যুদ্ধের সময় অসংখ্য শিশুকে ডিপোর্ট করে দেশে নিয়ে গেছিল রাশিয়া। তাদেরই ফেরত চায় ইউক্রেন।
বিজ্ঞাপন
এক বছর আগে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করেছিল রাশিয়া। সে সময় পূর্ব এবং দক্ষিণ ইউক্রেন থেকে বহু মানুষ এবং শিশুকে জোর করে নিজেদের দেশে নিয়ে গেছিল রাশিয়া। বস্তুত, শহর অবরুদ্ধ করেও ইউক্রেনের নাগরিক এবং শিশুদের রাশিয়ায় যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। এবার সেই শিশুদেরই ফেরত পেতে চায় ইউক্রেন। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, ''পৃথিবীর ইতিহাসে সম্ভবত এটাই সবচেয়ে বড় জোর করে ডিপোর্ট করার কাহিনি।''
ছবিতে ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছিল৷ জাতিসংঘের হিসেবে, এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার সেনা ও সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন৷
ছবি: Anatolii Stepanov/AFP/Getty Images
লাখ লাখ মানুষের জন্য কালো দিন
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে কিয়েভসহ ইউক্রেনের অনেক এলাকার নাগরিক এমন বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন৷ কারণ সেদিন রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর একটি দেশের উপর আরেক দেশের সবচেয়ে বড় হামলা৷ হামলার পরপরই ইউক্রেনে সামরিক আইন জারি করা হয়৷
ছবি: Ukrainian President s Office/Zuma/imago images
থিয়েটারে আশ্রয় নিয়েও রেহাই হয়নি
ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালানোর কথা বলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দনেৎস্ক ও লুহানস্ক এলাকা দখলের লক্ষ্যের কথা বলেছিলেন৷ দনেৎস্কের মারিউপল শহরের বাসিন্দারা কয়েক সপ্তাহ বাড়ির বেসমেন্টে আশ্রয় নিয়েছিলেন৷ ছবিতে মারিউপল থিয়েটার ভবন দেখা যাচ্ছে যেখানে আশ্রয় নেয়া কয়েকশ মানুষ রাশিয়ার হামলায় প্রাণ হারান৷
ছবি: Nikolai Trishin/TASS/dpa/picture alliance
রেকর্ড পরিমাণ মানুষ দেশ ছাড়তে বাধ্য হন
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকট দেখা দেয়৷৷ জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর মতে, আশি লাখের বেশি মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান৷ পোল্যান্ড একাই প্রায় ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয় দেয়৷
ছবি: Anatolii Stepanov/AFP
বুচার ছবি বিশ্বকে চমকে দেয়
মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে রুশ সেনাদের সরিয়ে দিতে সমর্থ হয় ইউক্রেনের সেনাবাহনী৷ কিয়েভ দখল করার রাশিয়ার পরিকল্পনাও ভেস্তে যায়৷ সেই সময় কিয়েভের কাছে বুচা এলাকায় রাশিয়ার নৃশংসতার চিহ্ন দেখা যায়৷ সেখানকার নাগরিকদের অত্যাচার ও হত্যার চিত্র বিশ্ববাসীকে চমকে দেয়৷ রুশ বাহিনীর হাতে বুচায় ৪৬১ জন হত্যার শিকার হন বলে কর্মকর্তারা জানান৷
ছবি: Carol Guzy/ZUMA PRESS/dpa/picture alliance
পালাতে গিয়ে প্রাণহানি
