রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি বন্ধ করার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসল ইইউ দেশগুলি।
বিজ্ঞাপন
এতদিন ধরে জার্মানি এই নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ছিল না। কারণ, রাশিয়ার গ্যাস ও তেলের উপর জার্মানি অনেকটাই নির্ভরশীল। কিন্তু সম্প্রতি জার্মানি তাদের মনোভাব বদল করে জানিয়েছে, ইইউ যদি এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তাহলে তাদের আপত্তি নেই। তারপরই ব্রাসেলসে ইইউ-র এনার্জি বা শক্তি মন্ত্রীরা সোমবার থেকে আলোচনায় বসেছেন।
মস্কো ইতিমধ্যে পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় তেল ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছে। ইইউ-র দেশগুলির মনোভাব হলো, রাশিয়ার এই ব্ল্যাকমেল তারা মেনে নেবে না। তবে সবচেয়ে বড় নীতিপরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। তারা জানিয়ে দিয়েছে, যদি অবিলম্বে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তাহলে তারা আর বিরোধিতা করবে না।
ইইউ-র ২৭টি দেশ কমবেশি রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও কয়লার উপর নির্ভরশীল। ইইউ তাদের চাহিদার ২৬ শতাংশ তেল ও ৪০ শতাংশ গ্যাস রাশিয়া থেকে আমদানি করে। জার্মানি সহ অনেক দেশই রাশিয়ার গ্যাসের উপর খুব বেশি নির্ভরশীল।
রাশিয়ার উপর কে, কত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে
ইউক্রেনে হামলার পর থেকে রাশিয়ার উপর দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে পশ্চিমা দেশগুলো৷ সঙ্গে যোগ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, জাপান৷ পাল্টা পদক্ষেপ নিচ্ছে রাশিয়াও৷ ছবিঘরে জানুন বিস্তারিত৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Smialowski
শীর্ষে যুক্তরাজ্য
রাশিয়ার উপর কারা কত নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে তার হালনাগাদ পরিসংখ্যান রাখছে বৈশ্বিক নিরাপত্তা ঝুঁকি ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট কাস্টেলাম ডট এআই৷ তাদের হিসাবে ইউক্রেনে হামলার পর থেকে ক্রেমলিনের উপর সবচেয়ে বেশি ৮৭৮টি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য৷ এই তালিকায় রুশ ব্যাংক, ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে আব্রাহোমোভিচের (ছবি) মতো ধনকুবের কিংবা পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লেভরভের সৎ কন্যাও রয়েছেন৷
ছবি: Mike Egerton/empics/picture alliance
সম্পদ জব্দ করছে সুইজারল্যান্ড
নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাশিয়ার ৬১৭ কোটি ডলারের সম্পদ এরই মধ্যে জব্দ করেছে সুইজারল্যান্ড, যা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার৷ ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার উপর সুইজারল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞার সংখ্যা ৭৭৪টি৷
ছবি: Jean-Christophe Bott/EPA-EFE
আরো বাড়াতে চায় ইইউ
ইউক্রেনে হামলার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো একযোগে রাশিয়ার বিভিন্ন খাত, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে৷ কয়েক দফায় সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ৭০৫-এ, যা আরো বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে৷ এছাড়া ফ্রান্সের অর্থ বিভাগ নিজেরাও আলাদাভাবে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞার তালিকা করেছে, যার সংখ্যা ৬৯৬৷
ছবি: IAN LANGSDON/AFP/Getty Images
টার্গেটে মিডিয়া ব্যাক্তিত্বরাও
