এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে রাশিয়া থেকে দ্বিগুণ জ্বালানি তেল আমদানি করেছে সৌদি আরব৷ গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য তারা এই তেল আমদানি করেছে বলে জানা গেছে৷
বিজ্ঞাপন
রাশিয়া থেকে সৌদির দ্বিগুণ তেল আমদানি
এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে রাশিয়া থেকে দ্বিগুণ জ্বালানি তেল আমদানি করেছে সৌদি আরব৷ গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য তারা এই তেল আমদানি করেছে বলে জানা গেছে৷
বিশ্বে অপরিশোধিত ক্রুড তেলের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব৷ কিন্তু গত তিন মাসে দেশটি নিজেই রাশিয়ার কাছ থেকে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে দুই গুণ বেশি তেল আমদানি করেছে৷
রাশিয়ার অর্থনীতিতে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব
ইউক্রেনে হামলার কারণে নানামুখী নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে রাশিয়া৷ দেশটি বলছে অর্থনীতিতে এর প্রভাব যতটা পড়বে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল ততটা পড়েনি৷ তবে বিশ্লেষকদের মতে, প্রকৃত পরিস্থিতি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে৷
ছবি: Pavel Bednyakov/SNA/IMAGO
নিষেধাজ্ঞার বহর
২২ ফেব্রুয়ারির পর থেকে রাশিয়ার উপর ৮,২২৫টি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিভিন্ন দেশ৷ আমদানি-রপ্তানি, ঋণ প্রদান, লেনদেন ব্যবস্থা সুইফট থেকে বাদ দেয়াসহ নানা নিষেধাজ্ঞা ঝুলছে দেশটির উপরে৷ বৈশ্বিক নিরাপত্তা ঝুঁকি ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কাজ করা কাস্টেলাম-এর হিসাবে সবচেয়ে বেশি দুই হাজার ২৬টি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ এরপর আছে সুইজারল্যান্ড, ক্যানাডা, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, জাপান৷
ছবি: Torsten Sukrow/SULUPRESS.DE/picture alliance
রুবলের উল্লম্ফন
নিষেধাজ্ঞার পরও রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপে দেশটির মুদ্রা দুর্বল হওয়ার বদলে শক্তিশালী হয়েছে৷ জানুয়ারির পর থেকে মে পর্যন্ত ডলারের বিপরীতে রুবল ৪০ শতাংশ শক্তিশালী হয়েছে৷ জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্য, রাশিয়া থেকে আমদানি পণ্যের মূল্য রুবলে পরিশোধের বাধ্যবাধকতা এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে৷
ছবি: Jakub Porzycki/NurPhoto/picture alliance
বেড়েছে মূল্যস্ফীতি
জুনের হিসাবে এক বছর আগের তুলনায় রাশিয়ায় মূল্যস্ফীতি বা জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ১৭ শতাংশ৷ তবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার কারণে যতটা মূল্যস্ফীতি হবে বলে ধারণা করা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে বছর শেষে তা আরো কম হবে৷ যে কারণে মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস ১৮ থেকে ২৩ শতাংশের বদলে ১৪ থেকে ১৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছে তারা৷
ছবি: Alexey Malgavko/REUTERS
খরচ কমিয়েছেন ভোক্তারা
জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে কেনাকাটা কমিয়ে দিচ্ছেন রাশিয়ার মানুষ৷ পণ্যের মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটের হিসাব থেকে এমন তথ্যই মিলছে৷ গত এপ্রিলে যা ৫৪ শতাংশ কমেছে বলে রাশিয়ার দৈনিক কমারস্যান্টকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে রয়টার্স৷ ফেডারেল স্ট্যাটিস্টিকস সার্ভিসের হিসাবে একই মাসে খুচরা বিক্রি কমেছে ৯.৭ শতাংশ৷ ব্যবসা ও ভোক্তা ব্যয়ে ‘চাহিদা সংকট’ রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী ম্যাক্সিম রেশেটনিকভও৷
ছবি: Peter Kovalev/TASS/dpa/picture alliance
প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে পরিবর্তন
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী রাশিয়ায় এপ্রিলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে তিন শতাংশ৷ মে মাসে দেশটির সরকার থেকে জানানো হয়েছিল চলতি বছর জিডিপি সাত দশমিক আট শতাংশ কমতে পারে৷ তবে অর্থমন্ত্রী ম্যাক্সিম রেশেটনিকভ সম্প্রতি বলেছেন, এই হার পাঁচ থেকে ছয় শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকবে৷ অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সের পূর্বাভাস, বিদেশি বিনিয়োগ ও শিল্পোৎপাদন কমায় জিডিপি কমবে ১৫ শতাংশ৷
