সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় এখনো ১৮২ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি নামে শ্রমিকদের একটি সংগঠন৷
বিজ্ঞাপন
এছাড়া রানা প্লাজা ধসের দিন ২৪ এপ্রিলকে ‘শ্রমিক নিরাপত্তা ও শোক দিবস' হিসেবে ঘোষণা করে ঐদিন সকল কারখানায় ছুটি ঘোষণারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি৷
শনিবার তোপখানা রোডে ‘নির্মল সেন মিলনায়তন'এ আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সংগঠনের সমন্বয়ক শ্রমিক নেত্রী তাসলিমা আখতার এই দাবি করেন৷ তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যে তালিকা পাওয়া গেছে তা অসংলগ্ন৷
সংবাদ ব্রিফিংয়ের পর ডয়চে ভেলের সঙ্গে আলাপকালে তাসলিমা আখতার বলেন, এখনো যে ১৮২ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে এর মধ্যে ১৪৬ জনের ডিএনএ ও কবর খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ আর ৩৬ জনের ডিএনএ শনাক্ত হলেও তাদের যোগাযোগের ঠিকানা ও ফোন নম্বরে গরমিল রয়েছে৷ ব্রিফিংয়ে তিনি ১৪৬ জন শ্রমিকের নামের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেন৷
তাসলিমা আখতার বলেন, নিখোঁজ শ্রমিকের নামের তালিকা সরকার, সেনাবাহিনী, বিজিএমইএসহ যারা রানা প্লাজা নিয়ে কাজ করছে এমন সংগঠনের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে৷ নিখোঁজদের অবিলম্বে নিহত ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আর কিছুদিন পরই রানা প্লাজা ধসের এক বছর পূর্ণ হবে৷ অথচ এখনো নিখোঁজ শ্রমিকদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়নি৷ এমনকি বিজিএমইএতে রানা প্লাজার কারখানাগুলোর সেলারি শিট (মজুরি তালিকা) থাকলেও তারা প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করছে না৷''
ইতোমধ্যে নিখোঁজদের যেসব তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে গরমিল রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘আমরা আশা করেছিলাম সরকার যথাযথ তালিকা তৈরি করে শ্রমিকদের হয়রানি থেকে মুক্ত করবে৷ কিন্তু বেশিরভাগ তালিকা জনসাধারণের নাগালের বাইরে৷ আর যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে তাতে রয়েছে নানা অসঙ্গতি৷ এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে দু'টি ডিএনএ রিপোর্ট প্রকাশ করা হলেও তাতেও নানা অসঙ্গতি রয়েছে৷ এটা অবিলম্বে দূর হওয়া দরকার৷''
রানা প্লাজায় আহতদের সহায়তায় জার্মানিতে প্রদর্শনী
রানা প্লাজা ধসে আহত পোশাক শ্রমিকদের সহায়তায় জার্মানির বিলেফেল্ড শহরে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী৷ একটি গির্জায় আয়োজিত এই প্রদর্শনী থেকে সংগৃহীত অর্থ ব্যয় হবে আহত শ্রমিকদের সহায়তায়৷
ছবি: DW/A. Islam
বিলেফেল্ডে প্রদর্শনী
জার্মানির বিলেফেল্ড শহরের একটি গির্জায় ২৬ জানুয়ারি প্রদর্শন করা হয় একদল পোশাক শ্রমিকের ছবি, যাঁরা রানা প্লাজা ধসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত৷ প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য, ২০১৩ সালের ভবন ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এ সব মানুষ সম্পর্কে জার্মানদের জানানো৷ পাশাপাশি তাঁদের সহায়তায় অর্থ সংগ্রহ৷
ছবি: DW/A. Islam
শুধু ছবি নয়
বিলেফেল্ডে গির্জার পাশের সম্মেলন কক্ষে পোশাক শ্রমিকদের বিভিন্ন ছবির পাশেই শোভা পাচ্ছিল কিছু টি-শার্ট৷ সাদা এই টি-শার্টের উপরে লেখা রয়েছে ‘ফেয়ার ওয়্যার ফাউন্ডেশন’৷
ছবি: DW/A. Islam
উৎসুক দৃষ্টি
একটি ছবির ক্যাপশনের দিকে প্রদর্শনীতে আগত দর্শকদের উৎসুক দৃষ্টি৷
ছবি: DW/A. Islam
ছিলেন বাঙালিরাও
বিলেফেল্ডে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছবি প্রদশনীটি দেখতে গির্জায় হাজির হন৷ সাভারে পোশাক শ্রমিকদের করুণ পরিণতিতে স্বাভাবিকভাবেই ব্যথিত তাঁরা৷
ছবি: DW/A. Islam
গির্জার ভেতরে
গির্জায় রবিবার প্রার্থনা সভা চলাকালে বাংলাদেশের এই ছবিটিসহ আরো কয়েকটি ছবি প্রদর্শন করা হয় প্রার্থনা কক্ষের ভেতরেই৷ বাংলাদেশ সম্পর্কে জার্মানির আমজনতাকে ধারণা দেওয়ার ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ স্থানীয় গণমাধ্যমেও সাড়া জাগিয়েছে৷
