জেমস কোমি সোমবার হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর ইন্টোলিজেন্স কমিটিকে বলেন যে, এফবিআই বাস্তবিক ট্রাম্প প্রচার অভিযানের সঙ্গে রুশ সরকারের সম্পর্কের ব্যাপারে তদন্ত করছে৷
বিজ্ঞাপন
‘‘ট্রাম্পের প্রচার অভিযানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের রুশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের প্রকৃতি'' – এই তদন্তের একটি বিষয়, বলে কোমি জানান৷ ট্রাম্প ক্যাম্পেইন ও মস্কোর কার্যকলাপের মধ্যে কোনো সম্ভাব্য সমন্বয় ছিল কিনা, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, বলেন কোমি৷
কোমি প্যানেলকে বলেন যে, তিনি একটি চলতি তদন্তের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করার অ-গতানুগতিক পদক্ষেপ নিয়েছেন এই কারণে যে, এই ঘটনায় জনসাধারণের গভীর আগ্রহ আছে৷ তবে তদন্ত চলেছে বলেই তাঁর পক্ষে এফবিআই কোন পন্থা অনুসরণ করছে বা অথবা কার আচরণ খুঁটিয়ে দেখছে, সে ব্যাপারে এর চাইতে বেশি কিছু বলাটা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় – বলে কোমি মন্তব্য করেন৷
ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির পরিচালক মাইক রজার্স-ও প্যানেলের সামনে সাক্ষ্য দেন এবং ট্রাম্পের ক্যামপেইন সহযোগীদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্ভাব্য যোগাযোগের ব্যাপারে তদন্তের কথা স্বীকার করেন৷
ট্রাম্পের উপর আড়ি পাতা নিয়ে অভিযোগ
ওবামা প্রশাসন খোদ ট্রাম্প টাওয়ারে তাঁর উপর আড়ি পেতেছে, বলে ট্রাম্প যে অভিযোগ করেছেন, হাউসের কমিটি সেটাও পরীক্ষা করে দেখছে৷ গত চৌঠা মার্চ ট্রাম্প একাধিক টুইটে এই দাবি তোলেন৷ এফবিআই প্রধান কোমি সোমবার তাঁর শুনানিতে বলেছেন যে, ‘‘এই সব টুইট সমর্থন করার মতো কোনো তথ্য নেই''৷
ম্যার্কেল ও মার্কিন প্রেসিডেন্টদের রসায়ন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির বিশেষ সম্পর্কের ভিত্তি যথেষ্ট মজবুত হলেও শীর্ষ নেতাদের সম্পর্কের রসায়নের উপর তার বিবর্তন অনেকটাই নির্ভর করে৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেল তাঁর ক্ষমতাকালে চারজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের দেখা পেলেন৷
ছবি: Reuters/F. Bensch
প্রথম সাক্ষাৎ
২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিরোধী দলীয় নেত্রী হিসেবে আঙ্গেলা ম্যার্কেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷ সে সময়ে জার্মান চ্যান্সেলর ছিলেন গেয়ারহার্ড শ্র্যোডার৷
ছবি: AP
চ্যান্সেলর ও প্রেসিডেন্ট
২০০৮ সালের জুন মাসে বার্লিনের কাছে মেসেব্যার্গ-এ জার্মান সরকারের অতিথি নিবাসে মিলিত হয়েছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ৷ বুশ দুই দিনের সফরে জার্মানি এসেছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/G. Bergmann
পারিবারিক পরিবেশে বুশ-ম্যার্কেল
২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় জর্জ ডাব্লিউ বুশ ম্যার্কেলকে নিজের খামারবাড়িতে স্বাগত জানান৷ স্ত্রী লরা ও ম্যার্কেলের স্বামী ড. ইওয়াখিম সাউয়ারকে সঙ্গে নিয়ে নিজেই গাড়ি চালিয়েছিলেন বুশ৷
ছবি: AP
উষ্ণতার বহিঃপ্রকাশ
২০০৮ সালেই রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে জি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে জর্জ ডাব্লিউ বুশ আচমকা ম্যার্কেল-এর কাঁধ মালিশ করে বসেন৷ তাঁর এই স্বতঃস্ফূর্ত উষ্ণতার প্রকাশে ম্যার্কেল অবশ্য কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন৷
নতুন সম্পর্ক
২০০৯ সালে জার্মানির বাডেন বাডেন শহরে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ ম্যার্কেল তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান৷
ছবি: picture-alliance/ dpa
ম্যার্কেল-ওবামা রসায়ন
একই বছর ওয়াশিংটন সফরে জান ম্যার্কেল৷ ধীরে ধীরে ওবামা ও ম্যার্কেলের ব্যক্তিগত উষ্ণতা গড়ে উঠতে শুরু করে৷
ছবি: AP
বিশেষ সম্মান
২০১১ সালে ওয়াশিংটন সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘মেডেল অফ ফ্রিডম’ হাতে পান আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ কিন্তু তার ঠিক পরে এনএসএ কেলেঙ্কারির ফলে ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে ম্যার্কেলের সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়ে পড়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নতুন পরিস্থিতি
