রাশিয়াকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করবে না অ্যামেরিকা
৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদী বা সন্ত্রাসে মদতকারী রাষ্ট্রের তালিকায় রাখছে না অ্যামেরিকা। অন্যদিকে ঝাপোরিজ্ঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রকে সেফ জোন করার প্রস্তাব জাতিসংঘের।
বিজ্ঞাপন
অ্যামেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল কমিউনিকেশনের প্রধান জন কিরবি বলেছেন, মার্কিন সরকার রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদে মদতকারী রাষ্ট্রের তালিকায় রাখছে না। তিনি বলেছেন, ''আমরা বিশ্বাস করি, এটা রাশিয়াকে দায়বদ্ধ করার সবচেয়ে ভালো ও কার্যকর পন্থা নয়।''
কিরবি জানিয়েছেন, রাশিয়াকে সন্ত্রাসে মদতকারী রাষ্ট্র হিসাবে চিহ্নিত করলে ইউক্রেন অসুবিধায় পড়বে। যদি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনা আবার শুরু হয়, তখন তা ইউক্রেনকে বিপাকে ফেলবে।
একদিন আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেনও একজন রিপোর্টারকে জানিয়েছিলেন, তার প্রশাসন রাশিয়াকে সন্ত্রাসে মদতকারী রাষ্ট্রের তালিকায় ফেলছে না।
অ্যামেরিকা এখন ওই তালিকায় চারটি দেশকে রেখেছে। ইরান, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া এবং কিউবা। তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাও জারি রয়েছে।
রুশ গোলায় লাগা আগুন যেভাবে নেভান ইউক্রেনীয় দমকলকর্মীরা
আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কাজের অভিজ্ঞতা ছিল ইউক্রেনের দমকলকর্মীদের। অগ্নিকাণ্ড মোকাবেলার জিনিসপত্র থাকতো তাদের কাছে। কিন্তু রুশ আগ্রাসন কঠিন কাজকে আরো কঠিন করে দিয়েছে।
ছবি: Leah Millis/Reuters
জ্বলছে ঘর, পুড়ছে বাড়ি
সুবিশাল এক অ্যাপার্টমেন্টে রাশিয়ার গোলাবর্ষণের ফলে আগুন লাগে। খারকিভের আশেপাশের এলাকাগুলিতেও গোলাবর্ষণ চলে। যুদ্ধপীড়িত ইউক্রেনের দমকলকর্মীরা এখন জানেন, একাধিক বাড়িতে আগুন লাগলে কোনটিকে আগে বাঁচাতে হবে, কাদের প্রথমে উদ্ধার করতে হবে এবং একই সময়ে কিলোমিটার দূরে কারখানায় আগুন লাগলে, তা কীভাবে সামলাতে হবে।
ছবি: Leah Millis/Reuters
একযোগে হার না মানা লড়াই
ইউক্রেনের খারকিভ শহরের একটি দমকলকেন্দ্রের প্রধান রোমান কাশানভ রয়টার্সকে বলেন, "একই সময়ে ছয় বা সাতটি অ্যাপার্টমেন্ট জ্বলতে দেখছেন। অথচ আপনি জানেন না কিছু লোক আদৌ কোথায় রয়েছে। এদিকে আপনার কাছে মাত্র তিনটি ট্রাক আছে। এটা একটা লটারির মতো।"
ছবি: Leah Millis/Reuters
পরিবারকে কবে দেখবেন
গোলাবর্ষণের মাঝেই রোমান কাশানভদের মনে পড়ে পরিবারকে। তার সাত বছরের শিশুকন্যা ভিওলেত্তা, স্ত্রী মারিনা জার্মানিতে রয়েছেন। জীবন মৃত্যুর মধ্যে লড়াই করতে করতে ভিডিও কলে প্রিয়জনের মুখ দেখেন কাশানভ। তার কথায়, "পরিস্থিতি ইরাক, আফগানিস্তানের মতো। কোথায় কখন বোমা হামলা হবে কেউ জানে না।"
ছবি: Leah Millis/Reuters
লড়ছেন নারী কর্মীরাও
