‘রামমন্দির সেন্টিমেন্ট নয়, ভারতের ৫০০ বছরের আন্দোলনের ফসল’
৮ জুন ২০২৪‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশোতে ভারতের লোকসভা নির্বাচন, পররাষ্ট্রনীতি, ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করতে অতিথি হিসেবে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার এবং বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু৷
নির্বাচনে বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদীর নৈতিক পরাজয় হয়েছে কিনা সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীনের এমন প্রশ্নের জবাবে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘‘‘আগ্লিবার মোদী সরকার' হয়নি, হয়েছে এনডিএ সরকার৷ বিষয়টি হচ্ছে তিনি পয়জন পিল গিলতে বাধ্য হয়েছেন৷''
একই প্রশ্নের জবাবে সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘বিজেপির বিরুদ্ধে কোন এন্টি ইনকাম্বেন্সি কাজ করেনি৷''
সংখ্যালঘু প্রশ্নে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্থক্য বোঝাতে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘‘আমরা সর্বধর্মে সমভাব বিশ্বাস করি৷ আমরা মনে করি সকলের সমান অধিকার৷ ধর্মের ভিত্তিতে ভারতবর্ষকে ভাগ করার কোন সুযোগ নেই৷ সংবিধান স্পষ্টভাবে ভারতকে সেক্যুলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে৷''
অপরদিকে সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘আমাদের আপত্তি যে মুসলমানরা বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে এসেছে তাদেরকে নিয়ে৷ তাদেরকে ঘুসপেটি বলছি৷ বাংলাদেশ থেকে মুসলমানরা আসলে তারা অনুপ্রবেশকারী, হিন্দুরা আসলে তারা শরণার্থী স্বীকৃতি পাবে৷ আমাদের দেশটা ভাগ হয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে, অন্য কিছুর ভিত্তিতে না৷''
পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও পশ্চিমবঙ্গের কী পলিসি হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘‘মমতা বন্দোপাধ্যায় একান্তভাবে বাংলাদেশপ্রেমী৷ বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও তার খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে৷ তবে তিস্তা অনেক জটিল একটা বিষয়৷''
কেন্দ্র সরকার তাদের পাশ কাটিয়ে সবসময় চুক্তি করতে চায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি৷
সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘গত দশ বছরে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক অভূতপূর্ব উন্নত হয়েছে৷ বিজেপি এসেই ছিটমহলের সমাধান করেছে৷''
সীমান্তে সবকিছু ঠিকঠাক রাখতেই ‘মাঝে মাঝে ব্যবস্থা নেয়া হয়' বলে মনে করেন সায়ন্তন বসু৷
এসএইচ/এআই