জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, রাশিয়া বা অন্য কোনো দেশকে আর ‘ব্ল্যাকমেইল' করার সুযোগ দেবে না জার্মানি৷ তিনি আরো বলেন, ইউক্রেনে হামলা বাড়ানোর কারণ হিসেবে রাশিয়া যা বলছে তা অযৌক্তিক৷
ছবি: DW
বিজ্ঞাপন
বুধবার জার্মানির হানোফার শহরে ডয়চে ভেলেকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ, জার্মান-চীন সম্পর্কসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন বেয়ারবক৷ তবে সাক্ষাৎকারের বড় অংশ জুড়েই ছিল ইউক্রেন যুদ্ধ আর রাশিয়া প্রসঙ্গ৷
এর আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক উদ্দেশ্য আর দনবাস ও তার আশপাশের এলাকায় সীমাবদ্ধ নেই৷ তিনি বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেনকে যত হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট (এইচআইএমএআএস)-এর মতো দূর পাল্লার অস্ত্র দেবে, রাশিয়ার হামলার এলাকা তত বড় হবে৷
রাশিয়ার এই বক্তব্যকে ‘অজুহাত' হিসেবে বর্ণনা করে ডয়চে ভেলেকে বেয়ারবক বলেন, ‘‘ প্রত্যেকবার রাশিয়া নতুন নতুন যুক্তি সামনে নিয়ে আসছে৷ এখন বলছে সামরিক সহায়তার কথা, অথচ তারা আগে থেকেই কিয়েভ এবং ইউক্রেনের অন্যান্য অংশের ওপর হামলা চালাচ্ছে৷''
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও তার আশপাশের এলাকায় হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী৷ হামলা শুরুর পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন বলেছিলেন, ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করা এবং দেশটিকে ‘নাৎসিমুক্ত' করাই এ হামলার উদ্দেশ্য৷ তিনি আরো দাবি করেছিলেন, ইউক্রেনের কোনো অঞ্চল দখল করা রাশিয়ার উদ্দেশ্য নয়৷
ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আনালেনা বেয়ারবক বলেন, হামলার ব্যাপকতা বৃদ্ধির পক্ষে রাশিয়া যত ‘অজুহাত দেখাক', ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যত ‘প্রোপাগান্ডা'ই চালাক, জার্মানি তার অবস্থান থেকে সরবে না৷ ভবিষ্যতেও ইউক্রেনের পাশে থাকার আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘‘শুধু সংহতি প্রকাশ করে বা রাশিয়া যে চরমভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে- এ কথা বারবার বলেই শুধু ইউক্রেনের পাশে থাকবে না জার্মানি, তারা যাতে নিজের দেশ, নিজেদের অঞ্চলকে রক্ষা করার চেষ্টা করতে পারে সে জন্য জার্মানি তাদের সামরিক সহায়তাও দিয়ে যাবে৷''
ক্যামেরায় ইউক্রেনের ধ্বংসস্তূপে আগামীর স্বপ্ন
যুদ্ধের সময়েও ইউক্রেনের মানুষ ভেঙে পড়েনি৷ তাই ধ্বংসযজ্ঞ আর মৃত্যুর মিছিলের মাঝেও চলছে স্বপ্ন রচনা৷ ফটোগ্রাফার স্তানিস্লাভ সেনিকের ক্যামেরায় চেরনিহিভের ধ্বংসস্তূপে স্কুল পরীক্ষার্থীদের ছবিগুলো সে কথাই বলে...
