ইউক্রেনের মানুষদের জোর করে রাশিয়ায় নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হচ্ছে, জানালো পেন্টাগন।
বিজ্ঞাপন
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি স্বীকার করে নিল অ্যামেরিকা। সোমবার পেন্টাগনের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিপুল পরিমাণ ইউক্রেনীয়কে রাশিয়ায় জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের সেখানে আটকে রাখা হয়েছে। অ্যামেরিকা রাশিয়ার এই কাজের নিন্দা করেছে।
জেলেনস্কি একাধিকবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন। তার দাবি, এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ইউক্রেনীয়কে রাশিয়ায় জোর করে পাঠানো হয়েছে। পূর্ব ইউক্রেনের শহরগুলিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলে এ কাজ করা হয়েছে। নাগরিকরা পালানোর সময় রাশিয়ার দিকে তাদের সেফ প্যাসেজ তৈরি করা হয়েছে, যাতে তারা সেদিকে যেতে বাধ্য হন।
জেলেনস্কির দাবি, এখনো পর্যন্ত ১২ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয়কে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। তাদের ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত সেই ক্যাম্পের চেহারা অবশ্য কেউ দেখেননি।
বার্লিন এসে স্কুলে ফিরছে ইউক্রেনের শিশুরা
যুদ্ধের কারণে নানা দেশে ছড়িয়ে পড়েছেন ইউক্রেনীয়রা৷ অনেকেই এসেছেন বার্লিনে৷ জার্মানির রাজধানীতে এসে আবার স্কুলে ফিরছে ইউক্রেনের শিশুরা৷ দেখুন ছবিঘরে..
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
পুরোনো অভ্যাসে
আর্চে নামের একটি সংস্থা ‘ইউক্রেনের জন্য ক্লাসরুম’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে৷ সেখানেই শরণার্থী হিসেবে বার্লিনে আসা খুদে পড়ুয়াদের প্রাথমিক স্কুলে ফেরার ব্যবস্থা হয়েছে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
মন দিয়ে অঙ্ক
কামিলা নামের এই মেয়েটির পরিবারও বার্লিনে আশ্রয় নিয়েছে ৷ নতুন দেশে এসে স্কুলজীবনে ফিরতে পেরেছে সে৷ মন দিয়ে সে অঙ্ক কষছে ক্লাসে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
নতুন বন্ধু
নতুন বন্ধু সোফিয়াকে খুঁজে পেয়েছে কামিলা৷ সোফিয়াও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাড়ির সবার সঙ্গে বার্লিনে চলে এসেছে৷ সোফিয়া কী লিখছে খাতায়? কামিলা সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
পড়াশোনাই বেঁচে থাকার রসদ
শরণার্থী শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে অন্যতম হাতিয়ার পড়াশোনা৷ সেই ব্যবস্থাই করা হয়েছে এই প্রকল্পে৷ সোফিয়া কিন্তু বেশ মনোযোগী ছাত্রী, বোঝাই যাচ্ছে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
মাতৃভাষায় শিক্ষা
ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের পাশে থাকতে জার্মানির অনেক স্বেচ্ছাসেবক এগিয়ে এসেছেন৷ বেসরকারি একাধিক সংস্থা এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে৷ পড়াশোনা সহজ করে তুলতে ইউক্রেনীয় শিশুদের মাতৃভাষায় পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছে আর্চে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
নতুন ক্লাসরুমে
নিজের দেশ, প্রিয় ঘর সব ছেড়ে আসতে হয়েছে খুদে পড়ুয়াদের৷ তবে স্কুল যখন শুরু হয়েছে, তখন নতুন বন্ধুও তো হবে৷ সবাই মিলে আবারও ক্লাসরুমে ফেরা৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
পাশে শিক্ষকরা
শিক্ষকরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, যাতে ইউক্রেনীয় পড়ুয়ারা নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে, পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে৷ তারা বেশ মন দিয়ে শিক্ষিকার কথা শুনছে৷ তবে পিছনের বেঞ্চে দুই খুদে হেসে গল্পও করে নিচ্ছে চুপিচুপি৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
মন দিয়ে নোট
শিক্ষিকা কী বলছেন, কেউ মন দিয়ে শুনছে৷ আবার কেউ খাতায় লিখে রাখছে৷ এই খুদে পড়ুয়াদের মুখেচোখে শান্তির হাসি৷ ছোটদের মুখে এমন হাসিই তো মানায়৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
পড়াশোনার আনন্দ
রোজের রুটিনে শিশুগুলিকে ফিরিয়ে আনতে তৎপর সংস্থা৷ পিঠে ব্যাগ নিয়ে নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে শিশুরা৷ ইউক্রেন থেকে জার্মানির বার্লিনে এসে নতুন করে বাঁচার চেষ্টা করছে তারাও৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
রাঙা হাসি রাশি রাশি
এক বন্ধুর সঙ্গে খেলায় মেতেছে পাউলিনা৷ ওর মুখের হাসিটা দেখুন একবার৷ শহীদ কাদরির লেখা সেই গানটা কি মনে পড়ছে না? ‘বোমা নয়, গুলি নয়, চকোলেট টফি রাশি রাশি’ যেন ওর কাছে প্যারাট্রুপারের মতো হাজির হয়েছে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
ছবি আঁকার জগতে
রং-তুলির টানে নিজের ফেলে আসা দেশকে মনে রেখেছে পড়ুয়ারা৷ ইউক্রেনের জাতীয় পতাকার রঙে রাঙিয়ে তুলেছে আঁকার খাতা৷ পাশাপাশি, জার্মানির প্রতিও ভালোবাসার প্রকাশ রয়েছে তাদের ছবিতে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
11 ছবি1 | 11
বাইডেনের মন্তব্য
সোমবার এক রাজনৈতিক ফান্ড রাইসারের সঙ্গে আলোচনার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ''রাশিয়া যুদ্ধ থেকে পিছিয়ে আসার পথ খুঁজে পাচ্ছে না।'' তার মন্তব্য, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ভেবেছিলেন, ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়ে ন্যাটো এবং ইইউ-কে ভেঙে দেওয়া যাবে। তিনি ভাবতে পারেননি, সকলে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াবে।
ঐতিহাসিক বিল
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের মার্কিন বিল ফিরিয়ে আনলেন জো বাইডেন। সোমার তিনি লেন্ড-লিজ বিলে সই করেছেন। ইউক্রেনকে দ্রুত সাহায্য করার জন্য এই বিল। এর ফলে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য পাঠানোর জন্য পার্লামেন্টের সবুজ সংকেতের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকতে হবে না।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাজি জার্মানির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এই বিলে সই করা হয়েছিল। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট একে ঐতিহাসিক ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন।
ওদেসার শপিং সেন্টারে মিসাইল
ইউক্রেন সেনার দাবি, ওদেসার একটি শপিং সেন্টারে রাশিয়া পর পর সাতটি মিসাইল ছুঁড়েছে। ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন, আহত পাঁচ। ওই শপিং সেন্টারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস রাখা ছিল বলে অভিযোগ।