রাশিয়ার সামরিক সাহায্য চান দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা রাশিয়ার সামরিক সমর্থন চেয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।
বিজ্ঞাপন
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ সংবাদসংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের লুহানস্ক ও দোনেৎসক পিপলস রিপাাবলিকের দুই নেতা ডেনিস পুশলিন ও লেওনিড পাসেশনিক রাশিয়ার কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সেনা সেখানে সমানে আগ্রাসন চালাচ্ছে। তা ঠেকাতে গেলে রাশিয়ার সামরিক সাহায্য দরকার।
বিদ্রোহীদের অনুরোধ
পেশকভ জানিয়েছেন, দুই বিদ্রোহী নেতা পুটিনকে লিখেছেন যে, ইউক্রেনের সেনা প্রবল গোলাবর্ষণ করছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছেন। এই দুই নেতার মতে, ইউক্রেন যে ডনবাসে যুদ্ধ থামাতে চাইছে না, তা তাদের এই আচরণ থেকেই স্পষ্ট।
রাশিয়ার আক্রমণের শঙ্কা, ঘর ছাড়ছেন ইউক্রেনের মানুষ
ইউক্রেনের দুই বিচ্ছিন্ন অংশের স্বীকৃতি ও সেখানে ‘শান্তিরক্ষী বাহিনী’ পাঠানোর ঘোষণা করে রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিন দৃশ্যত সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছেন৷ আক্রমণের শঙ্কায় সীমান্তবর্তী এলাকা ছাড়ছেন পূর্ব ইউক্রেনের বাসিন্দারা৷
ছবি: Sergey Pivivarov/REUTERS
বিদ্রোহীদের দখলে
রাশিয়াপন্থি বিদ্রোহীগোষ্ঠীর দখলে রয়েছে পূর্ব ইউক্রেনের একাংশ৷ সেখান থেকে রাশিয়ার ভরোনেজহের অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকার জন্য পা বাড়িয়েছেন অসংখ্য মানুষ৷ সপরিবারে নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন অনেকেই৷
ছবি: Vladimir Lavrov/REUTERS
নিরাপদ গন্তব্যে পাড়ি
ইউক্রেন সীমান্তে হওয়া রাশিয়ার সেনা বাহিনীর যে কোনো আক্রমণাত্মক কার্যকলাপের দাম দিতে হবে রাশিয়াকে- পশ্চিমের দেশগুলি এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আগেই৷ কিন্তু পুটিন অবিচল৷ তাই যুদ্ধের শঙ্কায় ঘর ছাড়ছেন মানুষ৷ রাশিয়ার রস্তভের তাগানরগ শহরে সমাজকল্যাণ বিভাগের সামনে অজস্র মানুষের ভিড় চোখে পড়েছে৷ এই ব্যক্তিদের পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহীগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে আনা হয়েছে৷
ছবি: Sergey Pivivarov/REUTERS
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে শিশু
ট্রেনে করে নিরাপদ এলাকার দিকে চলে যাচ্ছেন অনেকেই৷ ট্রেনের মধ্যে ইউক্রেনীয় একটি শিশুর ছবি ধরা পড়েছে আলোকচিত্রীর ক্যামেরায়৷ যুদ্ধ, রাজনীতি- কোনোকিছুর মানেই সে বোঝে না এখনো৷
ছবি: Sergey Pivivarov/REUTERS
অস্থায়ী আয়োজন
রস্তভের তাগানরগে একটি স্থানীয় স্পোর্টস স্কুলে অস্থায়ী আশ্রয় তৈরি করা হয়েছে৷ সেখানে এক খুদেকে সামলানোর চেষ্টা করছেন তার অভিভাবক৷ সারি সারি বিছানা, বালিশ আর কম্বলের ব্যবস্থা করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে৷
ছবি: Sergey Pivivarov/REUTERS
নতুন আশ্রয়ের পথে
রস্তভ থেকে ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন এই ব্যক্তি৷ বিদ্রোহী অধ্যুষিত পূর্ব ইউক্রেন থেকে তাকেও নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে৷ ক্রাচে ভর দিয়ে নতুন গন্তব্যের দিকে পাড়ি দিচ্ছেন তিনি৷
ছবি: Sergey Pivivarov/REUTERS
মানবিক সহায়তা
মানবিক সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে অনেক সংস্থা৷ সবজি প্যাক করার কাজ করছেন কর্মীরা৷
ছবি: Alexey Pavlishak/REUTERS
খাবারের ব্যবস্থা
ক্রিমিয়ার সিমফেরোপলে পাঠানো হবে এই প্যাকেটজাত খাবারগুলি৷ সবরকম পরিস্থিতির কথা ভেবে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে৷ পানীয় জল-সহ খাবারের প্যাকেট পাঠানোর কাজ চলছে৷
ছবি: Alexey Pavlishak/REUTERS
পুটিনের ঘোষণার ফল
সোমবার পূর্ব ইউক্রেনের রুশ-সমর্থিত দুই অঞ্চল দনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিন৷ এর ফলে সংকট আরো ঘনীভূত হয়েছে৷ ভয় বেড়েছে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও৷ নিরাপদ এলাকায় সরানো হয়েছে অনেককে৷ এক বৃদ্ধা একা বসে রয়েছেন রস্তভের অস্থায়ী আশ্রয়ে৷
ছবি: Sergey Pivivarov/REUTERS
ভবিষ্যতের পথে
ভরোনেজহের অস্থায়ী আশ্রয়ে বাসে করে নিয়ে যাওয়া হয় একদল মানুষকে৷ নিরাপত্তার কথা ভেবেই ঘর ছাড়তে হয়েছে তাদের৷ অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, কী করবেন কেউ জানেন না৷
ছবি: Vladimir Lavrov/REUTERS
হামলার শঙ্কা
যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারে রুশ বাহিনী৷ ক্রিমিয়ার উপকূলে যুদ্ধজাহাজও ঘোরাফেরা করছে৷ রুশপন্থি বিদ্রোহীরা যুদ্ধের আশঙ্কায় সাধারণ মানুষদের সরিয়ে দিচ্ছে রাশিয়ায়৷ বিশেষ করে নারী, শিশু, প্রবীণদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে৷ অভিভাবিকার হাত ধরে দুই বালিকা চলেছে অস্থায়ী আশ্রয়ের দিকে৷ কিন্তু মুখে অমলিন হাসি৷ সংকটময় পরিস্থিতির কথা হয়তো তারা বোঝেনি এখনও৷
ছবি: Vladimir Lavrov/REUTERS
10 ছবি1 | 10
বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা প্রথমে বলেছিলেন, তারা নিজেরাই নিজেদের সুরক্ষা দিতে পারবেন। কিন্তু এখন তারা সুরক্ষার জন্য রাশিয়ার সাহায্য চাইছেন। তারা বলেছেন, ইউক্রেনের সেনার আগ্রাসনের ফলে বহু মানুষ ঘর ছেড়েছেন। তারা রাশিয়া চলে গেছেন। ইউক্রেনের সেনা এই অঞ্চলে যাবতীয় পরিকাঠামো ধ্বংস করছে।