1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মন্ত্রীদের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৫ নভেম্বর ২০১৩

নানামুখী বিতর্কের পর, পদত্যাগ-পত্র জমা দেয়া মন্ত্রীদের দয়িত্ব পালনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট হয়েছে৷ রবিবার রিটের ওপর শুনানি হতে পারে৷ রাষ্ট্রপতি মন্ত্রীদের পদত্যাগ-পত্র গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাঁরা বহাল থাকবেন৷

The Prime Minister of Bangladesh Sheikh Hasina addresses a news conference with German Chancellor Angela Merkel, not seen, after a meeting at the chancellery in Berlin, Tuesday, Oct. 25, 2011. (Foto:Markus Schreiber/AP/dapd)
ছবি: dapd

নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের জন্য গত সোমবার বাংলাদেশের মন্ত্রিসভার সব সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পদত্যাগ-পত্র জমা দেন৷ তবে এরপরও তাঁরা মন্ত্রীর কাজ করে যাচ্ছেন, গাড়িতে জাতীয় পতাকা ওড়াচ্ছেন এবং নিচ্ছেন সুযোগ-সুবিধা৷

এ নিয়ে পদত্যাগ-পত্র জমা দেয়ার দিন থেকেই বিকর্ত শুরু হয়৷ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের তিনজন আইনজীবী ৪৯ জন মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীকে ‘লিগ্যাল নোটিশ' দিয়ে তাঁদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান৷ লিগ্যাল নোটিশে তাঁরা বলেন, সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রীরা পদত্যাগ-পত্র জমা দেয়ার পরই তাঁদের পদ শূন্য হয়ে গেছে৷ তাই এরপর, মন্ত্রী হিসেবে তাঁদের সব কাজ অবৈধ এবং বেআইনি৷

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার পদত্যাগ-পত্র জমা দেয়া মন্ত্রীদের দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেছেন আইনজীবী ড. ইউনুস আলি আকন্দ৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, সংবিধানের ৫৮(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়ছে, ‘প্রধানমন্ত্রী ব্যতীত অন্য কোনো মন্ত্রীর পদ শূন্য হবে যদি কোনো মন্ত্রী রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করবার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগ-পত্র প্রদান করেন৷' তাই মন্ত্রীরা প্রধামন্ত্রীর কাছে পদত্যাগ-পত্র জমা দেয়ার মঙ্গে সঙ্গেই তা গৃহীত হয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে৷ অর্থাৎ সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির তা গ্রহণ করেছেন কিনা – তার অপেক্ষার সুযোগ নেই৷

তাঁর মতে, সোমবার পদত্যাগ-পত্র জমা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মন্ত্রীরা আর মন্ত্রী নেই৷ এরপর তাঁরা অবৈধভাবে কাজ করছেন, যা সংবিধান এবং আইনের লঙ্ঘন৷ ড. ইউনুস আলি আকন্দ জানান, আগামী রবিবার হাইকোর্টে রিটের শুনানি হবে৷

তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর না করা পর্যন্ত মন্ত্রীদের পদত্যাগ-পত্র গৃহীত হবে না৷ তাঁরা যাঁর যাঁর পদে বহাল থেকে কাজ চালিয়ে যাবেন৷ রাষ্ট্রপতি তাঁদের পদত্যাগ-পত্রে স্বাক্ষর করলে তবেই তাঁদের পদ শূন্য হবে, তার আগে নয়৷

প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, অনেকে বলার চেষ্টা করছেন যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মন্ত্রীরা পদত্যাগ-পত্র জমা দিলেই পদ শূন্য হয়ে যায়৷ তাঁরা আসলে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা ভুলে গেছেন৷ তাই রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে৷
তিনি আরো বলে,ন মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেবল পদত্যাগের ইচ্ছা পোষণ করেছেন৷ আর এতে, অনেকে না ঝুঝেই সেটাকে পদত্যাগ ধরে বিতর্ক শুরু করেছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