নতুন আইন ‘রাশিয়ায় ইন্টারনেট সেন্সরশিপকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে' বলে মনে করছে রিপোর্টার্স উইদাইট বর্ডার্স, আরএসএফ৷ সংগঠনটি মনে করছে, আইনের কারণে কর্তৃপক্ষ ব্যবহারকারীদের না জানিয়ে কন্টেন্ট ব্লক করে দিতে পারবে৷
এছাড়া বৈশ্বিক ইন্টারনেট সংযোগ থেকে দেশকে পুরো সংযোগহীন করে দেয়াও সম্ভব বলে সমালোচকরা মনে করছেন৷
তবে সরকার বলছে, সংকট কিংবা বাইরের হামলার সময়ও যেন রাশিয়ার নেটওয়ার্ক ঠিকমতো কাজ করে, সেই লক্ষ্যে এই আইন করা হয়েছে৷
নতুন আইনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, ২০২১ সাল থেকে রাশিয়ার একটি স্বাধীন ‘ডোমেন নেম সিস্টেম' বা ডিএনএস ব্যবস্থা চালু হবে৷ এর মানে হচ্ছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যখন কোনো ওয়েবসাইটের ঠিকানা লিখবেন, তখন আসলেই যে কোন ওয়েবসাইট খুলবে, তার নিয়ন্ত্রণ ব্যবহারকারীদের হাতে থাকবেনা৷ কারণ কর্তৃপক্ষ ইচ্ছেমতো ব্যবহারকারীদের ভুয়া কোনো ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দিতে পারে৷ কিংবা একেবারেই হয়তো কোনো ওয়েবসাইট নাও খুলতে পারে৷
তবে প্রযুক্তিগতভাবে এটি সম্ভব কিনা, তা এখনও পরিষ্কার নয়৷
এছাড়া সব ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে এমন প্রযুক্তি বসাতে বলা হয়েছে যেন গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষ চাওয়া মাত্র তথ্যের আদানপ্রদান বন্ধ করে দিতে পারে৷
আরএসএফ-এর করা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে রাশিয়ার অবস্থান ১৪৯৷
জেডএইচ/কেএম (ডিপিএ)
বর্তমান যুগে কোটি কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে প্রতিনিয়ত৷ ইন্টারনেট আসক্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে৷ সঙ্গে বাড়ছে বোকামিগুলো৷ অনলাইনে আমাদের একটু বিচক্ষণ হতে হবে বিষয়গুলোর প্রতি নজর দিতে৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: picture-alliance/dpaধরুন ফোনে লক দিতে ভুলে গেছেন, বা নিজেই পছন্দ করেন না লক সিস্টেম৷ তাই যেখানে সেখানে ফোন ফেলে আসাটা আপনার জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনবে৷ কারণ যেহেতু স্মার্ট ফোনে আপনার ফেসবুক, জিমেইল, কোথাও কোথাও ব্যাংক ডিটেইলও সেভ করা থাকে সেখানে আরেকজনের পক্ষে কপি করা বিষয়ই নয়৷ নিজের ব্যক্তিগত ছবিগুলোর নিরাপত্তা স্বার্থে হলেও ফোন লক করুন৷
ছবি: Reuters/T. Siuফ্রি ওয়াইফাই দেখে ঝাঁপিয়ে পড়লেই বিপদ৷ যদিও ফ্রি ওয়াইফাইয়ের প্রলোভন উপেক্ষা করা কঠিন, তবু বিপদ বুঝে ব্যবহার করতে হবে৷ যেহেতু আপনার মোবাইলের ডাটা অ্যাকসেস পাবে ওয়াফাই সংযোগটি সেহেতু সাবধান৷ এক্ষেত্রে ভিপিএন ব্যবহার করে ওয়াই ফাই সংযোগ গ্রহণ করা উচিত৷ ভিপিএন অর্থ ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটোয়ার্ক৷ এটি একটি টানেল তৈরি করে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখবে ফ্রি ওয়াফাইয়ে ওঁৎ পেতে থাকা চোরদের থেকে৷
ছবি: picture alliance / dpaচ্যাটরুম সময় কাটানোর জন্য খুব ভালো মাধ্যম হলেও বিশ্বাস করা যাবে না এখানকার মানুষদের৷ কারণ চ্যাটরুমের পরিচয় থেকে আবেগী হয়ে ভিডিওচ্যাট করে ভীষণ বিপদে পড়েছেন অনেকে৷ বিশেষ করে মেয়েদের হয়রানি করার ঘটনাগুলোর সূত্রপাত চ্যাটরুম থেকে৷ এখানেই ছড়ায় ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিওসহ নিজস্ব অনেক তথ্য৷ সুতরাং চ্যাট করতে পারেন কিন্তু তথ্য শেয়ার নয়৷
ছবি: AFP/Getty Imagesমনে থাকবে না এই অজুহাতে পাসওয়ার্ডটাকে একেবারে সহজ কিছু বা ধারণা করা যায় এমন করবেন না৷ ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, মেইল অ্যাকাউন্ট, ফেসবুক অ্যাকাউন্টসহ প্রতিটা বস্তুর জন্য আলাদা আলাদা ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড রাখুন৷ আর মনে রাখার সুবিধায় পাসওয়ার্ড কোনো ইনবক্সে সেভ করবেন না, কিংবা পাসওয়ার্ড লেখা খাতাটা যেখানে সেখানে ফেলে আসবেন না৷
ছবি: picture alliance/dpa/M. Skolimowskaনতুন ক্রেডিটকার্ড পেয়ে খুশিতে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ফেলবেন না৷ প্রয়োজনে ক্রেডিট কার্ডের ছবি তুলে রাখতে পারেন৷ তবে সেটি একেবারেই গোপন স্থানে রাখবেন৷ ইদানিং ইন্টারনেটে এ ধরনের বোকামি বেশ চোখে পড়ছে৷ আইটি বিশেষজ্ঞরা এই ধরনের ঘটনাকে মানবজাতির বুদ্ধিমত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ বলেই মনে করছেন৷
ছবি: picture-alliance/empics/M. Keene