রাশিয়ায় ফিরতেই গ্রেপ্তার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের কট্টর বিরোধী নেতা নাভালনি। মুক্তি দাবি অ্যামেরিকা, ইইউ-র।
বিজ্ঞাপন
গত অগাস্টে তাঁকে বিষ দিয়ে মারার চেষ্টা হয়েছিল। তবে ঠিক সময়ে জার্মানিতে আসতে পারায় তিনি বেঁচে যান। বেশ কয়েক মাস ধরে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়েছেন নাভালনি। কিন্তু রোববার জার্মানি থেকে রাশিয়া পৌঁছতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাশিয়ার একটি টিভি চ্যানেলের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর নাভালনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা ও বানানো। তবে তিনি আর কোনো কিছুকেই ভয় পান না। তাঁর দাবি, রাশিয়া ফেরা নিয়ে তাঁর মনে কোনো দ্বিধা ছিল না। কারণ, রাশিয়াই তাঁর ঘর।
এরপর নাভালনি পাসপোর্ট কন্ট্রোলে যেতেই তাঁকে আটক করে পুলিশ। তাঁর সহযোগীর তোলা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নাভালনি পুলিশকে বলছেন, তাঁর আইনজীবীকে আসতে দিতে হবে। পুলিশ অবশ্য সেই অনুরোধ মানেনি। এরপর নাভালনিকে কাছের একটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তাঁর স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া বলেছেন, ''কর্তৃপক্ষ আমার স্বামীকে ভয় পায় বলেই তিনি মাতৃভূমিতে ফেরার পর এই ধরনের কাজ করল। তবে সব চেয়ে বড় কথা, আমার স্বামী বলেছেন, তিনি ভয় পান না। আমিও ভয় পাই না। আমি আপনাদেরও বলছি, ভয় পাবেন না।''
জার্মানি থেকে একটি রুশ এয়ারলাইন্সের বিমানে করে নাভালনি মস্কো ফিরেছেন। কিন্তু যে বিমানবন্দরে তাঁর নামার কথা ছিল, শেষ সময়ে তা বদল করা হয়। বিমান নামার কয়েক মিনিট আগে জানানো হয়, ওই বিমানবন্দরে নামা যাবে না, কারণ, তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাই অন্য বিমানবন্দরে বিমানটি নামবে। ওই বিমানেই ছিলেন রয়টার্সের প্রতিনিধি। তিনি জানিয়েছেন, পাইলট জানান, টেকনিক্যাল কারণে নির্ধারিত বিমানবন্দরে নামা যাচ্ছে না।
নাভালনির ঘটনায় পুটিনের যা হতে পারে
আলেক্সেই নাভালনিকে বিষ খাইয়ে মারার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ক্রেমলিন৷ নাভালনির নামই উচ্চারণ করেন না পুটিন৷ এমন অস্বীকার ও তাচ্ছিল্যের কৌশলের পরিণাম কী হতে পারে? ছবিঘরে বিস্তারিত...
ছবি: Instagram @Navalny/Reuters
রাশিয়ার রাজনীতিবিদ জার্মানিতে
রাশিয়ার বিরোধী রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের কর্মী আলেক্সেই নাভালনি গত ২০ আগস্ট টোমাস্ক থেকে মস্কো যাওয়ার পথে বিমানে অজ্ঞান হয়ে যান৷ ১৮ দিন হাসপাতালে কোমায় ছিলেন৷ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে গোপনে জার্মানিতে নিয়ে আসা হয় তাকে৷ বার্লিনে দীর্ঘ চিকিৎসার পর নাভালনি এখন সুস্থ৷
ছবি: Vasily Maximov/APF/Getty Images
রাশিয়ার ‘অস্বীকার’ ও ‘আদেশ’
রাশিয়ার বিরোধী দল এবং পশ্চিমা দেশগুলো মনে করে, রুশ গোয়েন্দা সংস্থা নাভালনিকে বিষ খাইয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করা হচ্ছে৷ সম্প্রতি রাশিয়ার কারা কর্তৃপক্ষ ২০১৪ সালের এক মামলায় দোষী সাব্যস্ত নাভালনিকে অবিলম্বে সশরীরে হাজির হতে বলে, তা না হলে পরে দেশে ফেরামাত্র জেলে পোরা হবে তাকে৷
ছবি: Shamil Zhumatov/REUTERS
কৌশলী পুটিন
গত চার মাসে নাভালনির ঘটনা অনেক দূর গড়িয়েছে৷ কিন্তু ভ্লাদিমির পুটিন একটিবারের জন্য নাভালনির নাম উচ্চারণই করেননি৷ জার্মানিতে নিয়ে আসার পর থেকে নাভালনিকে পুটিন বর্ণনা করছেন স্রেফ ‘বার্লিনের হাসপাতালের একজন রোগী’ হিসেবে৷
