রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. একেএম শফিউল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে সন্দেহের কেন্দ্রে উগ্র মৌলবাদী জঙ্গিরা৷ হত্যাকাণ্ডের পরই একটি ফেসবুক পেজ খুলে একটি সংগঠনের নামে দায় স্বীকারের ঘটনা পুলিশ খতিয়ে দেখছে৷
বিজ্ঞাপন
এরই মধ্যে আটক করা হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ ২০ জনকে৷ দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সোমবার সরিয়ে দেয়া হয়েছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনারকে৷
ফেসবুক পেজ
শনিবার দিনের বেলা কুপিয়ে হত্যা করা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শফিউল ইসলামকে৷ এর ৫ ঘণ্টার মাথায় ফেসবুকে একটি পাতা খুলে দায় স্বীকার করে ‘আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ-২' নামে একটি জঙ্গি সংগঠন৷ ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম' নামে বাংলাদেশে একটি জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় থাকলেও আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ-২ নামে সংগঠনটির নাম এই প্রথম শোনা গেল৷ আনসার আল ইসলাম নামে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম আছে কি-না সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নয় পুলিশ৷ তবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘‘এই হত্যাকাণ্ড জঙ্গিদের সম্পৃক্ততা থাকতেও পারে৷ পুলিশ সব বিষয়ই খতিয়ে দেখছে৷''
ফেসবুক পাতায় লেখা হয়েছে, ‘‘উই আর দি হেল্পারস অব শরিয়া ইন বাংলাদেশ৷ উই আর মুজাহিদিন সাবিলিল্লাহ৷'' পেজে শফিউল ইসলামের ছবি দিয়ে তার ওপর লাল রঙে ‘ক্রস' চিহ্ন দিয়ে কেটে দেয়া হয়েছে৷ ছবির নীচে লেখা হয়েছে ‘‘এ কে এম শফিউল ইসলাম (ফাইল ক্লোজড)/ অপরাধ - এপ্রিল ২০১০/শাস্তি প্রদান - নভেম্বর ২০১৪৷'' পাতায় বলা হয়, ‘‘আমাদের মুজাহিদীনরা আজ রাজশাহীতে এক মুরতাদকে কতল করেছেন, যে তাঁর ডিপার্টমেন্টে ও ক্লাসে বোরখা পরা নিষিদ্ধ করেছিল৷'' পেজে ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ও রাকিব মামুনের ছবি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘‘এদের হত্যার প্রথম চেষ্টা সমাপ্ত হয়েছে, দ্বিতীয় চেষ্টা আসছে৷''
হেফাজতের ১৩ দফা, অস্থির বাংলাদেশ
ঢাকায় শনিবার (০৬.০৪.১৩) মহাসমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম৷ ‘নাস্তিক' ব্লগারদের ফাঁসি, ব্লাসফেমি আইন প্রণয়ন, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা বন্ধসহ ১৩ দফা দাবি নিয়ে এই সমাবেশ করে তারা৷ হেফাজতের এসব দাবির বিপক্ষে অবস্থান অনেকের৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ
আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থাগুলোর হিসাবে শনিবারে ঢাকার মতিঝিলে জড়ো হন লক্ষাধিক মানুষ৷ হেফাজতে ইসলাম এর সমর্থক তারা৷ সংগঠনটির আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী এই সমাবেশ থেকে তাদের ১৩ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷
ছবি: Reuters
কী আছে ১৩ দফায়?
