অধিকৃত ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ ও রাশিয়ার ভূখণ্ডে রোববার একাধিক ড্রোন হামলা ঘটেছে৷ বাখমুতের কাছে একটি গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেন৷ জাতিসংঘের আদালতে রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাত চলছে৷
বিজ্ঞাপন
রাশিয়ার হাত থেকে অধিকৃত এলাকা পুনরুদ্ধার এবং ২০১৪ সালে দখল করা ক্রাইমিয়া উপদ্বীপে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে ইউক্রেন কিছু সাফল্য দাবি করছে৷ রোববার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি তাঁর দৈনিক ভিডিও বার্তায় বলেন, বাখমুত শহরের দক্ষিণে ক্লিশচিভকা গ্রাম ইউক্রেনের সৈন্যদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে৷ তাঁর মতে, ধাপে ধাপে গোটা বাখমুত শহরও আবার শত্রুমুক্ত করা হবে৷ ইউক্রেনের স্থলবাহিনীর প্রধান ওলেক্সান্ডার সিরস্কি সেই গ্রামে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন৷ নিরপেক্ষভাবে সেই দাবি যাচাই করা এখনো সম্ভব হয় নি৷ মস্কোও বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করে নি৷
রাশিয়ার বিরুদ্ধে পালটা অভিযানে ইউক্রেন এখনো তেমন উল্লেখযোগ্য সাফল্য না পেলেও বাখমুত শহরের কাছে কিছু এলাকা পুনর্দখলের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণে রুশ হানাদার বাহিনীকে তাড়ানোর কাজ সহজ হবে বলে অনেক সামরিক বিশ্লেষক মনে করছেন৷ ইলিয়া ইভলাশ নামের এক সামরিক মুখপাত্র বলেন, এই সংঘাতে রুশ বাহিনীর এয়ারবোর্ন ইউনিট এবং চেচেন নেতা রামজান কাদিরভের ‘আখমাত' বাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ সেইসঙ্গে রুশ অপরাধীদের ইউনিট ‘স্টর্ম জেড', সামরিক গোয়েন্দা বাহিনী ও মোটোরাইজড রাইফেল ইউনিটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ টেলিগ্রাম চ্যানেলে সেই দাবি করে ইভলাশ লেখেন, যে এই সাফল্যের ফলে হানাদার বাহিনীর হাত থেকে দেশের অনেক অংশ পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে আরও সুবিধা হবে৷
রোববারই ক্রাইমিয়া উপদ্বীপে কমপক্ষে নয়টি ড্রোন হামলার কথা জানিয়েছে রাশিয়া৷ মস্কোর উপকণ্ঠে ও দুটি সীমান্ত এলাকায়ও এমন হামলা ঘটেছে৷ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় টেলিগ্রাম চ্যানেলে অবশ্য সব ড্রোন হামলা বানচাল করা হয়েছে বলে দাবি করেছে৷ মোট ১৩টি হামলার উল্লেখ করেছে রাশিয়া৷ তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের উল্লেখ করে নি মস্কো৷ শুধু ইউক্রেনের পূর্বে খারকিভ শহরে এক সামরিক যান মেরামতির কারখানায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতির কথা স্বীকার করা হয়েছে৷
ইউক্রেন-রাশিয়ার তীব্র ড্রোনযুদ্ধ
কয়েকদিন আগেও ইরানের ড্রোনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে দেশে দেশে৷ বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল- ইরানের দেয়া ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার হামলা থামাতে হবে৷ সম্প্রতি ইউক্রেনও ড্রোন হামলা শুরু করায় যুদ্ধ রূপ নিয়েছে ‘ড্রোনাড্রোনিতে’৷