রাশিয়া দায় অস্বীকার করলেও, পুটিন ‘বার্লিনের হাসপাতালের রোগী’ বলে তাচ্ছিল্য করলেও ঘটনার বিস্তার থেমে থাকেনি৷ নাভালনির বিষয়ে মানুষের কৌতুহলও কমেনি৷ অজ্ঞান হয়ে পড়ার বিষয়টি নিয়ে দুটি ভিডিও অনুসন্ধানী নেটওয়ার্ক বেলিংক্যাট এবং দ্য ইনসাইডারে ছেড়েছিলেন নাভালনি৷ একটি ভিডিও এক সপ্তাহে দেখা হয়েছে দু কোটি বার, অন্যটি মাত্র দু দিনেই এক কোটি ৭০ লাখ বার! ওপরের ছবিতে বার্লিনে স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে নাভালনি৷
ছবি: Instagram @Navalny/Reuters
রুশ নিরাপত্তা সংস্থার চরম ব্যর্থতা
ব্রিটেনের ইতিহাসবিদ এবং গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মার্ক গালেওট্টি মনে করেন ‘নাভালনিকাণ্ড’ রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা এফএসবিকে সের্গেই ক্রিপাল ও তার মেয়েকে বিষ খাওয়ানোর ঘটনার চেয়েও বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে, কারণ, ‘‘এফএসবি নাভালনিকে শুধু হত্যা করতে ব্যর্থই হয়নি, বড় একটা প্রমাণও রেখে দিয়েছে তারা, কেননা নাভালনিকে জার্মানিতে সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে৷’’
ছবি: Imago/ZUMA Press
পুটিনের কী হবে?
মার্ক গালেওট্টির ধারণা এত বড় ঘটনাকেও হয়ত কৌশলে সামাল দিয়ে ফেলবেন ভ্লাদিমির পুটিন৷ ক্রেমলিন এখনো মনে করে তাদের গোয়েন্দা সংস্থা যথেষ্ট দক্ষ৷ ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের অভিযোগে যখন রুশ গোয়েন্দা সংস্থার নাম আসে, তখনও ধারণা করা হয়েছিল পুটিন হয়ত কোণঠাসা হবেন, বিব্রত হবেন৷ অথচ পরে সেই ঘটনার জন্য পুটিনকে ‘কিংমেকার’ ভেবেছেন অনেকে৷
ছবি: Alexei Nikolsky/AP Photo/picture alliance
‘রাশিয়া হতে চায় কঠোর খারাপ ছেলে’
রাশিয়ার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড দেখে গালেওট্টির মনে হচ্ছে, রাশিয়ায় যারা ক্ষমতাসীন, তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, ‘‘ওকে, আমরা যেহেতু ভালো ছেলে হতে পারবো না, চল তাহলে সবচেয়ে কঠোর খারাপ ছেলে হয়ে যাই৷’’ ব্রিটিশ ইতিহাসবিদের মতে, ‘‘ক্রেমলিনের নিয়ন্ত্রণ এখন এমন নিষ্ঠুর রাজনীতিবিদদের হাতে, যারা কিছুতেই থামবে না৷’’
ছবি: imago/Panthermedia
7 ছবি1 | 7
কেন বিমানবন্দর বদলানো হলো, রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ তার কোনো কারণ দেখায়নি। নাভালনি ফিরলে তাঁকে যে গ্রেপ্তার করা হবে তা রাশিয়া আগেই জানিয়েছিল। ৪৪ বছর বয়সী নাভালনি অবশ্য তাঁর সমর্থকদের বিমানবন্দরে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেছিলেন। আর কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরে অনুমতি ছাড়া কোনো সমাবেশ সম্পর্কে সাবধান করে দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁর সহযোগী ও সমর্থকরা বিমানবন্দরের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন। বেশ কিছু সহযোগীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সমর্থকদের সরিয়ে দেয়া হয়।
বিমানবন্দরের বাইরে থাকা ডিডাব্লিউয়ের প্রতিনিধি এমিলি সেরউইন জানাচ্ছেন, বিমানবন্দরের বাইরের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে যেন প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে। মাইনাস ২২ ডিগ্রির তাপমান উপেক্ষা করে প্রচুর লোক এসেছেন। তাঁরা সমানে স্লোগান দিচ্ছেন, 'রাশিয়া আবার মুক্ত হবে'।
পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বী নাভালনি!
