1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক খুবই ভালো, জানালো চীন

৮ মার্চ ২০২২

ইউক্রেনের জন্য মানবিক সাহায্য দেয়ার কথা ঘোষণা করেও চীন জানিয়ে দিল, রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক 'রক সলিড'।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং। ছবি: Ji Chunpeng/Xinhua/picture alliance

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সোমবার জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন সংকট সত্ত্বেও রাশিয়ার সঙ্গে তাদের কৌশলগত সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়ে তাদের মত, দুই পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করুক। কিন্তু তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ এখানে একেবারেই কাম্য নয়।

ওয়াং জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক পাথরের মতো শক্ত। এই সম্পর্ককে আরো প্রসারিত করার সম্ভাবনা রয়েছে।

রাশিয়া নিয়ে চীনের বক্তব্য

বেজিংয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে ওয়াং বলেছেন, ইউক্রেন সমস্যা খুব জটিল এবং তা রাতারাতি হয়নি। এই ধরনের জটিল সমস্যার সমাধানে শান্ত ও যুক্তিপূর্ণ থাকাটা জরুরি। এখানে উসকানি দিলে হিতে বিপরীত হবে।

তার বক্তব্য, দুই পক্ষ শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যার সমাধান করে নিক। প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা করা জরুরি। সুরক্ষা নিয়ে ন্যায্য চিন্তাভাবনা সকলেরই মেনে চলা উচিত। সব পক্ষের দীর্ঘকালীন শান্তি ও স্থায়িত্বের কথা মাথায় রাখা দরকার।

রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে

ওয়াং বলেছেন, রাশিয়া হলো চীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সঙ্গী। এই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিত সুসম্পর্ক বিশ্বশান্তি ও উন্নয়নের জন্য জরুরি।

ওয়াং জানিয়েছেন, বিশ্ব পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক না কেন, চীন ও রাশিয়া তাদের সুসম্পর্ক ও কৌশলগত সম্পর্ককে নতুন যুগে নিয়ে যাবে।

চীন-রাশিয়ার বাণিজ্য

সোমবারের কস্টমস তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কিছুদিন আগে থেকে চীনের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যের পরিমাণ খুবই বেড়েছে। চীন থেকে রাশিয়ায় পণ্য যাওয়ার পরিমাণ ৪১ শতাংশ বেড়েছে। আবার রাশিয়া থেকে আগের তুলনায় অনেক বেশি করে তেল ও গ্যাস নিচ্ছে চীন।

ইউক্রেন সংকট: চীনের অবস্থান কী?

01:54

This browser does not support the video element.

ইউক্রেনে চীনের ভূমিকা

চীন এই সংঘাতের ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে চায়। তারা এর আগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক ও আর্থিক নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছে।

ওয়াং বলেছেন, চীন শান্তির লক্ষ্যে গঠনমূলক ভূমিকা নিতে রাজি। তারা মধ্যস্থতাও করতে চান।

তিনি জানিয়েছেন, চীনের রেডক্রস ইউক্রেনে যত দ্রুত সম্ভব মানবিক সাহায্য নিয়ে যাবে।

ইউক্রেন-তাইওয়ান তুলনা

চীন এবং তাইওয়ান দুই পক্ষই জানিয়ে দিয়েছে, ইউক্রেনের সঙ্গে তাইওয়ানের তুলনা করা উচিত নয়।

বেজিং তাইওয়ানকে চীনের অংশ বলে মনে করে। তারা তাইওয়ানকে চীনের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আনতে চায়। ওয়াং বলেছেন, তাইওয়ান হলো চীনের ঘরোয়া বিষয়।

তাইওয়ান মনে করে, ইউক্রেনের সঙ্গে তাদের তুলনা যুক্তিযুক্ত নয়, কারণ, তারা মাইক্রোচিপস উৎপাদনে বিশ্বে একটা বড় ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া তাদের ভূরাজনৈতিক ভূমিকার সঙ্গে ইউক্রেনের কোনো তুলনা চলে না। তার বক্তব্য, অনেক দেশ ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের কথা বলছে, কিন্তু চীনের ক্ষেত্রে তারা সার্বভৌমত্বের নীতি নিয়ে চলে না।

জিএইচ/এসজি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