২০১৫ সালে বাভেরিয়ার মনোরম পরিবেশে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আসেন ওবামা৷ ততদিনে ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে বেড়ে চলা সংঘাতের কারণে রাশিয়া একঘরে হয়ে পড়েছে৷
ছবি: Reuters/M. Kappeler
আবেগঘন বিদায়
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্যকালের শেষ পর্যায়ে বার্লিন সফরে আসেন বারাক ওবামা৷ পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে তিনি ম্যার্কেলের নাম উল্লেখ করেন৷
ছবি: Reuters/F. Bensch
নতুন চ্যালেঞ্জ
২০১৭ সালটি অ্যামেরিকা ও জার্মানি – দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল৷ জানুয়ারি মাসে ওয়াশিংটনে ক্ষমতায় এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ ম্যার্কেলও আবার ক্ষমতায় এলেন।
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler/R. Sachs
বিরোধ
২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ট্রাম্পের আমলে অ্যামেরিকা ও জার্মানির মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। ন্যাটো নিয়ে ট্রাম্প ও ম্যার্কেলের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। ট্রাম্পের অ্যামেরিকা ফার্স্ট নীতিও ম্যার্কেল মানতে পারেননি। জার্মানি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করেছেন ট্রাম্প। ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে।
ছবি: picture-alliance/AP Photo/E. Vucci
বাইডেনের আমলে
২০২১ সালে জি৭ বৈঠকের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে ম্যার্কেলের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। এবার ম্যার্কেল অ্যামেরিকা গেছেন। চ্যান্সেলার হিসাবে তার সম্ভবত এটাই শেষ সফর। বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে করবেন তিনি। সেখানে কি সম্পর্কের বরফ গলবে?
ছবি: Adam Schultz/White House/Planet Pix/Zuma/picture alliance
12 ছবি1 | 12
হোয়াইট হাউস গত সপ্তাহে আভাস দেয় যে, ব্রিটেনের জিসিএইচকিউ সিগনালস ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি ট্রাম্পের উপর আড়ি পাতায় ওবামাকে সাহায্য করেছে – ব্রিটিশ সরকার যে অভিযোগকে ‘‘পুরোপুরি হাস্যকর'' বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ রজার্স তাঁর শুনানিতে বলেন, আড়ি পাতার অভিযোগ সমর্থন করার মতো কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ এনএসএ-র কাছে নেই৷
দ্য রাশিয়ান কনেকশান
গত বছর মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ঘোষণা করে যে, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিষ্ঠানগুলির উপর হ্যাকিং আক্রমণ সম্ভবত রুশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে পরিচালিত হয়েছে৷ রজার্স এবং কোমি উভয়েই তাদের শুনানিতে বলেন যে, গোয়েন্দা বিভাগগুলি তাদের সেই অভিমত বদলায়নি৷
কোমি সোমবার তাঁর শুনানিতে বলেন যে, রাশিয়া ক্লিন্টনকে ‘‘দেখতে পারে না'' এবং রাশিয়া চেয়েছিল যে, ক্লিন্টন নির্বাচনে পরাজিত হোন৷
গত মাসে ট্রাম্পের প্রথম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন পদত্যাগ করতে বাধ্য হন, কেননা তিনি রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তাঁর দেখা-সাক্ষাতের ব্যাপারে পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেননি৷ গত সপ্তাহে জানা যায় যে, ২০১৫ সালে রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পন্ন একাধিক কোম্পানি ফ্লিন-কে ৬৫,০০০ ডলার পেমেন্ট করেছে৷
হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়া
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সন স্পাইসার একটি প্রেস ব্রিফিং-এ বলেছেন যে, ট্রাম্পের টিমের যে রাশিয়ার সঙ্গে যোগসাজস ছিল, তার কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই৷ ‘‘তদন্ত করা আর তার সাক্ষ্যপ্রমাণ থাকা দু'টো আলাদা ব্যাপার'', বলেন তিনি৷
অপরদিকে স্পাইসার দৃশ্যত ট্রাম্প টিমের দু'জন প্রাক্তন সদস্যের থেকে হোয়াইট হাউসের দূরত্বের কথাটা জাহির করতে আগ্রহী৷ যে কারণে স্পাইসার সোমবার মাইকেল ফ্লিনকে ট্রাম্প প্রচার অভিযানের একজন ‘‘স্বেচ্ছাসেবী'' হিসেবে উল্লেখ করেন৷