এপ্রিলে ইউক্রেনের ডনবাস এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ৷ এলাকা ছাড়তে সেখানকার ক্রামাটর্সক শহরের স্টেশনে জড়ো হয়েছিলেন অনেকে৷ কিন্তু সেখানে রাশিয়া হামলা চালালে ৬১ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান৷ আহত হন ১২০ জন৷
হামলা থেকে বাঁচতে অনেক ইউক্রেনীয় পাতাল রেলস্টেশন বেছে নিয়েছিলেন৷
ছবি: Dimitar Dilkoff/AFP/Getty Images
প্রতিরোধের প্রতীক
যুদ্ধের প্রথম দিনই কৃষ্ণ সাগরের স্নেক আইল্যান্ড দখল করে নিয়েছিল রাশিয়া৷ সেই সময় ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পন করতে না চাওয়ার একটি অডিও ভাইরাল হয়৷ জুনে ইউক্রেন জানায়, তারা স্নেক দ্বীপ থেকে রুশদের সরিয়ে দিতে সমর্থ হয়েছে৷
ছবি: Ukraine's border guard service/AFP
হতাহতের সংখ্যা অস্পষ্ট
এখন পর্যন্ত যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা কত তা অস্পষ্ট৷ জাতিসংঘ বলছে, কমপক্ষে সাত হাজার ২০০ সাধারণ নাগরিক মারা গেছেন৷ আহতের সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার৷ ইউক্রেনের কত সেনা মারা গেছেন তাও জানা যায়নি৷ ডিসেম্বরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের একজন উপদেষ্টা জানান, সংখ্যাটি ১৩ হাজার পর্যন্ত হতে পারে৷ নিরপেক্ষ তথ্য পাওয়া যায়নি৷
ছবি: Raphael Lafargue/abaca/picture alliance
ইউক্রেনকে পশ্চিমের অস্ত্র সহায়তা
যুদ্ধের শুরুর দিকে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করা হবে কিনা তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে৷ পরে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হাইমার্স রকেট লঞ্চার পায় ইউক্রেন৷ এটা দিয়ে যুদ্ধরত রাশিয়ার সেনাদের কাছে পুনরায় অস্ত্র পাঠানোর বিষয়ে বাধা দেয়া সম্ভব হয়৷ এছাড়া এই লঞ্চারের কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কিছুটা রুখে দাঁড়াতে সমর্থ হয় ইউক্রেন৷
ছবি: James Lefty Larimer/US Army/Zuma Wire/IMAGO
মুক্তির স্বাদ
সেপ্টেম্বরের শুরুতে খারকিভে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণ চালায় ইউক্রেন৷ হঠাৎ এই আক্রমণের পর রুশ সেনারা অস্ত্র ও যন্ত্রপাতি ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়৷ দক্ষিণের খেরসন শহর মুক্ত করতে সমর্থ হন ইউক্রেনের সেনারা৷ ছবিতে ইউক্রেনের সেনাদের দেখে উল্লসিত ইউক্রেনীয়দের দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Bulent Kilic/AFP/Getty Images
ক্রাইমিয়া ব্রিজে বিস্ফোরণ
অক্টোবরের শুরুতে ক্রাইমিয়া ব্রিজে বড় বিস্ফোরণ হয়৷ এতে ব্রিজের কিছু অংশ ভেঙে যায়৷ রাশিয়া বলছে, বিস্ফোরকবাহী একটি ট্রাকের কারণে এমন হয়েছে৷ আর কিয়েভ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি৷
ছবি: AFP/Getty Images
জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা
ক্রাইমিয়া ব্রিজে বিস্ফোরণের কিছুদিন পর ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা শুরু করে রাশিয়া৷ সে কারণে লাভিভ থেকে শুরু করে খারকিভ সব জায়গায় বিদ্যুতের অভাব দেখা দেয়৷ এরপর থেকে রাশিয়া জ্বালানি অবকাঠামোতে নিয়মিত হামলা করে এসেছে৷
ছবি: Genya Savilov/AFP/Getty Images