ছবি: Stringer/REUTERS
ইউক্রেন তখন অসহায়
২০২২ সালের শেষ দিকে ইউক্রেনে নিয়মিত দেখা যেতো এমন দৃশ্য ৷ নিয়মিত বিরতিতে মৃত্যুদূত হয়ে উড়ে আসতো রাশিয়ার পাঠানো ড্রোন৷ সেই ড্রোনের ফেলা বোমায় ধসে পড়তো ভবন, মৃত্যু হতো অনেকের৷ ড্রোনের বিরুদ্ধে লড়াই এভাবে বন্দুক দিয়েই করতেন ইউক্রেনের সৈন্যরা৷ দূর আকাশে কিছু দেখা গেলেই এভাবে বন্দুক উঁচিয়ে গুলি ছুঁড়তেন তারা৷
ছবি: Vadim Sarakhan/REUTERS
প্রথম মাসে ২২০টি ড্রোন ধ্বংস
২০২২ সালের অক্টোবরে ইউক্রেনের সৈন্যরা গুলি করে কমপক্ষে ২২০টি ড্রোন ধ্বংস করে৷ তারপরও অবশ্য ড্রোন হামলার ভয়াবহতা কমানো যাচ্ছিল না৷
ছবি: Roman Petushkov/REUTERS
যুদ্ধ রাশিয়ার, আলোচনায় ইরান
ওপরের ছবিতে ড্রোন থেকে ফেলা বোমার আঘাতে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের একটি আবাসিক এলাকা৷ এমন ভয়াবহ সব হামলার জন্য রাশিয়ার প্রতি নিন্দা জানালেও বারবারই ঘুরেফিরে আসছিল ইরানের কথা৷ কারণ, ইউক্রেনের দাবি- ইরানের দেয়া শাহেদ-১৩৬ ড্রোন দিয়েই এসব হামলা চালাচ্ছিল রাশিয়া৷ ইউক্রেন তখন রাশিয়াকে এভাবে ড্রোন দিয়ে সহায়তা করায় বিশ্ব নেতৃত্বের প্রতি ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও তোলে৷
ছবি: Oleksii Chumachenko/ZUMA Wire/IMAGO
কিয়েভে ইরান-বিরোধী বিক্ষোভ
রাশিয়া ইরানের দেয়া ড্রোন দিয়ে হামলা চালাচ্ছে- এই অভিযোগে কিয়েভে ইরান দূতাবাসের সামনে বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেন কিয়েভবাসীরা৷
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখ শহরেও ইউক্রেনীয় শরণার্থীরা রাশিয়াকে ড্রোন দেয়ায় ইরানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন৷
ছবি: Sachelle Babbar/ZUMAPRESS/picture alliance
ড্রোনের জবাবে ড্রোন
তবে ইউক্রেন এখন আর শুধু ড্রোন-হামলা ঠেকিয়েই অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টা করছে না৷ ইউক্রেনীয় সৈন্যরাও ড্রোন পাঠিয়ে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়ার সৈন্যদের ওপর৷ ওপরের ছবিতে দনেৎস্কের ভুলেদার এলাকা থেকে ড্রোন হামলা চালাচ্ছেন এক ইউক্রেনীয় সৈন্য৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
সার্চ লাইটের আলোয় ড্রোন খোঁজা
শুধু হামলা চালালেই তো হবে না, প্রতিরক্ষের হামলা নস্যাৎও করতে হবে৷ কিয়েভের আকাশে সার্চ লাইটের আলো ফেলে তা-ই নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন ইউক্রেনের সৈন্যরা৷ আলোয় রাশিয়ার কোনো ড্রোন দেখা গেলেই গুলি চালান তারা৷
ছবি: Gleb Garanich/REUTERS
অ্যান্টি-ড্রোন রাইফেল
দনেৎস্কের হরলিভকা এলাকায় অ্যান্টি-ড্রোন রাইফেল হাতে ইউক্রেনের এক সৈন্য৷
ছবি: Oleksandr Ratushniak/REUTERS
রিমোট হাতে যুদ্ধ
