1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রামাদি ও আরব বিশ্বের পতন

রাইনার জলিচ/জেডএইচ২০ মে ২০১৫

সুন্নি-শিয়া সংঘাত ইরাকের রামাদি শহরকে ইসলামিক স্টেট মুক্ত করার কাজ জটিল করে তুলছে৷ ডয়চে ভেলের রাইনার জলিচ মনে করছেন, এই সংঘাত পুরো আরব বিশ্বকেই ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে৷

Irak Kämpfe gegen IS in Ramadi Anbar Provinz
ছবি: picture-alliance/AP Photo

পেন্টাগন মুখপাত্র কর্নেল স্টিভ ওয়ারেন মনে করেন, রামাদির পতন আইএস এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবশ্যই একটি প্রতিবন্ধকতা৷ তবে এটাকে বেশি বড় করে দেখার কিছু নেই৷ কারণ রামাদিকে আবার আইএস এর নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করে আনা হবে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিও আশা করছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রামাদি ফিরে পাওয়া সম্ভব হবে৷

সামরিক শক্তিমত্তার দিকে দিয়ে বিবেচনা করলে হয়ত এই দুজন ঠিকই বলছেন৷ গত আট মাস ধরে আকাশ থেকে চালানো অভিযানের কারণে আইএস যে দুর্বল হয়ে পড়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ এই জঙ্গিদের অবৈধ আয়ও সীমিত হয়ে পড়েছে৷ ফলে ইতিমধ্যে কোবানি ও টিকরিট তাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে৷ এবং সম্ভবত রামাদিও তারা বেশিদিন ধরে রাখতে পারবে না৷ কিন্তু প্রশ্ন হলো, কিসের বিনিময়ে এই সাফল্য আসবে?

মানুষের প্রাণের বিনিময়ে

সবসময়ের মতো এ ধরনের সংঘাতের মূল্য চোকাতে মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয় মানুষের জীবন৷ রামাদিতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০০ নারী ও পুরুষের প্রাণ গেছে৷ এছাড়া শহর ছাড়া হয়েছে আরও প্রায় ২৫ হাজার মানুষ৷ আইএস যখন তাদের চোখে তথাকথিত ‘বিশ্বাসঘাতক'দের হত্যা করা শুরু করবে তখন এই সংখ্যা আরও বাড়বে৷

আরব বিশ্ব এমন একটি অঞ্চল যেখানে ক্ষমতা দখল সহ সংঘাত, রক্তপাত ও প্রতিশোধপরায়ণ হওয়ার যুক্তি হিসেবে সুন্নি-শিয়া সংঘাতকে কাজে লাগানো হয়৷ এমন জায়গায় বর্তমান পরিস্থিতি যেন আগুন নিয়ে খেলার মতো৷

যাই হোক, মনে হচ্ছে, নিকট অতীতে হয়ত ইরাক, এমনকি সিরিয়া থেকেও আইএসকে সরানো যাবে৷ কিন্তু তারপরও কি ঐ অঞ্চলে শান্তি আসবে? আইএস এর মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোর হুমকি সবসময় থেকেই যাবে৷ কারণ শিয়া-সুন্নি সংঘাতের মতো বিষয়গুলো কীভাবে নিজেদের পক্ষে কাজে লাগানো যায় তা তারা ভালো করেই জানে৷

রাইনার জলিচ, ডয়চে ভেলে

ধর্মীয় মতবাদ ও উপজাতি ভিত্তিক বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের কারণে একের পর এক আরব রাষ্ট্রের পতন হচ্ছে এবং তা বন্ধ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই৷

প্রয়োজন আঞ্চলিক সহযোগিতা

পরিস্থিতির উন্নয়নে আরব রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তুলতে হবে এবং এর সঙ্গে ইরান ও তুরস্কের মতো নন-আরব রাষ্ট্রগুলোকে যুক্ত করতে হবে৷ এ ধরনের সহযোগিতার মাধ্যমে দরিদ্র রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক মান উন্নয়নের চেষ্টা করতে হবে৷ ফলে জঙ্গি সংগঠনগুলো ঐসব দেশের তরুণদের আর আকৃষ্ট করতে পারবে না৷ এছাড়া আরব বিশ্বের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে ধর্ম ও উপজাতি ভিত্তিক বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলতে হবে, যেন জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো এর সুবিধা নিতে না পারে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