শহরের শিল্পাঞ্চলে ঢুকে পড়েছে রাশিয়ার সেনা। অ্যাজট রাসয়নিক কারখানায় আটকে তিনশ বেসামরিক মানুষ। অন্যদিকে নোবেল নিলামে তুললেন রাশিয়ার সাংবাদিক।
বিজ্ঞাপন
রোববার সিভিয়েরোদনেৎস্কের শহরতলি মেটিওলকিন দখল করেছিল রাশিয়ার সেনা। সোমবার তারা ঢুকে পড়ল মূল শহরে। পূর্ব ইউক্রেনের এই শহর শিল্পাঞ্চলের জন্য বিখ্যাত। সিভিয়েরোদনেৎস্কের মেয়র সেরহি হারদাই জানিয়েছেন, শিল্পাঞ্চলের বড় অংশ এখন রাশিয়ার সেনার দখলে। তবে এখনো অ্যাজট রাসায়নিক কারখানা ইউক্রেনের সেনার হাতে আছে। কারখানার ভিতরে আশ্রয় নিয়েছিলেন অন্তত তিনশ বেসামরিক মানুষ। তারা সকলেই সেখানে আটকে পড়েছেন। তাদের ঘিরে রেখেছে ইউক্রেনের সেনা।
যুদ্ধের মাঝেই দেশে ফিরছেন যে শরণার্থীরা
02:07
এর আগে মারিউপলের একটি কারখানায় ঠিক এভাবেই আটকে পড়েছিলেন বহু বেসামরিক ইউক্রেনীয়। দীর্ঘদিন ধরে সেই কারখানা ঘিরে লড়াই হয়েছিল। শেষপর্যন্ত জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে ওই কারখানা থেকে উদ্ধার করা হয় বেসামরিক মানুষদের। কারখানায় থাকা ইউক্রেনীয় সেনাদের বন্দি করেছে রাশিয়ার সেনা। সিভিয়েরোদনেৎস্কে মারিউপলের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাশিয়ার সাংবাদিকের নোবেল নিলাম
রাশিয়ার সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ তার সাহিত্যকীর্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি তার নোবেল মেডেল নিলামে তুলেছিলেন। ১০৩ দশমিক পাঁচ মিলিয়ন ডলার সেখান থেকে পেয়েছেন তিনি। ওই পুরো অর্থই তিনি ইউনিসেফকে দিয়েছেন ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য।
ইউক্রেন ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্যকে কেন পাশে পাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র?
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর তেলের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সৌদি আরবকে উৎপাদন বাড়ানোর অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ কিন্তু সফল হয়নি৷ সংযুক্ত আরব আমিরাতেরও সহায়তা চেয়ে পায়নি যুক্তরাষ্ট্র৷ কিন্তু কেন?
সৌদি যুবরাজ কথা বলতে চাননি?
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর তেলের মূল্য বেড়ে গেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল৷ কিন্তু সালমান তার সঙ্গে কথা বলতে চাননি বলে সেই সময় জানা গিয়েছিল৷ যদিও মার্কিন প্রশাসন এই খবর অস্বীকার করেছিল৷ এর কিছুদিন পরই রাশিয়া ও চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেন সালমান৷
আরব আমিরাতও কথা শোনেনি
রাশিয়ার ধনাঢ্য ব্যক্তিরা যেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে তাদের সুপারইয়ট ও সম্পদ লুকাতে না পারেন সেই অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ কিন্তু সেই অনুরোধ শোনেনি আরব আমিরাত৷ ছবিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এক রুশ ধনীর ইয়ট দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Kamran Jebreili/AP/picture alliance
জাতিসংঘে সহায়তা দিতে অনিচ্ছুক
ইউক্রেন দখলের বিরোধিতা ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত জাতিসংঘের বিভিন্ন রেজুলেশন পাস করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সমর্থন প্রয়োজন৷ কিন্তু সেই সমর্থন দিতে মধ্যপ্রাচ্যকে অনিচ্ছুক দেখা গেছে৷
ছবি: Spencer Platt/Getty Images
কারণ কী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র নিজে তেল উৎপাদন শুরুর পর তাদের কাছে মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্ব কিছুটা কমে গিয়েছিল৷ সে কারণে অন্যান্য দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ৷ মার্কিন সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা অ্যারন ডি. মিলার বলেন, ‘‘মধ্যপ্রাচ্যের অংশীদাররা বুঝতে পেরেছিল যে তাদের এখন কম গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে৷ সে কারণে তারা অন্যদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চেয়েছে৷’’
ছবি: Kirill Kukhmar/TASS/dpa/picture alliance
চীনা বিনিয়োগ
বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল আমদানিকারক চীন৷ মোট তেল আমদানির ৪৭ শতাংশ করা হয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে৷ এছাড়া সৌদি আরবের ব্যালিস্টিক মিসাইল কর্মসূচিতে সহায়তা করছে চীন৷ ইরাকের তেলক্ষেত্র কিনে নেয়া এবং অবকাঠামোতেও বিনিয়োগ করছে চীন৷ ছবিতে গতবছর বাগদাদে চালু হওয়া চীনা ভাষা শিক্ষার একটি ক্লাস দেখা যাচ্ছে৷
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন৷ আর প্রেসিডেন্ট বাইডেন জুলাই মাসে সৌদি আরব যাচ্ছেন৷
ছবি: REUTERS
6 ছবি1 | 6
স্বাধীন সংবাদপত্র নোভায়া গ্যাজেটার সম্পাদক মুরাতভ। প্রথম থেকেই যুদ্ধের তীব্র বিরোধিতা করছেন তিনি। ইউনিসেফকে দেয়া তার অর্থ ইউক্রেনের ঘরহারা শিশুদের জন্য ব্যয় হবে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।
জেলেনস্কির ভাবনা
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা আইহোর ঝোভকা ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাওয়া অনেকটাই এগিয়েছে। তাদের আশা, রেকর্ড সময়ে তারা এই সদস্যপদ পাবে। বস্তুত, সম্প্রতি জার্মানি এবং ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও জানিয়েছেন, দ্রুত ইউক্রেনকে ইইউ-র সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়ে তারা আশাবাদী। ইউক্রেন এই পদ পেলে সকলের সুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন ঝোভকা।
ডেনমার্কের সতর্কবার্তা
গ্যাস সরবরাহ ক্রমশ কমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ডেনমার্কের গ্যাস সংস্থা। তারা প্রথম পর্যায়ের সতর্কবার্তা ঘোষণা করেছে। ইউরোপে গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে সাধারণত তিনটি পর্যায়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। সোমবার প্রথম পর্যায়ের বার্তা ঘোষণা করেছে ডেনমার্ক। তারা জানিয়েছে, এখনো সেখানে ৭৫ শতাংশ গ্যাস মজুত আছে। কিন্তু দ্রুত তা কমে আসছে।