ইইউ সদস্যপদ পাওয়ার পথে
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রতিদিন ভিডিও বার্তা দেয়া শুরু করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি৷ তার এই বার্তা ইউক্রেন ছাড়াও পশ্চিমা বিশ্বের নেতা ও নাগরিকদের আকৃষ্ট করে৷ সে কারণে ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমের সমর্থন বেড়েছে৷ দেশটি এখন ইইউর সদস্যপদ পাওয়া নিয়ে আলোচনা করছে৷
ছবি: Kenzo Tribouillard/AFP
লেওপার্ড ২ ট্যাঙ্ক পাচ্ছে ইউক্রেন
যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কয়েকটি দেশ ইউক্রেনকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের মানবিক, সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে৷ তবে রাশিয়ার উদ্বেগের কথা ভেবে ইউক্রেনকে লেওপার্ড ২ ট্যাঙ্ক দেয়া হবে কিনা তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে৷ সম্প্রতি ইউক্রেনকে ঐ ট্যাঙ্ক দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ এই ট্যাঙ্কটি জার্মানির তৈরি৷
ছবি: Ina Fassbender/AFP/Getty Images
14 ছবি1 | 14
জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত সভায় যোগ দিয়েছেন কুলেবা। সেখানেই এবিষয়ে সরব হয়েছেন তিনি। বলেছেন, ইউক্রেনের শিশুদের ছিনিয়ে নেওয়া রাশিয়ার সবচেয়ে বড় অপরাধ।
অ্যামেরিকার একটি মানবাধিকার সংগঠনের বক্তব্য, ইউক্রেনের অন্তত ছয় হাজার শিশু রাশিয়ার দখল করা ক্রাইমিয়ায় আছে। রাশিয়ার সেনা সেখানেই তাদের রেখেছে। এই শিশুদের রাজনৈতিক কারণেই সেখানে রাখা হয়েছে বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। রাশিয়া অবশ্য এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় বলেছে, রাশিয়ার ভিতরে অন্তত ৪৩টি ক্যাম্পে ইউক্রেনের শিশুদের রাখা হয়েছে। মস্কো এই ক্যাম্পগুলিকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে বলে তাদের দাবি।
রাশিয়া থেকে পালিয়ে জর্জিয়ায় রুশ মিউজিশিয়ানরা
ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে যে কেবল ইউক্রেন থেকেই মানুষ অন্য দেশে পালাচ্ছেন, এমনটা নয়৷ বরং ভ্লাদিমির পুটিনের একের পর এক সামরিক সিদ্ধান্তের বলি যাতে না হতে হয়, সেজন্য অনেক রাশিয়ানও আশ্রয় নিচ্ছেন ভিন দেশে৷
ছবি: Maxim Shemetov/REUTERS
যুদ্ধ নয়, সংগীত
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে বাধ্যতামূলক সামরিক বাহিনীতে নাম লেখানোর আদেশ দিয়েছেন পুটিন৷ কিন্তু যুদ্ধ নয়, বরং সংগীত নিয়েই জীবন কাটাতে চান রুশ মিউজিশিয়ানরা৷ ফলে যুদ্ধের ভয়াবহতা এড়াতে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন প্রতিবেশী জর্জিয়ায়৷ সেখানে তাদের গান ও মিউজিকের কদরও পাচ্ছেন৷
ছবি: U.S. Army/ABACA/picture alliance
ঘুস দিয়ে সীমান্ত পাড়ি
মস্কো থেকে আসা ২৯ বছর বয়সি আলেক্সেই আন্ত্রোপভ একজন ক্লাসিক্যাল ডাবল বেসিস্ট৷ এখন বাস করেন জর্জিয়ার রাজধানী টিবিলিসিতে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘মেঠো পথ ধরে গাড়ি চালিয়ে সীমান্তের দিকে এসেছি আমরা৷ পথে পুলিশ কর্মকর্তাদের ঘুস দিয়ে হয়েছে৷ এরপর প্রায় ১০ কিলোমিটার হেঁটে সীমান্ত পাড়ি দিতে হয়েছে৷’’