ইউক্রেনে প্রায়ই সৈন্যদের হাতে এক ধরনের রিমোট দেখা যায়, যেগুলোর একমাত্র কাজ ড্রোন পরিচালনা করা৷ ছবির এই সৈন্যের হাতেও ড্রোন চালানোর একটি রিমোট৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
রাশিয়াতেও ড্রোন-আতঙ্ক
ইদানীং রাশিয়ার কিছু অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷ ওপরের ছবিটি রবিবার (২৬ মার্চ) রাশিয়ার তুলা অঞ্চলের কিরীভস্ক শহরে তোলা৷ ইউক্রেনের পাঠানো ড্রোন থেকে ফেলা বোমায় সেখানকার ভবনও বিধ্বস্ত৷
ছবি: Vitaliy Belousov/SNA/IMAGO
ভরসার অপর নাম ইউএভি
কোনো চালক ছাড়াই ছোট ছোট এসব বাহন উড়ে যে কোনো জায়গায় চলে যেতে পারে বলে এগুলোর আরেক নাম আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল, সংক্ষেপে ইউএভি৷ জাপোরোনিঝিয়ায় ইউক্রেনীয় এই সেনার হাত থেকে এক্ষুনি উড়ে যাবে ইউএভিটি৷
ছবি: Stringer/REUTERS
12 ছবি1 | 12
ইউক্রেন ও রাশিয়ার সংঘাত শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নেই৷ জাতিসংঘের মানবাধিকার আদালতেও সোমবার থেকে দুই দেশ নিজস্ব অবস্থান তুলে ধরছে৷ গত বছর ইউক্রেনের উপর হামলার অজুহাত হিসেবে রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে গণহত্যার দাবি তুলেছিল৷ দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালতের রাশিয়ার চলমান সামরিক পদত্রেপ বন্ধ করার নির্দেশ দেবার এক্তিয়ার আছে কিনা, সে দিকে সবার নজর থাকবে৷ ২০২২ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার হামলা শুরু হবার দুই দিন পর ইউক্রেন জাতিসংঘের আদালতের দ্বারস্থ হয়৷ সে বছর মার্চ মাসে আদালত ইউক্রেনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে অবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল৷ কিন্তু সেই ‘প্রাথমিক রায়' সত্ত্বেও আদালতের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ তাছাড়া জাতিসংঘের রায় কার্যকর করা বাধ্যতামূলক হলেও সেটি নিশ্চিত করতে আদালতের হাতে কোনো পুলিশ বাহিনী নেই৷ রাশিয়ার মতে, এ ক্ষেত্রে আদালতের কোনো এক্তিয়ার নেই৷
শাহেদ-১৩৬ : ইউক্রেনে আতঙ্ক ছড়ানো ইরানের ড্রোন
ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চলেছে ইইউ৷ না, পারমাণবিক অস্ত্র বা মাহসা আমিনি হত্যাকাণ্ড নয়, নিষেধাজ্ঞার কারণ ইরানের এমন এক ড্রোন যা নিয়ে ইউক্রেনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে রাশিয়া৷ বিস্তারিত ছবিঘরে...
ছবি: Efrem Lukatsky/AP/picture alliance
ইউক্রেনের আকাশে পুলিশের মুহুর্মুহু গুলি
১৭ অক্টোবরের ছবি৷ আকাশের দিকে গুলি ছুঁড়ছেন ইউক্রেনের দুই পুলিশ সদস্য৷ দূরে রাশিয়ার ড্রোন ছুটে আসতে দেখেছেন, তাই এভাবে আকাশের দিকে গুলি ছোঁড়েন তারা৷ ইউক্রেনের অভিযোগ- রাশিয়াকে এমন এক ড্রোন সরবরাহ করেছে ইরান, যা এখন অনায়াসে উড়ে ঢুকে রাজধানী কিয়েভে, ঢুকে দমাদম বোমা ফেলছে যেখানে-সেখানে৷
ছবি: Vadim Sarakhan/REUTERS
একমাসে ২২০টি ড্রোন!