পুতিন বিরোধী আন্দোলনে রাশিয়ার অন্যতম আলোচিত চরিত্র বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনি৷ ২০১৮ সালে দেশটির প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে পুতিনের বিরোধিতা করতে বাধা দেয়া হয় তাঁকে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/navalny.com
রাজনীতিবিদের মুখ
ছিলেন আইনজীবী৷ হয়েছেন সক্রিয় রাজনীতিক৷ চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিনকে৷ ২০০৮ সালের কথা৷ রাশিয়ার রাজনীতি আর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর অপকর্ম নিয়ে ব্লগ লিখে রাতারাতি আলোচনায় আসেন নাভালনি৷ তাঁর লেখা ব্লগের কারণে অনেকেই পদত্যাগ পর্যন্ত করতে বাধ্য হন৷ যা ছিল রাশিয়ার রাজনীতির বিরল দিক৷
ছবি: picture-alliance/dpa/TASS/V. Sharifulin
বিতর্কিত সংসদীয় নির্বাচন
২০১১ সালে প্রথম কারাগারে গেলেন নাভালনি৷ ছিলেন ১৫ দিন৷ অভিযোগ, মস্কোর স্টেট ডুমায় সরকার বিরোধী মিছিল-সমাবেশ৷ পুতিনের ‘ইউনাইটেড রাশিয়া’ নির্বাচনে জয় পায়৷ কিন্তু ভোট কারচুপির অভিযোগ আনা হয় পুতিনের বিরুদ্ধে৷ কারাগারে রেখেও দমানো যায়নি নাভালনিকে৷ বের হয়ে এসে আবারো চাঙ্গা করেন পুতিন বিরোধী আন্দোলন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Stenin
কারাগের দ্বিতীয় সাময়িক
২০১২ সালে পুননির্বাচিত হলেন পুতিন৷ রাশিয়ার তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দিলেন নাভালনির অতীত খুঁজে বের করতে৷ দ্বিতীয় দফায় কারাগারে গেলেন নাভালনি৷ আত্মসাতের অভিযোগ মাথায় নিয়ে জেল খাটলেন পাঁচ বছর৷ উচ্চ আদালতে শেষ পর্যন্ত মুক্তি দেয় তাঁকে৷
ছবি: Reuters
ক্রেমলিন বিরোধী মঞ্চ
আইনি কিছু ঝামেলায় পড়েও, মস্কোর মেয়র পদে নির্বাচনে অনুমতি পান তিনি৷ ২০১৩ সালের ওই নির্বাচনে নাভালনিকে হার মানতে হয়৷ কারণ, পুতিনের মিত্র সের্গেই সোবানিয়ান বিপুল ভোটে জয় পায়৷ আর বিরোধী রাজনীতি আবারো চাপা পড়ে যায় পুতিন জোয়ারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রাজনীতিকের সামাজিক যোগাযোগ
ক্রেমিলন বিরোধী আন্দোলনের কারণে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে নিষিদ্ধ হন নাভালনি৷ ফলে, নিজের রাজনৈতিক বার্তা ছড়িয়ে দিতে বেছে নিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ব্লগ৷ গুছিয়ে বলতে পারা, ভাষার ব্যবহার, পুতিনকে নিয়ে হাস্যরসত্মাক কথা আর বিনয়-সবমিলিয়ে তরুণদের কাছে তিনি হয়ে যান নতুন কান্ডারি৷
ছবি: Alexei Navalny/Youtube
রাষ্ট্রপতির হওয়ার আকাঙ্ক্ষা
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ঘোষণা দিলেন প্রেসিডন্ট পদে লড়তে চান তিনি৷ ২০১৮ সালের মার্চকে সামনে রেখে শুরু করলেন প্রচারণা৷ এবার দুর্নীতির অভিযোগে পারলেন না কাঙ্ক্ষিত পদে দৌড়াতে৷ যদিও বলা হয়, রাজনৈতিক হয়রানি শিকার হয়েছেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/AFP/K. Kudryavtsev
দুর্নীতির দায়
২০১৬ সাল৷ ইউরোপিয়ান মানবাধিকার আদালত এক রুলে জানায়, কিরভ মামলায় সুবিচার বঞ্চিত হয়েছে নাভালনি৷ রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্টও নাভালনির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বাতিল করে৷ নথি পাঠিয়ে দেয়া হয় কিরভ আদালতে৷ ২০১৭ সালে আবার তাঁর কারাদণ্ড বাতিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/Sputnik/A. Kudenko
অর্ধযুগে মস্কোর বড় বিক্ষোভ