শাহবাগের কথিত ‘নাস্তিক' ব্লগারদের ফাঁসি, ব্লাসফেমি আইন প্রণয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশে যত ভাস্কর্য আছে সব ভেঙে ফেলা এবং নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা বন্ধের মতো দাবি রয়েছে হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফায়৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
আক্রান্ত নারী সাংবাদিক
শনিবার মহাসমাবেশ চলাকালে হেফাজতে ইসলামের লোকজন ঢাকায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়৷ তারা হামলা চালিয়েছে একুশে টেলিভিশনের নারী সাংবাদিক নাদিয়া শারমিনের ওপর৷ পুরুষদের সমাবেশে নারী সাংবাদিক কেন এই অজুহাত তুলে তারা শারমিনকে প্রকাশ্যে বেধড়ক পেটায়৷ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে অবশ্য সাংবাদিকের ওপর হামলার দায় অস্বীকার করেছে হেফাজত৷
ছবি: Getty Images
সমর্থন, ধন্যবাদ
হেফাজতের এই মহাসম্মেলনে সরাসরি সহায়তা করেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি, বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের জোট সঙ্গী জাতীয় পার্টি৷ পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের জন্য হেফাজতে ইসলামকে ‘ধন্যবাদ’ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর৷
ছবি: Reuters
‘নতুন কোন আইন নয়’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, হেফাজতের দাবি অনুযায়ী ইসলাম অবমাননার অভিযোগ বিচারের জন্য নতুন কোনো আইন করার পরিকল্পনা সরকারের নেই৷ একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে হাসিনা বলেন, ‘‘সরকার হেফাজতের সবগুলো দাবিই দেখবে৷ এর মধ্যে কোনোটি গ্রহণযোগ্য হলে তা পূরণ করা হবে৷ আর যেসব দাবি ‘গ্রহণযোগ্য নয়’, সেগুলো পূরণ করা হবে না৷’’
ছবি: dapd
‘দাবি মানার কোন কারণ নেই’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘হেফাজতের যে সব দাবি, তা মেনে নেয়ার কোন কারণ নেই৷ তারা দেশকে অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নিতে চায়৷ তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতার ভাস্কর্য অপরাজেয় বাংলাও ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়েছে৷ এই হুমকিকে ভয় পায়না স্বাধীনতা এবং প্রগতির পক্ষের শক্তি৷’’
ছবি: AP
‘সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক’
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং নারী স্বাধীনতা, প্রগতি, আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা, ঐতিহ্য ও বাংলাদেশের হাজার বছরের সংস্কৃতি বিরোধী৷ তাদের দাবি মেনে নিলে দেশ অন্ধকার যুগে চলে যাবে৷ দেশে মোল্লাতন্ত্র চালু হবে৷ তা এদেশের মানুষ মানবেনা৷’’
ছবি: Reuters
নারী সমাজের প্রতিবাদ
নারী সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং হেফাজতের নারী প্রগতি বিরোধী দাবির বিরুদ্ধে সংগঠিত হচ্ছেন নারী সমাজ৷ ঢাকায় একাধিক প্রতিবাদ সমাবেশে তারা বলেছেন, বাংলাদেশকে মধ্য যুগে ফিরিয়ে নেয়ার চক্রান্ত সফল হবেনা৷ হেফাজত আর জামায়াত শিবির এক হয়ে বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায়৷ কিন্তু তাদের এই ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হবেনা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে’
শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের নেতারা মনে করেন, হেফাজতে ইসলাম নারী-পুরুষের সমন্বিত প্রচেষ্টা বন্ধ করে দেশের অগ্রগতি রুখতে চায়৷ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘‘প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে৷ এর কোনো বিকল্প নেই৷’’
ছবি: REUTERS
ব্লগার গ্রেপ্তার
হেফাজতের শনিবারের মহাসমাবেশের আগেই অবশ্য ‘ইসলাম ধর্ম নিয়ে উসকানিমূলক মন্তব্য ও কটূক্তি’র অভিযোগে চার ব্লগারকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ৷ অনেকে মনে করেন, সরকার দৃশ্যত হেফাজতের সঙ্গে ‘সমঝোতা’ করতে ব্লগারদের গ্রেপ্তার করছে৷ আরো কয়েকজন ব্লগারকে শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
10 ছবি1 | 10
প্রসঙ্গ বোরখা
নিহত শিক্ষক ড. শফিউল ক্লাসে ছাত্রীদের বোরখা পরতে নিষেধ করেছেন এধরণের অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি৷ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ওয়ারদাতুল আকমাম বলেন, অধ্যাপক শফিউল ইসলামের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল বা কেউ তাঁকে কোনো হুমকি দিয়েছিল বলে কাউকে কিছু জানাননি৷ তাঁর সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ছিল বলে তাঁদের জানা নেই৷ ক্লাসে ছাত্রীদের বোরখা পরা নিষিদ্ধ করায় শফিউল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে বলে শনিবার রাতে আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ-২ নামে ফেসবুকের একটি পেজে যে দাবি করা হয় এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. ওয়ারদাতুল জানান, ‘‘বিভাগে তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো অভিযোগ ছিল না৷''
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘শফিউল ইসলাম সম্প্রতি লালনচর্চা নিয়ে বেশ সময় দিতেন৷ তিনি বিভিন্ন মাজার ঘুরে বেড়াতেন৷ কারও সঙ্গে কিছু হয়েছে বা কোনো গোষ্ঠী তাঁকে হুমকি দিয়েছে, এমন তথ্য আমাদের বলেননি৷''
