ব্রিটেনের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘায়ু এবং সবচেয়ে বেশিদিন রাজত্ব করা শাসক রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ৷ ১৯২৬ সালে জন্ম নেয়া এলিজাবেথ মাত্র ২৫ বছর বয়সে ব্রিটেনের সিংহাসনে আরোহণ করেন ১৯৫২ সালে৷ এখন রানির বয়স ৯৬ বছর৷

চারদিনের আয়োজনের শেষ দিনে রানি এলিজাবেথের সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন রাজপরিবারের অন্য সদস্যরাও৷ লন্ডনে বাকিংহাম প্যালেসের ব্যালকনিতে রানির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন যুবরাজ চার্লস, তার স্ত্রী কামিলা, প্রিন্স উইলিয়ামস ও তার স্ত্রী ক্যাথরিন, এবং তাদের তিন সন্তান প্রিন্স জর্জ, প্রিন্সেস শার্লট ও প্রিন্স লুইস৷

চার দিনের আয়োজনে পুরো লন্ডনকে সাজানো হয়েছিল রঙবেরঙের উপকরণ দিয়ে৷ রাস্তার পাশেও ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল রানির নানা প্রতিমূর্তি৷

রানির প্রতি সম্মান জানিয়ে বাকিংহাম প্যালেসের সামনে আয়োজন করা হয় পিপল প্যারেড৷ ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সেজে, যুক্তরাজ্যের পতাকা হাতে যোগ দেন সাধারণ মানুষও৷ এছাড়া নানা পাপেটের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয় রানির শাসনামলের গুরুত্বপূর্ণ কিছু মুহূর্ত৷

রানির সম্মানে আয়োজিত প্যারেডে অংশ নেয় ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীও৷ এসময় বাহিনীর নিয়মিত সদস্যদের পাশাপাশি ছিলো সামরিক ব্যান্ডও৷

আয়োজনের একটি অংশ ছিল সাংস্কৃতিক নানা অনুষ্ঠান৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে শিশুদের একটি গায়কদলকে কোরাস গাইতে৷ এর পাশাপাশি বিখ্যাত নানা শিল্পীর গান শুনতে এবং কাছ থেকে দেখতে ছিল হাজারো জনতার ভিড়৷

সোনায় মোড়ানো রানির ঘোড়ার গাড়ি প্রদক্ষিণ করে পুরো প্যারেড জুড়ে৷ আটটি ঘোড়ায় টানা এই গাড়ি ১৭৬০ সালে শুরু হয়ে তৈরি করতে সময় লেগেছিল দুই বছর৷ রাজা তৃতীয় জর্জ এই গাড়ি তৈরির আদেশ দিয়েছিলেন৷ তবে গাড়িটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা শাসক স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয় এলিজাবেথ৷

স্বর্ণযানে রানি ছিলেন না৷ কিন্তু রানির একটি প্রতিকৃতি হলোগ্রামের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয় সেখানে৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে ৭০ বছর আগে সিংহাসনে আরোহণ করা তরুণি এলিজাবেথকে৷

রাষ্ট্রীয় এই আয়োজনে স্বভাবতই সব শ্রেণী পেশার মানুষদের পাশাপাশি ছিলেন রাজনীতিবিদরাও৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্যারেড উপভোগ করতে সাবেক রাগবি তারকা মাইক টিন্ডালের সঙ্গে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও৷