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি৷ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের বিলিয়ন-ইউরোর সাম্রাজ্য নিয়ে রিপোর্ট লিখেন নাভালনি৷ সেই ঘটনাকে ঘিরে রাশিয়ার অন্তত ১২টি শহরে শুরু হয় দুর্নীতি বিরোধী মিছিল-সমাবেশ৷ নাভালনিসহ অন্তত হাজারো রাজনৈতিক কর্মীকে সেদিন গ্রেপ্তার করা হয়৷ ২০১১ সালের পর এতো বড় বিক্ষোভ আর দেখেনি মস্কোবাসী৷ ১৫ দিন কারাবাসের পর মুক্তি পায় নাভালনি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Evgeny Feldman for Alexey Navalny's campaign
শারীরিক লাঞ্চনা
দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের দুই মাস পর হাসপাতাল ঠিকানা হয় তাঁর৷ নাভালনির মুখে ছোঁড়া হয় সবুজ রঙের রাসায়নিক৷ ডান চোখের কর্নিয়া তাতে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়৷ চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে দেয়া হয়নি তাঁকে৷ কারণ তখনও দুর্নীতির অভিযোগ ঝুলছিল তাঁর গলায়৷ পরে ক্রেমলিনের মানবাধিকার কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে চোখের অপারেশনের জন্য স্পেন যাওয়ার অনুমতি পান নাভালনি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/E. Feldman
গ্রেপ্তার এবং গ্রেপ্তার
গেল বছরের গোড়ার দিকে এক মাস জেল খেটেছেন নাভালনি৷ তার কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবারো গ্রেপ্তার হন তিনি৷ গেল সেপ্টেম্বরে জামিন পান৷ এ বছরের এপ্রিলে, তাঁর পক্ষে রুল জারি করে ইউরোপের মানবাধিকার কোর্ট৷ বলা হয়, কিরভ মামলায় ২০১৪ সাল থেকে এক প্রকার গৃহবন্দি রেখে নাভালনির অধিকার হরণ করেছে রাশিয়া৷
ছবি: Reuters/M. Shemetov
এবার বিষক্রিয়া
১০ দিন জেল খেটে বের হবার পর, সাতদিনও কাটেনি৷ এ বছরের জুলাইতে আবারো গ্রেপ্তার হন তিনি৷ রাশিয়ার কঠোর প্রতিবাদ আইন ভঙ্গের অভিযোগে আবারো ৩০দিনের জন্য জেলে ঢুকলেন তিনি৷ কারাগারে তাঁর শরীরে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ তুলেছেন পুতিন বিরোধী এই রাজনীতিবিদ৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/navalny.com
11 ছবি1 | 11
রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জালিয়াতির অভিযোগে নাভালনির বিচার চলছে। আদালত রায় দেয়া পর্যন্ত তাই তাঁকে জেলে থাকতে হবে। তিনি যখন জার্মানিতে ছিলেন, তখন সুস্থ হওয়ার পর তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি আসেননি। ফলে তিনি নিয়ম ভেঙেছেন।
জার্মানিতে বিমানে ওঠার আগে নাভালনি বলেন, ''রাশিয়া আমার দেশ। আমার সেখানে ফেরার অধিকার আছে। রাশিয়ায় ফিরলে আমার আর কী ক্ষতি হতে পারে?''
অ্যামেরিকা, ইইউ-র নিন্দা
নাভালনিকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে বলে দাবি জানালো অ্যামেরিকা এবং ইইউ। অ্যামেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শদাতা বলেছেন, এটা শুধু মানবাধিকার ভঙ্গের ঘটনাই নয়, রাশিয়ার প্রতিবাদী মানুষকে অপমান করা। তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া উচিত। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জানিয়েছেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখছি, নাভালনির মুখ বন্ধ করার জন্য রাশিয়া কী ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল বলেছেন, নাভালনিকে এ ভাবে গ্রেপ্তার করাটা মেনে নেয়া যায় না। তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।