এদিকে নিহত অধ্যাপকের ছেলে সৌমিন শাহরিদ জেভিন দাবি করেছেন, ‘‘বাবাকে হত্যার কিছুদিন আগেও এই গোষ্ঠী রাজশাহীর বাসায় কাফনের কাপড় পাঠিয়েছিল৷'' তিনি বলেন, ‘‘বাবা জঙ্গিবাদের বিপক্ষে ছিলেন৷ মানুষকে ভালোবাসতেন৷ সত্য কথা বলতেন৷ এসব কারণে প্রতিক্রিয়াশীল একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী অনেক আগে থেকেই তাঁর প্রতি রুষ্ট ছিল৷''
সহিংসতায় প্রধান হাতিয়ার ‘পেট্রোল বোমা’
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার সময় পেট্রোল বোমার ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে৷ হাতে তৈরি এই বোমা ব্যবহার করে গাড়িতে আগুন দেয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে৷ এই বিষয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
পেট্রোল বোমায় পুড়ছে জীবন
বাংলাদেশে ২০১৩ সালে সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষ৷ নির্বাচনসংক্রান্ত জটিলতা ছাড়াও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুতে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এসময়৷ হরতাল, অবরোধ চলাকালে ব্যাপক আকারে ব্যবহার হয়েছে পেট্রোল বোমা৷
ছবি: imago/imagebroker/theissen
যেভাবে তৈরি হয় এই বোমা
কাঁচের বোতল, পেট্রোল আর কিছু ভাঙা কাঁচ বা মার্বেলের টুকরা ব্যবহার করে পেট্রোল বোমা তৈরি করছে দুর্বৃত্তরা৷ এরপর সুযোগ বুঝে সেগুলো নিক্ষেপ করছে যাত্রীবাহী গাড়িতে৷ ফলে গাড়ি পুড়ছে, সঙ্গে পুড়ছে মানুষ৷ সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতার আগুনে পুড়ে মারা গেছেন বেশ কয়েকজন৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: picture alliance/abaca
রয়েছে অন্য বোমাও
তবে শুধু পেট্রোল বোমাই নয়, লাল বা কালো টেপে মোড়া ককটেলও ব্যবহার হচ্ছে বাংলাদেশে৷ ককটেল তৈরিতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ এবং ছোট পেরেক বা লোহার টুকরা৷ এছাড়া বোমা তৈরিতে গান পাউডারও ব্যবহার করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বোমা বাণিজ্য
রাজনৈতিক অস্থিরতায় সময় হাতে তৈরি বোমার চাহিদা বেড়ে যায়৷ তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও পেশাদারি গ্রুপও বোমা তৈরি করে৷ চড়া দামে এসব বোমা বিক্রিও করা হয়৷ গত বছর পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, একেকটি হাত বোমার দাম ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত৷
ছবি: Reuters
বড় পর্যায়ে বোমা হামলা
বলাবাহুল্য, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে আত্মঘাতী বা বড় পর্যায়ে বোমা হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি৷ তবে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) বাংলাদেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল৷
ছবি: dpa - Bildfunk
আত্মঘাতী হামলা
১৭ আগস্টের সেই সিরিজ হামলার পর কয়েকটি আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনাও ঘটে৷ দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেসময় ‘‘বোমা হামলায় বিচারক, আইনজীবী, পুলিশ, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হন৷’’ তবে নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর হাতে জঙ্গিবাদের উত্থান দমনে সক্ষম হয়৷ ২০০৭ সালে জেএমবির কয়েকজন শীর্ষ নেতার ফাঁসি কার্যকর হয়৷
ছবি: AP
বোমা নিষ্ক্রিয়করণ টিম
ডয়চে ভেলের ঢাকা প্রতিনিধি হারুন উর রশীদ স্বপন জানান, বাংলাদেশ পুলিশের শক্তিশালী বোমা নিষ্ক্রিয়করণ টিম রয়েছে৷ তাদের কাছে আধুনিক সরঞ্জামও রয়েছে৷ ইতোমধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ের বোমা নিষ্ক্রিয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছে পুলিশের এই টিম৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
7 ছবি1 | 7
পুলিশের বক্তব্য
রাজশাহী মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর হোসেন খন্দকার জানান, ‘‘হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০ জনকে আটক করা হয়েছে৷ তাদের মধ্যে রয়েছেন নগরীর ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির৷ শনিবার রাতে মতিহার থানা পুলিশ নাইমুল ও টিপু নামের দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে৷ পুলিশ জানায় এই দু'জন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে৷ এছাড়া সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীকেও আটক করা হয়েছে৷ শনিবার দুপুরে শিক্ষক শফিউল খুন হওয়ার পর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ ছাত্রীকে আটক করে পুলিশ৷ তিনি শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন৷ তাঁকে বসতে বলে শফিউল বাইরে যান৷''
তবে পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয় যে ঠিক কী কারণে তিনি খুন হয়েছেন৷ পুলিশ জানায় জঙ্গিদের সন্দেহের শীর্ষে রেখে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনাচারণ ও ধর্মবিশ্বাস খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
এদিকে অধ্যাপক শফিউল ইসলাম নিহত হয়ার ঘটনায় রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমানকে ঢাকায় বদলি করা হয়েছে সোমবার৷ মাহবুবুর রহমানের জায়গায় ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ শামসুদ্দিনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে৷