মার্গারিটা এবং অন্যান্য দমকল কর্মীরা কাজের মাঝে কখনো সখনো জানলার বাইরে চোখ রাখেন। কিন্তু কালো পর্দায় ঢাকা তাদের কার্যালয় ভবনটি। যাতে সহজে সেটি লক্ষ্য করে শত্রুশিবির আক্রমণ করতে না পারে। উদাস চোখে চেয়ে থাকেন মার্গারিটা।
ছবি: Leah Millis/Reuters
মাঝরাতে কাজের ডাক
ঝুঁকি নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত অর্থ পান দমকলকর্মীরা। কাজের ধরন বদলে যায়, কর্মীরা যাতে সবাই একটু বিশ্রাম নিতে পারেন, সে কথাও মাথায় রাখা হয়। কিন্তু মাঝরাতে ডাক এলেই আলেকজান্ডারের মতো কর্মীরা মানুষকে বাঁচাতে বেরিয়ে পড়েন। কাজের মাঝে প্রশিক্ষণ নেন, ব্যায়াম করেন কারণ সুস্থ থাকতেই হবে।
ছবি: Leah Millis/Reuters
অন্ধকারে কাজ
অগ্নিদগ্ধ বাড়িগুলিতে কাজ করতে হয় তাদের। অন্ধকার, সামান্য টর্চের আলো ভরসা। তারা খতিয়ে দেখেন, গোলার আঘাতের ফলে ভাগ্যজোরে কেউ বেঁচে রয়েছেন কিনা। কাশানভ বলেন, তিনি খুশি স্ত্রী এবং সন্তান নিরাপদে রয়েছে। প্রতি রাতে মেয়েকে গল্প বলে ঘুম পাড়িয়ে দেয়ার কথা মনে পড়ে তার।
ছবি: Leah Millis/Reuters
লক্ষ্যে অবিচল
বুলেটরোধক পোশাক, জ্যাকেট সবমিলিয়ে নিজের ওজনের থেকে প্রায় ২০ কেজি বেশি ওজন সমেত চলাফেরা করতে হয় তাদের। খারকিভের আপৎকালীন পরিষেবা বিভাগের গণণাধ্যম সচিব ইভজেনি ভাসিলেঙ্কো আগস্টে বলেছিলেন, যুদ্ধের শুরু থেকে, দমকলকর্মীরা ১৭০০ বার খারকিভের নানা এলাকায় গোলার হানার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
ছবি: Leah Millis/Reuters
খবর পড়েন মোবাইলে, ক্লান্তি আসে
ডিমা আর নিকোলাই বেশ পরিশ্রান্ত। ছবি দেখেই তা বোঝা যাচ্ছে। যুদ্ধ থেমে যাওয়ার আশা নিয়ে মোবাইলে খবরে চোখ রাখেন তারা। তারা জানেনা না কবে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে। মৃত শিশুর দেহ কিংবা অনাথ হয়ে যাওয়া শিশুর বাবা মায়ের দেহ দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন কাশানভও। মানসিকভাবে একেবারে বিধ্বস্ত তিনি, জানান কাশানভ।
ছবি: Leah Millis/Reuters
মন শান্ত রাখার চেষ্টা
সামান্যতম সুযোগ পেলে একটু মন হালকা রাখার চেষ্টা করেন কেউ কেউ। মোবাইলে গান শোনেন হয়তো কিংবা মনকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা। মৃতদেহ দেখতে দেখতে চোখে জল চলে আসে দমকলকর্মীদের।
ছবি: Leah Millis/Reuters
প্রাণের ঝুঁকি, অপেক্ষা পরিস্থিতি বদলের
এতকিছুর মাঝেও লড়াই ছাড়ছেন না তারা, আশা রাখছেন পরিস্থিতির বদল হবে, প্রিয়জনকে ফিরে পাবেন এই দমকলকর্মীরাও। এই সাইনবোর্ডটা লাগাতে ইগর তার বন্ধুদের সাহায্য করছেন। এখানে লেখা আছে, শুভ সন্ধ্যা, আমরা ইউক্রেন থেকে এসেছি।
আইএইএ প্রধান গ্রসি বলেছেন, ''আমরা আগুন নিয়ে খেলছি। যে কোনো মুহূর্তে ভয়ংকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে।''
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে গুতেরেস বলেছেন, ''রাশিয়া ও ইউক্রেন যেন এই পরমাণু কেন্দ্র ও তার আশপাশের এলাকা সেনাশূন্য করার ব্যাপারে একমত হয়। রাশিয়াকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, তারা এই পরমাণু কেন্দ্র থেকে সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র সরিয়ে নেবে এবং ইউক্রেনকেও প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, তারা এই পরমাণু কেন্দ্রে যাবে না।''