না, ২২০টি ড্রোন রাশিয়াকে দেয়নি ইরান, অভিযোগ সত্যি হলে তার চেয়ে অনেক বেশি ড্রোন ইরান থেকে পেয়েছেন পুটিন৷ ইউক্রেনের দাবি, গত এক মাসের চেয়ে একটু বেশি সময়ে ২২০টিরও বেশি ড্রোন গুলি করে ফেলেছে তাদের নিরাপত্তা বাহিনী৷ রাশিয়া অবশ্য ইরানের কাছ থেকে কোনো ধরনের ড্রোন নেয়ার কথা অস্বীকার করেছে৷ ইরানেরও একই সুর, অর্থাৎ তারা বলছে, রাশিয়াকে কোনো ড্রোনই দেয়া হয়নি৷ ছবিতে কিয়েভের আকাশে রাশিয়ার ড্রোন৷
ছবি: Roman Petushkov/REUTERS
কিয়েভে ভয়াবহ হামলা
সোমবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আবাসিক এলাকায় বোমা হামলা চালায় রাশিয়ার ড্রোন৷ হামলায় পাঁচ জন মারা যান৷ ছবিতে হামলায় বিধ্বস্ত এক ভবন থেকে আটকে পড়াদের বের করার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা৷
ছবি: Oleksii Chumachenko/ZUMA/IMAGO
আতঙ্কের নাম শাহেদ-১৩৬
১৭ অক্টোবরের এই ছবিতেও ড্রোন থেকে ফেলা বোমায় বিধ্বস্ত কিয়েভের আবাসিক এলাকার এক অংশ দেখা যাচ্ছে৷ ইউক্রেনের দাবি- রাশিয়ার হয়ে এ হামলা চালিয়েছে ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ ড্রোন৷
ছবি: Oleksii Chumachenko/ZUMA Wire/IMAGO
শাহেদ-১৩৬-এর আরেক নাম
ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ রাশিয়ার ব্যবহার করা ড্রোনকে কামিকাজে ড্রোন নামেও বর্ণনা করছে৷ ওপরের ছবিতে সেই ড্রোনের হামলায় বিধ্বস্ত কিয়েভের আবাসিক এলাকার একাংশ৷
ছবি: NurPhoto/IMAGO
কামিকাজে কী?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের বিমান বাহিনী এই নামে মিত্রবাহিনীর নৌবহরের ওপর আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল৷ জাপানি ভাষায় কামিকাজে অর্থ ‘স্বর্গীয় বায়ু’৷ বিস্ফোরক বোঝাই বিমান নিয়ে বৈমানিকরা মিত্রবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজে আত্মঘাতী হামলা চালাতো বলে সেই হামলার নাম দেয়া হয়েছিল কামিকাজে৷ এমন হামলায় জাপানের প্রায় তিন হাজার ৮০০ বৈমানিক প্রাণ দিয়েছিলেন৷ বিপরীতে অন্তত সাত হাজার নৌ-সেনা হারিয়েছিল মিত্রবাহিনী৷
ছবি: Vadym Sarakhan/AP/picture alliance
ইউক্রেনের আকাশে ড্রোন মানেই এখন আতঙ্ক
কিয়েভের আকাশে উড়ে যাচ্ছে রাশিয়ার আরেকটি ড্রোন৷ এই ছবিটিও ১৭ অক্টোবরের৷
ছবি: SERGEY SHESTAK/EPA-EFE
ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র
কিয়েভসহ ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে ড্রোন হামলা হওয়ার পর হোয়াইট হাউস জানায়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র শিগগিরই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলবে৷ এ বিষয়ে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি৷
ছবি: Vladyslav Musiienko/REUTERS
ইরানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
সোমবারের হামলার পর ইরানের দূতাবাসের সামনে ইউক্রেনীয়দের বিক্ষোভ৷ ইরানের প্রতি অবিলম্বে রাশিয়াকে ড্রোন দিয়ে সহায়তা বন্ধ করার আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা৷
ছবি: SERGEY DOLZHENKO/EPA-EFE
পোল্যান্ডেও বিক্ষোভ
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর অনেক ইউক্রেনীয় পাশের দেশ পোল্যান্ডে আশ্রয় নেয়৷ সোমবার পোল্যান্ডের ওয়ারশ শহরের ইউক্রেনীয়রা কিয়েভে ড্রোন থেকে বোমা হামলার প্রতিবাদ জানান৷ ওয়ারশর ইরান দূতাবাসে গিয়ে বিক্ষোভ জানান তারা৷
ছবি: Aleksander Kalka/ZUMA//picture alliance
ইরানের ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা
রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করায় বুধবার ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় ইইউ৷ বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও বৈঠক হয়৷ রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র,ফ্রান্স এবং ব্রিটেন কিয়েভে ড্রোন হামলা চালানোয় নিরাপত্তা পরিষদকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনান অনুরোধ জানায়৷