1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়াকে কটাক্ষ ইইউ-র

২৩ জুলাই ২০২১

ফের রাশিয়ার সমালোচনায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিবৃতি দিয়ে রাশিয়ার ফরেন এজেন্ট নিয়ে আইনের নিন্দা করা হলো।

রাশিয়া
ছবি: Alexey Maishev/Sputnik/dpa/picture alliance

বৃহস্পতিবার রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরব হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন। জানানো হলো, দেশের এনজিও এবং স্বাধীন সাংবাদিকদের পাশে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। রাশিয়া তাদের সঙ্গে যা করছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে জানিয়েছে ইইউ।

গত এক বছরে দেশের একাধিক সংবাদসংস্থা এবং এনজিও-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে রাশিয়ার প্রশাসন। সাংবাদিকদের জেলে ঢোকানো হয়েছে অথবা তাদের কাজের খতিয়ান চাওয়া হয়েছে। একাধিক এনজিও কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বহু এনজিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠনও আছে। রাশিয়ার দাবি, এই ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীরা দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছে।

ফরেন এজেন্ট আইন

গত বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন একটি নতুন আইনে সই করেন। এর আগেও অবশ্য সেই আইন ছিল। পুটিন সেই আইনটিকে আরো শক্তিশালী করেছেন। এই আইনের সাহায্যে যে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। পুলিশ ওই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছে কাজের খতিয়ান চাইতে পারে। সেখানে দেখা হয় কোনো বিদেশি সংস্থা বা গোষ্ঠী বা দেশ বা ব্যক্তি রাশিয়ার নাগরিককে অর্থ দিয়ে বা অন্য কোনো ভাবে সাহায্য করছে কি না। করলে বা রাশিয়ার প্রশাসনের মনে হলে ওই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে ফরেন এজেন্ট বলে দাগিয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করা হবে। সংস্থাও বন্ধ করে দেওয়া হবে।

গত এক বছরে রাশিয়ায় এমন একাধিক ঘটনা ঘটেছে। বহু সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এনজিও বন্ধ করা হয়েছে। এই বিষয়টিরই সমালোচনা করেছে ইইউ।

ইইউ-র মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রশাসনের এই কাজ ইইউ পছন্দ করছে না। প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, রাশিয়ায় যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, ইইউ তাদের পাশে আছে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবারই জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিনের। নর্ড স্ট্রিম ২ গ্যাস পাইপলাইন নিয়ে দুইজনের আলোচনা হয়েছে। অ্যামেরিকা এই পাইপলাইনের বিষয়ে একাধিক শর্ত চাপিয়েছে জার্মানির উপর। যার আওতায় পড়ছে রাশিয়াও। শর্ত না মানলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে অ্যামেরিকা। জার্মানি সেই শর্ত মেনেছে। তার মধ্যেই ইইউ-র এই নতুন বিবৃতি রাশিয়াকে চাপে ফেলবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