1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিসাউথ আফ্রিকা

রাশিয়া-চীনের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় সাউথ আফ্রিকা

২৪ জানুয়ারি ২০২৩

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ সাউথ আফ্রিকায়। আগামী মাসে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় সাউথ আফ্রিকা।

ছবি: Russian Foreign Ministry Press Service via AP

এই যৌথ সামরিক মহড়া হবে ১৭ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি। এই নৌ-মহড়ার মধ্যেই পড়বে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের প্রথম বার্ষিকী। গতবছর ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল।

সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে মস্কোর বাণিজ্যের পরিমাণ খুব বেশি নয়। কিন্তু যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, সাউথ আফ্রিকা প্রথম থেকেই ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া ও চীনের অবস্থানকে সমর্থন করছে। 

গত তিন দশক ধরে সাউথ আফ্রিকায় ক্ষমতাসীন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস(এএনসি) রাশিয়াকে সমর্থন করে আসছে। এর আগে রাশিয়া বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বরাবর এএনসি-কে সমর্থন ও সাহায্য করেছে।

তবে সাউথ আফ্রিকার ঘোষিত অবস্থান হলো, তারা নিরপেক্ষ। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলির কাছে ভূ-রাজনৈতিক কারণে সাউথ আফ্রিকা অত্যন্ত গুরুত্বূপূর্ণ দেশ। আফ্রিকার দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার জন্য তারা সাউথ আফ্রিকাকে পাশে পেতে চায়। রাশিয়াও চীনের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নেয়ায় তারা সাউথ আফ্রিকার সমালোচনা শুরু হয়েছে। সাউথ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী নালেদি পান্ডোর বলেছেন, বন্ধুদের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া সাউথ আফ্রিকা করেই থাকে। এটা নতুন কিছু নয়।

প্রেসিডেন্টের দাবি

সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা এর আগে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছেন, সাউথ আফ্রিকা একটা নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে চলেছে। কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও বুদ্ধিজীবীদের একাংশ এই দাবি মানতে নারাজ।

প্রধান বিরোধী দলের নেতা ড্যারেন বার্গম্যান জানিয়েছেন, এটা এখন স্পষ্ট, সাউথ আফ্রিকা রাশিয়াকেই সমর্থন করছে।

জোহানেসবার্গের সংগঠন ডেমোক্রেসি ওয়ার্কস ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ চেয়ারপার্সন উইলিয়াম গুমেড জানিয়েছেন, সাউথ আফ্রিকা যে অবস্থান নিয়েছে তা মানা যায় না। কারণ সংবিধানে বলা আছে, সরকারকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মানবাধিকারের বিষয়টি সমর্থন করতে হবে।

লাভরভের সফর

এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া-আফ্রিকার দেশগুলির শীর্ষ-সম্মেলনের আগে ছয়মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার সাউথ আফ্রিকা সফর করছেন লাভরভ। এই শীর্ষবৈঠক আগামী জুলাইতে হওয়ার কথা।

এদিকে সাউথ আফ্রিকায় নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তারা যেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির দশ দফা শান্তি প্রস্তাব সমর্থন করে। গত নভেম্বরে জি২০ বৈঠকে এই শান্তিপ্রস্তাব দিয়েছিলেন জেলেনস্কি।

জেলেনস্কি ইউক্রেনের সঙ্গে আফ্রিকার দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছেন, কিন্তু এখনো কোনো সাফল্য পাননি। আফ্রিকার অধিকাংশ দেশ এই বিরোধে কারো পক্ষ নিতে দ্বিধাবোধ করছে। মানবাধিকার কাউন্সিলে রাশিয়ার সদস্যপদ খারিজ করা নিয়ে ভোটাভুটিতে আফ্রিকার ৫৪টি দেশের মধ্যে মাত্র ১০টি দেশ অংশ নিয়েছিল। নয়টি দেশ বিরোধিতা করে এবং বাকিরা ভোটে অংশ নেয়নি।

২০১৬ থেকে ২০২০-র মধ্যে আফ্রিকার দেশগুলি যত অস্ত্র কিনেছে, তার মধ্যে ১৮ শতাংশ এসেছে রাশিয়া থেকে। স্টকহোমের ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বার্ষিক পর্য়ালোচনায় এই তথ্য সামনে এসেছে।

মিখাইল বুশরেভ/জিএইচ/ডিডাব্লিউ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