1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাত নয়

ইঙ্গো মানটয়ফেল /এসি৯ ডিসেম্বর ২০১৪

‘‘আবার ইউরোপে যুদ্ধ? আমাদের নামে নয়'' – এই শীর্ষক দিয়ে জার্মানির ৬০ জন বিশিষ্ট নাগরিক একটি আবেদন প্রকাশ করেছেন৷ দৃশ্যত তাঁরা পূর্ব ইউরোপ সংক্রান্ত কয়েকটি তথ্য বিস্মৃত হয়েছেন, বলে ইঙ্গো মানটয়ফেল'এর অভিমত৷

Wladimir Putin Rede an die Nation 4.12. Russland Moskau
ছবি: picture-alliance/dpa/Sergei Ilnitsky

জার্মান মিডিয়ায় প্রকাশিত আবেদনে স্বাক্ষরকারীরা ইউরোপে পুনরায় যুদ্ধ ঘটার সম্ভাবনা সম্পর্কে সাবধান করে দিয়েছেন এবং রাশিয়ার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার সপক্ষে মতপ্রকাশ করেছেন৷ তাঁদের এ' মনোভাব ঠিক বৈকি: ইউরোপে আর কোনোদিন যুদ্ধ ঘটা উচিত নয়৷ গণতান্ত্রিক দেশগুলির সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিদেশনীতিমূলক হাতিয়ার হলো আলাপ-আলোচনা৷ রাশিয়ার সঙ্গে আজও সে' অনুযায়ী আচরণ করা উচিত৷ কিন্তু জার্মান রাজনীতি, অর্থনীতি তথা সাংস্কৃতিক জীবনে যাঁদের নিঃসন্দেহে অবদান রয়েছে, এমন সব বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এই মহৎ আহ্বান বর্তমান সংঘাতের সব দিক বিবেচনা করে করা হয়নি৷

তথ্যের পরিবর্তে কষ্টকল্পনা

ইউরোপে আর যুদ্ধ ঘটলে চলবে না - সে তো বটেই৷ কিন্তু বাস্তব হলো: এ'বছরের বসন্তে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন সামরিক পন্থায় ক্রাইমিয়া অধিকার করে, পরে তা রুশ ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত করেন৷ এক্ষেত্রে যে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে প্রকাশ্য যুদ্ধের অবতারণা ঘটেনি, তার একমাত্র কারণ হলো, ক্রাইমিয়ার সামরিক প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করার ক্ষমতা কিয়েভ'এর ছিল না৷ ওদিকে পূর্ব ইউক্রেনে সত্যিই খোলাখুলি যুদ্ধ চলেছে এবং সে যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ রাশিয়া সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ না করলে এ' যুদ্ধ সম্ভব হত না৷ মহাজনদের শান্তির আহ্বান এই বাস্তব পরিস্থিতির খেয়াল রাখেনি৷

ডয়চে ভেলের ইঙ্গো মানটয়ফেলছবি: DW

অশুভতর হলো: মনীষীদের আহ্বান থেকে মনে হতে পারে যে, পশ্চিমি বিশ্ব এবং জার্মান রাজনীতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পন্থা প্রয়োগ করতে চায় - যা কিনা সম্পূর্ণ আজগুবি৷ জার্মান সরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্তাব্যক্তিরা এককণ্ঠে সংঘাতের সামরিক সমাধান বর্জন করে এসেছেন৷ বিশেষ করে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার যাবতীয় সমস্যা সত্ত্বেও মস্কোর সঙ্গে কূটনৈতিক সংলাপ অব্যাহত রেখেছেন৷ খোলাচিঠির স্বাক্ষরকারীরা যদি তাঁদের প্রকাশ্য আহ্বানের মাধ্যমে জার্মান নেতৃবর্গের এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে চেয়ে থাকেন, তাহলে তাঁরা ঠিক কাজই করেছেন৷ কিন্তু তাঁদের আহ্বানে রুশ রাজনীতির প্রতি একই আবেদন, অর্থাৎ ‘‘পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুযায়ী আচরণ করার'' ও শান্তি রক্ষার আবেদন জানানো হয়নি৷

সাংবাদিক-ভাষ্যকারেরা যে রাশিয়ার ন্যাটো দ্বারা পরিবেষ্টিত হবার আশঙ্কা সম্যক উপলব্ধি করতে পারেননি, সে'ও এক কিংবদন্তি৷ প্রথমত, ন্যাটোর জর্জিয়া এবং ইউক্রেন'কে সদস্য করার কোনো পরিকল্পনা নেই৷ সদ্য ২০০৮ সালে উভয় দেশকে সেই সদস্যতার সুযোগ দেওয়া হয়নি - এবং এ'বছর ওয়েলস'এ ন্যাটোর শীর্ষবৈঠকে প্রায় সেই সিদ্ধান্তই বজায় রাখা হয়েছে৷ দ্বিতীয়ত, খোলাচিঠির স্বাক্ষরকারীদের এ'কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, রাশিয়ার নিরাপত্তাগত স্বার্থ ছাড়া ইউক্রেনীয় এবং জর্জীয়দের ভীতিও রয়েছে৷

পরস্পরবিরোধী

আহ্বানের শেষে ১৯৯০ সালের কথা বলা হয়েছে, যখন স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের এক অবিভক্ত ইউরোপ সৃষ্টির স্বপ্ন দেখা হয়েছিল৷ আহ্বানের শেষ বাক্যটি হলো: ‘‘ইউক্রেন সংঘাত অবধি ইউরোপ ঠিক পথে চলছে, বলে আমরা মনে করেছিলাম৷'' বাক্যটি যুক্তিবিরুদ্ধ, কেননা ইউক্রেন ঠিক সেই স্বাধীন এবং গণতান্ত্রিক ইউরোপের অঙ্গ হতে চেয়েছিল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