ছবি: Gavriil Grigorov/dpa/picture alliance
আমদানি কমেছে অনেক
যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞায় বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ও শিল্প উৎপাদন কমায় রাশিয়ার আমদানি ব্যাপকভাবে কমেছে৷ রাশিয়ার বাণিজ্যিক ব্যাংক ওটক্রিতির তথ্য দিয়ে দ্য মস্কো টাইমস জানিয়েছে, এপ্রিলে ৫০০ কোটি থেকে এক হাজার কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে দেশটি৷ যেখানে ফেব্রুয়ারিতে আমদানি হয়েছে দুই হাজার ৭৫০ কোটি ডলারের পণ্য৷ তবে সরকারের পক্ষ থেকে সবশেষ মাসের আমদানি, রপ্তানি বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করা হয়নি৷
ছবি: Yuri Smityuk/TASS/dpa/picture alliance
চাঙা জ্বালানি রপ্তানি
দ্য ইকোনোমিস্ট-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জ্বালানি রপ্তানি থেকে এখনও দৈনিক ১০০ কোটি ডলার আয় করে চলেছে রাশিয়া৷ হেলসিংকিভিত্তিক দ্য সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিয়ার এয়ার-এর তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন হামলার পর প্রথম ১০০ দিনে জ্বালানি রপ্তানি থেকে ৯৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে মস্কো৷ এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল-এর তথ্য অনুযায়ী, বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশটির তেল রপ্তানি থেকে আয় ১২ শতাংশ বেড়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Y. Aleyev
গাড়ি বিক্রিতে ধাক্কা
অ্যাসোসিয়েশন অব ইউরোপিয়ান বিজনেসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চাহিদা কমে যাওয়া এবং কাঁচামাল সংকটের কারণে মে মাসে গাড়ি বিক্রি রেকর্ড ৮৩ শতাংশ কমেছে৷ রুশ পরিসংখ্যান দপ্তর রসস্ট্যাট-এর তথ্য অনুযায়ী, গাড়ির দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে৷ গাড়ি শিল্পের ক্ষতি কাটাতে প্রণোদনার উদ্যোগ নিতে ১৬ জুন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুটিন৷
ছবি: Stanislav Krasilnikov/TASS/dpa/picture alliance
সার্বিক প্রভাব কতটা?
রুশ অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘প্রথম প্রান্তিকের (অর্থনৈতিক) ফলাফল এবং এপ্রিল-মে মাসের পূর্বাভাস বলছে, যতটা খারাপ আশঙ্কা করা হয়েছিল পরিস্থিতি ততটা খারাপ হবে না৷’’ তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান এলভিরা নাবিউলিনা সেন্ট পিটার্সবার্গের অর্থনৈতিক ফোরামে বলেছেন, বিদেশি চাপে রুশ অর্থনীতি যে চাপে পড়েছে, তা অনির্ধারিত সময় ধরে চলমান থাকার শঙ্কা রয়েছে৷ পরিস্থিতি আগের অবস্থায় আর ফিরবে না বলেও আশঙ্কা তার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/V. Belousov
প্রকৃত পরিস্থিতি
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাশিয়ার প্রকৃত পরিস্থিতি কী সেটি এখনও পরিস্কার নয়৷ দীর্ঘমেয়াদে দেশটির অর্থনীতিতে কী ধরনের প্রভাব পড়তে যাচ্ছে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে৷ বিশেষ করে রাশিয়া ছাড়ার ঘোষণা দেয়া বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানিগুলো কর্মীদের বেতন দেয়া বন্ধ করলে তা মানুষের আয়ে প্রভাব ফেলবে৷ তবে কর্মসংস্থান, আমদানি, রপ্তানিসহ অর্থনীতির সাম্প্রতিক বিভিন্ন পরিসংখ্যান প্রকাশ বন্ধ রেখেছে দেশটির সরকার৷
ছবি: Pavel Bednyakov/SNA/IMAGO
10 ছবি1 | 10
রেফিনিটিভ এইকন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ‘শিপ ট্র্যাকিং ডেটা' বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স৷ এতে দেখা যাচ্ছে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত মস্কোর কাছ থেকে ছয় লাখ ৪৭ হাজার টন জ্বালানি তেল আমদানি করেছে রিয়াদ৷ যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আমদানি হয়েছিল তিন লাখ ২০ হাজার৷ ২০২১ সালে সৌদি আরবে মোট তেল আমদানির পরিমাণ ছিল সাড়ে ১০ লাখ ৫০ হাজার টন৷
এখানেই শেষ নয়, সৌদি আরব বড় আকারের তেল আমদানি করেছে মিশরের কাছ থেকেও৷ আবার মিশর নিজেও রাশিয়ার কাছ থেকে রেকর্ড অঙ্কের তেল কিনেছে৷ জ্বালানি বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান ভরটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, জুনে মিশর থেকে দৈনিক এক লাখ ১০ হাজার ব্যারেল তেল আমদানি করেছে সৌদি আরব৷ এর আগে কখনও একমাসে দেশটির কাছ থেকে এত বেশি তেল আমদানি করেনি তারা৷ অন্যদিকে মিশর রাশিয়ার কাছ থেকে একই মাসে রেকর্ড দৈনিক ৭০ হাজার ব্যারেল তেল কিনেছে৷
