রাশিয়ায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে মার্কিন-রুশ নাগরিকের কারাদণ্ড
১৬ আগস্ট ২০২৪ইউক্রেনকে সমর্থন করা একটি দাতব্য সংস্থাকে অর্থসহায়তার দায়ে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়৷
তার আগে একই আদালতে ওয়াল স্ট্রিটের সাংবাদিক ইভান গেরশকোভিচের মামলার শুনানি হয়েছিল৷ পরে অবশ্য পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে হওয়া রাশিয়ার বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় মুক্তি পান গেরশকোভিচ৷
আদালত জানায়, তদন্তে প্রতীয়মান হযেছে যে, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে, যেদিন রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছিল, সেদিন কারেলিনা ইউক্রেনের সহায়তায় কাজ করে এমন একটি সংস্থাকে অর্থ প্রদান করে৷
রাজোম নামে নিউইয়র্কভিত্তিক বেসরকারি সংস্থাটি ইউক্রেনের শিশু এবং প্রবীণদের মানবিক সহায়তা প্রদান করে থাকে৷
আদালত জানায়, ওই সংস্থাটিকে সেদিন কারেলিনা ৫১ দশমিক ৮০ ডলার সহায়তা প্রদান করে৷
কারেলিনার ছেলেবন্ধু ক্রিস্টফার ফান হিরডেন জানান, এই রায়ে তিনি অসন্তুষ্ট৷ তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টকে কারেলিনাকে ‘ভুলভাবে আটকে রাখা হয়েছে' এমন ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানান৷
‘‘৫১ ডলার সহায়তা করার জন্য তাকে ১২ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে৷ একজন অ্যামেরিকান হিসেবে অ্যামেরিকার মাটিতে বসেই তিনি এটি করেছিলেন,'' বলেন তিনি৷
এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা দপ্তরের মুখপাত্র জন কিরবি এই রায় ‘নিষ্ঠুর' বলে মন্তব্য করেন৷ তিনি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মুক্তির জন্য কাজ করে যাবে৷ একই সাথে কারেলিনা যেন আইনি পরামর্শের সুযোগ পান তার জন্যও কাজ করবে৷
আগের বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় বিনিময় হওয়াদের তালিকায় ছিলেন না কারেলিনা৷ তিনি কেন সেই তালিকায় ছিলেন না সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি৷
কারেলিনার আইনজীবী মিখাইল মুশাইলোভ জানান, পরের ধাপে হওয়া বিনিময়ের সময়ে কারেলিনাকে যুক্ত করার জন্য তিনি কাজ করে যাবেন৷
রাশিয়ায় জন্ম নেওয়া কারোলিনা ২০১২ সালে শিক্ষার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান৷ ২০২১ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন৷
চলতি বছরের শুরুতে পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে রাশিয়ায় যান তিনি৷ সেসময় বিমানবন্দরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়৷ সেখান থেকে কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, কারেলিনা ওই দাতব্য সংস্থায় অর্থ সহায়তা করেছেন৷
যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত যাওয়ার একদিন আগে রাহাজানির দায়ে তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয় আদালত৷ এরপর জেল থেকে মুক্তির ঠিক আগে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনে রাশিয়া৷
আরআর/এসিবি (রয়টার্স)