1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়ার নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ অ্যামেরিকার একার নয়: হিলারি

৮ ডিসেম্বর ২০১১

রাশিয়ার নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভের নেপথ্যে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রুশ প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুটিন৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ অ্যামেরিকার একার নয়৷

রাশিয়ার নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ মস্কোর রাজপথেছবি: dapd

ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির শীর্ষ নেতা পুটিন অভিযোগ করেছেন যে, তাঁর দেশে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফল নিয়ে শুরু হওয়া বিক্ষোভ আদতে উসকে দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের কিছু কথা৷ পুটিন বলেন, ‘বিরোধী কিছু কর্মীর জন্য বিক্ষোভের আবহ তৈরি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লিন্টন৷' শুধু তাই নয়, ‘হিলারি তাদের সংকেত দিয়েছেন৷ যা তারা শুনেছে এবং সক্রিয় হয়ে উঠেছে৷' আর সে কারণেই, নির্বাচনকে ঘিরে এতো আন্দোলন দেখা যাচ্ছে রাশিয়ায়, অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী পুটিনের৷

তবে আগের মতোই পুটিনের কন্ঠে মার্কিন বিরোধী এহেন মন্তব্য ছাড়াও শোনা গেছে হুঁশিয়ারি৷ পুটিন জানিয়েছেন, বিদেশী প্রভাবে কারা এরকম অকারণ আন্দোলন করছে, তার সমস্ত হিসেব রাখা হচ্ছে৷ এবং যথাসময়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷

স্বাভাবিকভাবেই, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা রাশিয়ার নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ যদিও পুটিন বরাবরই নির্বাচন বিরোধিতাকারীদের দোষারোপ করে বলেছেন যে, তারা বিদেশি সরকারের হয়ে কাজ করছে৷ পুটিনের সাফ কথা – রাশিয়ার বেশিরভাগ সাধারণ মানুষই রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা না চাইলেও, নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাইছে বিক্ষোভকারীরা৷

এদিকে, পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভরাডুবি এবং ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মুখে আগামী বছরেই সরকারে রদবদল আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পুটিন৷ তবে ঐ রদবদল আগামী ৪ঠা মার্চের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি৷

রবিবারের নির্বাচনের পর, গত সোমবার রাশিয়ার প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ প্রতিবাদ-বিক্ষোভে অংশ নেয়৷ ‘পুটিন মুক্ত রাশিয়া চাই' বলে স্লোগান দেয় তারা৷ এতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়৷ আটক হয় প্রায় তিনশ আন্দোলনকারী৷

অন্যদিকে, ইউরোপে একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা নিয়ে মতপার্থক্য থেকে গেছে ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে৷ ব্রাসেলস-এ ন্যাটো'র সদর দপ্তরে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও ন্যাটো'র মহাসচিব আন্ডার্স ফগ রাসমুসেন এ নিয়ে ঘন্টাব্যাপী আলোচনা করলেও, নির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন নি৷

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে ন্যাটো ও রাশিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়৷ কিন্তু ন্যাটো যার যার স্বাধীন ক্ষেপণাস্ত্র বিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তোলার পক্ষে হলেও, রাশিয়া একটি যুক্ত ব্যবস্থা গড়ে তোলাকে সমর্থন করে আসছিল৷ যুক্তরাষ্ট্র চাইছে ন্যাটো এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকুক৷ কিন্তু, প্রথম থেকেই মার্কিন এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে আসছে রাশিয়া৷

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাশিয়া নিয়ে নিজের বক্তব্যকে আবারো সমর্থন করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মতানৈক্য কখনই রাশিয়ার অভ্যন্তরে বিক্ষোভকারীদের দমন-পীড়নের কারণ হতে পারে না৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