গানের সুরে ধ্বংসস্তূপ থেকে জেগে উঠছে গ্রাম
বোমা বা রকেটে গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস হলেও মন থেকে সুর মুছে দেয়া যায় না৷ তারই প্রমাণ দিচ্ছেন ইউক্রেনের একদল স্বেচ্ছাসেবী৷ গ্রামের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নতুন করে সংস্কৃতি কেন্দ্র গড়ছেন তারা৷ বিস্তারিত দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
সুরের লড়াই
ইউক্রেনের চেরনিহিভ অঞ্চলের ইয়াহিদনে গ্রামে একজন শিল্পী বাদ্যযন্ত্র নিয়ে ব্যস্ত৷ তিনি পারফর্ম করছেন৷ স্বেচ্ছাসেবীরাও ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে জীবনের ছন্দে ফিরতে চাইছেন৷একে তারা বলছেন টেকনো পার্টি৷
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
বাঁচার লড়াই তালে তালে
রুশ আগ্রাসনে ইউক্রেনের চেরনিহিভ অঞ্চল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ সেখানকার ইয়াহিদনে গ্রামে পারফর্ম করছেন শিল্পীরা৷ তাদের পারফর্ম্যান্সের সঙ্গে নাচতে নাচতে শোক ভুলে নতুন করে বাঁচতে চাইছেন স্বেচ্ছাসেবীরা৷ পারফর্ম্যান্স উপভোগ করতে করতেই একজন কিন্তু ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করে চলেছেন৷
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
হার না মানা লড়াই
এই স্বেচ্ছাসেবী নারী ক্ষতিগ্রস্ত ইয়াহিদনেকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর৷ ইউক্রেনীয় তরুণদের ‘ক্লিন-আপ রেভ’-এ অংশ নিয়েছেন তিনিও৷ নাচ গানের পার্টি চলছে৷ পাশাপাশি নতুন করে গ্রামকে, কালচারাল হাউসকে গড়ে তোলার কাজও চলছে৷ শিল্পীরাও সাহস জোগাচ্ছেন৷
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
ডিজে পারফর্ম্যান্স
ডিজের সুর বোমার শব্দ ভুলিয়ে দেবেই৷ এমনই মনে করছেন শিল্পীরা৷ বোমা হামলায় ইটের পাঁজর বেরিয়ে পড়া বাড়িতে পারফর্ম করছেন শিল্পী৷ সেই সুরের ছন্দেই অন্যদিকে বেলচা হাতে ধ্বংসস্তূপ সরাচ্ছেন কেউ৷ রুশ রকেট হানায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া গ্রামে ফের প্রাণ আনবেন তারা৷ গোলাবারুদের স্তূপের পাশে ডিজের টার্নটেবিল যেন সরাসরি প্রশ্ন করছে, ‘‘তোরা যুদ্ধ করে করবি কী তা বল৷’’
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
স্বেচ্ছাশ্রমই জীবন
হাতে কোদাল, বেলচা নিয়ে পোড়া কালো ছাইয়ের স্তূপ সরাচ্ছেন এক তরুণ৷ সেই কাজটিও করছেন বেশ স্টাইলের সঙ্গে৷ রোদচশমা পরতে ভোলেননি তিনি৷ তার সঙ্গীরাও একই কাজে ব্যস্ত৷ ‘রিপেয়ার টুগেদার’ নামের উদ্যোগের এক স্বেচ্ছাসেবী স্পষ্ট বলেন, ‘‘এটাই আমার জীবনযাপন৷’’
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
‘ডু ইট ইন এ রকিং ওয়ে’