ক্যানাডার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরাও৷ চলতি মাসের শুরুর দিকে রাশিয়ার গণমাধ্যম নির্বাহীসহ দশ জনের একটি তালিকা ঘোষণা করে দেশটি৷ তাদের মধ্যে রয়েছেন রাশিয়ান টেলিভিশন নিউজ নেটওয়ার্ক আরটির প্রধান সম্পাদক মার্গারিটা সিমোনিয়ানও৷ সব মিলিয়ে ইউক্রেনে রুশ হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫২৬ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ক্যানাডা৷
ছবি: Muhammed Ibrahim Ali/IMAGESLIVE via ZUMA Press Wire/picture alliance
বিনিয়োগকারীরাও ছাড় পাচ্ছে না
অস্ট্রেলিয়ায় সম্পদ আছে রাশিয়ার এমন ধনকুবেরদের উপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে দেশটি৷ গত সপ্তাহে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন কুইন্সল্যান্ডে অ্যালুমিনা পরিশোধনাগারের বিনিয়োগকারী ওলেগ দেরিপাস্কা (ছবি)৷ ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার উপর ৪৭৯টি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি৷
ছবি: picture.alliance/dpa/Tass/V. Smirnov
অন্যদের চেয়ে কম যুক্তরাষ্ট্র
রাশিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে সরব যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে মিত্র দেশগুলোর তুলনায় এখনও তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকাটি ছোট৷ কাস্টেলাম এর হিসাবে হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ক্রেমলিনের উপর ২৯৩ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন৷ তবে ২৪ মার্চ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার পার্লামেন্ট ডুমা ও এর ৩২৮ সদস্য এবং ৪৮টি প্রতিরক্ষা সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র৷
ছবি: Brendan Smialowski/AFP
তৎপর জাপানও
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে শুরু থেকেই সরব জাপান৷ রাশিয়ার রাজনীতিবিদ, তাদের স্বজনদের উপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে দেশটি৷ তার মধ্যে আছেন ডুমার ১১ সদস্য, ব্যাংকার, শিল্পপতিও৷ ২২ ফেব্রুয়ারির পর এখন পর্যন্ত মোট ৮৮টি নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে তারা৷
ছবি: The Yomiuri Shimbun/AP Images/picture alliance
নিষেধাজ্ঞায় শীর্ষে রাশিয়া
রাশিয়া এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হওয়া দেশ৷ মোট সাত হাজার ৩৮৬টি নিষেধাজ্ঞার বোঝা বিশ্বের অন্যতম এই পরাশক্তির কাঁধে৷ এর মধ্যে চার হাজার ৩৬২টি দেয়া হয়েছে ইউক্রেনে হামলা শুরুর পরে৷ এর আগে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া দেশের তালিকায় শীর্ষে ছিল ইরান (৩৬১৬৷ এরপর রয়েছে সিরিয়া (২৬০৮), উত্তর কোরিয়া (২০৭৭), ভেনেজুয়েলা (৬৫১), মিয়ানমার (৫১০) ও কিউবা (২০৮)৷
ছবি: Mikhail Klimentyev/AP/picture alliance
নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য
২২ ফেব্রুয়ারির পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত চার হাজার ৩৬২টি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বেশিরভাগই দেয়া হয়েছে ব্যক্তির উপরে৷ তিন হাজার ৯১৫টি নিষেধাজ্ঞাই এ সংক্রান্ত৷ আর বাকি ৪৩৭টি দেয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানের উপরে৷
ছবি: Anton Novoderezhkin/Tass/imago images
রাশিয়ার পাল্টা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিনসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে ক্রেমলিন৷ অন্যদিকে ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোসহ ৩১৩ জনের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ এছাড়াও মার্চের শুরুতে রাশিয়া ‘অবন্ধুসুলভ’ ৪৮ দেশের তালিকা প্রকাশ করে৷ বুধবার পুটিন ঘোষণা দিয়েছেন দেশগুলোকে রাশিয়ার গ্যাসের মূল্য শোধ করতে হবে রুবলে৷
ছবি: Bai Xueqi/ Xinhua News Agency/picture alliance
10 ছবি1 | 10