ছবি: Maxim Shemetov/REUTERS
স্মৃতিকাতরতা
৩৮ বছর বয়সি গ্রিগোরি ডবরিনিনও টিবিলিসিতে বাস করেন৷ রুশ ব্যান্ড এসবিপিসিএইচ এর ড্রামার ছিলেন তিনি৷ এখন জর্জিয়ান তরুণদের ড্রামস বাজানো শেখান তিনি৷ ডবরিনিন বলেন, ‘‘শিক্ষকতা করানোটাকে আমি পিছিয়ে যাওয়া বলে মনে করি না৷ ব্যান্ডে বাজানো আর শিক্ষকতা করা সম্পূর্ণ আলাদা ব্যাপার, দুটোর তুলনা করা সম্ভব নয়৷ তবে সত্যি বলতে গেলে আমি কনসার্টগুলো খুব মিস করি৷ আমার জন্য এটা অনেক বড় ক্ষতি৷’’
ছবি: Maxim Shemetov/REUTERS
যুদ্ধের বিরোধিতা করে কালো তালিকায়
আনাস্তাশিয়া ইভানোভার বয়স ২২ বছর৷ রুশ এই গায়িকা এবং গিটারিস্টকে ভক্তরা গ্রেশকা নামেও চেনেন৷ গত বসন্তে রাশিয়া থেকে পালিয়ে আসার পর থেকে আর ফিরে যাননি তিনি৷ ইউক্রেন যুদ্ধের বিরোধিতা করায় তাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ৷
ছবি: Maxim Shemetov/REUTERS
ক্রাইমিয়া দখলের বিরোধিতা
কেবল ইউক্রেন যুদ্ধ নয়, ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রাইমিয়া দখলেরও বিরোধিতা করেছিলেন ইভানোভা৷ এরপর ইউক্রেনে এক অনুষ্ঠানে গান গাইতেও গেয়েছিলেন তিনি৷ তখন ইউক্রেনবাসী তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিল৷
ছবি: Maxim Shemetov/REUTERS
ভবিষ্যতেও আলো নেই
আন্ত্রোপভের মতো অনেক রুশ শিল্পীই রাশিয়ার ভবিষ্যত খুব দ্রুতই সুখকর হয়ে উঠবে বলে আশা করেন না৷ বরং তিনি মনে করেন, ‘‘পরবর্তী পুটিন বর্তমান পুটিনের চেয় আরো ভয়ঙ্কর হতে পারে৷‘‘ তিনি বলেন, আমার এমন একটা স্থান দরকার ছিল, যেখানে বারবার ফিরে আসা যায়৷ আশা করছি টিবিলিসির মতো সুন্দর শহর আমার বাড়ি হয়ে উঠবে৷
ছবি: Maxim Shemetov/REUTERS
6 ছবি1 | 6
জার্মানির বক্তব্য
ইউক্রেনের বক্তব্যের পাশে দাঁড়িয়েছে জার্মানি। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক নিঃশর্তে ইউক্রেনের শিশুদের ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। জাতিসংঘের বৈঠকে তিনি বলেছেন, শিশুদের তাদের জায়গা, তাদের বন্ধু, তাদের আত্মীয় পরিজনদের কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া এক ধরনের অপরাধ। কীভাবে বেঁচে আছে ওই শিশুরা? এই মুহূর্তে তাদের ছেড়ে দেওয়া উচিত। নিজেদের জীবনে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।
তার অভিযোগ, যুদ্ধের শুরুতে রাশিয়ার সেনা ১৫টি শিশুকে অপহরণ করেছিল। তারমধ্যে সবচেয়ে ছোট শিশুটির বয়স মাত্র নয় বছর। সমস্ত শিশুকে রাশিয়া না ছাড়া পর্যন্ত জার্মানি চুপ করবে না বলেও এদিন কার্যত হুমকি দিয়েছেন বেয়ারবক।
শুধুশিশু নয়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। বস্তুত, যুদ্ধাপরাধের মামলা হয়েছে আন্তর্জাতিক আদালতে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত সংস্থাতেও এবিষয়ে সরব হয়েছে ইউক্রেন। তবে এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুদের ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলল ইউক্রেন।