1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্রাইমিয়া সংকট

১৭ মার্চ ২০১৪

ক্রাইমিয়ার গণভোটে রাশিয়ায় যোগদানের রায়ের বিরোধিতা করছে ইউরোপ সহ পশ্চিমা জগত৷ রাশিয়া ও ক্রাইমিয়ার কয়েকজন কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে৷ আরও শাস্তিমূলক পদক্ষেপের কথাও শোনা যাচ্ছে৷

সোমবার ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকছবি: Reuters

ক্রাইমিয়া সংকটকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে আরও সংঘাত অনিবার্য ছিল৷ গণভোটের রায়ের পর রাশিয়ার উপর আরও নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ ইইউ আপাতত রাশিয়ার ১৩ জন ও ক্রাইমিয়ার ৮ জন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে, যাঁরা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব খর্ব করে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন৷ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের কয়েকজন উপদেষ্টা, ক্রাইমিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতৃবৃন্দ এবং ইউক্রেনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গেছে৷ এর ফলে তাঁরা ইইউ দেশগুলিতে প্রবেশ করতে পারবেন না, সেখানে তাঁদের বিষয়-সম্পত্তিও তাঁদের নাগালের বাইরে চলে যাবে৷

ক্রাইমিয়ায় রাশিয়াপন্থিদের উল্লাসছবি: Reuters

লিথুয়েনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আগামী কয়েক দিনে আরও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ ঘোষণা করে হবে৷ মার্কিন প্রশাসনও ইইউ-র সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কয়েকজন রুশ কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে৷ চেক প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও সোমবারের সিদ্ধান্তকে প্রথম পর্যায়ের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন৷ ইইউ-র কালো তালিকায় মোট ১২০ থেকে ১৩০টি নাম শোনা যাচ্ছে, যাদের উপরেও নিষেধাজ্ঞা চাপানো যেতে পারে৷

ক্রাইমিয়ার প্রশ্নে ইউরোপ ও অ্যামেরিকা তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে৷ তারা এই গণভোটকে অসাংবিধানিক মনে করে৷ তবে কূটনৈতিক পথ এখনো পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ক্রাইমিয়া থেকে রুশ সৈন্য প্রত্যাহার করে নিলে এবং ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার পথে গেলে রাশিয়ার সঙ্গে একটা রফা সম্ভব হতে পারে৷ রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিন অবশ্য কসোভোর দৃষ্টান্ত দেখিয়ে ক্রাইমিয়ার জনগণের সিদ্ধান্তের বৈধতার পক্ষে সওয়াল করে চলেছেন৷

রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নে ইউরোপে কতটা ঐকমত্য দেখা যাবে, সে বিষয়ে কিছু সন্দেহ দেখা যাচ্ছে৷ যেমন ২৮ সদস্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নে গ্রিস, সাইপ্রাস, ইটালি, স্পেন ও পর্তুগাল রাশিয়ার বিরুদ্ধে এত দ্রুত শাস্তিমূলক পদক্ষেপের পক্ষপাতি নয়৷ তাছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের বিশাল বাণিজ্যিক সম্পর্ক আংশিকভাবে বন্ধ করলেও দুই পক্ষেরই ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