আরেক বিতর্কিত সদস্য পল মানাফোর্ট সম্পর্কে স্পাইসার বলেছেন, মানাফোর্ট ‘‘অতি স্বল্পসময়ের জন্য একটি অতি সীমিত ভূমিকা পালন করেছেন''৷ মানাফোর্ট ট্রাম্প ক্যামপেইন থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হন কেননা তিনি অতীতে একাধিক বিদেশি সরকার, এমনকি রাশিয়াপন্থি ইউক্রেনীয় নেতাদের হয়ে কাজ করেছেন, বলে খবর ছিল৷
এসি/ডিজি (এপি, রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)
ভ্লাদিমির পুটিনের ভিন্ন রূপ
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন৷ ছবিঘরে পুটিনের ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন দিক ফুটে উঠেছে৷
ছবি: Reuters/A. Novosti/RIA Novosti/Kremlin
কেজিবি থেকে ক্রেমলিন
পুটিন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের নিরাপত্তা সংস্থা কেজিবিতে যোগ দেন ১৯৭৫ সালে৷ আশির দশকে তিনি কেজিবি এজেন্ট হিসেবে জার্মানির ড্রেসডেনে কর্মরত ছিলেন৷ বার্লিন ওয়ালের পতনের পর রাশিয়ায় ফিরে গিয়ে বরিস ইয়েলৎসিনের ক্রেমলিনে প্রবেশ করেন তিনি৷ ইয়েলৎসিন তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে পুটিনের নাম ঘোষণা করলে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়৷
ছবি: picture alliance/dpa/M.Klimentyev
প্রথম প্রেসিডেন্সি
বড় পদে যাওয়ার আগ অবধি রাশিয়ার সাধারণ জনতা পুটিনকে বলতে গেলে চিনতেনই না৷ ১৯৯৯ সালের আগস্টে চেচনিয়ার একদল সশস্ত্র মানুষ রাশিয়ার দাগেস্তান দখল করে নিলে পুটিন লাইম লাইটে আসেন৷ প্রেসিডেন্ট ইয়েলৎসিন তখন তাঁকে চেচনিয়াকে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনার দায়িত্ব দেন৷ সেবার বর্ষবরণের আগের রাতে অপ্রত্যাশিতভাবে পদত্যাগ করেন ইয়েলৎসিন এবং পুটিনকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেন৷
ছবি: picture alliance/AP Images
গণমাধ্যমে কঠোর পুরুষ
সোচিতে একটি প্রীতি হকি গেমে পুটিনের দল ১৮-৬ গোলে জয়লাভ করে৷ এরমধ্যে আটটি গোলই করেছেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট!
ছবি: picture-alliance/AP/A. Nikolsky
বাকস্বাধীনতায় লাগাম
পুটিন বিরোধীদের এক ব়্যালিতে এভাবে মুখে টেপ লাগিয়ে তার উপরে পুটিন লিখে হাজির হয়েছিলেন এক প্রতিবাদকারী৷ ২০১৩ সালে সেদেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা রিয়া নোভোস্টিকে সংস্কারের ঘোষণা দেয় ক্রেমলিন এবং সেটির দায়িত্ব উগ্র পশ্চিমাবিরোধী মতের জন্য পরিচিত এক ক্রেমলিনপন্থির হাতে তুলে দেয়া হয়৷ রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের প্রেস ফ্রিডম সূচকে ১৭৮টি দেশের মধ্যে রাশিয়ার অবস্থান ১৪৮তম৷
ছবি: Getty Images/AFP/V.Maximov
পুটিনের ভাবমূর্তি: কাজে বিশ্বাসী এক ব্যক্তি
রাশিয়ায় অনেকে বিশ্বাস করেন পুটিন কাজে বিশ্বাসী৷ এই ভাবমূর্তি গড়তে গিয়ে গণমাধ্যমে মাঝেমাঝেই ঊর্দ্ধাঙ্গ অনাবৃত ঘৌড়সওয়ারের বেশে বা জুডোতে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করার বেশে পুটিনের ছবি প্রকাশ হয়৷ রাশিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারায় পুটিনের প্রশংসা করেন অনেকে, পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্রের অভিযোগও রয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Nikoskyi
গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ
২০০৭ সালে পুটিনের দল ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি যখন ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করে, তখন সমালোচকরা দাবি করেন, ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া মুক্ত এবং গণতান্ত্রিক ছিল না৷ পুটিনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রণের কণ্ঠরোধে অভিযোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করে দাঙ্গা পুলিশ৷ সেই বিক্ষোভ ব়্যালিতে একটি পোস্টারে লেখা ছিল, ‘ধন্যবাদ, না!’
ছবি: Getty Images/AFP/Y.Kadobnov
সাজানো ঘটনা
ক্রাইমিয়ার সেভাস্টোপোলে একটি ছোট সাবমেরিনের মধ্যে দেখা যাচ্ছে পুটিনকে৷ বলা হয়ে থাকে, কৃষ্ণ সাগরের গভীরে তিনি গিয়েছিলেন এই সাবমেরিনে করে৷ এরকম ছবি মাঝে মাঝেই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়৷ কখনো তিনি বুনো বাঘকে কাবু করেন চেতনানাশক দিয়ে কিংবা ওড়ের বিলুপ্তপ্রায় সারসের সঙ্গে৷ এভাবে এক দুঃসাহসী অভিযাত্রীর বেশে পুটিনকে উপস্থাপন করা হয়৷