1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হারিয়ে যাবে বাঘ ও ডলফিন

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১১ মার্চ ২০১৬

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে সুন্দরবন এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য চরম হুমকির মুখে পড়বে৷ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রর বিষাক্ত গ্যাস দূষিত করবে পানি, মাটি ও বায়ু৷ আর তার ফলে হারিয়ে যেতে পারে বাঘ আর ডলফিনও৷

BdW Global Ideas Bild der Woche KW 45/2015 Tiger Wales
ছবি: Reuters/R. Naden

ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসরত সুন্দরবন গবেষক জেসিকা লরেঞ্জ তাঁর এক ব্লগে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷ এ বিষয়ে বাংলাদেশে সুন্দরবন রক্ষা কমিটির মহাসচিব ড. আবদুল মতিন ডয়চে ফেলেকে বলেন, ‘‘এরইমধ্যে এর প্রাথমিক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে৷''

জেসিকা লরেঞ্চ তাঁর ব্লগে বলেন, ‘বাংলাদেশের সুন্দরবন অঞ্চলে রয়েল বেঙ্গল টাইগার এবং নদীতে ইরাবতী ডলফিনের বসবাস হাজার বছর বছর ধরে৷ পাশাপাশি বাঘ আর ডলফিনের বাস পৃথিবীর বুকে একটি অনন্য ঘটনা৷ কিন্তু লোভের কারণে তাদের অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে৷' আর এর জন্য তিনি দায়ী করেছেন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রকে৷

আব্দুল মতিন

This browser does not support the audio element.

তিনি জানান, "জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সুন্দরবন এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা পৃথিবীর গড় বৃদ্ধির তুলনায় ১০ গুণ বেশি হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ পরবর্তী ৮০ বছরে এখানে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১৩ ফুট বাড়বে৷ এর সঙ্গে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ করে তুলবে৷''

সুন্দরবন রক্ষা কমিটির মহাসচিব ড. আবদুল মতিনের কথায়, ‘‘কয়লা পুড়ে যখন বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে তখন কয়লা থেকে যে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হবে, সেই গ্যাস এই এলাকার মাটি, পানি ও বায়ু দূষিত করবে৷ কয়লার পারদ, সালফার, কার্বন পরিবেশ, জীবন এবং জীববৈচিত্র্যকে শেষ করে দেবে৷''

তিনি জানান, ‘‘এর প্রভাবে প্রথমে সুন্দরবনের গাছপালা ধ্বংস হবে৷ তারপর ধ্বংস হবে মৌমাছি ও প্রজাপতির মতো পতঙ্গ৷ আর বনের গাছপালা ধ্বংস হলে রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ অন্যান্য প্রাণীও বিলুপ্ত হবে৷''

আবদুল মতিন বলেনন, ‘‘বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ঘিরে এরমধ্যেই সুন্দরবনের নদীতে জাহাজ চলাচল বেড়ে গেছে৷ এ কারণে এরইমধ্যে জলজ প্রাণী হুমকির মুখে রয়েছে৷ কয়লা পোড়ানো শুরু হলে তার ছাই ও বিষাক্ত বর্জ্য নদীর পানিকে দূষিত করবে৷ ফলে ডলফিনসহ জলজ প্রাণী বাঁচবে না৷''

বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সুন্দরবনের মাত্র চার কিমি. এলাকার মধ্যে এই বিনদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে৷ অথচ ভারত কিন্তু ভারতীয় সুন্দরবন এলাকায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে পানেনি৷ কারণ সেখানে কোনো বনের ২৫ কিমি.-এর মধ্যে কয়লা ভিত্তিক এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বেআইনি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