ছবি: DW/A. Islam
আয়োজকের কথা
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালে স্বেচ্ছাসেবী ব্যার্নহার্ড হ্যার্টলাইন প্রদর্শনীর আয়োজন করেন৷ ভবন ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থা জানতে সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন তিনি৷ উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের এপ্রিলে সাভারের রানা প্লাজা ধসে এগারোশ’র বেশি মানুষ নিহত এবং কয়েক হাজার আহত হন, যাঁদের অধিকাংশই পোশাক শ্রমিক৷
ছবি: DW/A. Islam
অর্থ যাচ্ছে স্নেহা ফাউন্ডেশনে
ব্যার্নহার্ড হ্যার্টলাইন জানান, প্রদর্শনী থেকে সংগৃহীত অর্থ স্নেহা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পোশাক শ্রমিকদের সহায়তায় খরচ করা হবে৷ ফাউন্ডেশনটি ৩০ জন নারী পোশাক শ্রমিকের দীর্ঘমেয়াদি পুর্নবাসনের দায়িত্ব নিয়েছে, যাঁরা ভবন ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এবং মা৷
ছবি: DW/A. Islam
7 ছবি1 | 7
সেনাবাহিনীর তৈরি করা তালিকা অপেক্ষাকৃত গোছানো উল্লেখ করে ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ঐ তালিকাতেও কিছু শ্রমিকের নামের পুনরাবৃত্তি আছে৷
সরকারের কারখানা পরিদর্শক কমিটি এবং সেনাবাহিনীর তালিকায় নাম নেই এমন অনেকের নাম প্রথম ডিএনএ রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়৷ তালিকায় নাম নেই অথচ ডিএনএ মিলেছে – এর অর্থ তালিকা দুটির কোনোটিই পূর্ণাঙ্গ না বলে মনে করে শ্রমিক সংগঠনটি৷
নিখোঁজদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করে তাদেরকে জরুরি সহায়তা প্রদান করারও দাবি জানানো হয় ব্রিফিংয়ে৷ এসময় রানা প্লাজার নিখোঁজ শ্রমিকদের অনেকের স্বজনেরা ‘সন্ধান চাই' লেখা প্লাকার্ডসহ উপস্থিত ছিলেন৷
সংগঠনের নেতারা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকরা এখনো তাদের ক্ষতিপূরণ পায়নি৷ ৪০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে দেয়ার ঘোষণা আসলেও এখন পর্যন্ত এর অগ্রগতি সম্পর্কে তাঁরা স্পষ্টভাবে কিছুই জানতে পারেননি৷ অথচ ইতিমধ্যে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা একটি মামলায় জামিন পেয়ে গেছে এবং আইনের ফাঁক গলে অন্য অভিযুক্তরাও বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন৷
বাংলাদেশে ডিএনএ পরীক্ষা: সাফল্য, হতাশা
বাংলাদেশে এখন ডিএনএ পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে৷ সম্প্রতি রানা প্লাজা ধসে নিহত অনেকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে৷ তবে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকারীদের শনাক্ত করা যায়নি এখনও৷ এই নিয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: Fotolia/Vasiliy Koval
আগুনে পোড়া মরদেহ শনাক্ত
২০১২ সালের নভেম্বরে ঢাকার আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় আগুনে প্রাণ হারায় কমপক্ষে ১১২ কর্মী৷ নিহতদের অনেকের মরদেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছিল যে স্বাভাবিকভাবে তাদের শনাক্ত সম্ভব ছিল না৷ পরবর্তীতে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে কয়েকজনের পরিচয় শনাক্ত সম্ভব হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP
ভবন ধসে নিহতদের শনাক্ত
ঢাকার সাভারে রানা প্লাজা ধসে নিহতদের শনাক্তে ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছে৷ ২০১৩ সালের এপ্রিলে ভবন ধসে প্রাণ হারায় এক হাজারের বেশি মানুষ, যাদের অধিকাংশই পোশাক শ্রমিক৷
ছবি: Reuters
২০০ জনকে শনাক্ত
ভবন ধসে নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় স্বাভাবিকভাবে শনাক্ত করা যায়নি, তাদের মধ্য থেকে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ২০০ জনের পরিচয় শনাক্ত সম্ভব হয়েছে৷ তবে এখনও ১১২টি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত সম্ভব হয়নি৷
শুধু ভবন ধস বা আগুনে পুড়ে নিহতদের শনাক্ত নয়, হত্যাকাণ্ডেদর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তেও এখন বাংলাদেশে ব্যবহার হচ্ছে ডিএনএ প্রযুক্তি৷ গত বছর এক কিশোরীর বিরুদ্ধে তার বাবামাকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়৷ এক্ষেত্রে ডিএনএ পরীক্ষায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কিশোরীর সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে৷ (প্রতীকী ছবি)