এসব দেশে মজুত আছে সবচেয়ে বেশি তেল
বিশ্ব রাজনীতিতে জ্বালানি তেলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ যেসব দেশে জ্বালানি তেলের মজুত বেশি, তারা হয় কোনো দেশের শত্রু অথবা মিত্র৷ ছবিঘরে দেখুন কোন ১০টি দেশে তেলের মজুত সবচেয়ে বেশি৷
ছবি: Reuters/H. Romero
নাইজেরিয়া
তেলের মজুত: ৩৬ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ব্যারেল৷ এটি বিশ্বের মোট মজুতের দুই ভাগের বেশি৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Bureau
লিবিয়া
তেলের মজুত: ৪৮.৩৬ বিলিয়ন ব্যারেল, যা বিশ্বের মজুতকৃত ক্রুডের প্রায় তিন ভাগ৷
ছবি: DW/K. Zurutuza
রাশিয়া
তেলের মজুত: ৮০ বিলিয়ন ব্যারেল, যা বিশ্বের মজুতকৃত অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের প্রায় পাঁচ ভাগ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সংযুক্ত আরব আমিরাত
তেলের মজুত: ৯৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ব্যারেল, যা বিশ্বের মোট মজুতের প্রায় ছয় ভাগ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কুয়েত
তেলের মজুত: ১০১.৫০ বিলিয়ন ব্যারেল৷ বিশ্বের ছয় ভাগের বেশি জ্বালানি তেলের মজুত আছে দেশটিতে৷
তেলের মজুত: ১৫৫ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ব্যারেল, যা বিশ্বের মোট মজুতকৃত ক্রুড তেলের সাড়ে নয় ভাগ৷
ছবি: imago/Xinhua
ক্যানাডা
তেলের মজুত: ১৭০.৮৬ বিলিয়ন ব্যারেল৷ মোট মজুতের প্রায় সাড়ে দশভাগই আছে দেশটিতে৷
ছবি: AFP/Getty Images/M. Ralston
সৌদি আরব
তেলের মজুত: ২৬৭ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ব্যারেল৷ বিশ্বের ক্রুড তেলের ১৬ ভাগ মজুত আছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে৷
ছবি: M. Naamani//AFP/Getty Images
ভেনেজুয়েলা
তেলের মজুত: ৩০২.৮১ বিলিয়ন ব্যারেল, যা মোট মজুতের ১৮ ভাগ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Sanchez
10 ছবি1 | 10
কেন তেল কিনছে সৌদি আরব?
বিশ্বের জ্বালানি তেলের বাজারে সৌদি আরব সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়া সত্ত্বেও গত কয়েক বছর ধরে রাশিয়া থেকে দেশটি তেল আমদানি করে৷ মূলতঃ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য পরিশোধিত তেল কেনে তারা৷ এতে নিজেদের তেল পরিশোধন করতে হয় না বরং নিজেদের উৎপাদিত অপরিশোধিত ক্রুড বিশ্ব বাজারে অপেক্ষাকৃত বেশি দামে বিক্রি করে৷
চলতি বছর গ্রীষ্মে তীব্র গরমে সৌদি আরবে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়৷ বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তাই জ্বালানি তেলের আমদানিও বেড়েছে বলে জানিয়েছে ভারটেক্স৷ প্রতিষ্ঠানটির হিসাবে জুনে দৈনিক তিন লাখ ২০ হাজার ব্যারেল তেল আমদানি করেছে সৌদি যা ২০২০ সালের নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ৷
বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রাশিয়া থেকে সৌদি আরবের তেল আমদানির পরিসংখ্যান নিয়ে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় রয়টার্সের কাছে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে৷
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে রাশিয়ার পোয়াবারো
ইউক্রেন যুদ্ধ ও রাশিয়ার উপর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার তেল রপ্তানিতে তেমন প্রভাব পড়েনি৷ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সৌদি আরবের মতো বিভিন্ন দেশ বরং তাদের থেকে আমদানি বাড়িয়েছে৷ এই তালিকায় আছে চীন, ভারতসহ আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশও৷
বিশ্ববাজারে তেল, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিও রাশিয়ার জন্য সুফল বয়ে এনেছে৷ ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুনে দেশটির চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত রেকর্ড সাত হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে৷ জ্বালানি ও পণ্য রপ্তানি থেকে আয় বৃদ্ধি সেই সঙ্গে আমদানি হ্রাস এই ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে৷
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, সব মিলিয়ে বছরের প্রথমার্ধে রাশিয়ার চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিল ১৩ হাজার ৮৫০ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে তিন গুণ বেশি৷