ইলেকট্রনিক মিউজিক ভালোবাসেন যে তরুণরা, যারা পার্টি করতে ভালোবাসেন, এই উদ্যোগে এগিয়ে এসেছেন তারাই৷ যেমন এই তরুণী হাতে গ্লাভস পরে পুড়ে যাওয়া ইটগুলি সরানোর কাজ করছেন৷ এক স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘‘যুদ্ধের সময় আমরা সাহায্য করতে চাই৷ আমরা সংগীতের মাধ্যমে সেটা করছি৷’’
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
পাঁজরে বোমার দাগ
কংক্রিট ভেঙে পড়েছে, ইটগুলোও খসে পড়ছে আস্তে আস্তে৷ মার্চ মাসে রাশিয়ার ছোঁড়া বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত এই বাড়িটি৷ গোলাবর্ষণে বিপর্যস্ত বাড়ির ঠিক মাঝখানে নিজের ডিজে সেট নিয়ে মন দিয়ে পারফর্ম্যান্সের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এক তরুণ৷ নির্বিকার ভাবলেশহীন এই তরুণ কি ডিজে মিউজিকের মাধ্যমে সব ক্ষত মুছে দিতে পারবেন ?
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
একজোট হয়েই সম্ভব
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে চলছে কারফিউ৷ একাধিক জায়গায় রকেট হামলার হুমকিও আছে৷ কিন্তু সংস্কৃতিপ্রেমীরা এইভাবে নিজের দেশ পুনর্গঠনের কাজ করছেন৷ ধ্বংসস্তূপ সরাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা৷ পাশাপাশি সংগীতেই নতুন করে স্বাধীনতা খুঁজছে তরুণ প্রজন্ম৷ পারফর্ম্যান্স শুনতে শুনতে কাজ, আর এভাবেই সবাই একজোট হওয়ার চেষ্টা করছেন৷
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
নির্বিকার খুদে
রুশ হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেন৷ গোলাবর্ষণে প্রাণ হারিয়েছে অনেক শিশু৷ তারা আর ফিরবে না৷ ‘হাউস অফ কালচার’ অর্থাৎ সংস্কৃতি কেন্দ্রের সামনে ট্রাইসাইকেল চালিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক খুদে৷ সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে–এ কথাই বলতে ইচ্ছে করবে নিষ্পাপ শিশুর আপনমনে খেলে বেড়ানো দেখে৷
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
অমানুষিক পরিশ্রম
সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি পরিষ্কার করার কাজটি ছিল এই স্বেচ্ছাসেবীদের অষ্টম প্রকল্প৷ তারা ইতিমধ্যেই গ্রামের ১৫টি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি মেরামত করতে সাহায্য করেছে৷ নিকটবর্তী শহরে লুকাশিভকাতে ‘বিল্ডিং ক্যাম্প ইভেন্ট’ করার পরিকল্পনা করেছে তারা৷ ধ্বংসস্তূপের পোড়া ছাই, মাটি তুলে রাখছেন লরিতে৷ জীবন তো আর থেমে থাকে না৷ আর সঙ্গে যদি সুর থাকে, তাহলে তো কথাই নেই৷ জীবন এগোবে সুরের ছন্দ মিলিয়েই৷
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
10 ছবি1 | 10
ইউক্রেন যাবেন ট্রাস
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি ট্রাসকে ইউক্রেনে যাওয়ার অনুরোধ জানান। ট্রাস সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনিই প্রথম বিদেশি নেতা, যিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ট্রাসের সঙ্গে কথা বললেন।
১০ ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রাস জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্য আগের মতোই ইউক্রেনকে সাহায্য করবে।