ছবি: Fotolia/GrafiStart
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরির যাত্রা শুরু করে ২০০৬ সালে৷ প্রতিষ্ঠার পর এই ল্যাবরেটরিতে কয়েক হাজার মানুষের ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে৷ বাংলাদেশে ডিএনএ পরীক্ষার মূল কেন্দ্র এই ল্যাবরেটরি৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: picture-alliance/dpa
চাঞ্চল্যকর মামলার ডিএনএ টেস্ট
ডিএনএ ল্যাবরেটরির প্রধান অধ্যাপক ড. শরীফ আখতারুজ্জামান জানান, বিডিআর বিদ্রোহে নিহত ৪ সেনা কর্মকর্তাসহ অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছে তাঁর ল্যাবরেটরিতে৷ তবে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার এবং মেহেরুন রুনির হত্যাকারীদের শনাক্তে ডিএনএ টেস্টের সুযোগ পায়নি এই ল্যাব৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
টেস্টের নামেই কেটে গেছে ২ বছর
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকারীদের শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার নামে দু’বছর সময় কাটিয়ে দিয়েছে ব়্যাব৷ তদন্তের দায়িত্ব নেয়ার পর ব়্যাব হত্যাকারীদের শনাক্তে ডিএনএ টেস্টের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কিছু নমুনা পাঠায়৷ কিন্তু দু’বছর পরও সেসব নমুনার ভিত্তিতে হত্যাকারী শনাক্ত সম্ভব হয়নি৷
ছবি: Harun Ur Rashid Swapan
‘বাংলাদেশেই সম্ভব’
ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরির প্রধান অধ্যাপক ড. শরীফ আখতারুজ্জামান ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত আলামতের ডিএনএ পরীক্ষা বাংলাদেশেই সম্ভব৷ ব়্যাব অবশ্য তখন বাংলাদেশে পরীক্ষা সম্ভব নয় দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রে আলামত পাঠায়৷
ছবি: dapd
ডিএনএ নমুনা নষ্ট করলে শাস্তি
আগুনের পোড়া কিংবা পচে যাওয়া মরদেহ শনাক্ত থেকে শুরু করে অপরাধী শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় গত বছর একটি নতুন আইন অনুমোদন হয়েছে বাংলাদেশে৷ ‘ডি-অক্সি-রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ) আইন, ২০১৩ সালের আওতায় ডিএনএ নমুনা নষ্ট করলে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে৷
ছবি: Fotolia/Vasiliy Koval
10 ছবি1 | 10
সংবাদ সম্মেলনে তাসলিমা আখতার সাত দফা দাবি জানান৷ এর মধ্যে রয়েছে সকল তালিকার অসঙ্গতি দূর করতে হবে, প্রকৃত তালিকা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে হবে, অবিলম্বে সকল ক্ষতিগ্রস্ত আহত-নিহত নিখোঁজদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, ডিএনএ শনাক্তকারীদের কবর বুঝিয়ে দিতে হবে, রানা প্লাজার ধ্বংসাবশেষে পাওয়া সকল হাড় কঙ্কালের ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে এবং দ্রুত রিপোর্ট দিতে হবে৷ সকল নিখোঁজদের প্রয়োজনীয় তথ্যের ভিত্তিতে নিহত ঘোষণা করতে হবে৷ নিখোঁজদের সন্ধানে ডিএনএ পরীক্ষা একমাত্র পদ্ধতি হিসেবে ধরা যাবে না৷ সোহেল রানার জামিন বাতিলসহ সকল দোষীদের দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে৷ জমি বা অনুদান প্রদানের নামে যারা ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদেরকে নানাভাবে প্রতারিত করছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে৷
এছাড়া ব্রিফিং শেষে কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠনটি৷ এর মধ্যে রয়েছে – ৩১ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত গামেন্টস সংহতির নিখোঁজ তালিকা শ্রম মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএ, সেনাবাহিনী কর্তৃপক্ষ ও আইএলও'তে প্রদান৷ ৪ এপ্রিল নিখোঁজ নিহত, আহত পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময়৷ ২৪ এপ্রিল সকাল ৮টায় রানা প্লাজায় শ্রদ্ধাঞ্জলী এবং প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল এবং ২৫ এপ্রিল বিকাল ৪টায় ঢাকায় শাহবাগে যাদুঘরের সামনে সংহতি সমাবেশ৷