1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বন্ধুত্বে দ্বিতীয় শ্রেণি নয়: ন্যাটো

৮ জানুয়ারি ২০২২

ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে এবং দ্বিপক্ষীয় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে মস্কোর সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী ন্যাটো৷ কিন্তু একই সঙ্গে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যেকোনো রুশ আগ্রাসনের ক্ষেত্রে এই জোট ঐক্যবদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ন্যাটোর প্রধান৷

Lettland NATO Militärübeung Winter Shield
ছবি: Gints Ivuskans/Getty Images/AFP

ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সৈন্য সমাবেশ নিয়ে কথা বলতে ন্যাটোভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শুক্রবার এক ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন৷ জোটের মহাসচিব ইয়েনস স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, এখনও সীমান্তটিতে সেনা সমাবেশ চলছে৷

তিনি বলেন, ‘‘আমরা ইউক্রেনকে সমর্থন করি৷’’ ন্যাটো কোনো দেশের সার্বভৌমত্ব অস্বীকার করতে পারে না, এবং জোটের সদস্যপদ নেয়া বা না নেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশের নিজস্ব সিদ্ধান্তকে সম্মান জানায় বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি৷

বৈঠক শেষে স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘‘আমরা মস্কোর সঙ্গে পারমাণবিক এবং সাধারণ, সব অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংলাপে আগ্রহী৷ কিন্তু এটা পারস্পরিক হতে হবে৷৷ আমরা এমন কোনো পরিস্থিতিতে পড়তে পারি না, যেখানে দ্বিতীয় শ্রেণির ন্যাটো সদস্য থাকবে যাদের আমরা রক্ষা করতে সক্ষম হবো না৷’’

তিনি বলেন, ‘‘সংঘাতের ঝুঁকিটা বাস্তবে রূপ নিয়েছে৷ রাশিয়ার আগ্রাসী মনোভাব ইউরোপের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলছে৷''

ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রকে একগাদা দাবিসম্বলিত একটি তালিকা দেয় রাশিয়া৷ এসব দাবির মধ্যে একটি ছিল পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর মোতায়েন করা সৈন্য প্রত্যাহার এবং ন্যাটোতে আর সদস্য না বাড়ানোর দাবিও৷

ন্যাটো অনানুষ্ঠানিকভাবে এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে৷ ন্যাটো কীভাবে কাজ করবে বা কারা সদস্য হবে এ বিষয়ে রাশিয়ার কোনো আপত্তি থাকতে পারে না বলে জানিয়েছে জোটটি৷

অন্যদিকে ইউক্রেন সীমান্তে এরই মধ্যে এক লাখের কাছাকাছি সৈন্য সমবেত করেছে রাশিয়া৷

ন্যাটোর মিত্র রাষ্ট্র সুইডেন ও ফিনল্যান্ড জানিয়েছে, তাদের জোটে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্তও একেবারেই তাদের নিজস্ব অধিকারের বিষয়৷

ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলো কী বলছে?

লাটভিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এডগার্স রিংকেভিকস বেশ ‘ভালো আলোচনা' হয়েছে বলে এক টুইট করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘রাশিয়ার সঙ্গে আমরা আলোচনায় আগ্রহী, কিন্তু সেটা নিজেদের মূল্যবোধ ও নীতি বিসর্জন দিয়ে নয়৷’’

তবে রাশিয়াকে কীভাবে সবচেয়ে ভালোভাবে মোকাবিলায় করা যায়, এ নিয়ে কূটনীতিকদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে৷ বার্তাসংস্থা এএফপিকে এক ফরাসি সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘‘রাশিয়া আমাদের সঙ্গে সংলাপে বসতে চায়, এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই৷

এমনকি যদি রাশিয়ার দাবিগুলো আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে না হয়, তবুও৷’’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকজন নেতা, যেমন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লেয়েন এবং মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের প্রধান ইইউকে আরো বেশি সম্পৃক্ততা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন৷

তবে রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় তাহলে ‘ব্যাপক আকারে পালটা ব্যবস্থা' নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রিও কুলেবাকে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সর্বাত্মক সমর্থন দিবে যুক্তরাষ্ট্র৷

এরপর কী?

আগামি সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বৈঠকে বসবেন রুশ ও মার্কিন কর্মকর্তারা৷

বুধবার ন্যাটোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাশিয়ার বৈঠক রয়েছে৷ ২০১৯ সালের পর এই প্রথম ন্যাটো-রাশিয়া কাউন্সিলের বৈঠক হবে৷

এডিকে/আরআর (এএফপি, রয়টার্স)

রাশিয়া ও ইউক্রেনের দ্বন্দ্ব নিয়ে ২০১৮ সালের ছবিঘর দেখুন

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