1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবারো পুটিনই প্রেসিডেন্ট?

১৮ মার্চ ২০১৮

রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন যে আবারও নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন তা প্রায় নিশ্চিত৷

Russland Wahlen
ছবি: picture-alliance/Sergei Bobylev/TASS/dpa

রবিবার সকাল থেকে ভোট চলছে৷ স্থানীয় সময় রাত আটটায় রাশিয়ার সর্বপশ্চিমের এলাকা কলিনগ্রাদে ভোটগ্রহণ শেষ হবে৷

এরই মধ্যে ভোটগ্রহণে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ এসেছে৷ গলোজ নামের একটি পর্যবেক্ষক দল বলেছে যে, সারা দেশেই বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছে তারা৷ কোথাও কোথাও ব্যালট বাক্সগুলোকে পর্যবেক্ষণ ক্যামেরার চোখের বাইরে রাখা হয়েছে৷ শেষ মুহূর্তে ভোটার তালিকাতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে৷ 

এদিকে, জরিপ বলছে, চতুর্থবারের মতো  ছয় বছর মেয়াদে ক্রেমলিন অফিসের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন৷ তবে সেজন্য সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করতে হবে৷ 

চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় সরকারি জনমত যাচাইকারী সংস্থা সারা দেশে জরিপ চালানোর পর জানিয়েছে, ৬৯ শতাংশ উত্তরদাতা পুটিনকে ভোট দেবেন৷ এর আগে গতবছরের শেষদিকে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় স্বাধীন জনমত যাচাইকারী সংস্থা ‘লেভাদা সেন্টার' পুটিনের প্রতি ৭৩ শতাংশের সমর্থন থাকার কথা জানিয়েছিল৷ গত কয়েক বছর ধরে পুটিনের প্রতি সমর্থনের পরিমাণ প্রায় ৭০ শতাংশের মতো ছিল৷

ফলে রবিবারের নির্বাচনে পুটিনের জয় একরকম নিশ্চিত বলেই ধরে নিয়েছে বার্তা সংস্থাগুলো৷ তবে পাশাপাশি পুটিনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সম্পর্কেও খবর প্রকাশিত হচ্ছে৷ মূলত তিনজনকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে৷ এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হলেন রিয়েলিটি শো'র তারকা ও সাংবাদিক কেসেনিয়া সবচাক৷ ৩৬ বছর বয়সি সবচাক পুটিনের রাজনৈতিক গুরু বলে পরিচিত আনাতোলি সবচাকের মেয়ে৷ তাই সবচাক ক্রেমলিনেরই মনোনীত প্রার্থী বলে মনে করছেন অনেকে৷ তবে সবচাক সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন৷

রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বিরোধী নেতা আলেক্সেই নাভালনির প্রতিও তিনি সমর্থন জানিয়েছেন৷ নাভালনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না, কারণ তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে৷ যদিও নাভালনি এই অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন৷

জরিপ বলছে, নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাবেন পাভেল গ্রুডিনিন৷ তিনি কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান৷ গত নির্বাচনে এই দলের তৎকালীন প্রধান জেনাডি জুগানোভ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলেন৷

পুটিনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো আরেকজন উল্লেখযোগ্য প্রার্থী হলেন ভ্লাদিমির ঝিরিনোভস্কি৷ পপুলিস্ট নীতির কারণে তাঁকে অনেকসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে৷ গত নির্বাচনে তিনি চতুর্থ হয়েছিলেন৷

পুটিনের জনপ্রিয়তার কারণ

১৯৯৯ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন ভ্লাদিমির পুটিন৷ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলিৎসিন তাঁকে এই পদে এনেছিলেন৷ এর কয়েকমাস পর ইয়েলিৎসিন পদত্যাগ করলে অস্থায়ীভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পেয়েছিলেন পুটিন৷ এরপর ২০০০ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হন তিনি৷ রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মেয়াদ সেই সময় ছিল চার বছর করে৷ ফলে দুই মেয়াদে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন পুটিন৷ এরপর তাঁর রাজনৈতিক সঙ্গী দিমিত্রি মেদভেদেভ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন৷

পুটিন সেই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন৷ ঐ সময়ই প্রেসিডেন্টের মেয়াদ বাড়িয়ে ছয় বছর করা হয়৷ ২০১২ সালে পুটিন আবার প্রেসিডেন্ট হন৷ এবং এবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনি দায়িত্বে থাকবেন৷ এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সংবিধানে যে নিয়ম আছে, তাতে ঐ সময়ের পর আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারবেন না পুটিন৷

অর্থাৎ প্রায় বিশ বছর ধরে রাশিয়ার রাজনীতির প্রধান হয়ে আছেন পুটিন৷ মস্কোভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইয়েন্স সিগার্ট ডয়চে ভেলেকে বলেন, পুটিন রাশিয়ার রাজনীতিকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন যে, কোনো বিরোধী পক্ষ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি৷

এছাড়া সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার ভেঙে পড়া অর্থনীতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে পুটিনের আমলে৷ যদিও পুটিনের অর্থনৈতিক নীতির কারণে সেটি হয়েছে কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷ কেননা বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর একটি দেশ৷ ফলে একসময় দেশটি এমনিতেই উন্নতি করতে পারত৷ ‘‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তাঁর পক্ষে গেছে৷ সেটিই তাঁর ক্ষমতার ভিত্তি৷ নব্বই পূর্ববর্তী সময়ে আবারও হয়ত ফিরে যেতে হতে পারে এমন আশংকা আছে অনেকের মনে,'' ডয়চে ভেলেকে বলেন সিগার্ট৷

জেডএইচ/ডিজি (ডিপিএ, ডিডাব্লিউ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