ইউক্রেন অবশ্য বেশ কিছুদিন ধরে ইইউ-র সমালোচনায় মুখর। তারা জানিয়েছে, রাশিয়া যখন হামলা করেছে, তখন ইইউ প্রতিদিন রাশিয়া থেকে কয়লা, তেল, গ্যাস কিনছে এবং তাদের শয়ে শয়ে কোটি ইউরো দিচ্ছে। এটা ঠিক নয়।
ক্রেমলিন গত সপ্তাহে পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়াতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, যে সব দেশ বন্ধু নয়, তাদের রুবলে তেল ও গ্যাসের দাম দিতে হবে। তারা আর ইউরোতে দাম মেটাতে পারবে না। মস্কো জানিয়েছে, ডলার ও ইউরো দিতে হলে গাজপ্রোমের একটি ব্যাংকে দিতে হবে। সেখান থেকে তারা আরেকটি ব্যাংকে তা ট্রান্সফার করবে এবং তা রুবলে পরিবর্তিত করবে।
ইইউ এভাবে অর্থ দেয়া ও দুইটি দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা নিয়ে রাশিয়ার কাছে ব্যাখ্যা চাইতে পারে। সোমবার ইইউ জানিয়ে দিয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে এখন যে নিষেধাজ্ঞা জারি আছে, সেটা মানা হলে মস্কোকে ওইভাবে অর্থ দেয়া সম্ভব নয়।
বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রভাব
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর বেশিরভাগ দেশে খাবার এবং ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে৷ বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে অনেক দেশে৷ একটা হামলা সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে কীভাবে প্রভাব বিস্তার করছে, দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: Dong Jianghui/dpa/XinHua/picture alliance
জিনিসপত্রের দাম মারাত্মক বেশি
রুশ হামলার ফলে জার্মানির মানুষরা খুব ভুগছেন৷ জিনিসপত্রের দাম আচমকা অনেকটা বেড়ে গেছে৷ ১৯৮১ সালের পর চলতি বছরের মার্চে এত বেশি পরিমাণে মূল্যবৃদ্ধির সাক্ষী রইলো জার্মানি৷ দেশটি এখনো রাশিয়ার গ্যাস এবং তেলের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল৷
ছবি: Moritz Frankenberg/dpa/picture alliance
প্রভাব পড়েছে সুদূর কেনিয়ায়
নাইরোবির একটি পেট্রল পাম্পের ছবি৷ সারি বেঁধে গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে৷ জ্বালানির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে সারা বিশ্বজুড়ে৷ খাবারের দাম বেড়েছে, খাবারের জোগানও কমেছে৷ কেনিয়ায় জাতিসংঘের দূত মার্টিন কিমানি নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷
ছবি: SIMON MAINA/AFP via Getty Images
তুরস্কে কে সরবরাহ করবে?
বিশ্বে বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়া৷ রাশিয়া থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করায় অনেক দেশে রুটির দাম বেড়ে গেছে৷ তুরস্কে সরবরাহে ঘাটতি দেখা গিয়েছে৷ ইউক্রেন সারা বিশ্বে প্রথম পাঁচটি গম উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় রয়েছে, কিন্তু যুদ্ধের ফলে কৃষ্ণসাগর সংলগ্ন বন্দর দিয়ে শস্য আমদানি করা তাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব৷
ছবি: Burak Kara/Getty Images
ইরাকে বাড়ছে দাম
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বাগদাদের জামিলা মার্কেটে এক কর্মী বস্তা বস্তা আটা সাজিয়ে রাখছেন৷ ইউক্রেনে রুশ হামলার পর ইরাকের বাজারে গমের দাম আকাশছোঁয়া৷ সারা পৃথিবীর গম ব্যবসার প্রায় ৩০ শতাংশই রাশিয়া এবং ইউক্রেনের দখলে৷ ইরাক এই যুদ্ধে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে৷ তবে পুটিনের সমর্থনে পোস্টারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি এবং বিদ্যুতের দামেও প্রভাব পড়ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে৷
ছবি: Ameer Al Mohammedaw/dpa/picture alliance
লিমায় প্রতিবাদ