ছবি: Instagram/@senykstas
ধ্বংসস্তূপে অন্যরকম পরীক্ষা
যুদ্ধ শুরুর পর অনেকেই ইউক্রেন ছেড়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন৷ তবে যারা দেশ ছাড়েননি, তারা হয় দেশরক্ষার লড়াইয়ে নেমেছেন, নয়ত নিজেকে তৈরি রাখছেন, তৈরি করছেন দেশ পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখার জন্য৷ যুদ্ধের মাঝেও পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে শিক্ষার্থীরা৷ ধ্বংসপ্রায় চেরনিহিভের শিক্ষার্থীরা স্কুল ফাইনালও দিয়েছে৷ তাদের কয়েকজনকে নিয়ে স্তানিস্লাভ সেনিকের ফটোশুটটাও ছিল অন্যরকম এক পরীক্ষা৷
ছবি: Instagram/@senykstas
অচেনা রূপে চেনা শহর
এই দুই কিশোরীর ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভেই জন্ম, বেড়ে ওঠা৷ তাদের প্রিয় শহর আজ রুশ হামলায় ধ্বংসপ্রায়৷ তবে ধ্বংসপ্রায় শহরটিও তাদের প্রিয়৷ এই শহরকে নতুন করে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখে তারা৷ স্তানিস্লাভ সেনিকের আইডিয়াটা তাই পছন্দ হয়েছে তাদের৷ বোমায় ভেঙে পড়া এক ভবনেই তাই ফটোশুটে অংশ নিয়েছে তারা৷
ছবি: Instagram/@senykstas
দুঃস্বপ্নময় বর্তমানে সুন্দর এক স্বপ্ন
স্তানিস্লাভ সেনিকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ফটোশুটটা ওরা চেরননিহিভের জীর্ণ, বিবর্ণ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে করতে রাজি হয়েছে মূলত একটি কারণে৷ বাকিদের মতো ওরাও ভেবেছে, এই ছবি থেকে যাবে স্মৃতি হয়ে৷ দিন বদলাবে৷ আসবে সুদিন৷ চেরনিহিভ একদিন আবার সেজে উঠবে নতুন সাজে৷ তখন এই দুই কিশোরী তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে এই ছবি দেখিয়ে বলতে পারবে, ‘‘দেখো, আমরা এই ধ্বংসপ্রায় শহরটাকে ভালোবেসে বেসে আবার বাঁচিয়ে তুলেছি৷’’
ছবি: Instagram/@senykstas
‘ওরা আর ভয় পায় না, মন খারাপ করে না’
ছবির এই মানুষটিই স্তানিস্লাভ সেনিক৷ ছবি তোলাকে পেশা করেছেন পাঁচ বছর আগে৷ রাশিয়ার হামলায় বিধ্বস্ত চেরনিহিভ শহরে শিক্ষার্থীরা স্বতস্ফূর্তভাবে ফটোশুটে অংশ নেবে কিনা- এ নিয়ে তার অনেক সংশয় ছিল৷ কিন্তু কথা বলে বুঝলেন, শিক্ষার্থীদের ফটোশুটে কোনো আপত্তি নেই৷ আরো দেখলেন, ‘‘ওরা এখন আর ভয় পায় না, প্রিয় শহরের ধ্বংসপ্রায় রূপ দেখে খুব বেশি মন খারাপও করে না৷’’
ছবি: Instagram/@senykstas
দুমড়ানো-মোচড়ানো গাড়ির ছাদে ওরা পাঁচজন
স্বাভাবিক অবস্থায় এই চেহারার গাড়ি কোনো শহরেই যত্ন করে রাখা হয় না৷ যুদ্ধ শেষ হলে এই দুটোকেও হয়ত আর কোথাও দেখা যাবে না৷ তবে এই পাঁচ শিক্ষার্থীর এই ফটোশুটের কল্যাণে আগামী পৃথিবীর অনেকেই নিশ্চয়ই মনে রাখবে গাড়ি দুটোর কথা৷
ছবি: Instagram/@senykstas
‘ভুল বুঝবেন না’
ফটোশুটে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা অবশ্য আগেভাগেই জানিয়ে রেখেছে, কেউ যদি ছবিগুলো দেখে মনে করেন, চেরনিহিভের ধ্বংসপ্রায় চেহারা নিয়ে শিক্ষার্থীরা গর্বিত আর এ কারণেই তারা সেখানে ফটোশুটে অংশ নিয়েছে- তাহলে খুব বড় ভুল করা হবে৷ তাদের অনুরোধ, ‘‘প্লিজ, আমাদের ভুল বুঝবেন না, আমরা আসলে এই দুঃসময়টাকে ফ্রেমে ধরে রাখতে চাই, আগামী প্রজন্মকে ছবি দেখিয়ে বলতে চাই ভয়ঙ্কর এই যুদ্ধের কথা৷’’
ছবি: Instagram/@senykstas
6 ছবি1 | 6
এর আগে ইউরোপীয় কমিশনও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ তোলে৷ বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা শতকরা ১৫ ভাগ কমানোর আহ্বানও জানায় ইউরোপীয় কমিশন৷
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে তেল ও জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে৷ বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম৷ বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি৷ জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ ধীরে ধীরে কমাতে শুরু করেছে রাশিয়া৷ ভবিষ্যতে রাশিয়া কি সরবরাহ আরো কমিয়ে জার্মানিকে চাপে ফেলার চেষ্টা করতে পারে? সেই আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না৷ তবে বেয়ারবক জানান, রাশিয়া যাতে ব্ল্যাকমেইল করতে না পারে তা নিশ্চিত করা হবে৷
সাক্ষাৎকারে চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর ওপরও জোর দিয়েছেন বেয়ারবক৷ এ প্রসঙ্গে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীলতার কারণে যেমন হয়েছে, সেভাবে আর কেউ যাতে আমাদের ব্ল্যাকমেইল করতে না পারে, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে৷ চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এটাই মোদ্দা কথা- যেখানে একত্রে কাজ করা সম্ভব সেখানে তা-ই করা হবে, পাশাপাশি জটিল পরিকাঠামো এবং পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে ইউরোপের স্বাধীন, সার্বভৌম কৌশল প্রয়োগ করা হবে৷''
