচেতনতা বাড়াতেই ‘স্বচ্ছ কাপড়’-এর দাবি নিয়ে হাজির হয়েছিল ফেমনেট৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
ক্ষতিপূরণ এবং ন্যায্য মূল্য দাও
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের দুরবস্থা সম্পর্কে ইউরোপকেও সজাগ করেছে৷ বাড়ছে সবার মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ৷ ‘ফেমনেট’ নামের সংগঠনটি সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে৷ জার্মান কোম্পানিগুলো যাতে বাংলাদেশ থেকে কাপড় কেনার সময় ‘ন্যয্য’ দাম দেয় এবং এর মাধ্যমে যাতে শ্রমিকদের দুর্ভোগ কমানোয় ভূমিকা রাখে – এই দাবি তুলছে তারা৷ বুধবার বন শহরে আয়োজিত সমাবেশেও তোলা হয়েছে এই দাবি৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
কারা আপনার পোশাক তেরি করছে তা কি জানেন?
দর্শকদের জন্য স্ট্যান্ডে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের কিছু নমুনা৷ পোশাকের সঙ্গে সাদা কাগজে বড় করে লেখা হয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের জার্মান ক্রেতা কোম্পানিগুলোর নাম৷ এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেই রানা প্লাজার ধসে নিহত, আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ এবং পোশাকের ন্যায্য মূল্য দাবি করেছে ফেমনেট৷ কাপড়ের স্ট্যান্ডটির অদূরে একটি ব্যানার, তাতে লেখা, ‘কারা আপনার পোশাক তেরি করছে তা কি জানেন?’
ছবি: DW/A. Chakraborty
বন্ধুর হাত....
কফিনের কাপড় দিয়ে তৈরি ‘বডি ব্যাগ’৷ বুধবারের সমাবেশে মৃতদেহ বহনের কাজে লাগে এমন কিছু ব্যাগও ছিল৷ বাংলাদেশের শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি, স্বাস্থ্যসম্মত এবং নিরাপদ কাজের পরিবেশ পায় না৷ অনেক সময় কাজ করতে গিয়ে লাশ হতে হয় তাদের৷ ‘বডি ব্যাগ’-এ হাতের ছাপ দিয়ে রানা প্লাজা ট্র্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণ এবং পোশাক শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের দাবি করা হলো৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
সহমর্মী...
স্থানীয় সাংবাদিকদের একজন দায়িত্ব পালন শেষে নিজের হাতদুটোও রংয়ে রাঙালেন৷ ‘বডি ব্যাগ’-এ হাতের ছাপ দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে হবে যে! ‘ক্লিন ক্লথ’ অর্থাৎ স্বচ্ছ পোশাক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে ফেমনেট৷ তাদের সঙ্গে আরো রয়েছে খ্রিশচান ইনিশিয়েটিভ রোমেরো, ইনকোটা-নেটওয়ার্ক এবং স্যুডভিন্ড ফাউন্ডেশন নামের তিনটি সংগঠন৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
৫ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে
স্বেচ্ছাসেবকদের সংগঠন ফেমিনেটের এক কর্মী৷ তাঁর হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘‘বেনেটন, পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাও৷’’ তৈরি পোশাক ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা ইতিমধ্যে সাফল্যের মুখ দেখেছে৷ ‘পার্টনারশিপ ফর সাস্টেনেবল টেক্সটাইল’ নামের একটি জোট তৈরি হয়েছে জার্মানিতে, যারা শ্রমিকদের স্বার্থকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
চলতে চলতে ছবি তোলা...
পোশাক কারখানার মালিকরা কম মজুরি দিয়ে যে পোশাক তৈরি করে, বিদেশি ক্রেতারা কম দামে যে কাপড় কেনে তাতে তো শ্রমিকের কষ্টের অদৃশ্য কালি লেগেই থাকে! সেই কালিমুক্ত কাপড়ের দাবি পূরণ করতে ফেমিনেট-এর এই ‘স্বচ্ছ কাপড়’ ক্যাম্পেন৷ তাদের সমাবেশের পাশ দিয়ে যাবার সময় ব্যস্ত পথচারীরা থমকে দাঁড়াচ্ছিলেন৷ কাজের তাড়া ছিল বলে যাঁরা বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তাঁদের অনেকেই যাবার আগে ছবি তুলে স্মৃতি রেখে দিতে ভুল করেননি৷