সম্প্রতি পেরুর রাজধানী লিমায় পুলিশের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সংঘর্ষ হয়েছে৷ খাবারের দাম বৃদ্ধির কারণে বিক্ষোভ দেখান তারা৷ ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পরই খাবারের দাম অনেকটা বেড়ে গিয়েছে৷
ছবি: ERNESTO BENAVIDES/AFP via Getty Images
শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা
চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে শ্রীলঙ্কা৷ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পেট্রোল, ডিজেলের মূল্য ২৫ শতাংশ বেড়ে যায় দেশটিতে৷ বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি, হাসপাতালে অপ্রতুল ওষুধ– সবমিলিয়ে রাজধানী কলম্বোয় রাষ্ট্রপতির দপ্তরের সামনে প্রতিবাদে অংশ নেন অসংখ্য মানুষ৷ জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট৷ এই পরিস্থিতিতে ভারত ও চীনের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছে শ্রীলঙ্কা৷
ছবি: Pradeep Dambarage/Zumapress/picture alliance
প্রভাব পড়েছে স্কটল্যান্ডেও
যুদ্ধের ফলে খাবার এবং তেলের দাম বেড়েছে স্কটল্যান্ডেও৷ ব্রিটেনজুড়েও শ্রমিক সংগঠনগুলি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাচ্ছে৷ ব্রেক্সিটের ফলে এমনিতেই ব্রিটেনে থাকা-খাওয়ার খরচ অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল৷ ইউক্রেনে রুশ হামলার ফলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে৷
ছবি: Jeff J Mitchell/Getty Images
মাছের দাম কেমন?
নিজেদের জাতীয় খাবার নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় পড়েছে যুক্তরাজ্য৷ পরিসংখ্যান বলছে, বছরে প্রায় ৩৮ কোটি ‘ফিস অ্যান্ড চিপস’ খায় ব্রিটিশরা৷ কিন্তু রাশিয়া এবং ইউক্রেনের এই টালমাটাল পরিস্থিতির ফলে জোগানে টান পড়েছে৷ কঠোর নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়া থেকে মাছ, ভোজ্য তেল, জ্বালানি ইত্যাদি আসছে না, ফলে সবকিছুর দামই বাড়ছে৷ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাজ্যে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৬.২ শতাংশ৷এখন তা আরো বেড়েছে৷
ছবি: ADRIAN DENNIS/AFP via Getty Images
নাইজেরিয়ার পরিস্থিতি
নাইজেরিয়ার ইফাবো এলাকার একজন বিক্রেতা বস্তায় আটা ভরছেন৷ দীর্ঘদিন ধরে আমদানি করা খাদ্যের উপর নির্ভরতা কমাতে চাইছে আফ্রিকার দেশটি৷ অন্য ক্ষেত্রেও অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে৷ ইউক্রেন রুশ যুদ্ধের ফলে কি নাইজেরিয়ার সুবিধা হবে? নাইজেরিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি সম্প্রতি দেশের সবচেয়ে বড় সার কারখানা খুলেছেন৷ তিনি প্রচুর ক্রেতা পাবেন বলেই মনে করছেন৷
ছবি: PIUS UTOMI EKPEI/AFP via Getty Images
9 ছবি1 | 9
ইইউ-র বেশ কিছু দেশ মনে করে, রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। তাহলে রশিয়া বড় ধাক্কা খাবে। কিন্তু অনেক দেশ এটাও মনে করছে, এই সিদ্ধান্ত নিলে তার বড় প্রভাব ইইউ-র উপরও এসে পড়বে। ইইউ-কেও সেই ধাক্কা সামলাতে হবে।
জার্মান ভাইস-চ্যান্সেলার হাবেক বলেছেন, রাশিয়ার তেল-গ্যাসের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে জার্মানির অর্থনীতিতে তার একটা বড় প্রভাব পড়বে। তাও তারা ব্রাসেলসে যে সিদ্ধান্ত হবে, তা মেনে নিতে রাজি।
তবে স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরির সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক খুবই ভালো। তারা জানিয়ে দিয়েছে, রাশিয়ার উপর তেল-গ্যাস-কয়লা নিয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা তারা মানবে না। সূত্র জানাচ্ছে, ইইউ যদি রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারিও করে, তাহলে হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়াকে ছাড় দেয়া হতে পারে।