অর্থনীতির ধাক্কায় বিপর্যস্ত কিছু দেশ
করোনা মহামারির ধাক্কা, ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণে বিশ্বজুড়ে নানা দেশেই চলছে অর্থনৈতিক অস্থিরতা৷ শ্রীলঙ্কায় তা রূপ নিয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতায়৷ এমন আরো কিছু দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: Ali Khara/REUTERS
আফগানিস্তান
গত বছর মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার এবং তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে অর্থনৈতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে আফগানিস্তান৷ দেশজুড়ে খাদ্য সংকটের ফলে অপুষ্টি মহামারি আকার নিয়েছে৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্যমতে, দেশটির ৫৫ শতাংশ মানুষ রয়েছেন খাদ্য নিরাপত্তার চরম হুমকিতে৷ দাতাদের নানা ধরনের অর্থ সহায়তা অবরুদ্ধ হওয়ায় এ সংকট দিনদিন আরো তীব্র রূপ নিচ্ছে৷
ছবি: Ali Khara/REUTERS
ভেনেজুয়েলা
ভেনেজুয়েলার অর্থনৈতিক সংকট কয়েক দশক ধরেই চলমান৷ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি- ডাব্লিউএফপি-র মতে দেশটিতে প্রতি তিন জনে একজন ভুগছেন খাদ্য নিরাপত্তার অভাবে৷ করোনার কারণে অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকট আরো তীব্র হয়েছে৷ ইউক্রেন যুদ্ধ বাড়িয়ে দিয়েছে জ্বালানি ও খাদ্য সংকট৷ এর ফলে বিদ্যুৎ এবং সুপেয় জলের অভাবও দেখা দিয়েছে৷
ছবি: Roman Camacho/ZUMA Press/imago images
মধ্যপ্রাচ্য
মধ্যপ্রাচ্যের বেশকিছু দেশে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে৷ এমনিতেই দেশগুলোর অর্থনীতি টালমাটাল৷ করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধ এসব দেশকে নিয়ে যাচ্ছে বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে৷ সংকটে থাকা দেশগুলোর মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া ও ইয়েমেন ছাড়াও রয়েছে লিবিয়া, ইরাক এবং লেবাননও৷ ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট দেশগুলোর নাগরিকদের ঠেলে দিচ্ছে চরম দারিদ্র্যের দিকে৷
ছবি: Essa Ahmed/AFP/Getty Images
সুদান
গত বছরের শেষ দিকে আফ্রিকার এই দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান হয়৷ এরপর থেকেই ধস নেমেছে দেশটির অর্থনীতিতে ৷ জানুয়ারিতে দেশটির রপ্তানি কমে যায় ৮৫ শতাংশ৷ জাতিসংঘের তথ্য বলছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিশ্বজুড়ে খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে দেশটির ৩০ শতাংশের বেশি মানুষ আছেন খাদ্য সংকটে৷ দেশটির ১৮টি প্রদেশে দেড় কোটি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছেন৷
ছবি: Ashraf Shazly/AFP/Getty Images
নেপাল
ব্যাপক আমদানি-নির্ভরতার ফলে নেপালের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েছে৷ দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি বাজেটের প্রায় সমান হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ নেপালের মোট আমদানির দুই-তৃতীয়াংশই আসে ভারত থেকে৷ অন্যদিকে, ভারতের মুদ্রার সঙ্গে একই দর নির্ধারিত থাকায় ভারতীয় টাকার পতনের সঙ্গে নেপালি মুদ্রারও স্বয়ংক্রিয় পতন ঘটছে৷ ইউক্রেন থেকে তেল ও নানা খাদ্যদ্রব্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশটির অর্থনীতিতে ধসের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Diego Azubel/dpa/picture alliance
পাকিস্তান
বিশ্ব ব্যাংকের তথ্যমতে, মে-জুন মাসের মূল্যস্ফীতিতে দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কার পরই রয়েছে পাকিস্তান৷ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি এক অংকের ঘরে থাকলেও শ্রীলঙ্কায় ৫৬.৬% এবং পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি পৌঁছে গেছে ২১.৩ শতাংশে৷ বিদেশি ঋণ পরিশোধ নিয়ে জটিলতা এবং দ্রুত খালি হয়ে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ দেশটিকে দ্রুতই অস্থিরতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে৷
ছবি: KARIM ULLAH AFP via Getty Images
তুরস্ক
তুরস্কের পরিসংখ্যান সংস্থা জানিয়েছে, জুন মাসে দেশটির বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭৮.৬২%৷ দেশটির মূল্যস্ফীতির এ হার গত ২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ৷ ইউক্রেন যুদ্ধ, পণ্য়ের মূল্যবৃদ্ধি এবং টার্কিশ মুদ্রা লিরার দর কমতে থাকায় এই মূল্যস্ফীতি আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, আগের বছরের তুলনায় এ বছর পরিবহণের খরচ বেড়েছে ১২৩.৩৭ শতাংশ, খাদ্য ও পানীয়ের মূল্য বেড়েছে ৯৩,৯৩ শতাংশ৷