1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রুশ-জার্মান সম্পর্ক

১৫ এপ্রিল ২০১৪

রাশিয়া সম্ভবত পূর্ব ইউক্রেনের উত্তেজনা বৃদ্ধিতে নেপথ্যে ভূমিকা নিচ্ছে, বলে মন্তব্য করেছেন জার্মান সরকারের এক মুখপাত্র৷ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে রাশিয়ার সাহায্যপ্রদানের অনেক লক্ষণ আছে, বলেন ক্রিস্টিয়ানে ভির্ৎস৷

Ostukraine Slawjansk 13.04.2014 Bildergalerie
ছবি: Genya Savilov/AFP/Getty Images

‘‘এই সব সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে কয়েকটির চেহারা, সাজপোশাক কিংবা অস্ত্রশস্ত্র দেখলে (বোঝা যায়), তারা স্বেচ্ছাকৃতভাবে সৃষ্ট নাগরিক প্রতিরক্ষা গোষ্ঠীগুলির বেসামরিক সদস্য হতেই পারে না৷'' রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘তৃতীয় পর্যায়ের' শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আসতে চলেছে কিনা, ভির্ৎস সে বিষয়ে কিছু বলেননি৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ সম্পর্কে আলোচনা করবেন বলে তিনি জানান৷

ভির্ৎস বলেন যে, রাশিয়ার উত্তরোত্তর উত্তেজনা বৃদ্ধি রোধ করার একটা বিশেষ দায়িত্ব আছে, এবং ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে সৈন্যাপসারণ, প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কমানো ও ‘‘ভাষাসংযম'' তার অঙ্গ হওয়া উচিত৷ এছাড়া: ‘‘সহিংসতা যে মতবিরোধ দূর করার পন্থা নয়, সেটা পরিষ্কার হওয়া উচিত,'' বলেন ভির্ৎস৷

সোমবার লাক্সেমবুর্গে ইইউ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীবর্গের বৈঠকছবি: Georges Gobet/AFP/Getty Images

অপরদিকে উচ্চপদস্থ ফরাসি ও জার্মান কর্মকর্তারা সাবধান করে দিয়েছেন যে, যে ধরনের জাতীয়তাবাদ আজ ইউক্রেন সংকটে ইন্ধন জোটাচ্ছে, তা এক শতাব্দী আগে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা ঘটিয়েছিল৷ জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর, সামাজিক গণতন্ত্রী দলের সিগমার গাব্রিয়েল মন্তব্য করেন যে, ‘‘জাতীয়তাবাদের ভূত বোতল থেকে বার হয়ে পড়ছে''৷

গাব্রিয়েল সোমবার বার্লিনের ফরাসি ক্যাথিড্রালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি স্মারক অনুষ্ঠানে বলেন যে, ইউক্রেনের ক্ষেত্রে ইউরোপের কাছ থেকে ‘‘আরো বেশি কূটনীতির প্রয়োজন'' এবং ‘‘ন্যাটোর ভীতিপ্রদর্শনে'' সমস্যার সমাধান হবে না৷ একই অনুষ্ঠানে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী মানুয়েল ভাল্স ইউক্রেন সংকটকে ‘‘লৌহ যবনিকার পতন যাবৎ ইউরোপে শান্তি ও স্থিতির বৃহত্তম ঝুঁকি'' বলে বর্ণনা করেন৷

পূর্ব ইউক্রেনের উত্তাল ডনবাস এলাকার মানচিত্র

সোমবার লাক্সেমবুর্গে ইইউ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীবর্গের বৈঠকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেন যে, স্পষ্টতই রাশিয়া পূর্ব ইউরোপের স্থিতিহানির প্ররোচনা দিচ্ছে৷ পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাডোসুয়াভ সিকর্স্কি আরো বেশি রুশি ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের ব্যাংক জামানত বাজেয়াপ্ত করার এবং তাদের ইইউ-তে আগমন নিষিদ্ধ করার দাবি জানান৷ তবে অপরাপর সরকারবর্গকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সাবধান হতে দেখা যায় – যেমন জার্মানি বলে যে, ইইউ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে পরিকল্পিত বৈঠকটি উত্তেজনা হ্রাসে সাহায্য করতে পারে৷ বৈঠকটি আগামী বৃহস্পতিবার জেনেভায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা৷

সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল বিল্ড বলেন যে, জেনেভার আলাপআলোচনা উত্তরোত্তর ইইউ পদক্ষেপের চরম সময়সীমা নির্দেশ করবে: ‘‘আপাতত জেনেভা বৈঠক ঘটতে চলেছে, যা রাশিয়ার পক্ষে উত্তেজনা হ্রাসের একটা সুযোগ৷ তবে ওরা যদি উত্তেজনা বৃদ্ধি করে, তাহলে আমাদেরও মাত্রা বাড়ানো উচিত বলে আমার ধারণা৷''

এসি/ডিজি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