‘রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের টিকা কেনার চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে’
৬ জুন ২০২১রোববার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করেন তিনি৷ বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এমন তথ্য জানিয়েছে৷ পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘‘আমরা টিকা সরবরাহে এবং আপনাদের জনগণকে কোভিড মোকাবেলায় সহায়তায় প্রস্তুত৷ এই (চুক্তি) প্রায় হয়ে গেছে এবং ভালো মতোই হবে৷ এটা খুব দ্রুতই হবে৷’’
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী নতুন চালান না আসায় রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে টিকা কেনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ৷ এমনকি রাশিয়ার টিকা বাংলাদেশে উৎপাদনের বিষয়ে আলোচনা চলছে বলেও জানানো হয়েছিল
কবে নাগাদ টিকা পাওয়া যেতে পারে, এমন প্রশ্নের উত্তরে আলেকজান্ডার আই ইগনাতোভ বলেন, ‘‘যৌথ উৎপাদন ও সরবরাহ, দুটো দিকই আছে৷ এটা জটিল প্রক্রিয়া, তবে কোনো সমস্যা হবে না৷’’
চীনের আরেকটি টিকার অনুমোদন
এদিকে রোববার চীনের সিনোভ্যাক এর তৈরি করোনার টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর৷ দেশটির দ্বিতীয় টিকা হিসেবে এটি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হল৷ এর আগে দেশটির সিনোফার্মের তৈরি আরেকটি টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছিল৷
সিনোভ্যাকের দেশীয় এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশের ইনসেপ্টা ভ্যাক্সিন ‘করোনা ভ্যাক’ নামের এই টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়েছিল বলে জানিয়েছে বিডিনিউজ৷
এখন পর্যন্ত মোট পাঁচটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ৷ যার মধ্যে রয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি, চীনের সিনোফার্মের বিবিআইবিপি-সিওরভি এবং জার্মানির বায়োএনটেক ও যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের আবিষ্কৃত টিকা৷
এফএস/এসএস (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)