ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দেশটির রাজধানী কিয়েভে হামলার ঘটনা ঘটলেও বর্তমানে সেখানে আর নতুন হামলার কথা শোনা যাচ্ছে না৷ বরং রাজধানীর কেন্দ্রে এক প্রদর্শনী চলছে, যেখানে রাশিয়ার বিধ্বস্ত বিভিন্ন ট্যাংকসহ সামরিক যান জনসাধারণের দেখার জন্য রাখা হয়েছে৷ ছবিতে এক শিশু একটি ট্যাংক দেখছে৷

কিয়েভের রাস্তার পাশে পড়ে থাকা এক বিধ্বস্ত রুশ ট্যাংকের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে একদল তরুণ৷

কিয়েভের কেন্দ্রে প্রদর্শিত একটি বিধ্বস্ত ট্যাংকের সামনে ছবির জন্য পোজ দিচ্ছে এক শিশু৷

কিয়েভে প্রদর্শিত একটি রুশ ট্যাংক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন একদল ইউক্রেনীয়৷

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের ছবিগুলোতে প্রদর্শনীর স্থানে বেশ স্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখা গেছে৷ ছবিতে বিধ্বস্ত ট্যাংকের পাশ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি৷

ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমগুলোতে নানা খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ সেখানকার প্রকৃত অবস্থা বোঝা এখনো কঠিন৷ দেশটির উপর রাশিয়ার হামলার তিন মাস পর প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আগামী কয়েক দিনে আরো জোরালো রুশ হামলার আশঙ্কা করছেন৷

রোমানিয়ায় একটি স্পোর্টস অ্যারেনাতে ইউক্রেনের শরণার্থীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে৷ সেখানেই ঘুমিয়ে আছে শিশুটি৷ নিজের দেশ, প্রিয় ঘর সব ছেড়ে আসতে হয়েছে, কিন্তু সঙ্গে নিতে ভোলেনি প্রিয় বার্বি পুতুলটিকে৷

ইউক্রেন থেকে ট্রেনে দীর্ঘ যাত্রা শেষে রোমানিয়ার বুখারেস্টে এক শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে এই পরিবারটি৷ দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েছে শিশুটি৷ মায়ের মুখে বেদনার ছায়া৷

ইউক্রেনের লভিভ থেকে বাসে করেও দেশ ছাড়ছেন অনেকে৷ একটি বাসে বাবার পাশে বসে ক্যামেরার উদ্দেশে মিষ্টি করে হেসে হাত নাড়ছে শিশুটি৷ তার জন্য হয়ত এটা বেড়াতে যাওয়া৷ নিজের দেশ, ঘর ছেড়ে যাওয়ার যন্ত্রণার অনুভূতি এখনো তার অজানা ৷ 

ইউক্রেনের এলভিভ রেলস্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে ভাই৷ কোলে ঘুমন্ত ছোট্ট বোন৷ ইউক্রেন ছাড়ার ট্রেনের অপেক্ষায় তারা৷ 

ইউক্রেনের কিয়েভ থেকে সিরাত সীমান্ত দিয়ে রোমানিয়ায় প্রবেশ করেছে ছোট্ট আলোকসান্দ্রা আর তার মা৷ এখন গন্তব্য রাজধানী বুখারেস্ট৷ ট্রেন স্টেশনে অপেক্ষা করার সময় মায়ের ফোনে কার্টুন দেখছে সে৷ 

পোল্যান্ডের ক্রাকাও থেকে বার্লিনে যাচ্ছেন ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা এই মা৷ ট্রেনে ঘুমিয়ে পড়েছে দুই সন্তান৷ কিন্তু মায়ের চোখে ঘুম নেই৷ অজানা ভবিষ্যতের পথে চলেছেন৷ তাই চোখে হতাশা আর উৎকণ্ঠা৷

পোল্যান্ডের ক্রাকাও থেকে জার্মানির রাজধানী বার্লিন যাচ্ছে ট্রেনটি৷ ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা অনেক মানুষ এই ট্রেনটিতে৷ গাদাগাদি করে বসেছেন নারী ও শিশুরা৷ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চলেছেন তারা৷ 

ইউক্রেনের লভিভ রেলস্টেশনে হাজারো মানুষের ভিড়৷ অনেক শিশু রয়েছে সেখানে৷

৩২ বছর বয়সি আনা, সন্তানদের নিয়ে পোল্যান্ডের ক্রাকাও থেকে বুদাপেস্ট যাওয়ার ট্রেনে উঠেছেন৷ ইউক্রেনে থেকে গেছেন তার স্বামী অর্থোডক্স চার্চের যাজক মিখাইল পিটনিস্কি৷ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে যাত্রা৷ তাই চোখের জল বাঁধ মানছে না আনার৷ 

রোমানিয়ার স্পোর্টস অ্যারেনায় গড়ে তোলা আশ্রয় কেন্দ্রে তিনবোন আইফোনে ভিডিও দেখে সময় কাটাচ্ছে৷